বিশেষ সংবাদ

দিনের সেরা অংশ

কাদেরকে পদ দিচ্ছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আ. লীগ!

যাত্রাবাড়ি থানা আওয়ামী লীগের কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক প্রস্তাব করা হয়েছে শান্ত নুর খান শান্তের নাম। চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস ও জমিদখলসহ শান্তের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ। নানা কর্মকান্ডে বিতর্কিত ব্যক্তি তিনি। রাজনীতিতে অপরিপক্ক ও জুনিয়র। নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীকে বড় অংকের অর্থ বিনিময়ে পদ বাগিয়েছেন। এসব অভিযোগ যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার।জানতে চাইলে ৪৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর আবুল কালাম অনু বলেন, আমরা যারা ২০ থেকে ৩০ বছর ‘সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক’ দায়িত্ব পালন করছি। আমাদের পাশ কাটিয়ে একজন জুনিয়র, অদক্ষ ও বিতর্কিত ব্যক্তির নাম টাকার বিনিময়ে প্রস্তাব করা হয়। এটা মেনে নিতে পারি না। কোন ভাবেই গ্রহণ করি না। তিনি বলেন, আমরা এমন বিষয়ের প্রতিকার চেয়ে নেত্রীর কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। অবশ্যই নেত্রী সঠিক সিদ্ধান্ত দেবেন। এক প্রশ্নের জবাবে আবুল কালাম বলেন, টাকার বিনিময়ে কমিটিতে নাম প্রস্তাব নগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ দুই নেতার বিতর্কিত কর্মকান্ডকে ঘৃণা জানাতেই হচ্ছে।কয়েকদিন আগে যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরে কথা হয় সরেজমিনে। সে-সময় কয়েকজন নেতা প্রস্তাবিত কমিটির নানা অনিয়ম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগ। অথচ, সাধারণ সম্পাদকের প্রস্তাব করা হয়েছে জুনিয়র অদক্ষ ও বিতর্কিত ব্যক্তির (শান্ত) নামে। প্রস্তাবিত কমিটি নিয়ে নগর শীর্ষ দুই নেতা আবু আহমেদ মন্নাফী ও হুমায়ুন কবিরের অযথাচিত সিদ্ধান্তে হতাশার কথাও তারা জানান।স্থানীয় আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, মাতুয়াইল ইউনিয়ন আওয়াী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদে থেকেও শান্তনুর শান্ত নানা সময় আওয়ামী লীগ বিরোধী কর্মকান্ডে জড়িয়েছেন। সর্বশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ঢাকা-৫ আসনে দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নেন। এরআগেও আসনটির আরেক এমপি কাজী মনিরুল ইসলাম মনুর বিপক্ষে তিনি কাজ করেছেন। নেতারা বলেন, ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে শান্তর বিতর্কিত কর্মকান্ড আওয়ামী লীগকেই প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচন করেছে। এমন বিতর্কিত লোককে প্রস্তাবিত করা হয়? এটা কল্পনাই করা যায় না!এদিকে, শুধু শান্তনুর খান শান্ত-ই নয়। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের থানা ও ওয়ার্ড কমিটিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের প্রস্তাবিত তালিকায় অসংখ্য বিতর্কিত ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে। যাদের নামে ভূমিদস্যুতা, দখলবাজ, মাদক ব্যবসা, মাদক সেবন, সন্ত্রাসী কার্যক্রম, চাঁদাবাজ, কিশোর গ্যাংয়ে জড়িত, ক্যাসিনোকান্ডে জড়িত, হত্যা মামলার আসামিরা সহ নানাবিধ অপরাধমুলক কর্মকান্ডে বিদ্যমান অভিযোগ। এছাড়া আওয়ামী লীগের কোন ধরনের পদ-পদবি তো দূরের কথা; দলের সাধারণ সদস্যও নন, এমন ব্যক্তিরাও থানা-ওয়ার্ডের কমিটিতে প্রস্তাবিত নামের তালিকায় আছেন। নাম রয়েছে, বিএনপি-জামায়াত সমর্থকেরও।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রস্তাবিত কমিটি নিয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির-এর চরম সেচ্ছাচারিতা,অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে থানা ও ওয়ার্ড নেতারা। বিশেষ করে ওই দুই নেতার নিজের কোঠা, সন্তানের বন্ধু কোঠা, ভাই ও স্বজনদের কোঠার বিরুদ্ধে যোগ্য ও ত্যাগী নেতারা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।এদিকে, প্রস্তাবিত কমিটি গঠনে ওই নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পদকের অনিয়ম এবং আর্থিক দুর্নীতির কথা উল্লেখ করে পদপ্রত্যাশী অনেক নেতাই আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় দফতর, দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অপরদিকে, দক্ষিণ আওয়ামী লীগের মতোই উত্তর আওয়ামী লীগের থানা ও ওয়ার্ড কমিটিতে প্রস্তাবিত তালিকায় অনেক নেতার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ। নেতা বানানোর কথা বলে বড় অংকের টাকা নিয়েছেন ওই নগর সভাপতি। এমন অডিও ভাইরাল হয়েছে।তবে, আওয়ামী লীগ উচ্চ পর্যায়ের এক সূত্রে জানা গেছে, প্রস্তাবিত নাম এবং দুই নগর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে যে, আর্র্থিক লেনদেন অভিযোগ আনা হয়েছে। সেটি আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে তদন্ত ও যাচাই-বাছাইয়ের নির্দেশ দিয়েছেন দলীয় সভাপতি। তবে গণভবনের এক সূত্রে জানা যায়, কমিটিতে নানা অনিয়ম ওঠায় প্রস্তাবিত নাম আপাতত প্রকাশ হচ্ছে না।ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি বজলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মান্নান কচি গত ৪ জুন, ২৬ থানা ও ৬৪ ওয়ার্ড। দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির ১৬ জুন, ২৪ থানা ও ৭৫ ওয়ার্ডের প্রস্তাবিত কমিটি কেন্দ্রীয় দফতরে জমা দেন। ঢাকা-৯ আসনভুক্ত খিলগাঁও, সবুজবাগ ও মুগদা থানার জন্য আলাদা কমিটি জমা দেন মন্নাফী ও হুমায়ুন। এসব কমিটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো হয়। ২০২২ সালের অক্টোবরে মহানগরীর থানা-ওয়ার্ড সম্মেলনের এক বছর আট মাস পর কমিটিগুলো জমা পড়ে। সর্বশেষ ২০১৬ সালে কমিটি গঠন করা হয়।শাহবাগ থানা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে উঠেছে গুরুতর অভিযোগ। জানা গেছে, ৫০ লাখ টাকার বিনিময়ে এ থানা আওয়ামী লীগে প্রস্তাবিত কমিটির সভাপতি করা হয়েছে জিএম আতিকুর রহমানকে। নানা কর্মকান্ডেই বিতর্কিত আতিকুর রহমান। আর ৪০ লাখ টাকার বিনিময়ে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রস্তাব করা হয়েছে কাউন্সিলর আসাদকে। চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা সহ আসাদের বিরুদ্ধে বিতর্কিত নানা কর্মকান্ডের রয়েছে অভিযোগ। আতিকের নাম প্রস্তাব করেছেন নগর সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী। অপরদিকে, আসাদের নাম প্রস্তাব করেছেন মন্নাফীর ছেলে কাউন্সিলর ইমতিয়াজ আহমেদ গৌরব। শাহবাগ থানা আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা বলেন, কাউন্সিলরদের পদে আনার বিষয়ে নেত্রীর যে নির্দেশনা ছিল। সেটি উপেক্ষা করে টাকার বিনিময়ে পদ দেয়া হয়েছে। আবার এই থানায় সভাপতির পদ দেয়ার কথা বলে সহিদুল ইসলাম সহিদের কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা নিয়েছেন নগর সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির। একইভাবে সাধারণ সম্পাদকের পদ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আরেক নেতার কাছে থেকে বিভিন্ন সময় ৩০ লাখ টাকা নিয়েছেন হুমায়ুন কবির। কিন্তু তিনি কাউকে পদ দিতে পারেননি।আবারও সভাপতি পদ পেতে ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের গিয়াস উদ্দিন গেসু নগর সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরকে ১৫ লাখ টাকা এবং দুটি দলীয় কর্মসূচিতে আইড়মাছ সরবরাহসহ ৫ লাখ টাকা দিয়েছেন। এখন তাঁর বদলে আরেকজনের নাম প্রস্তাব করায় ২০ লাখ টাকা ফেরত চান তিনি। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর লিখিত অভিযোগে তিনি কথা জানিয়েছেন। জানতে চাইলে গিয়াস উদ্দিন বলেন, আমি ৩ বার হজ্জ করেছি। মসজিদঘর ও পবিত্র কুরআন শরীফ নিয়ে কসম করে বলতে পারি হুমায়ুন কবির আমার কাছে থেকে টাকা নিয়েছেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে হুমায়ুন কবির এর ছেলে প্রফেসর রকির চেম্বারের নিচের রাস্তায় মাইক্রোবাসের মধ্যে ১৫ লাখ টাকা নিয়েছেন।৬২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ পেতে কয়েক লাখ টাকা খচর করেছেন আব্দুর রহমান রতন। তার দাবি বেশি টাকা পেয়ে নগর সভাপতি ওই পদে কাউন্সিলর মোস্তাক আহমেদের নাম প্রস্তাব করেছেন। জানতে চাইলে আব্দুর রহমান বলেন, নগর সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা তোরারক হোসেন ১ লাখ টাকা নিয়েছেন। দলের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে টাকা দিতে হয়েছে।৯ নং ওয়ার্ডের প্রস্তাবিত সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুর রহমান চৌধুরী ওয়াহিদের বিরুদ্ধে রয়েছে দিলকুশাসহ বিভিন্ন এলাকায় একাধিক জায়গা দখল ও মাদক কারবারের অভিযোগ। মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মন্নাফীর ছেলে ৩৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইমতিয়াজ আহমেদ গৌরবের বাল্যবন্ধু ও ব্যবসায়িক পার্টনার হওয়ার কারণে এ ওয়ার্ডে ওয়াহিদের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। ১০ নং ওয়ার্ডের প্রস্তাবিত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক হিরকের বিরুদ্ধে আছে হত্যা-চাঁদাবাজির মামলা এবং ১১ নং ওয়ার্ডের প্রস্তাবিত সাধারণ সম্পাদক বি এম ফরহাদ অংকুরের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে। ২০ নং ওয়ার্ডে প্রস্তাবিত সভাপতি হাসান মাহমুদ একই ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বিএনপির বিতর্কিত নেতা ও সাবেক কমিশনার চৌধুরী আলমের ক্যাডার ছিলেন। একই ওয়ার্ডে প্রস্তাবিত সাধারণ সম্পাদক শাহজালাল সোহেলের বিরুদ্ধে মাদক কারবারের অভিযোগে শাহবাগ থানায় মামলা রয়েছে। ২১ নং ওয়ার্ডের প্রস্তাবিত সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন শাওন বিএনপি ঘরোনার; তাঁর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। মন্নাফীকে দামি গাড়ি (ঢাকা মেট্রো ঘ-২১-৬৩৩১) উপহার দিয়ে রমনা থানার সাধারণ সম্পাদক পদে নিজের নাম প্রস্তাবে উঠিয়েছেন গোলাম মোস্তফা শিমুল। বিলুপ্ত সারুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি হাজি মোহাম্মদ আলী লিখিত অভিযোগে বলেন, ৬৭ নং ওয়ার্ড সভাপতি পদে তাঁর নাম প্রস্তাবের বিনিময়ে ২০ লাখ টাকা দাবি করেন মন্নাফী। বিপুল টাকার বিনিময়ে মন্নাফী কদমতলী থানার সাধারণ সম্পাদক পদে ৪৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আকাশ কুমার ভৌমিককে প্রস্তাব করেছেন। ৩৮ নং ওয়ার্ডের সভাপতি পদে মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মন্নাফীর ছেলে ইমতিয়াজ আহমেদ গৌরবের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। গৌরবের বিরুদ্ধে কাপ্তানবাজারের মুরগির ব্যবসা ও চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণসহ আশপাশের এলাকা দখলে রাখার অভিযোগ রয়েছে। মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরের ভাই কাউন্সিলর মকবুল হোসেনকে লালবাগ থানার সভাপতি এবং ভাগনে বখতিয়ার জামিল হোসেনকে ২৬ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক পদে রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী বলেন, অনেক পদ প্রত্যাশী থাকেন। বাদ পড়া ব্যক্তিরাই মিথ্যা অভিযোগ করেন। কারও কাছ থেকে টাকা বা উপহার নিইনি। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির বলেন, অর্থের বিনিময়ে পদ দেয়া এই অভিযোগ অসত্য ও ভিত্তিহীন। আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে কোনো কোনো মহল এই মিথ্যাচার করছে।

