নারায়ণগঞ্জ, বগুড়ার পর এবার কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে আদম ফ্যাশনের ফ্রাঞ্চাইজি আউটলেট উদ্বোধন করা হয়েছে।গত শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে নাঙ্গলকোট পৌরসভার জামান্স প্লাজার (গার্লস স্কুল সংলগ্ন) দ্বিতীয় তলায় ফ্রাঞ্চাইজি আউটলেটটি উদ্বোধন করেন চিত্র নায়িকা জেবা জান্নাত।তরুণ- তরুণীদের হাতে সাধ্যের মধ্যে পছন্দের পোশাক দিতে দেশের বাজারে এসেছে নতুন এই ফ্যাশন ব্রান্ড। নতুন যাত্রা করা এই ব্রান্ডের নাম ‘আদম ফ্যাশন বাই হক’। এটি ৭৫ বছর ধরে চলা স্বনামধন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হক গ্রুপের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান এবং যার মূল মালিক হক গ্রুপের স্বত্বাধিকারী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আদম তমিজী হক।আদম ফ্যাশন বাই হকের প্রোডাক্ট সম্পর্কে বলতে গিয়ে, হক গ্রুপের চীপ অপারেটিং অফিসার, বিদ্যুত জাহিদ বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো সঠিক মূল্যে, গুনগত মানের আকর্ষণীয় ডিজাইনের প্রোডাক্ট গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেওয়া। আদম ফ্যাশন কখনওই এর মানের সাথে আপোষ করবে না।“তিনি আরো বলেন, আশা করছি, আগামী বছরের মধ্যে দেশের প্রতিটি জেলায় জেলায় আদম ফ্যাশনের ফ্রাঞ্চাইজি আউটলেট থাকবে।ব্রান্ডটিতে পাওয়া যাবে হাফ শার্ট, ক্যাজুয়াল শার্ট, অফিসিয়াল ফরমাল শার্ট, প্রিমিয়াম কোয়ালিটি পাঞ্জাবী, পায়জামা, মেন্স ট্রাউজার, সর্টস্, পোলো শার্ট, টি-শার্ট।এছাড়াও আদম ফ্যাশনের ব্রান্ডে শীঘ্রই আসছে মেয়েদের ওয়ান পিস, টপস, সালোয়ার, মেন্স ওমেন্স জিন্স ও কিডস আইটেমস্।জনপ্রিয় মিডিয়া শিল্পী জেবা জান্নাত কেক কেটে আউটলেটের উদ্বোধন করেন। সাথে ছিলেন নাঙ্গলকোট পৌর মেয়র আব্দুল মালেক। কাউন্সিলর সাদেক হোসেন খোকা, বশিরুজ্জামান খান, শাহাব উদ্দিন শাহিন, নাঙ্গলকোট ফ্রাঞ্চাইজি প্রোপাইটর হারুনুর রশীদ বাবুল।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন হক গ্রুপ এর সিওও বিদ্যুত জাহিদ। আদম তমিজী হক এর ব্যক্তিগত সহকারী সালেহ আহমেদ হৃদয়, সাপ্লাই চেইনের পবন ইসলাম, অহিদুল ইসলাম বাঁধন, আদম ফ্যাশনের সিওও সুজন মাহমুদ, সেল্স হেড রিফাত হৃদয়, মার্কেটিং হেড নাইম, উজ্জল, তন্বী ও আরো অনেকে।মনোঙ্গ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছিলেন জনপ্রিয় শিল্পী সঁচল পাগল সুজন, ফতেহ আলী খান আকাশ, রূমা, ক্ষুদে গান রাজ রানা, রাজু ও অনেকে।উল্লেখ্য, আদম ফ্যাশন বাই হক দেশব্যাপি তাদের ব্রান্ডেড ফ্রাঞ্চাইজি আউটলেট খোলার জন্য আগ্রহী ব্যবসায়ীদের কাছে থেকে আবেদন আহ্ববান করছে। নতুন ব্রান্ডের এসব পোশাক পাওয়া যাচ্ছে তেজগাঁও/৩৪০ হক সেন্টারে আদম ফ্যাশনের কর্পোরেট অফিস এবং ডিসপ্লে সেন্টারে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩
অবাস্তব শোনালেও এটি এখন বংলাদেশের একটি রপ্তানি আইটেম। আইসল্যান্ডের চেইন সুপারশপ আইসল্যান্ড সুপারস্টোরে রপ্তানি হচ্ছে কাঁঠালের বার্গার। পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) কর্মকর্তারা জানান, ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ থেকে ৪ লাখ পিস কাঁঠালের বার্গার অর্ডার করেছে সুপারশপটি। অবাস্তব শোনাচ্ছে?অবাস্তব শোনালেও এটি এখন বংলাদেশের একটি রপ্তানি আইটেম। আইসল্যান্ডের চেইন সুপারশপ আইসল্যান্ড সুপারস্টোরে রপ্তানি হচ্ছে কাঁঠালের বার্গার। পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) কর্মকর্তারা জানান, ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ থেকে ৪ লাখ পিস কাঁঠালের বার্গার অর্ডার করেছে সুপারশপটি। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন গ্রামীণ উন্নয়ন সংস্থা পিকেএসএফের আশা, প্রক্রিয়াজাত কাঁঠালের বার্গার সারা বিশ্বের নিরামিষভোজীদের মধ্যে জনপ্রিয়তা লাভ করবে।এদিকে, খাদ্য বিষয়ক বিজ্ঞানীরাও কাঁঠাল থেকে তৈরি এই আধুনিক খাবারের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে যথেষ্ট উচ্ছ্বসিত। মৌসুমী ফল থেকে কীভাবে আরও বেশি লাভবান হওয়া যায়, তা নিয়ে একনিষ্ঠ গবেষণার ফল এই কাঁঠালের বার্গার।খাদ্য পরীক্ষাগারে গবেষকদের সাফল্যের পর বাণিজ্যিকভাবে কাঁঠালের রেসিপি নিয়ে কাজ করতে উৎসাহী হয় পিকেএসএফ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল (ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর অ্যাগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট) থেকে আর্থিক সহায়তাও মিলেছে। সংস্থাটি তার কৃষি বাণিজ্যিকীকরণ এবং উদ্যোগ প্রচার প্রকল্পের অধীনে ১২৯ মিলিয়ন ডলার ঋণ প্রদান করছে। জাতিসংঘের এজেন্সি-সহায়তা প্রকল্পের অধীনে বাস্তবায়িত হওয়া ছোট আকারের প্রকল্পগুলোর মধ্যে কাঁঠালের বার্গার অন্যতম।১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট ইনোভেশন অ্যান্ড প্র্যাকটিস (সিডিআইপি) নামের এনজিওটি এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পে মোট বিনিযোগ করা হয়েছে ১.৮৯ কোটি টাকা; এরমধ্যে পিকেএসএফ দিয়েছে ১.৪৪ কোটি টাকা এবং বাকি টাকা দিচ্ছে সিডিআইপি।সিডিআইপির নির্বাহী পরিচালক মিফতা নাইম হুদা বলেন, কাঁঠালের বার্গার উৎপাদন কারখানায় পিকেএসফ শুধু অর্থায়নই করছে না, আইসল্যান্ড থেকে যে রপ্তানি অর্ডার এসেছে, তাতেও পিকেএসএস সহায়তা করছে। আইসল্যান্ডের প্রতিষ্ঠানটি পিকেএসএফ'র মাধ্যমে কারখানা পরিদর্শন করতে চেয়েছে। সিডিআইপি বিষয়টি মাথায় নিয়েই প্রস্তুতি নিচ্ছে। বাংলাদেশ কাউন্সিল অফ সায়েন্টিফিক অ্যান্ডইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ (বিসিএসআইআর)-এ ইতোমধ্যেই কাঁঠালের বার্গারের খাদ্যমান যাচাই করা হয়েছে। বিসিএসআইআর থেকে ডায়েটারি ফাইবার অ্যানালাইজারের মাধ্যমে পরীক্ষায় প্রতি ১০০ গ্রাম কাঠালের পেটিতে ৯.৭৮ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ১০.৮৭ গ্রাম প্রোটিন, ৮.৪৭ গ্রাম ফ্যাট, ১৯.৩২ গ্রাম ডায়েটারি ফাইবার এবং ১৫৯ কিলোক্যালরি এনার্জি রয়েছে বলে জানা যায়। পিকেএসএফের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদের বলেন, স্বাদ, গন্ধ কিংবা রসালোভাবের দিক দিয়ে মাংসের পেটির বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে কাঁঠালের পেটি। সারাবিশ্বে ভেজিটেরিয়ানদের (নিরামিষভোজী) কাছে এর চাহিদা থাকার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়ছে, ফলে রপ্তানিতেও তৈরি হয়েছে সম্ভাবনা।"ইতোমধ্যে আইসল্যান্ড সুপারস্টোর বাংলাদেশকে এই কাঁঠাল আমদানির অর্ডারও দিয়েছে। বিশ্ববাজারের পাশাপাশি স্থানীয় বাজারেও এটি জনপ্রিয় করার উদ্যোগ রয়েছে," বলেন তিনি।বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দেশে বছরে ১৮,৯৩,৩০৩ মেট্রিক টন কাঁঠাল উৎপাদিত হচ্ছে। ফলে এ উৎপাদন ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে, পণ্য বৈচিত্রকরণের মাধ্যমে সারাবছর কাঁঠালের পণ্য বিপণন সম্ভব হবে। এতে কাঁঠালের ভ্যালু অ্যাডিশন বা মূল্য সংযোজন কয়েকগুণ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাণিজ্য এবং মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রক্রিয়াজাত ফলের রেসিপিতে উদ্যোক্তা তৈরির মিশন রয়েছে পিকেএসএফের। এমন অনেক উদ্যোক্তা ইতোমধ্যেই অনলাইন প্ল্যাটফর্মে নিজেদের ব্যবসা শুরু করেছেন।কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পোস্ট হার্ভেস্ট টেকনোলজি বিভাগের সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও খাদ্য প্রযুক্তিবিদ ড. মো. গোলাম ফেরদৌস বলেন, "আমরা যেকোনো ফল বা সবজি প্রক্রিয়াজাত করলে তাতে কমপক্ষে দ্বিগুণ ভ্যালু অ্যাডিশন হয়। কিন্ত, কাঁঠালের ক্ষেত্রে ভ্যালু অ্যাডিশন বহুগুণ হতে পারে।" তিনি বলেন, "কাঁঠাল সর্বগুণে গুণান্বিত একটি ফল। আমারা শুধু পাকা কাঠালই খাই। কিন্তু কাঁচা কাঁঠালের যে অনেক ব্যবহার আছে এবং এটি দিয়ে অনেক ধরনের পণ্য তৈরি করা যায়, তা আমাদের সাধারণ মানুষের মধ্যে অজানা। এতে আমাদের দেশের প্রচুর কাঁঠাল অপচয় হচ্ছে। এই অপচয় রোধ করতে হলে কাঁচা থাকা অবস্থায়ই এর ব্যবহার শুরু করতে হবে।" কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের এই বিজ্ঞানী আরও বলেন, কাঁঠালে প্রচুর পুষ্টিগুণ রয়েছে। যে পুষ্টি অন্য ফলে পাওয়া যায় না সেটি কাঁঠালে পাওয়া যায়। কাঁঠালের ক্যালোরি ভ্যালু অনেক বেশি। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আছে।"শুধু বার্গারই নয়– কাঁচা কাঁঠাল দিয়ে স্যানডুইচ, কাঁঠালের রোল, কাকলেট, সিঙ্গারা, সমুচা, কাঁঠালের দই, কাঁঠালসত্ত্ব, শরবত, কাস্টার্ড, কেক, আইক্রিমও তৈরি করা সম্ভব। যদি সচেতনতা তৈরি করা যায় তাহলে কাঁঠালপণ্যের একটি বড় বাজার তৈরি করা যেতে পারে এবং বিদেশের বাজারেও এটি ব্যাপক রপ্তানি সম্ভাবনা তৈরি করবে," বলেন তিনি।মো. গোলাম ফেরদৌস আরও বলেন, "আমরা জেনেছি ম্যাকডোনাল্ড'স আমেরিকায় কাঁঠালের বার্গার বানাচ্ছে। কাঁঠাল কিন্ত আমেরিকায় খুব বেশি হয় না। শুধুমাত্র পুষ্টিগুণ এবং স্বাদ বিবেচনায় তারা কাঠালের বার্গার বানাচ্ছে।"কাঁঠাল থেকে তৈরি আইটেমগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কিছু খাবারের দোকানেও দেখা যায়; যার মধ্যে মূলধারার মুদি দোকান এবং ফুড মার্কেট যেমন– ফ্রাই'স ফুড স্টোর এবং ফাইন ফুডস রয়েছে। এসব জায়গায় কাঁঠালের বারবিকিউ, রিকোটা-স্টাফড কাঁঠালের মতো খাবার তৈরি হয়। আর এসব দোকানের কাঁঠালের চাহিদা পূরণ হয় মূলত মেক্সিকো থেকে।পিকেএসএফ ও সিডিআইপির কর্মকর্তারা জানান, বার্গারের পেটি তৈরিতে শতকরা ৫৮ ভাগ কাঁঠাল এবং ২০ ভাগ ময়দা/কর্ন ফ্লাওয়ারের মিশ্রণ ব্যবহার করা হয়েছে এবং অবশিষ্ট ২২ ভাগ উপকরণ হিসেবে পিঁয়াজ, আদা, ধনে পাতা, কারি পাউডার, চিলি পাউডার ইত্যাদির ব্যবহার হয়েছে। মো. ফজলুল কাদের জানান, কাঁঠারের শুধু বার্গার নয়, ফলটি দিয়ে আরও কিছু পণ্য উৎপাদের পরীক্ষামূলক কাজ চলছে। কাঠালের জুসকে ম্যাঙ্গো জুসের মতো জনপ্রিয় করার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ইতোমধ্যে পরীক্ষমূলকভাবে কাঁঠালের জুস তৈরি করেছে পিকেএসএফ। এছাড়া মিয়ানমারে কাঠালের বিরিয়ানি বেশ জনপ্রিয়। এমনকি, কাঁঠালের বিচি ক্যান্সার প্রতিরোধক, যা বৈজ্ঞানিকভাবেও প্রমাণিত। কাঁঠাল ছাড়াও বাংলাদেশে উৎপাদিত অনান্য কৃষি পণ্য যেমন– আনারস, টমেটো, গাজর, পেয়ারা নিয়েও পিকেএসএফ কাজ করছে বলে জানান তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৩ অক্টোবর ২০২৩
পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিদেশী কর্মী নেওয়ার প্রক্রিয়া স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে মালয়েশিয়া। এশিয়ার এ দেশটিতে কাজ করতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতি বছর অসংখ্য মানুষ যান।মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী ভি শিবকুমার শনিবার (১৮ মার্চ) এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, প্রথম ধাপে ৯ লাখ ৯৫ হাজার ২৯৬ জন শ্রমিককে মালয়েশিয়ায় কাজ করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। নিয়োগকর্তারা যেন এখন সুষ্ঠুভাবে এসব শ্রমিকদের নিয়ে আসতে পারেন সে ব্যবস্থা করতেই সাময়িক সময়ের জন্য শ্রমিক নেওয়ার প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়েছে।তিনি আরও জানিয়েছেন, নতুন শ্রমিক আসার অনুমোদনের নিষেধাজ্ঞা তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হয়েছে। এরমধ্যে যেসব নিয়োগদাতা অবৈধ কর্মীদের নিয়োগ দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন সেটিও থাকবে। মানে অবৈধদের বৈধভাবে কাজ করার অনুমোদনও স্থগিত হয়ে গেছে।মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী শিবকুমার আরও জানিয়েছেন, প্রধম ধাপে অনুমোদন পাওয়া শ্রমিকরা যখন মালয়েশিয়ায় আসবেন এবং কাজে যোগ দেবেন, এরপর আবার এ প্রক্রিয়া চালু করার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।এক বিবৃতিতে মন্ত্রী শিবকুমার বলেছেন, ‘আমরা ১৪ মার্চ পর্যন্ত সব সেক্টর— নির্মাণ, মেরামত, উৎপাদন, কৃষি, খনি এবং খনন ও বৃক্ষরোপণের জন্য ৯ লাখ ৯৫ হাজার ৩৯৬ জনকে কাজের অনুমোদন দিয়েছি।’তার মতে, এখন পর্যন্ত যতজন শ্রমিককে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে সেটি পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ খাতের চাহিদা পূরণে যথেষ্ট।এছাড়া অনুমোদনপ্রাপ্ত শ্রমিকদের দ্রুত নিয়ে আসারও অনুরোধ জানিয়েছেন শিবকুমার। তিনি বলেছেন, বর্তমানে অনুমোদনপ্রাপ্তের তুলনায় কম শ্রমিক আসছেন।২০১৮ সালে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়া বন্ধ করে দেয় মালয়েশিয়া। এরপর মালয়েশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার পর ২০২২ সালের ৮ আগস্ট থেকে আবারও দেশটিতে যাওয়া শুরু করেন দেশী প্রবাসীরা।গত ৫ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ৩ লাখ ১৪ হাজার ৪৭৩ জন কর্মী মালয়েশিয়া যাওয়ার অনুমোদন পান। এরমধ্যে ৫ মার্চ পর্যন্ত দেশটিতে গিয়ে পৌঁছেছেন ১ লাখ ২১ জন কর্মী।সূত্র: ফ্রিমালয়েশিয়াডটকম
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ মার্চ ২০২৩
রিয়েল অ্যাস্টেট লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন রূপায়ণ সিটি উত্তরার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এম মাহবুবুর রহমান। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কর্পোরেট সেক্টরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করে আসছেন।সম্প্রতি ঢাকার হোটেল শেরাটনে এলএফবি লিডারশিপ অ্যাক্সিলেন্স সামিট-২০২২ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে দেশের ২৩টি সেক্টরের প্রায় ২০০ জন লিডার অংশগ্রহণ করেন। যেখানে বিভিন্ন খাতে অবদানের জন্য ১৩ জনকে এ অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। এম মাহবুবুর রহমান ২০০৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে এমএসএস ডিগ্রি এবং ২০০১ সালে একই বিভাগ থেকে বিএসএস ডিগ্রি অর্জন করেন। পড়াশোনা শেষ করে ২০০৫ সালে তিনি অ্যাসেট ডেভেলপমেন্টস যোগদানের মাধ্যমে রিয়েল অ্যাস্টেট শিল্পের জন্য কাজ করা বেছে নেন। তিনি ২০১০-২১ সাল পর্যন্ত স্যানমার প্রপার্টিজ লিমিটেডে (ঢাকা ও চট্টগ্রাম) নির্বাহী পরিচালক পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি রূপায়ণ সিটি উত্তরার উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) এবং বর্তমানে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।রিয়েল অ্যাস্টেট লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড পেয়ে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে এম মাহবুবুর রহমান বলেন, কাজের স্বীকৃতি প্রতিনিয়ত সামনে এগিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা দেয়। ১৮ বছর আগে রিয়েল অ্যাস্টেট শিল্প অনেকের কাছে পছন্দের ছিল না। আমি রিয়েল অ্যাস্টেট শিল্পে আমার ক্যারিয়ার গড়ার জন্য বেছে নিয়েছি। আজ আমার মনে হচ্ছে সে সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল। আমি দেশের জন্য কিছু করতে পেরেছি, তরুণদের জন্য একটি উদীয়মান প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে পেরেছি।এসময় অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এলএফবি সভাপতি খন্দকার কবির। এছাড়াও এলএফবি সহ-সভাপতি ডা. হালিদা হানুম আক্তার, এলএফবি ডিরেক্টর তামান্না রাব্বানী, এলএফবি উপদেষ্টা রুমি আলী, এলএফবি ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য, জনাব ফয়জুর রহমান খান-ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বিটিআই, জনাব ইয়াসির আজমান-সিইও, গ্রামীণফোন লিমিটেড এবং জুরি বোর্ডের অন্যান্য সব সদস্যরাসহ এলএফবি জুরি বোর্ডের সদস্যরা পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৪ জানুয়ারি ২০২৩
