এবার উত্তরপত্রে ওবায়দুল কাদেরের উক্তি-'জ্বালা অন্তরে জ্বালা'

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০১ জুলাই ২০২২

এবার উত্তরপত্রে ওবায়দুল কাদেরের উক্তি-'জ্বালা অন্তরে জ্বালা'

এবার ‘আজকে আমার মন ভালো নেই’; ‘মাসুদ ভালো হয়ে যাও’ লেখা সংবলিত একটি উত্তরপত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এছাড়া ওই উত্তরপত্রে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের আলোচিত কিছু কথাও লেখা রয়েছে।

কক্সবাজার সিটি কলেজের যুক্তিবিদ্যা পরীক্ষার এমন একটি উত্তরপত্র বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।

তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। তারা বলছে, মিসকাত চৌধুরী নামে কোনো ছাত্র তাদের প্রতিষ্ঠানে নেই এবং ওই দিন যুক্তিবিদ্যার কোনো পরীক্ষাও অনুষ্ঠিত হয়নি।

ভাইরাল হওয়া ওই উত্তরপত্রে লেখা রয়েছে, ২৯ জুন মানবিক শাখার বিভাগভিত্তিক বিষয় যুক্তিবিদ্যা দ্বিতীয়পত্রের পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষার খাতায় এমন কাণ্ড ঘটানো শিক্ষার্থীর নাম মিসকাত চৌধুরী। তার রোল নম্বর ৯৮০। ফাঁস হওয়া ওই উত্তরপত্রে কক্সবাজার সিটি কলেজের নাম, লোগো, এমনকি সিটি কলেজের সিলও রয়েছে।

উত্তরপত্রের প্রথম পাতায় ১ নম্বর প্রশ্নের উত্তরে লেখা হয়েছে, ‘আজকে আমার মন ভালো নেই।’

এরপর ২ নম্বর প্রশ্নের উত্তরে লেখা হয়েছে, ‘কাদেরের তিনটি সূত্র লেখা হলো:
১. জ্বালা অন্তরে জ্বালা।
২. আমরা করোনার চেয়ে শক্তিশালী।
৩. কাগজে লিখো নাম, ছিঁড়ে যাবে, ব্যানারে লিখো নাম মুছে যাবে! পাথরে লিখো নাম ক্ষয়ে যাবে, হৃদয়ে লিখো নাম রয়ে যাবে।

এছাড়া ৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তরে তিনি লিখেছেন, ‘মাসুদ ভালো হয়ে যাও।’

এ ব্যাপারে সিটি কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আকতার চৌধুরী বলেন, ছবি ফাঁস হওয়ার পর কলেজ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তদন্ত শুরু করে। তদন্তে জানা গেছে, ওই নামের কোনো শিক্ষার্থী কলেজের দ্বাদশ শ্রেণিতে নেই। খাতায় শিক্ষকের যে স্বাক্ষর রয়েছে তাও আমাদের কলেজের কোনো শিক্ষকের নয়। আর ওই দিন যুক্তিবিদ্যার পরীক্ষাও অনুষ্ঠিত হয়নি।

এ ব্যাপারে কলেজের অধ্যক্ষ ক্যথিং অং বলেন, বিষয়টি সম্পূর্ণ ভুয়া। কেউ এমন কর্মকাণ্ড করে কলেজ কর্তৃপক্ষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।

প্রসঙ্গত, গত ২৪ জুন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রথম সেমিস্টারের এক শিক্ষার্থীর পরীক্ষার অতিরিক্ত উত্তরপত্রের প্রথম পৃষ্ঠায় ‘স্যার আজকে আমার মন ভালো নেই’ লেখা ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সে ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।