অলিম্পিকে নাটকীয়ভাবে হারল আর্জেন্টিনা

সমর্থকদের তোপের মুখে চার মিনিট আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল ম্যাচ। ফলাফল তখন ২-২ গোলে ড্র। কিন্তু ম্যাচ শেষ হওয়ার বেশ পরে ভিএআর যাচাই করে দেখা গেল অফসাইড ছিল ক্রিস্তিয়ান মেদিনার শেষ মুহূর্তের গোলটি। ফলে নাটকীয়ভাবে পূর্ণ পয়েন্ট পেয়ে যায় মরক্কো।সেইন্ট-এতিয়েনের স্তাদে জিওফ্রয়-গুইচার্ডে বাংলাদেশ সময় আজ বুধবার সন্ধ্যায় আর্জেন্টিনাকে ২-১ গোলে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। আফ্রিকান দেশটির হয়ে দুটি গোলই করেন সোফিয়ানে রহিমি। আর্জেন্টিনার হয়ে গোলটি করেন জিওলিয়ানো সিমিওনে।মরক্কোর উত্থানের গল্পটা কাতার বিশ্বকাপেই দেখেছিল দুনিয়া। আরব বিশ্ব তো বটেই, প্রথম আফ্রিকান দেশ হিসেবে তারা উঠেছিল সেমি-ফাইনালে। প্যারিস অলিম্পিকেও দলটি শুরু করল দাপটের সঙ্গেই। দুই গোলে লিড নিয়ে শেষ দিকে রক্ষণ জমাট রেখে জয় তুলে নেয় দলটি।এদিন ম্যাচের প্রথমার্ধে লক্ষ্যে মোট শট হয় মাত্র একটি। আর সেই শটটি আসে একেবারে শেষ দিকে। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে সেই শট থেকে গোল পেয়ে এগিয়ে যায় মরক্কো। সতীর্থের কাছ থেকে বল পেয়ে ইলিয়াস আখোমাচকে পাস দেন বিলাল এল খানোস। অসাধারণ এক ব্যাকহিলে ভেতরে ঢুকতে থাকা খানোসকে ফের বল দেন ইলিয়াস। এরপর খানোসের দুর্দান্ত এক ক্রস থেকে গোলমুখে ডিফেন্ডারকে এড়িয়ে আলতো টোকায় বল জালে পাঠান সোফিয়ানে রহিমি।এগিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে শুরু থেকেই দারুণ গোছানো ফুটবল খেলতে থাকে মরক্কো। দুই মিনিট যেতে পেনাল্টিও পেয়ে যায় দলটি। ডি-বক্সে আখোমাচকে হুলিও সোলার ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সফল স্পটকিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রহিমি।৬৮তম মিনিটে ব্যবধান কমান সিমিওনে। ডান প্রান্ত থেকে থিয়াগো আলমাদার ক্রসে ফাঁকায় বল পেয়ে যান সোলার। দূরের পোস্ট লক্ষ্য করে তার নেওয়া জোরালো শট বারপোস্ট ঘেঁষে বাইরে যাওয়ার পথে শেষ মুহূর্তে পা লাগিয়ে বল জালে পাঠান অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের এই ফরোয়ার্ড।৭২তম মিনিটে সমতায় ফিরতে পারত আর্জেন্টিনা। ডি-বক্সে একেবারে অরক্ষিত জায়গা থেকে নেওয়া ব্রুনো এমিওনের হেড অবিশ্বাস্য এক সেভ করেন মরক্কান গোলরক্ষক মুনির। ৮২তম মিনিটে আরও একবার ত্রাতা তিনি। এবার হুলিয়ান আলভারেজের প্রচেষ্টা ঠেকিয়ে দেন তিনি। গোলরক্ষককে একা পেয়ে গিয়েছিলেন এই ম্যানচেস্টার সিটি তারকা।যোগ করা সময়ের ষষ্ঠ মিনিটে সমতায় ফেরার সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন আমিওনে। গোলরক্ষককে একা পেয়ে যান তিনি। কিন্তু বাইরে মারেন। তবে মুহুর্মুহু আক্রমণে সফলতা পেয়েও গিয়েছিল দলটি। কিন্তু মেদিনার গোল অফসাইডে বাতিল হয়।তবে কিছুটা ভাগ্য বঞ্চিতও ছিল আর্জেন্টিনা। আলমাদার শট গোলরক্ষক ফেরালে আলগা বলে নিকোলাস ওতামেন্দির নেওয়া শট বারপোস্টে লেগে ফিরে না আসলে সমতায় ফিরতে পারতো তারা। এমনকি পরে সেই বলে হেড করেছিলেন আমিওনেও। তার হেডও ফিরে আসে। তবে ফিরতে বলে ফের হেড নিয়ে মেদিনা বল জালে পাঠালেও গোল মিলেনি।তবে গোল বাতিলের আগে সমর্থকদের তোপে ম্যাচ শেষ করে দেন রেফারি। মাঠ ছাড়ার সময়ও আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়দের লক্ষ্য করে বিভিন্ন ছুঁড়ে মারেন সমর্থকরা। পরে পরিস্থিতি ঠিক হলে চার মিনিট মাঠে গড়ায় ম্যাচ। কিন্তু তখন আর গোল না হলে হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় আর্জেন্টিনাকে। Apple

চতুর্থ বারের মত অনুষ্ঠিত হলো ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির সমাবর্তন

উৎসবমুখর পরিবেশে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি-ডব্লিউইউএসটির সমাবর্তন- ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভার্জিনিয়ার আলেক্সান্দ্রিয়া সিটি হাইস্কুলে গত শনিবার (২৯ জুন) এই সমাবর্তনে ২১৩ জন শিক্ষার্থীর হাতে তুলে দেওয়া হয় গ্রাজুয়েশন সনদ ও সম্মাননা। কালো গাউন আর মাথায় গ্রাজুয়েশন হ্যাট পরে শিক্ষার্থীরা আনন্দ-উচ্ছ্বাসের সাথে সনদ গ্রহণ করেন। সমাবর্তনে প্রধান অতিথি ও কিনোট স্পিকার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি সভার সদস্য কংগ্রেসম্যান গেরি কোনোলি। দুপুর না গড়াতেই নব্য গ্রাজুয়েটদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে সিটি হাইস্কুলের ক্যাম্পাস অঙ্গন। সমাবর্তনে উপস্থিত হন শত শত শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। অন্যদিকে যথাসময়ে অনুষ্ঠান স্থলে এসে একে একে পৌছে যান বিশিষ্ট অতিথিগণ। ততক্ষণে কালো গাউনের ওপর কেউ লাল ও নীল রঙের ব্যাচেলর'স হুড কেউবা কমলা ও লাল রঙা মাস্টার্স হুড পরে প্রস্তুত। দুপুর ২টায় সিটি হাইস্কুলের আলো ঝলমল অডিটরিয়ামে প্রথমেই বিশ্ববিদ্যালয় চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিফের নেতৃত্বে লিডারশিপ প্রোসেশন শেষে অভ্যাগত অতিথি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব ও শিক্ষকদের একটি দল মঞ্চে অবস্থান নেন। গ্রাজুয়েশন প্যারেড করে কমেন্সমেন্ট হলরুমে ঢুকেন শিক্ষার্থীরা। এরপর আমেরিকার জাতীয় সংগীতে শুরু হয় সমাবর্তনের আনুষ্ঠানিকতা।আয়োজনে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির চ্যান্সেলর ও চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিফ। শিক্ষার্থীদের প্রতি তিনি চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে তাকে ডব্লিউইউএসটি থেকে অর্জিত জ্ঞান, দক্ষতা, মূল্যবোধ ও ইতিবাচক বৈশিষ্টাবলী দিয়ে মোকাবিলা করার পরামর্শ দেন। এরপর কি কি-নোট স্পিকার হিসেবে মূল্যবান বক্তব্য দেন ইউএস কংগ্রেসম্যান গেরি কনোলি। শিক্ষার্থীদের জন্য তার নির্দেশনামূলক বক্তব্যে তিনি প্রযুক্তি শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করেন ও গ্রাজুয়েটদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, প্রযুক্তিজ্ঞান ও দক্ষতাকে ব্যবহার করেই জলবায়ূ পরিবর্তন, অতিমারি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপব্যবহার, অপতথ্য ও সাইবার অপরাধের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। সমাবর্তনের অন্যতম বক্তা ছিলেন ভার্জিনিয়া হাউজ অব ডেলিগেটসের সদস্য ক্যারেন কিজ-গামারা। প্রতিদিনই নতুন কোনো অর্জনের চেষ্টায় নিয়োজিত থাকা এবং কমিউনিটির উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য গ্রাজুয়েটিং শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। ডব্লিউইউএসটি'র সিএফও ফারহানা হানিফ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরে যুক্তরাষ্ট্রে তার নিজের চলার পথের চ্যালেঞ্জগুলোর কথা জানিয়ে বলেন, স্রেফ নিজের ওপর নিজের বিশ্বাস রাখা আর যে কোনো বাধাকে সুযোগে পরিণত করতে পারলেই মিলবে সফলতা। অনুষ্ঠানে অন্য বক্তাদের মধ্যে ছিলেন জর্জিয়ার স্টেট সিনেটর শেখ রহমান, ভার্জিনিয়ার স্টেট সিনেটর সাদ্দাম আজলান সেলিম, চীনের এইচডিডি গ্রুপের পরিচালক ড. হুসেইন ভূঁইয়া, ফিনটেক ইকো সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট এর কর্নধার ড. সাইফুল খন্দকার, ডব্লউইউএসটির বোর্ড সদস্য সিদ্দিক শেখ, ডব্লিউইউএসটি স্কুল অব প্রফেশনালস এর পরিচালক ও বোর্ড সদস্য মোহাম্মদ মাহদী-উজ-জামান ও অ্যাকসেনচুয়েট এর সিইও ও বোর্ড সদস্য নাসিরুল হক। এটি যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি-আমেরিকানের হাতে পরিচালিত প্রথম পূর্ণাঙ্গ একটি বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে তথ্য-প্রযুক্তি, সাইবার সিকিউরিটি ও ব্যবসায়িক প্রশাসনের উপর ব্যাচেলর ও মাস্টার্স কোর্সে বর্তমানে বিশ্বের ১২১ দেশের প্রায় ১৭শ শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে। বিশ্ববিদ্যালয়টি সাম্প্রতিক সময়ে ভার্জিনিয়ার ফাস্টেস্ট গ্রোয়িং বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে যেমন পরিচিতি পেয়েছে তেমনি স্বীকৃতি পেয়েছে স্টেট সিনেট ও লেজিসলেটিভ অ্যাসেম্বলির। এমবিএ প্রোগ্রামের জন্য ভার্জিনিয়ার সেরা র‌্যাংকিংয়ে উঠে এসেছে ডব্লিউইউএসটির নাম।