আমদানি-রপ্তানি প্রক্রিয়ায় চোরাচালান ও শুল্ক ফাঁকি প্রতিরোধে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেম এবং বাংলাদেশ এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন অথরিটি (বেপজা) সিস্টেমের মধ্যে আন্তঃসংযোগ স্থাপন করা হয়েছে।এনবিআর থেকে কাস্টমস অটোমেশন শাখা থেকে ইস্যু করা এক চিঠির সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) এনবিআরের জনসংযোগ দপ্তর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।ওই চিঠির সূত্রে জানা যায়, অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেম এবং বাংলাদেশ এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন অথরিটি (বেপজা) সিস্টেমের মধ্যে আন্তঃসংযোগ স্থাপনের ফলে বেপজার সিস্টেম এবং অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে ইস্যু করা এক্সপোর্ট ও ইমপোর্ট পারমিটের তথ্য খুব সহজেই আদান প্রদান করা যাবে। এর মাধ্যমে অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেম থেকেই এ সংক্রান্ত তথ্য খুব সহজেই যাচাই করা সম্ভব হবে। এর ফলে চোরাচালান ও শুল্ক ফাঁকি সংক্রান্ত সব অপরাধ নিবিড়ভাবে যাচাই-বাছাই করা সম্ভব হবে।সূত্র আরও জানায়, আগে বেপজার আইপি/ইপি সংক্রান্ত তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বেপজার সিস্টেমে লগইন করে এ সংক্রান্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করা হতো।বেপজার ইমপোর্ট পারমিট ব্যবহারের মাধ্যমে বিল অব এন্ট্রি দাখিলের কার্যক্রম গত বছরের সেপ্টেম্বরে শুরু হয়। তারই ধারাবাহিকতায় আগামী ২৩ জানুয়ারি থেকে ইপিজেডভুক্ত দপ্তরগুলোর রপ্তানির ক্ষেত্রে বেপজার এক্সপোর্ট পারমিট সংক্রান্ত তথ্য অ্যাসাইকুডা সিস্টেমে ধারণ করা ছাড়া কোনো ধরনের শুল্কায়নের কার্যক্রম সম্পন্ন করা যাবে না।এছাড়া বেপজার এক্সপোর্ট পারমিট সংক্রান্ত আন্তঃসংযোগ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ এবং সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের অবহিত করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও অংশীজনদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলেও চিঠিতে জানানো হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ জানুয়ারি ২০২৩
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেছেন, দেশ থেকে বড় অঙ্কের অর্থ পাচার হয়েছে। সাধারণত দুইভাবে সম্পদ পাচার হয়। এগুলো হচ্ছে-আন্ডার ইনভয়েসিং (পণ্যের দাম কম দেখিয়ে) এবং ওভার ইনভয়েসিং (পণ্যের দাম বেশি দেখিয়ে)। এতে একদিকে দেশের টাকা বিদেশে চলে গেছে। অন্যদিকে কর ফাঁকি দেওয়া হয়েছে। পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে চার ভাগের এক ভাগ দামে এলসি খুলেছেন অনেক গ্রাহক। এই কাজটা করেছেন ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়ার জন্য। তবে বাকি তিন ভাগ অর্থ নিশ্চয়ই হুন্ডির মাধ্যমে পরিশোধ করেছেন। বিষয়গুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শনে উঠে এসেছে। ইতোমধ্যেই অনেকাংশে এই কাজগুলো নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছে। ভবিষ্যতে আরও কমবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি।রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকে ২০২২-২৩ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল, কাজী ছাইদুর রহমান, আবু ফরাহ মো. নাছের, একেএম সাজেদুর রহমান খান, বিএফআইইউ প্রধান মাসুদ বিশ্বাস, প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. হাবিবুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হকসহ গবেষণা বিভাগের সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।নতুন মুদ্রানীতিতে বলা হয়েছে, বর্তমান বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় আমানতের সর্বনিু সুদহার পুরোপুরি তুলে নেওয়া হলো। এছাড়া নতুন মুদ্রানীতিতে ভোক্তাঋণের সুদহার বাড়ানোরও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, ভোক্তাঋণের ক্ষেত্রে সুদহার ৩ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। বর্তমানে ব্যাংকের সব ধরনের ঋণের সুদহার ৯ শতাংশে বেঁধে রাখা হয়েছে। এখন সেখানে ভোক্তাঋণের সুদহার বাড়িয়ে ১২ শতাংশ পর্যন্ত করতে পারবে ব্যাংকগুলো। এর ফলে ব্যাংকগুলো এখন ভোক্তাঋণের সুদহার বাড়াতে পারবে। তবে শিল্পঋণসহ অন্যান্য ঋণের ক্ষেত্রে সুদহার বাড়ানোর সুনির্দিষ্ট কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, অন্যান্য ঋণের বেঁধে দেওয়া সুদহার তুলে নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনাধীন থাকবে।নতুন মুদ্রানীতিতে বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, আমানতের সুদহার উন্মুক্ত করে দেওয়া ও ঋণ সুদহারে কিছুটা শিথিল করায় তা আমানতের সুদহার বাড়াতে সহায়তা করবে।এর আগে ২০২১ সালের আগস্টে আমানতের সর্বনিু সুদহার বেঁধে দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, তিন মাস ও তার বেশি মেয়াদি আমানতের সুদ কোনোভাবেই তিন মাসের গড় মূল্যস্ফীতির কম হতে পারবে না। ২০২০ সালের এপ্রিলে ঋণের সুদহার ৯ শতাংশ নির্ধারণ করে দেওয়ার পর আমানতের সুদহার আড়াই শতাংশেও নামিয়ে এনেছিল।বর্তমানে দেশে মূল্যস্ফীতি যেখানে উঠেছে, তাতে ব্যাংকগুলোকে আমানতের সুদহারও বাড়াতে হয়। কিন্তু ঋণের সুদ নির্দিষ্ট থাকায় ঋণ ও আমানতের সুদের মধ্যে সমন্বয় করতে গিয়ে ব্যাংকগুলোকে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। এজন্য ব্যাংকগুলো ঋণ ও আমানতের সুদহার তুলে নেওয়ার দাবি করে আসছিল।নতুন মুদ্রানীতিতে ঋণে সুদহারের ৯ শতাংশ সীমা অপরিবর্তিত রেখে নীতি সুদহার বাড়াল বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে ব্যাংকগুলোকে পুনঃক্রয় চুক্তি বা রেপোর বিপরীতে ৬ শতাংশ সুদে ধার নিতে হবে, যা এতদিন ছিল ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ। একইভাবে বিপরীত পুনঃক্রয় চুক্তি বা রিভার্স রেপোর সুদহার ৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪ দশমিক ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। এর ফলে ব্যাংকগুলোর ধারের সুদহার বাড়বে। সামগ্রিক বিবেচনায় এবারের মুদ্রানীতিকে সতর্কমূলক বলছে বাংলাদেশ ব্যাংক।এজে/
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৬ জানুয়ারি ২০২৩
ঋণ নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনা করতে ঢাকায় এসেছেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধি দল। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠকে ঋণ ও আর্থিক খাতের সংস্কার নিয়ে কোনো কোনো আলোচনা হয়নি।রোববার (১৫ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আইএমএফ প্রতিনিধি দলের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে এ কথা জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক।বৈঠকে আইএমএফের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) অ্যান্তইনেত মনসিও সায়েহের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল অংশ নেন। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।বৈঠক প্রসঙ্গে মেজবাউল হক বলেন, ধারাবাহিক কর্মসূচির আওতায় আইএমএফের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফরে রয়েছে। আইএমএফ প্রতিনিধি দল সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে এসেছিলেন।তিনি বলেন, বৈঠকে কোভিডসহ বিভিন্ন সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকার যেসব পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে, এসব বিষয় নিয়ে আইএমএফের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। অর্থনৈতিক বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আমাদের পদক্ষেপ তাদের সামনে তুলে ধরেছি। তারা এসব বিষয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করেছেন।বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক বলেন, ঋণ ও আর্থিক খাতের সংস্কার নিয়ে আইএমএফের সঙ্গে আজকের সভায় কোনো আলোচনা হয়নি। তবে আইএমএফের ঋণ পাওয়া নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না, নিয়ম অনুযায়ী ঋণ পাব। অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় আইএমএফের কাছে ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ চেয়েছে বাংলাদেশ। এতে প্রাথমিক সম্মতি দিয়েছে আইএমএফ। চলতি মাসের শেষের দিকে বাংলাদেশের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করবে আইএমএফ বোর্ড। পরে ফেব্রুয়ারির শুরুতেই ঋণের প্রথম কিস্তি পাওয়া যাবে। শনিবার (১৪ জানুয়ারি) এ বিষয়ে চূড়ান্ত আলোচনার জন্য ঢাকায় এসেছেন আইএমএফের ডিএমডি অ্যান্তইনেত।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৬ জানুয়ারি ২০২৩
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে পাঁচটি ঝুঁকি দেখছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ)। এ ঝুঁকিগুলো হলো- উচ্চ মূল্যস্ফীতি, ঋণসংকট, উচ্চ পণ্যমূল্যের ধাক্কা, মানবসৃষ্ট পরিবেশগত ক্ষতি ও সম্পদের জন্য ভূরাজনৈতিক প্রতিযোগিতা। ডব্লিউইএফের ধারণাগত এই জরিপে মোট ৩৫টি ঝুঁকির কথা বলা হয়। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের শীর্ষ পাঁচটি ঝুঁকি চিহ্নিত করতে বলা হলে তারা ক্রমানুসারে ওই পাাঁচটি ঝুঁকি চিহ্নিত করেন। বাংলাদেশের মোট ৭২টি কোম্পানি জরিপে অংশ নেয়। অন্যান্য দেশেও তারা এই জরিপ করেছে। তাদেরও শীর্ষ পাঁচটি ঝুঁকি চিহ্নিত করতে বলা হয়। সার্বিক জরিপ থেকে তারা সারা বিশ্বে আগামী দুই বছরের অর্থনৈতিক ঝুঁকি চিহ্নিত করেছে। জরিপের ফলাফল থেকে তারা বলছে, বিশ্ব অর্থনীতি মন্দার কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। বাংলাদেশে ডব্লিউইএফের অংশীদার হিসেবে কাজ করেছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৪ জানুয়ারি ২০২৩
পদ্মা ব্যাংকের গৃহ ঋণ সহজেই নিন-স্লোগানে আবাসন খাতের সবচেয়ে বড় মেলা “রিহ্যাব ফেয়ার ২০২২”-এ গ্রাহকদের জন্য বিশেষ গৃহ ঋণ সেবা নিয়ে এসেছে পদ্মা ব্যাংক লিমিটেড। সহজ ও দ্রুততম সময়ে ঋণ দেয়ার সুবিধা নিয়ে মেলায় ১১৩ নাম্বার স্টল উদ্বোধন করেছে ব্যাংকটি। পাঁচদিনের মেলা শেষ হবে রোববার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২২। বুধবার ২১ ডিসেম্বর রাজধানীর শেরেবাংলা নগরস্থ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পদ্মা ব্যাংকের স্টলটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন রিহ্যাবের প্রেসিডেন্ট আলমগীর শামসুল আলামিন (কাজল)। এই সময় উপস্থিত ছিলেন রিহ্যাবের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ইন্তেখাবুল হামিদ, পদ্মা ব্যাংকের এসইভিপি, সিইচআরও এবং সিসিও এম আহসান উল্লাহ খান, এসএমই অ্যান্ড রিটেইল ব্যাংকিং হেড রকিবুল হাসান চৌধুরী, রিটেইল প্রোডাক্ট হেড মো. কাজী মো. ফজলুর রহমান-সহ অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। মেলায় গ্রাহকরা পদ্মা ব্যাংকের গৃহ ঋণ সেবা সম্পর্কে জানতে পারবেন। সেবাগুলোর মধ্যে আছে গ্রামীণ গৃহঋণ, আধা-পাকা বাড়ি এবং অ্যাপার্টমেন্ট কেনা বা বাড়ি বানানোর নিয়মিত ঋণ। এছাড়া অ্যাপার্টমেন্ট বা বাড়ি আধুনিকায়নেও ঋণ দেবে পদ্মা ব্যাংক। রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের সম্মানে থাকছে প্রবাসী গৃহঋণ অথবা এনআরবি হোম লোন সেবা। দেশের বাইরে কর্মজীবী যে কেউ এই সুবিধার আওতায় পড়বেন। সর্বোচ্চ ২ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ সুবিধা পাবেন তারা।গ্রামীণ গৃহঋণে সর্বোচ্চ ৮০ লাখ টাকা ঋণ দেবে ব্যাংক। দেশের যেকোনো জায়গা থেকে পাওয়া যাবে এই ঋণ সুবিধা।আধাপাকা প্রপার্টি ফাইন্যান্সিং সেবাও চালু করেছে পদ্মা ব্যাংক। এক্ষেত্রে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ সুবিধা মিলবে। বাসা বাড়ি আধুনিকায়নের জন্যও মিলবে ঋণ।২১ থেকে ৬৫ বছর পর্যন্ত যে কেউ ঋণের জন্য আবেদন করতে পারবেন। অবশ্য শর্ত হচ্ছে, কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে অন্তত দুই থেকে তিন বছর। আয়ের উৎস অনুযায়ী ঋণ পরিশোধ সীমা ২৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা। সময় পাওয়া যাবে সর্বোচ্চ ২৫ বছর।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২২ ডিসেম্বর ২০২২
জাতীয় বস্ত্র দিবস উপলক্ষে ১০টি সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দেবে সরকার। বস্ত্রখাতের উন্নয়ন, উৎকর্ষতা সাধন, বস্ত্র শিক্ষার সম্প্রসারণ ও রপ্তানি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখায় তাদের এ পুরস্কার দেওয়া হবে।রোববার (৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় সচিবালয়ে জাতীয় বস্ত্র দিবস উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতীক। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘দেশীয় বস্ত্র ব্যবহার করি সোনার বাংলা গড়ে তুলি।’মন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী বস্ত্র শিল্পের সম্ভাবনাগুলো বিকশিত করার লক্ষ্যে বস্ত্রখাত সংশ্লিষ্ট সব উদ্যোগ ও অংশীজনদের সমন্বয়ের উদ্দেশে সরকার ৪ ডিসেম্বরকে ‘জাতীয় বস্ত্র দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। দিবসটি উপলক্ষে আগামী ১২ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র (বিআইসিসি) বস্ত্র দিবসের মূল অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করার সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন। এ অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির মাননীয় সভাপতি মির্জা আজম বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। এ অনুষ্ঠানে বস্ত্রখাতের উন্নয়ন, উৎকর্ষতা সাধন, বস্ত্র শিক্ষার সম্প্রসারণ ও রপ্তানি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখায় ১০টি অ্যাসোসিয়েশন/প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা প্রদান করা হবে।তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি, সমাজ ও সংস্কৃতিতে বস্ত্রখাতের ভূমিকা অপরিসীম। দেশের রপ্তানি আয়ের সিংহভাগ আসে বস্ত্রখাত থেকে। দ্রুত সম্প্রসারিত এ শিল্প দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখছে। বর্তমানে বস্ত্রখাতে প্রায় অর্ধকোটি লোক কর্মরত রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৮০ ভাগই নারী। নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে বস্ত্রখাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বস্ত্রখাতের সক্ষমতা বৃদ্ধি, যুগোপযোগীকরণ ও বিনিয়োগে আকৃষ্টকরণ এবং অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা বৃদ্ধির ব্যাপক প্রচারের লক্ষ্যে ৪ ডিসেম্বর ‘জাতীয় বস্ত্র দিবস’ দেশব্যাপী উদযাপন করা হচ্ছে।পুরস্কারের জন্য মনোনীত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো─ বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ), বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ), বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ), বাংলাদেশ স্পেশালাইজড টেক্সটাইল মিলস অ্যান্ড পাওয়ারলুম ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন (বিএসটিএমপিআইএ), বাংলাদেশ কটন অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএ), বাংলাদেশে গার্মেন্ট বায়িং হাউজ অ্যাসোসিয়েশন (বিজিবিএ), বাংলাদেশ টেরিটাওয়েল অ্যান্ড লিনেন ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিটিটিএলএমএ), বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স), বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যাকসেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএপিএমএই) এবং বাংলাদেশ তাঁতী সমিতি।তৈরি পোশাক শ্রমিকদের বেতন বাড়ানোর দাবি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে বলে এ সময় জানান বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৫ ডিসেম্বর ২০২২