ন্যাশনাল স্টিম অলিম্পিয়াড ২০২৩ এর সমাপণী ও গ্র্যান্ড ফিনালে ৬ জুলাই

আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবোটিকস,বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল, শিল্পকলা এবং গণিত (STEAM) বিষয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যতিক্রমী আয়োজন ন্যাশনাল স্টিম অলিম্পিয়াড ২০২৩ এর সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে । আগামী (৬ জুলাই) বেলা ৩টায় ঢাকা শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ও আইটেসারেক্ট টেকনোলজির উদ্যোগে ন্যাশনাল স্টিম অলিম্পিয়াড ২০২৩ এর সমাপণী ও গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠান। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল, শিল্পকলা এবং গণিত (STEAM) বিষয়ে শিক্ষার্থীদের ব্যতিক্রমী ও উদ্ভাবনী প্রতিভা প্রদর্শনের জন্য এই জমকালো অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করবেন।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যান মন্ত্রী এবং ন্যাশনাল স্টিম অলিম্পিয়াডের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ডা: দীপু মনি, এম.পি।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন ন্যাশনাল স্টিম অলিম্পিয়াডের আহ্বায়ক ও প্রধান উপদেষ্টা ইউজিসি'র সদস্য প্রফেসর ড. সাজ্জাদ হোসেন।সকাল ৯ টা থেকে কুইজ এবং প্রজেক্ট প্রদর্শনী শুরু হবে এবং দুপুর ৩ টা থেকে সমাপণী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শুরু হবে। সারাদেশ থেকে হাজার হাজার শিক্ষার্থী, শিক্ষকবৃন্দ সহ ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্টরা প্রোগ্রামে উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন অনুষ্ঠানের প্রধান সমন্বয়ক আব্দুল হামিদ। বিভিন্ন শিক্ষাবিদরা মনে করছেন, ন্যাশনাল স্টিম অলিম্পিয়াড ২০২৩ তরুণদের প্রতিভার উন্মেষ ঘটানোর জন্য একটি অসাধারণ আয়োজন। উদ্ভাবন ও বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার সংস্কৃতি গড়ে তোলার মাধ্যমে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের উপযোগী দক্ষ জনশক্তি ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য এ ধরনের প্রতিযোগিতার প্রতিবছর আয়োজন করা উচিত। ০৬ টি ভিন্ন ভিন্ন লেভেলের শিক্ষার্থীরা মোট ০৮ টি বিভাগে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবেন। সকাল ৯ থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।আয়োজকরা জানান, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দক্ষতার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে আসন্ন চ্যালেঞ্জ ও পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণে শিক্ষার্থীদের সচেতনতা ও দক্ষতা উন্নয়নে উৎসাহিত করাই ন্যাশনাল স্টিম অলিম্পিয়াডের মিশন ও ভিশন।তাঁরা বলেন, পাঁচটি বিষয়ের উপর জোড় দিয়ে এই অলিম্পিয়াড আয়োজন করা হয়েছে। এর মধ্যে আছে তরুণদের মধ্যে স্টিম (সায়েন্স, টেকনোলজি, ইঞ্জিনিয়ারিং, আর্টস, ম্যাথম্যাটিকস) সচেতনতা বৃদ্ধি ও দক্ষ জাতি গঠনে সহায়তা করা। কলকারখানা ও বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুযোগ কাজে লাগানোর মাধ্যমে ব্যাপক উন্নতি সাধনে তরুণদের উপযোগী করে তোলা। স্টিম সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে উচ্চশিক্ষা, সমস্যা সমাধান, উদ্ভাবন ও গবেষণায় শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করা। শিক্ষার্থীদের স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১ রূপকল্প বাস্তবায়নে অবদান রাখতে অনুপ্রেরণা দেওয়া। শিক্ষার্থীদের হাতে কলমে ব্যবহারিক শিক্ষার প্রতি আগ্রহী করে তোলার পাশাপাশি মানবিক ও দায়িত্বশীল হতে সহায়তা করাও এ আয়োজনের উদ্দেশ্য।এর আগে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় দেশে সব স্তরের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে গত ১৫ মার্চ থেকে শুরু হয় ন্যাশনাল স্টিম অলিম্পিয়াড-২০২৩ প্রতিযোগিতা।

সর্বশেষ সংবাদ

জাতীয়। রাজনীতি। খেলাধুলা। বিনোদন...

সৌখিন দৌড়বিদদের সংগঠন 'টিম ধানমন্ডি'র ফ্রেন্ডশিপ রান

সৌখিন দৌড়বিদদের সংগঠন 'টিম ধানমন্ডি'র ফ্রেন্ডশিপ রান

.রাজধানীর অন্যতম বড় সৌখিন ও অপেশাদার দৌড়বিদদের সংগঠন টিম ধানমন্ডি আজ ৭ ডিসেম্বর ২০২৪ “ধানমন্ডি ফ্রেন্ডশিপ টেন কে ২০২৪” শিরোনামে ফ্রেন্ডশিপ রান আয়োজন করে। রাজধানীর ধানমন্ডিতে আয়োজিত ১০ কিলোমিটার দৌড় আয়োজনে ধানমন্ডি ও ঢাকার বিভিন্ন এলাকার প্রায় ২০০ জন সৌখিন ও অপেশাদার দৌড়বিদ নারী—পুরুষ অংশগ্রহণ করে। টিম ধানমন্ডি দীর্ঘদিন যাবত প্রাত্যহিক দৌড় ও শরীর চর্চায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে স্থানীয় কমিউনিটিকে সুস্থ জীবনচর্চার উদ্বুদ্ধ করে আসছে। উৎসবমুখর পরিবেশে আয়োজিত এই সৌহাদ্যপূর্ণ দৌড় প্রতিযোগিতার সমাপনী আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন টিম ধানমন্ডির নেতৃবৃন্দ ও ঢাকার বিভিন্ন রানিং কমিউনিটির সদস্যবৃন্দ। সমাপনী অনুষ্ঠানে অতিথিরা শারীরিক সুস্থতা ও সামাজিক সম্প্রতি সুরক্ষায় দৌড়ের মতো কমিউনিটি ভিত্তিক আয়োজনের গুরুত্ব উল্লেখ করেন। বিজয়ের মাসের এই আয়োজনে প্রতিপাদ্য ছিল পরস্পরের মধ্যে বন্ধুত্বের বন্ধন ও সামাজিক সংহতি জোড়দার করা। টিম ধানমন্ডি মনে করে কমিউনিটি দৌড় সদস্যদের মধ্যে শারীরিক সক্রিয়তা ও সুস্থতার পাশাপাশি বন্ধুত্ব ও সামাজিক সহমর্মিতা তৈরিতে ভূমিকা পালন করে। এই ধরনের কর্মসূচি সুস্থ ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এবারের আয়োজনের পাশাপাশি টিম ধানমন্ডি গত কয়েক বছর ধরে আল্ট্রা ম্যারাথন, ১৬ কিলোমিটার বিজয় দিবস দৌড় ও শিশুদের জন্য দৌড় প্রতিযোগিতা আয়োজন করে আসছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪


নয়াদিল্লিতে প্রেস মিনিস্টার হলেন ফয়সাল মাহমুদ

নয়াদিল্লিতে প্রেস মিনিস্টার হলেন ফয়সাল মাহমুদ

নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রেস উইংয়ে মিনিস্টার (প্রেস) পদে নিয়োগ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সাংবাদিক ফয়সাল মাহমুদ এ পদে নিয়োগ পেয়েছেন।জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ নিয়োগের ব্যাপারে রোববার একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। তার নিয়োগের মেয়াদ চাকরিতে যোগদানের তারিখ হতে দুই বছর বলে উল্লেখ করা হয়েছে।প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, যেকোনো পেশা, ব্যবসা কিংবা সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সংগঠনের সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে তাকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।যোগদানের তারিখ থেকে এই নিয়োগ কার্যকর হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৪ নভেম্বর ২০২৪


নাঈম-আল আমিন নেতৃত্বে বাগেরহাট ছাত্রকল্যাণ পরিষদের নতুন কমিটি গঠন

নাঈম-আল আমিন নেতৃত্বে বাগেরহাট ছাত্রকল্যাণ পরিষদের নতুন কমিটি গঠন

ঢাকা কলেজস্থ বাগেরহাট জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের নতুন কমিটি আগামী এক বছরের জন্য ঘোষণা করা হয়েছে। এতে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন নাঈম তালুকদার এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন আল আমিন খলিফা।কমিটিতে সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে দায়িত্ব পেয়েছেন শিমুল শিকারী। এছাড়াও সাতজন সহ-সভাপতি, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সাগর তালুকদার এবং সাতজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন। সেই সঙ্গে সাতজন সাংগঠনিক সম্পাদকও নির্বাচিত হয়েছেন।এছাড়া, নতুন কমিটিতে ১৪ সদস্যের উপদেষ্টা মণ্ডলীরও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।নতুন নেতৃত্বের প্রতি সংগঠনের সদস্যরা আশাবাদী যে, তারা বাগেরহাট জেলার শিক্ষার্থীদের কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৭ নভেম্বর ২০২৪