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবনের লালিত স্বপ্ন ছিল একটি সুখী সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তোলা এবং গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে সামষ্টিক অর্থনীতির সাথে কিভাবে যুক্ত করা যায় সেই লক্ষ্যে তিনি সমবায় ব্যবস্থাপনা এবং বিআরডিবি মত সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।তিনি বলেন, কিভাবে সবাই একসঙ্গে মিলেমিশে কাজ করা যায় এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় অবদান রাখা যায়, এরকম একটি স্বপ্ন ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের।রোববার (২৭ নভেম্বর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে 'বাংলাদেশ জাতীয় পল্লী উন্নয়ন সমবায় ফেডারেশনের ৩৫তম বার্ষিক সাধারণ সভা ও ড. আখতার হামিদ খান পল্লী ও সমবায় উন্নয়ন পদক প্রদান' অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তাজুল ইসলাম এসব কথা বলেন।স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, 'জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সমবায়ের মাধ্যমে ক্ষুধা, দারিদ্র, শোষণ ও দূর্নীতিমুক্ত সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন৷ এখন জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণের জন্য সমবায় সমিতিসমূহকে কাজ করে যেতে হবে৷'তাজুল ইসলাম আরও বলেন, উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি (ইউসিসিএ)-এর সমবায়ীদের সচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে৷ সচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বিদ্যমান থাকলে সমবায় সমিতিগুলো অধিক কার্যকরী করে গ্রামীণ অর্থনীতিতে বড় ধরণের পরিবর্তন আনা সম্ভব।এর আগে প্রধান অতিথি বাংলাদেশ জাতীয় পল্লী উন্নয়ন সমবায় ফেডারেশনের পুরস্কার প্রাপ্ত সদস্যদের মধ্যে ‘ড. আখতার হামিদ খান পল্লী ও সমবায় উন্নয়ন পুরস্কার ও পদক’ প্রদান করেন৷বাংলাদেশ জাতীয় পল্লী উন্নয়ন সমবায় ফেডারেশনের সভাপতি খন্দকার বিপ্লব মাহমুদ উজ্জল সভায় সভাপতিত্ব করেন। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, এমপি, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মোঃ মশিউর রহমান এনডিসি, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড মহা পরিচালক সাহেদ আলী, পরিচালক ও বগুড়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান সফিক।এসময় সমবায় ফেডারেশনের পরিচালকবৃন্দ, কর্মকর্তা ও উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির ( ইউসিসিএ) সভাপতি এবং বাংলাদেশ ইউসিসিএ কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৮ নভেম্বর ২০২২
শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত দুটি প্রতিষ্ঠান আরামিট লিমিটেড ও কনফিডেন্স সিমেন্ট লিমিটেড। কোম্পানিগুলোর সর্বশেষ পর্ষদ সভায় সমাপ্ত বছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য যথাক্রমে ৫০ ও ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে।মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।ডিএসইর তথ্য মতে, নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে আরামিট লিমিটেড ৩০ জুন ২০২২ সমাপ্ত বছরে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) দেখিয়েছে ৮ টাকা ২৫ পয়সা। যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৭ টাকা ৬৯ পয়সা। আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে কোম্পানিটি। আগের বছরও একই লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। পর্ষদ ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) দিন নির্ধারণ করা হয়েছে ২৯ ডিসেম্বর। এজন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ ডিসেম্বর।এছাড়া আরামিটের ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) দেখিয়েছে ১ টাকা ১৩ পয়সা। যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১ টাকা ১৪ পয়সা।সিমেন্ট খাতের কোম্পানি কনফিডেন্স সিমেন্টের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৪৩ পয়সা। সেখান থেকে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পর্ষদ। এর মধ্যে ৫ শতাংশ নগদ, আর ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ। এর আগের বছর শেয়ারহোল্ডারদের ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি।পর্ষদ ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) দিন নির্ধারণ করা হয়েছে ৩১ ডিসেম্বর। এজন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ ডিসেম্বর।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৬ নভেম্বর ২০২২
ভারত রাশিয়াবিরোধী জোটে আসুক- পশ্চিমা দেশগুলোর ক্রমাগত এমন আহ্বানের পরেও উল্টো পথে গিয়ে রাশিয়ার সাথে বাণিজ্য আরও বাড়াতে যাচ্ছে ভারত। সম্প্রতি রুশ ও ভারতীয় কর্মকর্তাদের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠক থেকে এমন সিদ্ধান্ত এসেছে বলে জানিয়েছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। সংবাদমাধ্যমটি একটি নথির সূত্র দিয়ে লিখেছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ উদ্যোগকে এগিয়ে নিতে প্রস্তুত। রপ্তানিকারক এবং ব্যবসায়িক সংস্থার সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে অদূর ভবিষ্যতে ভারত-রাশিয়া বাণিজ্য দ্বিগুণ করার বিষয়ে তারা আত্মবিশ্বাসী। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ মনে করে দেনাপাওনা পরিশোধের জন্য ভারতীয় রুপির ব্যবহার পারস্পরিক বাণিজ্য বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। দেশটি অদূর ভবিষ্যতে রাশিয়ার সাথে রুপিতে বাণিজ্য শুরু করবে বলে আশা করা হচ্ছে। লেনদেনের এ প্রক্রিয়া কিভাবে সহজ করা যায়, সেটা নিয়ে কাজ করার কথা আগেই বলেছিল স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া। এছাড়াও, এই সপ্তাহের শুরুতে ভারত সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতীয় রুপিতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের অনুমতি দিয়েছে। এ বছর দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা রেখেছে ভারতের রাশিয়ায় তেল আমদানি বৃদ্ধির বিষয়টি। ভারত রাশিয়া থেকে তার মোট অপরিশোধিত তেলের ১ শতাংশেরও কম আমদানি করত, এখন সেটি ২২ শতাংশ ছাড়িয়েছে। ইরাক এবং সৌদি আরবকে পেছনে ফেলে রাশিয়া এখন ভারতের বৃহত্তম তেল সরবরাহকারী দেশ। এর আগে, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্কর বলেছিলেন যে ভারত ও রাশিয়া ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বার্ষিক বাণিজ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৪ নভেম্বর ২০২২