পটিয়ায় চিকিৎসক ও নার্সকে মারধর করে বিএনপি নেতা নাসির থানায় আটক

পটিয়ায় চিকিৎসক ও নার্সকে মারধর করে বিএনপি নেতা নাসির থানায় আটক

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সকে মারধর করেছেন স্থানীয় বিএনপি নেতা নাসির (৬০)। এসময় নিজেকে জেলা জাসাসের সদস্য সচিব পরিচয় দেয় নাছির উদ্দীন১৩ অক্টোবর রবিবার রাত ৮ ঘটিকায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এঘটনা ঘটে । এঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে নাসির উদ্দিন কে আটক করে নিয়ে যায় পটিয়া থানা পুলিশ।হাঁসপাতাল সুত্রে জানা যায়, নাসিরের রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে কর্তব্যরত ডাক্তার রোগীকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে স্থানান্তরিত করার পরামর্শ দেন। কিন্তু নাসির বিষয়টি মানতে না পেরে চিকিৎসক ও নার্সের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে ডাক্তারকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়, এবং কর্তব্যরত নার্সের মাথায় আঘাত করে। এসময় নাসিরের সাথে থাকা ব্যক্তিদের দিয়ে মোঃ কাইসার নামে সহযোগীর মাধ্যমে ফেসবুকে লাইভ করায় এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে নাসির।পরবর্তীতে মো: কাইসার ফেসবুক থেকে ভিডিও সরিয়ে নেয়। এঘটনায় সন্ধা থেকে হাসপাতালে উত্তেজনা বিরাজ করে।এবিষয়ে পটিয়া অফিসার ইনচার্জ আবু জায়েদ মো. নাজমুন নুর বলেন, ঘটনাস্থল থেকে নাসিরকে আটক করা হয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে নাসিরের অপরাধের প্রমাণ পাওয়া গেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মামলা করলে এবিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।স্থানীয় বিএনপি নেতাদের সাথে এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, নাসির বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে এর আগেও অনেক হুমকি ধামকি দিয়েছেন শুনেছি, দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৪ অক্টোবর ২০২৪


দল-মত-ধর্ম যার যার, কিন্তু রাষ্ট্র সবার : তারেক রহমান

দল-মত-ধর্ম যার যার, কিন্তু রাষ্ট্র সবার : তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আমরা বিশ্বাস করি; দল-মত-ধর্ম যার যার; কিন্তু রাষ্ট্র সবার, নিরাপত্তা পাওয়ার অধিকার সবার। বাঙালি-অবাঙালি, বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী, কিংবা সংস্কারবাদী প্রত্যেক নাগরিকের একমাত্র পরিচয় — আমরা বাংলাদেশি। এই বাংলাদেশ আপনার, আমার, আমাদের সবার।আজ বৃহস্পতিবার নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এসব কথা বলেন তিনি।বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার। ধর্ম-বর্ণ, কিংবা ভৌগোলিক-আদর্শিক অবস্থান নির্বিশেষে, প্রত্যেক নাগরিক যেন তার ধর্মীয়, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক অধিকার বিনা বাধায় উপভোগ করতে পারে — এই লক্ষ্যেই মুক্তিযোদ্ধারা লাখো প্রাণের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় কে মুসলমান, কে হিন্দু, কে বৌদ্ধ, কে খ্রিষ্টান — এমন প্রশ্ন ছিল না।তারেক রহমান বলেন, তাই স্বাধীন বাংলাদেশেও তথাকথিত সংখ্যালঘু বা সংখ্যাগুরু নিয়ে চিন্তার কোনো অবকাশ নেই। দেশের প্রতিটি নাগরিক সমান অধিকার ও স্বাধীনতা ভোগ করবে — এটিই বিএনপির নীতি, এটিই বিএনপি’র রাজনীতি।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১০ অক্টোবর ২০২৪


শেখ হাসিনার জন্মদিনে গরীব ও দুস্থদের মাঝে ছাত্রলীগের খাবার বিতরন

শেখ হাসিনার জন্মদিনে গরীব ও দুস্থদের মাঝে ছাত্রলীগের খাবার বিতরন

শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষ্যে অসহায় ও দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করেছেন ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা।আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৮তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে এ আয়োজন করে তারা।শনিবার দুপুরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে একদল সাবেক ছাত্রনেতা এ কর্মসূচি পালন করেন।এ সময় ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন, সাবেক গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক মুকিব মিয়া, সাবেক সহ-সম্পদক এনামুল হক প্রিন্স, সাবেক উপ-অর্থ সম্পাদক তড়িৎ চৌধুরী ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নুরুল হক সজলসহ বেশ কয়েকজন ছাত্রনেতা উপস্থিত ছিলেন।দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণকালে আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে নেজেদের পরিকল্পনার কি জানতে চাইলে ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন বলেন, “বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে এইদেশের জনগণ আবারো তাদের নেতৃত্বের আসনে বসাবে।আমরা বিশ্বাস করি মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে আগামীর বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড় করাবার জন্য জতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প কোন নেতৃত্ব বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে নাই। “তাই আমরা যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে সততা ও দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত আছি তারা মনে করি বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে এইদেশের জনগণ আবারো তাদের নেতৃত্বের আসনে বসাবে।”

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪


কটূক্তি করে বিপাকে নার্সিংয়ের ডিজি, দেশজুড়ে পদত্যাগ দাবি

কটূক্তি করে বিপাকে নার্সিংয়ের ডিজি, দেশজুড়ে পদত্যাগ দাবি

নার্সিং পেশাতে নার্সদের নিয়ে কটূক্তি করায় ডিজিএনএম’র মহাপরিচালক মাকসুরা নূরের পদত্যাগ দাবি করেছেন কর্মরত নার্স এবং নার্সিং শিক্ষার্থীরা। এ উপলক্ষ্যে শনিবার বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধন, বিক্ষোভ, সভা ও কর্মবিরতি পালন হয়েছে। এ সময় অধিদপ্তরের সব নন-নার্স প্রশাসন ক্যাডার অপসারণ এবং উচ্চশিক্ষত, দক্ষ ও অভিজ্ঞ নার্সদের পদায়নের দাবি জানানো হয়।কুড়িগ্রামে সমাবেশে বক্তব্য দেন নার্সিং ইনস্টিটিউটের ইনচার্জ নীহার বানু, ইনন্সট্রাক্টর জহির রায়হান, কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের নার্সিং সুপারভাইজার রোকেয়া মণ্ডল ও সিনিয়র স্টাফ নার্স শেফালী রহমান। রংপুরে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন- নার্সিং বিভাগের রংপুর বিভাগীয় সমন্বয়ক আশরাফুল ইসলাম শামিম, রংপুর নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষ নারগিস আক্তার বানু, ডিস্ট্রিক পাবলিক নার্স বিলকিস বেগম, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপসেবা তত্ত্বাবধায়ক রওশন আরা, সিনিয়র স্টাফ আবু বক্কর সিদ্দিক প্রমুখ। কমলনগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এ মানবন্ধনে বক্তব্য দেন নার্সিং সুপারভাইজার সেলিনা আক্তার, ওয়ার্ড ইনচার্জ কুসুম রানী পাইক। লক্ষ্মীপুরে সদর হাসপাতাল প্রাঙ্গণে নার্সিং সংস্কার পরিষদের ব্যানারে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সদর হাসপাতালের নার্সিং সুপারভাইজার রেহেনা বেগম, সিনিয়র স্টাফ নার্স ময়না বেগম ও লায়লা বেগম। চাঁদপুরে সরকারি জেনারেল হাসপাতাল ও প্রেস ক্লাবের সামনে নার্সিং সংস্কার পরিষদের উদ্যোগে মানববন্ধন হয়। কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন নার্সিং সংস্কার পরিষদ চাঁদপুর জেলা শাখার সমন্বয়ক লাইলী আক্তার, মাহবুব হাসান, খাদিজা বেগম, সদর হাসপাতালের সমন্বয়ক সবুজ হোসাইন ও মাসুদ রাব্বানী। ফেনীতে বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল চত্বরে ‘মার্চ টু ডিজিএনএম’ শীর্ষক কর্মসূচি হয়েছে। চুয়াডাঙ্গায় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা নার্সিং ইনস্টিটিউটের ইনস্ট্রাক্টর ফরিদা ইয়ামিন, সদর হাসপাতালের নার্সিং সুপারভাইজার ফেরদৌস আরা রোকেয়া, নার্সিং ইনস্টিটিউটের নার্সিং ইন্সট্রাক্টর পারুল মণ্ডল, সিনিয়র স্টাফ নার্স সানি ও নাজমুল। রায়পুরে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন- মো. জাহিদ হাসান, নিপা সাহা, মোহনা আক্তার, সাবরীন, মাহবুবা ইয়াসমিন, মিডওয়াইফ আফরোজা। রাঙামাটিতে জেনারেল হাসপাতালের সামনে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন- সিনিয়য় স্টাফ নার্স মিঠু দাশ, শুভ্রা দে, তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্র্থী মো. সাজিদ, দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রোকনুজ্জামান, আব্দুল্লাহ তালুকদার। গোমস্তাপুরে সমাবেশে বক্তব্য দেন সিনিয়র স্টাফ নার্স লাইলী খাতুন, মাবিয়া খাতুন, মাসুদা খাতুন, ফারজানা খাতুন, মেনেকা খাতুন। সিংড়ায় মানববন্ধনে নার্সিং সুপার ভাইজার সখিনা খাতুনের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন- সিনিয়র স্টাফ নার্স মেরিনা পারভীন, নিশাত আকতার, মনোয়ারা খাতুন, মিডওয়াইফারি জিন্নাত আরা তন্নী, আলপনা খাতুন প্রমুখ। দিনাজপুরে মানববন্ধনের বক্তব্য দেন- বেনজামিন দাস, সুমন বিশ্বাস, মনিরা পারভীন, ইব্রাহিম হোসেন প্রধান, উম্মে হাবিবা প্রমুখ। বাগাতিপাড়ায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন নার্সিং সুপারভাইজার হাবিবা খাতুন, সিনিয়র স্টাফ নার্স শাহানাজ পারভীন, হেলেনা খাতুন, শাপলা খাতুন, সানজিদা খাতুন, মিডওয়াইফ আকলিমা খাতুন প্রমুখ। ঝিনাইদহে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, ঝিনাইদহ নার্সিং ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ শামীম সিদ্দিকী, সদর হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স মোছা. নূরনাহার, সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত নার্সিং তত্ত্বাবধায়ক রিজিয়া খাতুন। বাগেরহাটে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বাগেরহাট নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষক শামসুন্নাহার, নার্সিং ইনস্ট্রাক্টর ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ কনিকা মিস্ত্রি, সিনিয়র স্টাফ নার্স ফারজানা জামান, নাজমুন্নাহার হীরা, বাগেরহাট নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী কুতুবউদ্দিন, নিশি সুলতানা। শেরপুরে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। নার্সিং সংস্কার পরিষদ আয়োজিত মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নার্সিং সংস্কার পরিষদের শেরপুর জেলা শাখার সমন্বয়ক মো. গোলাম রাব্বানী এবং শিখা রানী সরকার। নার্সিং ইনস্টিটিউটের ইন্সট্রাক্টর শরিফা আক্তার, জেলা হাসপাতালে নার্সিং সুপারভাইজার রশিদা আক্তার, জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ডিপিএইচএস মো. শাহিনুর ইসলাম।আগৈলঝাড়া নার্সিং সংস্কার পরিষদের উপজেলা সমন্বয়ক প্রিয়াংকা তালুকদারের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন জুবাইদা বীনতে মীম, নার্সিং সুপারভাইজার ভানু বিশ্বাস, নার্সিং ইনচার্জ আরতী মধু, মমতা হালদার, আভা করাতী, রেবা হালদার।মাদারগঞ্জে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মাদারগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স রোজিনা বেগম ও জিনিয়া আক্তার।নড়াইলে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তব্য দেন নড়াইল নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষ আফরোজা পারভিন, ইন্সট্রাক্টর শামীমা আক্তার, নড়াইল সদর হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স মজিদা খাতুন, বিউটি পারভীন প্রমুখ।বরগুনায় বরগুনা সরকারি জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স জাকিয়া পারভিন নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী শুভ। ব্রা‏হ্মণবাড়িয়ায় মিছিল শেষে মানববন্ধনে ব্রা‏হ্মণবাড়িয়া নার্সিং ইনস্টিটিউটের ইন্সট্রাক্টর সিনিয়র স্টাফ নার্স সেলিনা আক্তারের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন ব্রা‏হ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের ‏সিনিয়র স্টাফ নার্স রোমা খাতুন, শেফালী আক্তার, নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থী আকাশ মিয়া, ফাহিমা আক্তার, আরিফ মিয়া, খাদিজা সুলতানা প্রমুখ।বরিশালে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন মহানগর নার্সিং সংস্কার পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক আলি আজগর মহানগর নার্সিং সংস্কার পরিষদের সমন্বয়ক ছগির হোসেন, শাহ আলম, শেবাচিম হাসপাতালের সরকারি নার্সিং কলেজের শিক্ষক ফরিদা বেগম, আনোয়ার হোসেন, নুর-আলম প্রমুখ। ময়মনসিংহে সমাবেশে বক্তব্য দেন ময়মনসিংহ নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষ মমতাজ বেগম, বিভাগীয় সমন্বয়ক মিজানুর রহমান, স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রাকিব হোসেন, সম্পাদক গাজিউর রহমান, সানি আক্তার, স্বর্ণা আক্তার প্রমুখ। ভোলায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন নার্সিং সংস্কার পরিষদের জেলার প্রধান সমন্বয়ক মো. আফজাল হোসেন, নার্সিং ইন্সট্রাক্টর ইনচার্জ নন্দা রানী দাস, নার্সিং সুপারভাইজার নাছিমা বেগম, জেলা পাবলিক হেলথ নার্স নাছিমা আক্তার, নার্সিং সংস্কার পরিষদের সমন্বয়ক আরিফুন্নেছা প্রমুখ।মৌলভীবাজারে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন মৌলভীবাজার নার্সিং ইন্সটিটিউটের ইন্সট্রাকটর মীনা বৈরাগী, রেজিনা হোসাইন, শিক্ষার্থী জাবেদ মিয়া ও সুরমা বেগমসহ আরও অনেকে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪


বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় ক্যাপস এর গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা

বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় ক্যাপস এর গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা

দেশের উত্তর ও দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে দেশের স্মরনকালের ভয়াবহ বন্যায় কৃষি, মৎস ও প্রানীসম্পদ খাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বন্যাকবলিত এলাকার মানুষ। বন্যা কবলিত এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার জন্য ১০ নির্দেশনা দিয়েছে সেন্টার ফর এগ্রিকালচার পলিসি স্টাডিজ - ক্যাপস। শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে "বন্যাত্তোর কৃষি ব্যবস্থাপনা " শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে ক্যাপস সেখানে বক্তারা এ নির্দেশনা তুলে ধরেন। বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম। তিনি বলেন দেশে যে বন্যা হয়েছে তা স্বাভাবিক বন্যা নয় ত্রিপুরা রাজ্য থেকে পানি এসেছে বাংলাদেশের সাথে বৈরি ভাবের কারণে পরিকল্পিতভাবেই পানি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ওই অঞ্চলের মানুষ কখনো এরকম বন্যা দেখেনি। গোমতী নদী পাহাড়ি নদী সেখান থেকে ঢলের পানি এসে বন্যা হলেও তা মেঘনা দিয়ে প্রবাহিত হয়ে যায় খুব বেশি ক্ষতি সাধন করতে পারেনা। সাবেক এ মহাপরিচালক বলেন, ইন্ডিয়া আবারও এরকম করবে তার জন্য আমাদের লং টার্ম ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করতে হবে। ক্লাইমেট চেঞ্জ এর মেডিটেশন এন্ড এডাপটেশন এর দিকে নজর দিতে হবে হয়তো আবারো ওই এলাকায় বন্যা হতে পারে। এ প্রসঙ্গে সরকারের কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে জানিয়ে কার্যক্রম আরো জোরদার করার কথা বলেন তিনি। এছাড়া বন্যায় মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি, দূষণ ধুয়ে যাওয়ার ফলে মাটির গুনাগুন বৃদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে রবি ফসল উৎপাদন বাড়ানোর দিকে নজর দিয়ে বন্যা পরবর্তী ডিসিস থেকে নিরাপদ থাকার আহ্বান জানান তিনি। এসময় মূল প্রবন্ধে সেন্টার ফর এগ্রিকালচার পলিসি স্টাডিস এর নির্বাহী পরিচালক ড. মুহাম্মদ রুহুল আমিন বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় নির্দেশনা তুলে ধরেন।বন্যাকবলিত এলাকার কৃষি ফসলের প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি বিশেষ করে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার অব্যবহিত পরে রোপা আমনের বীজতলা, রোপিত আমন এবং দন্ডায়মান আউশ ধান সহ অন্যান্য ফসলের ক্ষতি নিরূপন পূর্বক দ্রুত পুনর্বাসন কাজ শুরু করতে হবে।আগাম শীতকালীন শাক-সবজি, ডাল ফসল, তেল ফসল সহ অঞ্চল উপযোগী ফসল চাষের পরিকল্পনা ও কার্যক্রম দ্রুত শুরু করতে হবে।বিভিন্ন দপ্তর, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের আওতাভুক্ত নিজস্ব উচু জমিতে নাবী জাতের আমনের বীজতলা, পলি ব্যাগে অথবা বেডে বিভিন্ন সবজি, চারা উৎপাদনের ব্যবস্থা নিতে হবে।সেন্টার ফর এগ্রিকালচার পলিসি স্টাডিসের চেয়ারম্যান কৃষি অর্থনীতিবিদ ও কলামিস্ট ড.মুহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, বন্যা দুর্গত এলাকায় রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ, আবাসন তৈরী ও মেরামত সংক্রান্ত পুনর্বাসন কাজে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে ক্ষয় ক্ষতি নিরূপন পূর্বক দ্রুত পুনর্বাসন ও মেরামতের ব্যবস্থা নিতে হবে। স্বাস্থ্য সেবা, জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ক কাজের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে ক্ষয় ক্ষতি নিরূপন পূর্বক দ্রুত পুনর্বাসন ও সেবা প্রদানের ব্যবস্থা নিতে হবে। কৃষকদের শস্যঋণের/ কৃষি ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে। সেই সাথে ঋণগ্রস্থদের ঋণ মৌকুফ অথবা ঋণের কিস্তি মৌকুফ করতে হবে।অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ফিরোজ মাহমুদ, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো: মোশাররফ হোসেন, ডিএইর সাবেক মহাপরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ মহসীন, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মামুনুর রশিদ, পিকে এসএফ এর ডিএমডি ড. ফজলে রাব্বি সাদেক প্রমুখ।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪


সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ব্যাংক হিসাব স্থগিত

সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ব্যাংক হিসাব স্থগিত

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) আজ মঙ্গলবার ব্যাংক হিসাব স্থগিতের এ নির্দেশনা দেশের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে পাঠিয়েছে।ওবায়দুল কাদের ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগে পর্যন্ত তিনি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ছিলেন। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক এই সভাপতি নোয়াখালী-৫ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।বিএফআইইউর চিঠিতে বলা হয়েছে, উল্লিখিত ব্যক্তি ও তাঁর ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে কোনো হিসাব পরিচালিত হয়ে থাকলে সেই হিসাবের লেনদেন মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের আওতায় ৩০ দিনের জন্য স্থগিত রাখা এবং তাঁদের নামে কোনো লকার থাকলে তার ব্যবহার ৩০ দিনের জন্য বন্ধ করার নির্দেশনা দেওয়া হলো।ওবায়দুল কাদেরের ব্যাংক হিসাব স্থগিতের চিঠিতে তাঁর মা–বাবার নাম উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর এবং জন্ম তারিখও উল্লেখ করা হয়েছে। লেনদেন স্থগিতের পাশাপাশি সব ব্যাংক হিসাবের সংশ্লিষ্ট তথ্য বা দলিল, যেমন হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ও লেনদেন বিবরণী প্রভৃতি তথ্য বিএফআইইউর কাছে পাঠাতে বলা হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৮ আগস্ট ২০২৪


জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার

জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার

জামায়াত ইসলামী ও তাদের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করে জারি করা আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।আজ (মঙ্গলবার) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জারি এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এতে সই করেন জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ আবদুল মোমেন।প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, যেহেতু বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং উহার ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ উহার সকল অঙ্গ সংগঠনের সন্ত্রাস ও সহিংসতায় সম্পৃক্ততার সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায় নাই এবং যেহেতু সরকার বিশ্বাস করে যে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং উহার ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ উহার সকল অঙ্গ সংগঠন সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সাথে জড়িত নহে, সেহেতু সরকার, সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯ এর ধারা ১৮ এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং উহার ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ উহার সকল অঙ্গ সংগঠনকে রাজনৈতিক দল ও সংগঠন হিসাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা সংক্রান্ত এ বিভাগের বিগত ১৭ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ মোতাবেক ১ আগস্ট ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ তারিখের প্রজ্ঞাপন এস, আর, ও. নং, ২৮১/আইন/২০২৪ এতদ্বারা বাতিল করিল এবং উক্ত আইনের তফসিল-২ হইতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং উহার ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ উহার সকল অঙ্গ সংগঠন এর তালিকাভুক্তি বাতিল করিল। ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।এর আগে গত ১ আগস্ট (বৃহস্পতিবার)স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে দেশে জামায়াত ইসলামী ও তাদের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়। এতে সই করেছিলেন মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সাবেক সচিব জাহাংগীর আলম।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৮ আগস্ট ২০২৪


বগুড়ায় সিরাজুলের হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

বগুড়ায় সিরাজুলের হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

বগুড়ায় সিরাজুল ইসলামের হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে সদর উপজেলার শাখারিয়ায় মানববন্ধনের আয়োজন করেন গ্রামবাসীরা।বুধবার ১৪ আগষ্ট সদর উপজেলার পৌরসভার ১৯ নং ওয়ার্ডের শাখারিয়া নামাবালার গ্রামবাসীসহ সর্বস্তরের মানুষ এই মানববন্ধনে অংশগ্রহন করেন।মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, ১৯ নং ওয়ার্ড পৌরসভার আওয়ামী লীগের সন্ত্রাশী ওসমান আলীর ছেলে খলিল, আলতাফ মাষ্টারের ছেলে বিপ্লবের নেতৃত্বে ৬ আগষ্ট দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একই এলাকার মোজাম মোল্লার ৩য় ছেলে সিরাজুল ইসলামকে ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে অতর্কিত হামলায় কুপিয়ে জখম করে। আহত অবস্থায় তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রোগীর অবস্থা বেগতিক হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করার পরামর্শ দেয়।আহত সিরাজুলকে রাজধানীর আগারগাঁও নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হলে গত ৯ আগষ্ট সেখানে তিনি মারা যান।পরবর্তীতে ১৪ আগষ্ট সিরাজুল ইসলামের মরদেহ তার গ্রামের বাড়ি শাখারিয়ায় দাফন করা হয়।পরিবার সূত্রে জানা যায়, সিরাজুল ইসলাম পেশায় রং মিস্ত্রি। নিহত সিরাজুলের স্ত্রী ও একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।মানববন্ধনে বক্তারা হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ফাঁসির দাবি জানান।এসময় উপস্থিতি ছিলেন মোঃ মাহফুজার রহমান, আমির বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কর্ণপর থানা,মো: রেজাউল করিম সভাপতি ১৯ নং ওয়ার্ড বি এন বি, মোঃ দেলোয়ার হোসেন মুক্তি সাধারণ সম্পাদক ১৯ নং ওয়ার্ড বি এন বি, মো:রফিকুল ইসলাম লাদু সহ সভাপতি ১৯ নং ওয়ার্ড বি এন বি, মো: মিস্টার জয়েন্ট সেক্রেটারি ১৯ নং ওয়ার্ড বি এন বি, মোঃ জুয়েল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ১৯ নং ওয়ার্ড বি এন বি, মো: আলম সদস্য ১৯ নং ওয়ার্ড বি এন বি, মো: দেলোয়ার হোসেন সদস্য ১৯ নং ওয়ার্ড বি এন বি, মোঃ হযরত সদস্য ১৯ নং ওয়ার্ড বি এন বি, মো: মোশারফ হোসেন সদস্য ১৯ নং ওয়ার্ড বি এন বি, মো: কামাল পাশা সভাপতি যুবদল ১৯ নং ওয়ার্ড , মোঃ সোনা মিয়া সহ সাংগঠন যুবদল১৯ নং ওয়ার্ড , মোঃ গফুর সদস্য যুবদল১৯ নং ওয়ার্ড , আল- আমিন ইসলাম তুহিন যুগ্ম আহবায়ক বগুড়া সদর থানা, আবু জাফর ছাত্র নেতা, ডা: মোস্তাফা, রুহুল আমিন বাকি, আবু বক্কর সিদ্দিক, নজরুল ইসলাম বাবু, রেজাউল, সহ আরো গণ্য মান্য ব্যাক্তি।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৫ আগস্ট ২০২৪


রাজধানীতে যুব ও মহিলালীগ কর্মী ইয়াসমিনের বাসায় হামলা লুটপাট ও বাড়ি দখল

রাজধানীতে যুব ও মহিলালীগ কর্মী ইয়াসমিনের বাসায় হামলা লুটপাট ও বাড়ি দখল

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের যুব ও মহিলালীগের সক্রিয় কর্মী ইয়াসমিন আক্তারের ফ্লাট বাসায় হামলা চালিয়ে দখল করে নেয় দূর্বৃত্তরা, সাথে ভাংচুর ও লুটপাট করে ঐ ফ্লাটের ভারাটিয়াদের বের করে দেওয়া হয় । এছাড়াও গ্রামের বাড়ির জমি ও বসত ভিটা দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে।গেল ৫ আগষ্ট ছাত্র জনতার গণ আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে চলে যান আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা পদত্যাগের পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রাণভয়ে আত্মগোপনে চলে যান, এই সুযোগে সারাদেশে অরাজকতার সৃষ্টি হয়। সারাদেশে ভাংচুর, লুটপাট চালায় কিছু দূর্বৃত্তরা। ৭ আগষ্ট বুধবার আনুমানিক বিকাল ৩টায় এই ঘটনার শিকার হয়েছেন রাজধানীর মোহাম্মদপুর খিলজি রোডের 'ব্লক বি' এর টিসিএল মাছুদ গার্ডেনের ৬ তলার ইয়াসমিন আক্তারের ফ্লাটে।জানা যায়, জোর জবরদস্তি করে ফ্লাট দখল করে নিয়েছে এলাকার কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী। এছাড়াও ইয়াসমিনের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার জেলার তিতাস উপজেলার পৈত্রিক সম্পত্তি জোর করে দখল করে দূর্বৃত্তরা। এলাকার পরিচিত মুখ হওয়ায় এবং রাজনীতিতে সক্রিয় থাকায় ইয়াসমিন আক্তার প্রাণের ভয়ে তার মেয়ের পরিবারের সাথে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন। বাংলাদেশে প্রবেশ করলে প্রাণনাশের আশঙ্কা আছে বলে জানান তিনি।এবিষয়ে মুঠোফোনে কথা হয় ঢাকায় থাকা ইয়াসমিন আক্তারের দ্বিতীয় মেয়ের সাথে, তিনি বলেন- আমার মা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করায় ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে আমাদের ঢাকায় ফ্লাট ও গ্রামের পৈত্রিক সম্পত্তি দখল করে।আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী হওয়ায় বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে ইয়াসমিন দেশে ফিরতে পারবেন কি না এবিষয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে আছেন তিনি।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ আগস্ট ২০২৪


নির্বাচন নিয়ে কোন আলোচনা হয়নি : মির্জা ফখরুল

নির্বাচন নিয়ে কোন আলোচনা হয়নি : মির্জা ফখরুল

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, আমরা নির্বাচন নিয়ে কথা বলিনি। একটি নির্দিষ্ট সময় লাগবেই তাদের নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে। আমরা সেই সময় দিয়েছি।সোমবার (১২ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে প্রধান উপদেষ্টার আমন্ত্রণে তার সরকারি বাসভবন যমুনায় আসেন বিএনপি নেতারা। মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সালাউদ্দিন আহমেদ, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সেলিমা রহমান।বৈঠক থেকে বেরিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধান উপদেষ্টা আমাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। আমরা বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছি। মূলত, গণতন্ত্র হত্যাকারী, গণবিরোধী যে সরকার ১৫-১৬ বছর ধরে এই দেশের মানুষের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়ে, মানুষকে তার অধিকার বঞ্চিত করে, গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করে একটি ফ্যাসিস্ট রুল কায়েম করেছিল...।তিনি বলেন, ছাত্র-জনগণের আন্দোলন, রাজনৈতিক দলগুলোর আন্দোলনের ফলে একটি মুক্ত পরিবেশে এই সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথম তারা আমাদের সঙ্গে বসেছেন। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে কী কী করা যায়, সে বিষয়ে আমরা মতামত দিয়েছি। তারা আমাদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন কী করতে যাচ্ছেন। এখন মনে করি, সরকারকে সহায়তা করা প্রতিটি দেশপ্রেমিক মানুষের একমাত্র কর্তব্য।তিনি আরও বলেন, আজকে দুর্ভাগ্যজনকভাবে যারা বাংলাদেশের মানুষের অধিকার হরণ করে নিয়েছিল, তারা আবার বাইরে থেকে, বিদেশ থেকে, এখান থেকে পালিয়ে গিয়ে, ভারতে অবস্থান নিয়ে, সেখান থেকে বাংলাদেশে যে বিজয় অর্জন হয়েছে জনগণের, সে বিজয়কে নস্যাৎ করার জন্য আবার চক্রান্ত শুরু করেছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ আগস্ট ২০২৪


কাদেরকে পদ দিচ্ছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আ. লীগ!

কাদেরকে পদ দিচ্ছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আ. লীগ!