লাই ২০২১ থেকে ৩০ জুন ২০২২ সমাপ্ত বছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত জাহিন স্পিনিং লিমিটেড। অর্থাৎ ২০২০, ২০২১-এর পর ২০২২ সালেও শেয়ারহোল্ডারদের হতাশ করল কোম্পানি।বুধবার (২ নভেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।ডিএসইর তথ্য মতে, ২০১৫ সালে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০১৯ সালে শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল। তারপর থেকে আর কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। ২০২১ সালের আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে কোম্পানির রিজার্ভ নেগেটিভ বা ঋণাত্নক রয়েছে ৪২ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। এছাড়াও কোম্পানির ৩ কোটি ২ হাজার টাকার ব্যাংক ঋণও রয়েছে।এদিকে বিনিয়োগকারীদের এবার প্রত্যাশা ছিল, সমাপ্ত বছর থেকে শেয়ারহোল্ডারদের মুনাফা দেবে কোম্পানিটি। কিন্তু শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ২৮ পয়সা লোকসান দেখিয়ে শেয়ারহোল্ডারদের আবার হতাশ করেছে জাহিন স্পিনিং।৩০ জুন সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪ টাকা ৯৭ পয়সার। অর্থাৎ ১০ অভিহিত মূল্যের সম্পদের দাম মাত্র ৪ টাকা ৯৭ পয়সা।এদিকে লভ্যাংশ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য জাহিন স্পিনিংয়ের বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) দিন নির্ধারণ করা হয়েছে চলতি বছরের ২৬ ডিসেম্বর। এ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২৪ নভেম্বর।কোম্পানিটিতে মোট ১১ কোটি ৩৮ লাখ ২৮ হাজার ৩৬৮টি শেয়ার রয়েছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র সাধারণ বিনিয়োগকারীদেরই শেয়ার রয়েছে ৭০ শতাংশ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০২ নভেম্বর ২০২২
জীবননগর উপজেলা প্রতিনিধি : চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়ায় আই এফ আই সি লিমিটেড ব্যাংকের আন্দুলবাড়ীয়া বাজার উপশাখার শুভ উদ্বোধন করা হয়। গত বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) সকাল ১১ টায় আন্দুলবাড়ীয়া বাজারের মিশুক স্টান্ড সংলগ্ন দুইতলায় আই এফ আই সি ব্যাংকের নিজস্ব কার্য্যলয়ে ফিতা কেটে এই শাখার শুভ উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আলোচনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন আনোয়ার হোসেন, আন্দুলবাড়ীয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি নারায়ণ ভৌমিক,আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোঃ হাসানুজ্জামান, আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মইদুল ইসলাম মধু, আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান শেখ হাফিজুর রহমান হাফিজ, আই এফ আই আই সি ব্যাংক কর্মকর্তা নাঈম হাসান রাকিব, ইনচার্জ আব্দুল মোতলেব। আই এফ আই সি ব্যাংক দর্শনা শাখার ম্যানেজার সোহরাব হোসেন উক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন এবং স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন । আলোচনা শেষে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা মনিরুজ্জামান। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও আন্দুলবাড়ীয়া বাজার এডহক কমিটির আহবায়ক হাজী আব্দুল খালেক,সাংবাদিক জাহিদুল ইসলাম মামুন, নাঈমুর রহমান খান, হাসিবুর রহমান নিহান ও আন্দুলবাড়ীয়া বাজারের স্থানীয় ব্যবসায়ী বৃন্দ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০২ নভেম্বর ২০২২
দেড় ঘণ্টা বিলম্বে (বেলা ১১টা) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আজ লেনদেন শুরু হয়েছে। এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করছে ডিএসই। রোববার (৩০ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিনিয়োগকারী ও ব্রোকার হাউজসহ পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছে তারা।ডিএসইর উপ-মহাব্যবস্থাপক শফিকুর রহমানের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ লেনদেন বন্ধ থাকার জন্য কোনো প্রযুক্তিগত ত্রুটি নেই। ডিএসই মার্কেট অপারেশন ভুলবশত ৭০টি সিকিউরিটিজের পরিবর্তে সব সিকিউরিটিজের ওপর সার্কিট ব্রেকার আরোপের ফলে মার্কেট বন্ধ রাখা হয়।এই ভুল সংশোধন করে মার্কেট সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের পরিবর্তে বেলা ১১টায় চালু করা হয়। যা দুপুর ২টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত চলবে। এই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির জন্য ডিএসই কর্তৃপক্ষ দুঃখ প্রকাশ করছে।নিয়ম অনুসারে প্রতিদিন সকাল ৯টাকা ৩০ মিনিটে পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হয়। কিন্তু আজও রোববার (৩০অক্টোবর) ডিএসইর নির্ধারিত সময়ে লেনদেন শুরু করতে পারেনি। পরে ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট পর বেলা ১১টায় লেনদেন শুরু হয়। তবে, দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সকাল ৯টা ৩০ মিনিট থেকে লেনদেন চলছে।এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত লেনদেনের প্রথম পৌনে এক ঘণ্টায় অর্থাৎ ১১টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত সময়ে ডিএসইতে মোট ৩০০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৬টির, কমেছে ৮১টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬৩টি কোম্পানির শেয়ারের। বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমায় ডিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের চেয়ে ২৫ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৩৫১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।এসময়ে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩ লাখ ৪২ হাজার ৩৮ হাজার ৩৩৪টি শেয়ার ও ইউনিট। তাতে টাকার অংকে মোট লেনদেন হয়েছে ১৬৩ কোটি টাকা।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩১ অক্টোবর ২০২২
পাম তেলের (সুপার) দাম লিটারে ৮ টাকা কমিয়ে ১২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে চিনির দাম বাড়ানো হয়েছে কেজিপ্রতি ৬ টাকা। নতুন মূল্য শিগগিরই কার্যকর হবে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় সচিবালয়ে ভোজ্যতেল আমদানিকারক ও পরিশোধকদের সঙ্গে বৈঠকের পর সিনিয়র বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।তিনি জানান, আলগা চিনির কেজি ৮৪ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯০ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনির কেজি ৮৯ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পরিশোধকরা আগামীকালের মধ্যে এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৬ অক্টোবর ২০২২
সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১৪ টাকা কমছে। এতে এক লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম দাঁড়াবে ১৭৮ টাকা। বর্তমানে যা বিক্রি হচ্ছে ১৯২ টাকায়।বাংলাদেশ ভেজিটেবল ওয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যারার্স অ্যাসোসিয়েশন আজ সোমবার এ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সয়াবিন তেলের দাম কমানোর কথা জানায়।ব্যবসায়ীদের সংগঠনটি জানায় নতুন দরে কাল মঙ্গলবার থেকে বাজারে সয়াবিন তেল বিক্রি হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৩ অক্টোবর ২০২২