যাত্রাবাড়ি থানা আওয়ামী লীগের কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক প্রস্তাব করা হয়েছে শান্ত নুর খান শান্তের নাম। চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস ও জমিদখলসহ শান্তের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ। নানা কর্মকান্ডে বিতর্কিত ব্যক্তি তিনি। রাজনীতিতে অপরিপক্ক ও জুনিয়র। নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীকে বড় অংকের অর্থ বিনিময়ে পদ বাগিয়েছেন। এসব অভিযোগ যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার।জানতে চাইলে ৪৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর আবুল কালাম অনু বলেন, আমরা যারা ২০ থেকে ৩০ বছর ‘সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক’ দায়িত্ব পালন করছি। আমাদের পাশ কাটিয়ে একজন জুনিয়র, অদক্ষ ও বিতর্কিত ব্যক্তির নাম টাকার বিনিময়ে প্রস্তাব করা হয়। এটা মেনে নিতে পারি না। কোন ভাবেই গ্রহণ করি না। তিনি বলেন, আমরা এমন বিষয়ের প্রতিকার চেয়ে নেত্রীর কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। অবশ্যই নেত্রী সঠিক সিদ্ধান্ত দেবেন। এক প্রশ্নের জবাবে আবুল কালাম বলেন, টাকার বিনিময়ে কমিটিতে নাম প্রস্তাব নগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ দুই নেতার বিতর্কিত কর্মকান্ডকে ঘৃণা জানাতেই হচ্ছে।কয়েকদিন আগে যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরে কথা হয় সরেজমিনে। সে-সময় কয়েকজন নেতা প্রস্তাবিত কমিটির নানা অনিয়ম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগ। অথচ, সাধারণ সম্পাদকের প্রস্তাব করা হয়েছে জুনিয়র অদক্ষ ও বিতর্কিত ব্যক্তির (শান্ত) নামে। প্রস্তাবিত কমিটি নিয়ে নগর শীর্ষ দুই নেতা আবু আহমেদ মন্নাফী ও হুমায়ুন কবিরের অযথাচিত সিদ্ধান্তে হতাশার কথাও তারা জানান।স্থানীয় আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, মাতুয়াইল ইউনিয়ন আওয়াী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদে থেকেও শান্তনুর শান্ত নানা সময় আওয়ামী লীগ বিরোধী কর্মকান্ডে জড়িয়েছেন। সর্বশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ঢাকা-৫ আসনে দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নেন। এরআগেও আসনটির আরেক এমপি কাজী মনিরুল ইসলাম মনুর বিপক্ষে তিনি কাজ করেছেন। নেতারা বলেন, ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে শান্তর বিতর্কিত কর্মকান্ড আওয়ামী লীগকেই প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচন করেছে। এমন বিতর্কিত লোককে প্রস্তাবিত করা হয়? এটা কল্পনাই করা যায় না!এদিকে, শুধু শান্তনুর খান শান্ত-ই নয়। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের থানা ও ওয়ার্ড কমিটিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের প্রস্তাবিত তালিকায় অসংখ্য বিতর্কিত ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে। যাদের নামে ভূমিদস্যুতা, দখলবাজ, মাদক ব্যবসা, মাদক সেবন, সন্ত্রাসী কার্যক্রম, চাঁদাবাজ, কিশোর গ্যাংয়ে জড়িত, ক্যাসিনোকান্ডে জড়িত, হত্যা মামলার আসামিরা সহ নানাবিধ অপরাধমুলক কর্মকান্ডে বিদ্যমান অভিযোগ। এছাড়া আওয়ামী লীগের কোন ধরনের পদ-পদবি তো দূরের কথা; দলের সাধারণ সদস্যও নন, এমন ব্যক্তিরাও থানা-ওয়ার্ডের কমিটিতে প্রস্তাবিত নামের তালিকায় আছেন। নাম রয়েছে, বিএনপি-জামায়াত সমর্থকেরও।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রস্তাবিত কমিটি নিয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির-এর চরম সেচ্ছাচারিতা,অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে থানা ও ওয়ার্ড নেতারা। বিশেষ করে ওই দুই নেতার নিজের কোঠা, সন্তানের বন্ধু কোঠা, ভাই ও স্বজনদের কোঠার বিরুদ্ধে যোগ্য ও ত্যাগী নেতারা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।এদিকে, প্রস্তাবিত কমিটি গঠনে ওই নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পদকের অনিয়ম এবং আর্থিক দুর্নীতির কথা উল্লেখ করে পদপ্রত্যাশী অনেক নেতাই আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় দফতর, দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অপরদিকে, দক্ষিণ আওয়ামী লীগের মতোই উত্তর আওয়ামী লীগের থানা ও ওয়ার্ড কমিটিতে প্রস্তাবিত তালিকায় অনেক নেতার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ। নেতা বানানোর কথা বলে বড় অংকের টাকা নিয়েছেন ওই নগর সভাপতি। এমন অডিও ভাইরাল হয়েছে।তবে, আওয়ামী লীগ উচ্চ পর্যায়ের এক সূত্রে জানা গেছে, প্রস্তাবিত নাম এবং দুই নগর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে যে, আর্র্থিক লেনদেন অভিযোগ আনা হয়েছে। সেটি আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে তদন্ত ও যাচাই-বাছাইয়ের নির্দেশ দিয়েছেন দলীয় সভাপতি। তবে গণভবনের এক সূত্রে জানা যায়, কমিটিতে নানা অনিয়ম ওঠায় প্রস্তাবিত নাম আপাতত প্রকাশ হচ্ছে না।ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি বজলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মান্নান কচি গত ৪ জুন, ২৬ থানা ও ৬৪ ওয়ার্ড। দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির ১৬ জুন, ২৪ থানা ও ৭৫ ওয়ার্ডের প্রস্তাবিত কমিটি কেন্দ্রীয় দফতরে জমা দেন। ঢাকা-৯ আসনভুক্ত খিলগাঁও, সবুজবাগ ও মুগদা থানার জন্য আলাদা কমিটি জমা দেন মন্নাফী ও হুমায়ুন। এসব কমিটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো হয়। ২০২২ সালের অক্টোবরে মহানগরীর থানা-ওয়ার্ড সম্মেলনের এক বছর আট মাস পর কমিটিগুলো জমা পড়ে। সর্বশেষ ২০১৬ সালে কমিটি গঠন করা হয়।শাহবাগ থানা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে উঠেছে গুরুতর অভিযোগ। জানা গেছে, ৫০ লাখ টাকার বিনিময়ে এ থানা আওয়ামী লীগে প্রস্তাবিত কমিটির সভাপতি করা হয়েছে জিএম আতিকুর রহমানকে। নানা কর্মকান্ডেই বিতর্কিত আতিকুর রহমান। আর ৪০ লাখ টাকার বিনিময়ে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রস্তাব করা হয়েছে কাউন্সিলর আসাদকে। চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা সহ আসাদের বিরুদ্ধে বিতর্কিত নানা কর্মকান্ডের রয়েছে অভিযোগ। আতিকের নাম প্রস্তাব করেছেন নগর সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী। অপরদিকে, আসাদের নাম প্রস্তাব করেছেন মন্নাফীর ছেলে কাউন্সিলর ইমতিয়াজ আহমেদ গৌরব। শাহবাগ থানা আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা বলেন, কাউন্সিলরদের পদে আনার বিষয়ে নেত্রীর যে নির্দেশনা ছিল। সেটি উপেক্ষা করে টাকার বিনিময়ে পদ দেয়া হয়েছে। আবার এই থানায় সভাপতির পদ দেয়ার কথা বলে সহিদুল ইসলাম সহিদের কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা নিয়েছেন নগর সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির। একইভাবে সাধারণ সম্পাদকের পদ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আরেক নেতার কাছে থেকে বিভিন্ন সময় ৩০ লাখ টাকা নিয়েছেন হুমায়ুন কবির। কিন্তু তিনি কাউকে পদ দিতে পারেননি।আবারও সভাপতি পদ পেতে ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের গিয়াস উদ্দিন গেসু নগর সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরকে ১৫ লাখ টাকা এবং দুটি দলীয় কর্মসূচিতে আইড়মাছ সরবরাহসহ ৫ লাখ টাকা দিয়েছেন। এখন তাঁর বদলে আরেকজনের নাম প্রস্তাব করায় ২০ লাখ টাকা ফেরত চান তিনি। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর লিখিত অভিযোগে তিনি কথা জানিয়েছেন। জানতে চাইলে গিয়াস উদ্দিন বলেন, আমি ৩ বার হজ্জ করেছি। মসজিদঘর ও পবিত্র কুরআন শরীফ নিয়ে কসম করে বলতে পারি হুমায়ুন কবির আমার কাছে থেকে টাকা নিয়েছেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে হুমায়ুন কবির এর ছেলে প্রফেসর রকির চেম্বারের নিচের রাস্তায় মাইক্রোবাসের মধ্যে ১৫ লাখ টাকা নিয়েছেন।৬২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ পেতে কয়েক লাখ টাকা খচর করেছেন আব্দুর রহমান রতন। তার দাবি বেশি টাকা পেয়ে নগর সভাপতি ওই পদে কাউন্সিলর মোস্তাক আহমেদের নাম প্রস্তাব করেছেন। জানতে চাইলে আব্দুর রহমান বলেন, নগর সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা তোরারক হোসেন ১ লাখ টাকা নিয়েছেন। দলের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে টাকা দিতে হয়েছে।৯ নং ওয়ার্ডের প্রস্তাবিত সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুর রহমান চৌধুরী ওয়াহিদের বিরুদ্ধে রয়েছে দিলকুশাসহ বিভিন্ন এলাকায় একাধিক জায়গা দখল ও মাদক কারবারের অভিযোগ। মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মন্নাফীর ছেলে ৩৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইমতিয়াজ আহমেদ গৌরবের বাল্যবন্ধু ও ব্যবসায়িক পার্টনার হওয়ার কারণে এ ওয়ার্ডে ওয়াহিদের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। ১০ নং ওয়ার্ডের প্রস্তাবিত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক হিরকের বিরুদ্ধে আছে হত্যা-চাঁদাবাজির মামলা এবং ১১ নং ওয়ার্ডের প্রস্তাবিত সাধারণ সম্পাদক বি এম ফরহাদ অংকুরের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে। ২০ নং ওয়ার্ডে প্রস্তাবিত সভাপতি হাসান মাহমুদ একই ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বিএনপির বিতর্কিত নেতা ও সাবেক কমিশনার চৌধুরী আলমের ক্যাডার ছিলেন। একই ওয়ার্ডে প্রস্তাবিত সাধারণ সম্পাদক শাহজালাল সোহেলের বিরুদ্ধে মাদক কারবারের অভিযোগে শাহবাগ থানায় মামলা রয়েছে। ২১ নং ওয়ার্ডের প্রস্তাবিত সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন শাওন বিএনপি ঘরোনার; তাঁর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। মন্নাফীকে দামি গাড়ি (ঢাকা মেট্রো ঘ-২১-৬৩৩১) উপহার দিয়ে রমনা থানার সাধারণ সম্পাদক পদে নিজের নাম প্রস্তাবে উঠিয়েছেন গোলাম মোস্তফা শিমুল। বিলুপ্ত সারুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি হাজি মোহাম্মদ আলী লিখিত অভিযোগে বলেন, ৬৭ নং ওয়ার্ড সভাপতি পদে তাঁর নাম প্রস্তাবের বিনিময়ে ২০ লাখ টাকা দাবি করেন মন্নাফী। বিপুল টাকার বিনিময়ে মন্নাফী কদমতলী থানার সাধারণ সম্পাদক পদে ৪৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আকাশ কুমার ভৌমিককে প্রস্তাব করেছেন। ৩৮ নং ওয়ার্ডের সভাপতি পদে মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মন্নাফীর ছেলে ইমতিয়াজ আহমেদ গৌরবের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। গৌরবের বিরুদ্ধে কাপ্তানবাজারের মুরগির ব্যবসা ও চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণসহ আশপাশের এলাকা দখলে রাখার অভিযোগ রয়েছে। মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরের ভাই কাউন্সিলর মকবুল হোসেনকে লালবাগ থানার সভাপতি এবং ভাগনে বখতিয়ার জামিল হোসেনকে ২৬ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক পদে রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী বলেন, অনেক পদ প্রত্যাশী থাকেন। বাদ পড়া ব্যক্তিরাই মিথ্যা অভিযোগ করেন। কারও কাছ থেকে টাকা বা উপহার নিইনি। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির বলেন, অর্থের বিনিময়ে পদ দেয়া এই অভিযোগ অসত্য ও ভিত্তিহীন। আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে কোনো কোনো মহল এই মিথ্যাচার করছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৯ জুলাই ২০২৪