বৈদেশিক বাণিজ্যের রপ্তানি আয় ও আমদানি ব্যয়ের ব্যবধান বেড়েই চলেছে। গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে আমদানি-রপ্তানির মধ্যে ব্যবধান ছিল ৩০ দশমিক ৩১ শতাংশ। গত অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৭ দশমিক ৫২ শতাংশ। ছয় বছরে এ খাতে ব্যবধান দ্বিগুণেরও বেশি।রপ্তানির চেয়ে আমদানি বেশি হারে বেড়ে যাওয়ায় দেশের শিল্প খাতে আমদানিনির্ভরতা বাড়ছে। দীর্ঘদিনেও শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়াতে পারেনি শিল্প খাত। ফলে এখন এসে খাতটি বড় ঝুঁকির মুখে পড়েছে। আমদানি পণ্যের মূল্য বেড়ে গেলেই শিল্প খাত বড় সংকটে পড়ে। যেমনটি পড়েছে বর্তমান বৈশ্বিক কারণে।অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, দেশে শিল্পের যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল আমদানি বাড়ছে। এতে শিল্পায়ন ও রপ্তানিও বৃদ্ধির কথা। আমদানির কাঁচামাল দিয়ে পণ্য তৈরি করে বিদেশে রপ্তানি করলে দেশে মূল্য সংযোজন হয়ে থাকে। এতে আমদানির তুলনায় রপ্তানি বাড়ার কথা। কিন্তু বাস্তবে ঘটছে তার উলটো। রপ্তানির তুলনায় আমদানি বাড়ছে দ্বিগুণ। আমদানির বিকল্প পণ্য দেশে চাহিদা অনুযায়ী এবং মানসম্পন্নভাবে উৎপাদন হচ্ছে না বলেই আমদানি বাড়ছে বলে অনেকেই মনে করেন। সেক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসে শিল্প খাতে আমদানির এত অর্থ ব্যয় হয় সেগুলো কোথায় যাচ্ছে। আমদানির নামে দেশ থেকে পাচার হচ্ছে বলে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ উঠছে। বিশেষ করে শিল্পের যন্ত্রপাতি আমদানির আড়ালে বেশি পাচার হচ্ছে। আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটির প্রতিবেদনেও উঠে এসেছে, দেশ থেকে আমদানি-রপ্তানির আড়ালে টাকা পাচারের হচ্ছে।বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাবেক সভাপতি ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মইনুল ইসলাম বলেন, আমদানি-রপ্তানি দুভাবেই দেশ থেকে টাকা পাচার হচ্ছে। যে কারণে শিল্পের নামে আমদানি বাড়লেও তার প্রতিফলন ঘটছে না শিল্প খাতে। রপ্তানিও বাড়ছে না। ’৮০-র দশক থেকেই দেশে শিল্পায়ন শুরু হয়েছে। সে তুলনায় গত চল্লিশ বছরে দেশে শিল্প খাত একটি শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়ানোর কথা। কিন্তু তা হয়নি। আমদানির চেয়ে রপ্তানি বেশি না হলেও দুটোর মধ্যকার ব্যবধান কমার কথা। তা না হয়ে বরং বেড়েছে। এখন আমদানিজনিত কারণে দেশ বড় ঝুঁকিতে পড়েছে।সূত্র জানায়, দেশে বর্তমানে যে ডলার সংকট দেখা দিয়েছে তা আমদানিজনিত কারণে। চড়া দামে বেশি পণ্য আমদানি করায় ব্যয় বেশি হচ্ছে। কিন্তু রপ্তানি আমদানির তুলনায় বাড়ছে না। ফলে টাকার মান কমে যাচ্ছে। বেড়ে যাচ্ছে ডলারের দাম। এতে আমদানি ব্যয় আরও বেড়ে যাচ্ছে। এর প্রভাবে বাজারে সব ধরনের পণ্যের দাম বেড়ে মূল্যস্ফীতির হার বাড়িয়ে দিচ্ছে। যা পুরো অর্থনীতিকে বড় ধরনের সংকটের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। অথচ শিল্প খাতে আমদানিনির্ভরতা কমলে সংকট এত প্রকট হতো না। ডলার সংকটের কারণে এখন আমদানিনির্ভর শিল্পগুলোও চাহিদা অনুযায়ী পণ্য আনতে পারছে না। ফলে তাদের উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হয়ে সংকটকে আরও গভীর করে তুলেছে।বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছিল ৩০৮৯ কোটি ডলার, আমদানি হয়েছিল ৪০২৫ কোটি ডলার। রপ্তানির চেয়ে আমদানি বেশি বা বাণিজ্য ঘাটতি হয়েছিল ৯৩৬ কোটি ডলার। আমদানি ও রপ্তানির মধ্যে ব্যবধান ছিল ৩০ দশমিক ৩১ শতাংশ। অর্থাৎ ১০০ কোটি ডলারের আমদানি হলে রপ্তানি হয়েছিল ৭০ কোটি ডলারের। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছিল ৩৩৩০ কোটি ডলার। আমদানি হয়েছিল ৫০৫২ কোটি ডলার। রপ্তানির চেয়ে আমদানি বেশি বা বাণিজ্য ঘাটতি হয়েছিল ১৭২৩ কোটি ডলার। ওই বছরে আমদানি-রপ্তানির ব্যবধান বেড়ে ৫১ দশমিক ৭৪ শতাংশে ওঠে। অর্থাৎ ওই বছরে ১০০ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি হলে রপ্তানি হয়েছিল ৪৮ কোটি ডলার।২০১৮-১৯ অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছিল ৩৯৬০ কোটি ডলার। আমদানি হয়েছিল ৫৫৪৪ কোটি ডলার। রপ্তানির চেয়ে আমদানি বেশি হয়েছিল ১৫৮৪ কোটি ডলার। এ খাতে ব্যবধান ছিল ৩৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ। অর্থাৎ ১০০ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি হলে রপ্তানি হয়েছিল ৬০ কোটি ডলার।আমদানি-রপ্তানির ব্যবধান বৃদ্ধি প্রসঙ্গে পলিসি রিসার্স ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর বলেন, আমদানি ও রপ্তানির মধ্যকার ব্যবধান এখনো বাড়ছে-এটা হওয়ার কথা নয়। তাহলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগে এতদিন পণ্য আমদানি করে সেগুলো কী কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। দেশে শিল্পের আমদানিতে বড় ছাড় দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়ের প্রতিফলন শিল্প খাতে কতটুকু পড়েছে-তা খতিয়ে দেখার বিষয়।প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছিল ৩২৮৩ কোটি ডলার। আমদানি হয়েছিল ৫০৬৯ কোটি ডলার। রপ্তানির চেয়ে আমদানি বেশি হয়েছিল ১৭৮৬ কোটি ডলার। দুই খাতের ব্যবধান ছিল ৫৪ দশমিক ৪০ শতাংশ।২০২০-২১ অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছিল ৩৬৯০ কোটি ডলার। আমদানি হয়েছিল ৬০৬৮ কোটি ডলার। রপ্তানির চেয়ে আমদানি বেশি হয়েছিল ২৩৭৮ কোটি ডলার। দুই খাতে ব্যবধান বেড়ে ৬৪ দশমিক ৪৩ শতাংশে দাঁড়ায়।২০২১-২২ অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছিল ৪৯২৫ কোটি ডলার। আমদানি হয়েছিল ৮২৫০ কোটি ডলার। রপ্তানির চেয়ে আমদানি রেকর্ড পরিমাণে বেশি বা বাণিজ্য ঘাটতি হয়েছিল ৩৩২৫ কোটি ডলার। দুই খাতে ব্যবধান বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৭ দশমিক ৫২ শতাংশ। অর্থাৎ ১০০ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি হলে রপ্তানি হয়েছে সাড়ে ৩২ কোটি ডলার।সূত্র জানায়, আমদানির চেয়ে রপ্তানি কম হলে বাণিজ্য ঘাটতি বাড়বে। গত ছয় বছরে বাণিজ্য ঘাটতি রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে। এই বাণিজ্য ঘাটতিকে সহজভাবে দেখছেন না সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, আমদানির বিষয়টি খতিয়ে দেখা দরকার। একই সঙ্গে রপ্তানি আয় ঠিকভাবে দেশে আসছে কিনা তাও দেখা জরুরি। দুই খাতে ভারসাম্য না হলে অর্থনৈতিক অগ্রগতি টেকসই হবে না। দেশের বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবস্থাপনায় স্বস্তি ফিরবে না।এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ নিটওয়্যার প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিকেএমইএ) নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, করোনার সময় থেকে রপ্তানি আয় দেশে আসার ক্ষেত্রে একটু সমস্যা হচ্ছে। অনেক ক্রেতা দেউলিয়া হয়ে গেছে। বাজার ধরে রাখতে অর্থ না পেলেও রপ্তানি করতে হচ্ছে।তিনি আরও বলেন, আমদানির একটি বড় অংশ হচ্ছে জ্বালানি, ভোগ্য ও বিলাসী পণ্য। জ্বালানির বড় অংশই ব্যবহৃত হচ্ছে ভোগে। দেশে পাঁচতারা হোটেলের সংখ্যা বাড়ছে। এগুলোর প্রায় সব সেবাই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। ভারত ভোগে বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করে কম। কিন্তু বাংলাদেশে এ খাতে খরচ অনেক বেশি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, মোট আমদানির মধ্যে শিল্পের যন্ত্রপাতি ও কাঁচামালে ব্যয় হচ্ছে ৫৭ শতাংশ বৈদেশিক মুদ্রা। জ্বালানি তেল আমদানিতে ৯ শতাংশ। এছাড়া ভোগ্যপণ্যে ১২ শতাংশ, বিলাসী পণ্যে ৭ শতাংশ। অন্যান্য খাতের আমদানি ব্যয় হচ্ছে ১৮ শতাংশ। এর মধ্যে শিল্প খাতের পণ্যও রয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০১ অক্টোবর ২০২২
ইউরোপের দেশ আলবেনিয়ার নেতা আনোয়ার হোজা একবার চীনের নেতা মাও সে–তুংয়ের কাছে চিঠি লিখলেন, ‘কমরেড, আমার দেশের মানুষ না খেয়ে আছে। অতি দ্রুত খাবার পাঠান।’ জবাবে কমিউনিস্ট মিত্রকে মাও লিখলেন, ‘কমরেড আনোয়ার, আমাদের দেশের অবস্থা বিশেষ ভালো নয়। খাবার পাঠাতে পারছি না। দয়া করে আপনার লোকদের বলুন, কোমরের বেল্ট শক্ত করে এঁটে বাঁধতে। এতে ক্ষুধার কিছুটা উপশম হতে পারে।’ এবার আনোয়ারের পাল্টা চিঠি, ‘কমরেড মাও। আমাদের দেশে বেল্টও নেই। দয়া করে বেল্ট পাঠান।’গল্পটি স্নায়ুযুদ্ধকালের। তবে একালে মিয়ানমারের অবস্থাও কাছাকাছি। দেশটির সামরিক জান্তা সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং কোনো বন্ধুদেশের কাছে এমন চিঠি লিখেছেন কি না জানা যায়নি। তবে তিনি জনগণকে কম খেতে বলছেন। কারণ, কম খাওয়া নাকি স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো!শুরুতে দেশটির একজন সাধারণ মানুষের গল্প শুনে আসা যাক। মিয়ানমারের সাবেক রাজধানী ইয়াঙ্গুনে একটি অফিসে চাকরি করেন ৩৫ বছর বয়সী মা আয়ে। সকালে অফিসে গিয়ে পাশের কোনো চায়ের দোকান থেকে নাশতাটা সেরে নিতেন তিনি। সাম্প্রতিক সময়ে তাঁকে দীর্ঘদিনের অভ্যাস বদলে ফেলতে হয়েছে। এখন তিনি সকালে নাশতা করেন না, দুপরের খাবারটা একটু আগে খেয়ে নেন, যা তিনি তৈরি করে নিয়ে আসেন বাসা থেকে। এভাবে এক বেলা না খেয়ে কিছুটা ব্যয় সাশ্রয় করছেন এই নারী। মা আয়ে তবু নিজেকে ধন্যবাদ দেন, কারণ তার চাকরিটা এখনো টিকে আছে। চোখের সামনে দেখেছেন চাকরি হারিয়ে সহকর্মীদের অনেকে বেকার হয়ে গেছেন।সবুজঘেরা দেশ মিয়ানমার। বাংলাদেশের অন্যতম প্রতিবেশী। বনজ ও খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ দেশটির জনসংখ্যা সাড়ে পাঁচ কোটি। ১৯৪৮ সালে ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর দীর্ঘ সেনাশাসনে পিষ্ট দেশটি। স্বাধীনতার আগে ব্রিটিশরা, স্বাধীনতার পরে রাশিয়া দেশটির বেশ কিছু অবকাঠামো তৈরি করে দেয়। পরবর্তী সময়ে চীন ও ভারত দেশটিতে বিনিয়োগ করে। তবে এসব বিনিয়োগে দেশটির সাধারণ মানুষের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি। এর মধ্যে ২০১৫ সালে গণতান্ত্রিক শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠার পর অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত ছিল দেশটির। চীন, রাশিয়া, ভারত, জাপান ও জার্মানির কিছু বড় বড় প্রতিষ্ঠান সে দেশে গিয়েছিল ব্যবসা খুলতে। কিন্তু ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আবার অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে সামরিক শাসন জারি করেন সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং। এরপর দেশটির ওপর নেমে আসে পশ্চিমাদের অর্থনৈতিক অবরোধ। স্থগিত হয়ে যায় বৈদেশিক সহায়তা। অনেক বিদেশি বিনিয়োগকারী তাদের লগ্নি প্রত্যাহার করে নেয়।দুই বছর করোনার অভিঘাতে বিপর্যস্ত অর্থনীতি যখন একটু একটু ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করছিল, তখন আচমকা স্থবিরতা নেমে আসে দেশটির অর্থনীতিতে। দিন যতই যাচ্ছে, পরিস্থিতির কেবল অবনতি হচ্ছে। মিয়ানমার অনেক আগে থেকেই একটি বিশৃঙ্খলাপূর্ণ দেশ। সামরিক শাসন জারির পর যা আরও মাথাচাড়া দিয়েছে। বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলো নিজ নিজ এলাকা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সশস্ত্র তৎপরতা চালাচ্ছে। আবার সেনাবাহিনীও চাচ্ছে, পুরো দেশের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে। যার ফলে দেশজুড়েই এক নৈরাজ্য পরিস্থিতি। অনেক স্থানে যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত। ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশও নেই।আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) গত জানুয়ারিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশটির নির্মাণ খাত, তৈরি পোশাক, পর্যটন ও সেবা খাত। একই সঙ্গে গ্রামীণ কৃষকেরাও তীব্র সংকটে আছেন। আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক মিলিয়ে ২০২০ সালে দেশটিতে শ্রমে নিয়োজিত মানুষের সংখ্যা ছিল ২ কোটি ৫০ লাখ। কিন্তু এক বছরে (২০২১ সালে) কাজ হারিয়েছেন ১৬ লাখ মানুষ, যা মোট শ্রমশক্তির ৮ শতাংশ।একই প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২১ সালের শেষে দেশটির জনসংখ্যার অর্ধেক বা প্রায় আড়াই কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে রয়েছেন। এর মধ্যে ১ কোটি ৪৪ লাখ মানুষের মানবিক সহায়তা প্রয়োজন। ইয়াঙ্গুন, মান্দালয়সহ বড় বড় শহরের রাস্তায় ট্রাফিক সিগন্যালে গাড়ি থামলেই একটা পয়সার জন্য হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে শিশুরা। ভিক্ষাবৃত্তিতে নেমে বন্ধ হয়ে গেছে অনেক শিশুর লেখাপড়া। ডলারের তুলনায় মিয়ানমারের মুদ্রা কিয়াটের মূল্যপতন চলছেই। ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি যেদিন জান্তা সরকার ক্ষমতা দখল করে,সেদিন প্রতি ডলারে পাওয়া যেত ১ হাজার ৩৯৫ কিয়াট। গত শনিবার রাতে এ প্রতিবেদন লেখার সময় ১ ডলারের জন্য দিতে হচ্ছে ২ হাজার১১৩ কিয়াট।ব্রিটিশ ম্যাগাজিন ইকোনমিস্ট–এর তথ্য অনুসারে, কিয়াটের পতন ঠেকাতে সে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের রিজার্ভের ১০ শতাংশ বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়। গত এপ্রিল থেকে দেশটির রিজার্ভ কমতে থাকে। কারণ, বিদেশি বিনিয়োগ, বিদেশি সহায়তা ও প্রবাসী আয় কমতে শুরু করে। অন্যদিকে বাড়তে থাকে নিত্যপণ্যের দাম। এ অবস্থায় জান্তা সরকার মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ ও আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের মাধ্যমে রিজার্ভ ধরে রাখার চেষ্টা করে। এতে দেশটিতে ডায়াবেটিস ও ক্যানসারের ওষুধের মতো জরুরি পণ্যেরও ঘাটতি দেখা দেয়।খাদ্যসংকট তীব্রএকসময় চাল উৎপাদনে বিশ্বে ওপরের দিকে থাকা দেশ মিয়ানমার এখন খাদ্যসংকটে ভুগছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ বছর দেশটির প্রায় ১৩ লাখ মানুষ মাঝারি বা তীব্রভাবে খাদ্যনিরাপত্তার ঝুঁকিতে রয়েছেন। দেশটিতে একদিকে কমছে সাধারণ মানুষের আয়, অন্যদিকে খাদ্য ও কৃষিজাত সামগ্রীর দাম বাড়ছে। বাড়তি ব্যয় সামাল দিতে গরিব মানুষকে ঋণ করতে হচ্ছে। মানুষকে সঞ্চয় ভাঙতে হচ্ছে, এমনকি সম্পদও বিক্রি করতে হচ্ছে। গত ১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানের পর ব্যাংক থেকে অর্থ তুলতে নাগরিকদের লাইনে দাঁড়াতে হয়েছিল, কেউ কেউ সোনাও কিনেছিলেন। আর এখন অনেকেই সোনা বিক্রি করে দিতে চাচ্ছেন।দেশটিতে কম খাওয়া বা এক বেলা না খেয়ে থাকা মানুষের সংখ্যা ২০২০ সালের তুলনায় এ বছর ১০ শতাংশ বেড়ে ৩৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। মিয়ানমারে এখন ৪৮ কেজির এক বস্তা চাল কিনতে লাগছে ৪৮ হাজার কিয়াট, এ দাম সেনা অভ্যুত্থানের আগের তুলনায় ৪০ শতাংশ বেশি।মিয়ানমারের বিদ্যুৎ উৎপাদন অনেকটাই হাইড্রোপাওয়ার বা জলবিদ্যুতের ওপর নির্ভরশীল। বলা হয়ে থাকে, প্রায় ৪০ হাজার মেগাওয়াটের জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে দেশটির। অনেকগুলো বিদেশি কোম্পানি এ খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছিল। তবে সামরিক শাসনের কারণে কোম্পানিগুলো এখন মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। বর্তমানে দেশটি তীব্র বিদ্যুৎ–সংকটে আছে।শুকনো মৌসুমে অবস্থা আরও শোচনীয় হয়। লোডশেডিং ছিল অবধারিত। অনেক কারখানার চাকা ঘোরেনি। কো ও নামে এক ব্যবসায়ী ডয়চে ভেলেকে বলছিলেন, যতক্ষণ বিদ্যুৎ আছে, ততক্ষণ তিনি উৎপাদন করছেন। বিদ্যুৎ চলে গেলে কারখানা বন্ধ। কারণ, গ্যাসোলিনের যে দাম, তা দিয়ে জেনারেটর চালু করে উৎপাদন অব্যাহত রাখা সম্ভব নয়। তাই বিদ্যুৎ–সংকটের কারণে তার কারখানার উৎপাদন সক্ষমতা অনেক কমে গেছে।তা ছাড়া হাজারো সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা সামরিক অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে, অং সান সু চির এনএলডি সরকারের সমর্থনে অহিংস আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন। এ আন্দোলনের অংশ হিসেবে তাঁদের কেউ কেউ বিদ্যুৎ বিল দিচ্ছেন না, কেউ কর দিচ্ছেন না। এতে সামরিক সরকারের রাজস্ব সংগ্রহ একেবারেই তলানিতে নেমেছে। সম্প্রতি দেশটিতে পেট্রলের দাম বেড়েছে ২১ শতাংশ, আর ডিজেলের ২৯ শতাংশ। সামরিক অভ্যুত্থানের পর রান্নার তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে তিন দফায়। তাই সাশ্রয়ী মূল্যে এক বোতল রান্নার তেলের জন্য ইয়াঙ্গুনের রাস্তায় দীর্ঘ লাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেন সাধারণ বার্মিজরা।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২