৩টায় সারা দেশে ফোর-জি নেটওয়ার্ক চালু হবে : পলক

৩টায় সারা দেশে ফোর-জি নেটওয়ার্ক চালু হবে : পলক

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, আজ (রোববার) বিকেল ৩টায় সারা দেশে ফোর-জি নেটওয়ার্ক চালু হবে।রোববার (২৮ জুলাই) বিভিন্ন মোবাইল অপারেটর, অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিফোন অপারেটর বাংলাদেশ এবং মোবাইল ফ্রিনান্সিয়াল সার্ভিসের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা জানান তিনি।তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ের মোবাইল ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় সংযোগ চালুর পর মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহকরা তিন দিনের জন্য ৫ জিবি বোনাস পাবেন। সব অপারেটরের গ্রাহকরাই এই সুবিধা পাবেন।প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ ও সহিংসতার জেরে গত ১৮ জুলাই বন্ধ করা হয় সব অপারেটরের থ্রি-জি ও ফোর-জি নেটওয়ার্ক পরিষেবা। ফলে গত ১০ দিনের বেশি সময় ধরে সারাদেশেই ৫টি অপারেটর কোম্পানির গ্রাহকরা মোবাইল ডাটা ব্যবহার করে কোনো কাজ করতে পারছেন না।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৮ জুলাই ২০২৪


শাহবাগে গরীব-দুস্থদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করল স্বাচিপ

শাহবাগে গরীব-দুস্থদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করল স্বাচিপ

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘাতে ক্ষতির সম্মুখীন নিম্নআয় ও খেটে খাওয়া মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ)।শনিবার (২৭ জুলাই) রাজধানী শাহবাগ মোড়ে এই ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক। এসময় আন্দোলনে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন তিনি।দুর্বৃত্তদের নাশকতার কারণে মেট্রোরেলসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনার ক্ষতি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহ্বানও জানান বিএসএমএমইউ উপাচার্য।এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিএসএমএমইউ-এর উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, স্বাচিপের সভাপতি অধ্যাপক ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরী, মহাসচিব ডা. কামরুল হাসান মিলন, বিএসএমএমইউ’র রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, নাক কান গলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এএইচএম জহিরুল হক সাচ্চু, পরিষদের বিএসএমএমইউ শাখার সদস্য সচিব সহযোগী অধ্যাপক ডা. আরিফুল ইসলাম টিটোসহ অনেকে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৭ জুলাই ২০২৪


মোবাইল ইন্টারনেট আগামীকাল চালুর সম্ভাবনা

মোবাইল ইন্টারনেট আগামীকাল চালুর সম্ভাবনা

কোটা আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার কারণে পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর সারা দেশে বন্ধ ছিল ইন্টারনেট পরিষেবা। বাসাবাড়িতে বুধবার রাতে সারা দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ চালু হলেও তা ধীরগতির। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও টিকটক এখনো বন্ধ আছে।এদিকে মোবাইল ইন্টারনেট চালুর বিষয়ে গত সপ্তাহে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানিয়েছিলেন, রবি-সোমবারের মধ্যেই চালু হবে কাঙ্ক্ষিত মোবাইল ইন্টারনেট।এদিকে আগামীকাল রোববার বা সোমবারের দিকে তা চালু হতে পারে জানিয়েছে ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। কবে নাগাদ মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হতে পারে—এ প্রশ্নের জবাবে শুক্রবার বিটিআরসি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ এ তথ্য জানান।তবে মোবাইল ইন্টারনেট চালু হলেও ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ব্যবহার করা যাবে কি না সে সম্পর্কে স্পষ্ট করে কিছু সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি।এদিকে দেশে ইন্টারনেটের গতি বৃদ্ধি করতে গুগলের ক্যাশ সার্ভার চালুর জন্য আইআইজি অপারেটরদের নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রন কমিশন (বিটিআরসি)।জানা গেছে, দেশের আইন ও সরকারের নির্দেশনা না মানায় বন্ধ থাকবে মেটার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক। তবে যদি ফেসবুক সরকারের নির্দেশনা মানার নিশ্চয়তা দেয়, তখনই এটি চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।এর আগে, পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর গত ২৩ জুলাই রাতে পরীক্ষামূলকভাবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু করা হয়। কূটনীতিক পাড়া, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিদ্যুৎ, ফ্রিল্যান্সিং ও প্রযুক্তি এবং রপ্তানিমুখী খাত অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ সেবা চালু করা হয়। এরপর বুধবার (২৪ জুলাই) রাত থেকে বাসা-বাড়িতেও ইন্টারনেট সেবা মিলছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৭ জুলাই ২০২৪


‘পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে, আন্দোলনকারীরা ঘাপটি মেরে বসে আছে'

‘পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে, আন্দোলনকারীরা ঘাপটি মেরে বসে আছে'

পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে, আন্দোলনকারীরা ঘাপটি মেরে বসে আছে বলে আশঙ্কা করছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে তিনি এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে, আন্দোলনকারীরা ঘাপটি মেরে বসে আছে। বিএনপি বেছে বেছে নতুন নেতৃত্বের চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের পদায়ন করেছে। (কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে) এই হামলা পরিচালনার জন্য তাদেরকে পরিকল্পিতভাবে নিয়োগ করা হয়েছে; কোথায় কে হামলা চালাবে, কোথায় কারা পেছন থেকে সহযোগিতা করবে সবকিছু আগেভাগে নীলনকশা প্রস্তুত ছিল।’তিনি বলেন, ‘তারেক জিয়াকে লন্ডন থেকে এনে বাংলাদেশে ক্ষমতার মঞ্চে বসানোর নীলনকশার রাজনীতি আজকে জাতির সামনে উন্মোচিত হয়ে গেছে। বাংলাদেশের জনগণ দেশের শান্তি স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। বাংলাদেশবিরোধী, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, স্বাধীনতাবিরোধী, উন্নয়নবিরোধী, গণতন্ত্রবিরোধী যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে আওয়ামী লীগ প্রস্তুত।’ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সংবাদ সম্মেলনে করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আবারও উসকানি দিচ্ছেন। কেউ আগুন নিয়ে খেলবেন না, দায়িত্বশীল আচরণ করুন।’

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৫ জুলাই ২০২৪


অলিম্পিকে নাটকীয়ভাবে হারল আর্জেন্টিনা

অলিম্পিকে নাটকীয়ভাবে হারল আর্জেন্টিনা

সমর্থকদের তোপের মুখে চার মিনিট আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল ম্যাচ। ফলাফল তখন ২-২ গোলে ড্র। কিন্তু ম্যাচ শেষ হওয়ার বেশ পরে ভিএআর যাচাই করে দেখা গেল অফসাইড ছিল ক্রিস্তিয়ান মেদিনার শেষ মুহূর্তের গোলটি। ফলে নাটকীয়ভাবে পূর্ণ পয়েন্ট পেয়ে যায় মরক্কো।সেইন্ট-এতিয়েনের স্তাদে জিওফ্রয়-গুইচার্ডে বাংলাদেশ সময় আজ বুধবার সন্ধ্যায় আর্জেন্টিনাকে ২-১ গোলে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। আফ্রিকান দেশটির হয়ে দুটি গোলই করেন সোফিয়ানে রহিমি। আর্জেন্টিনার হয়ে গোলটি করেন জিওলিয়ানো সিমিওনে।মরক্কোর উত্থানের গল্পটা কাতার বিশ্বকাপেই দেখেছিল দুনিয়া। আরব বিশ্ব তো বটেই, প্রথম আফ্রিকান দেশ হিসেবে তারা উঠেছিল সেমি-ফাইনালে। প্যারিস অলিম্পিকেও দলটি শুরু করল দাপটের সঙ্গেই। দুই গোলে লিড নিয়ে শেষ দিকে রক্ষণ জমাট রেখে জয় তুলে নেয় দলটি।এদিন ম্যাচের প্রথমার্ধে লক্ষ্যে মোট শট হয় মাত্র একটি। আর সেই শটটি আসে একেবারে শেষ দিকে। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে সেই শট থেকে গোল পেয়ে এগিয়ে যায় মরক্কো। সতীর্থের কাছ থেকে বল পেয়ে ইলিয়াস আখোমাচকে পাস দেন বিলাল এল খানোস। অসাধারণ এক ব্যাকহিলে ভেতরে ঢুকতে থাকা খানোসকে ফের বল দেন ইলিয়াস। এরপর খানোসের দুর্দান্ত এক ক্রস থেকে গোলমুখে ডিফেন্ডারকে এড়িয়ে আলতো টোকায় বল জালে পাঠান সোফিয়ানে রহিমি।এগিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে শুরু থেকেই দারুণ গোছানো ফুটবল খেলতে থাকে মরক্কো। দুই মিনিট যেতে পেনাল্টিও পেয়ে যায় দলটি। ডি-বক্সে আখোমাচকে হুলিও সোলার ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সফল স্পটকিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রহিমি।৬৮তম মিনিটে ব্যবধান কমান সিমিওনে। ডান প্রান্ত থেকে থিয়াগো আলমাদার ক্রসে ফাঁকায় বল পেয়ে যান সোলার। দূরের পোস্ট লক্ষ্য করে তার নেওয়া জোরালো শট বারপোস্ট ঘেঁষে বাইরে যাওয়ার পথে শেষ মুহূর্তে পা লাগিয়ে বল জালে পাঠান অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের এই ফরোয়ার্ড।৭২তম মিনিটে সমতায় ফিরতে পারত আর্জেন্টিনা। ডি-বক্সে একেবারে অরক্ষিত জায়গা থেকে নেওয়া ব্রুনো এমিওনের হেড অবিশ্বাস্য এক সেভ করেন মরক্কান গোলরক্ষক মুনির। ৮২তম মিনিটে আরও একবার ত্রাতা তিনি। এবার হুলিয়ান আলভারেজের প্রচেষ্টা ঠেকিয়ে দেন তিনি। গোলরক্ষককে একা পেয়ে গিয়েছিলেন এই ম্যানচেস্টার সিটি তারকা।যোগ করা সময়ের ষষ্ঠ মিনিটে সমতায় ফেরার সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন আমিওনে। গোলরক্ষককে একা পেয়ে যান তিনি। কিন্তু বাইরে মারেন। তবে মুহুর্মুহু আক্রমণে সফলতা পেয়েও গিয়েছিল দলটি। কিন্তু মেদিনার গোল অফসাইডে বাতিল হয়।তবে কিছুটা ভাগ্য বঞ্চিতও ছিল আর্জেন্টিনা। আলমাদার শট গোলরক্ষক ফেরালে আলগা বলে নিকোলাস ওতামেন্দির নেওয়া শট বারপোস্টে লেগে ফিরে না আসলে সমতায় ফিরতে পারতো তারা। এমনকি পরে সেই বলে হেড করেছিলেন আমিওনেও। তার হেডও ফিরে আসে। তবে ফিরতে বলে ফের হেড নিয়ে মেদিনা বল জালে পাঠালেও গোল মিলেনি।তবে গোল বাতিলের আগে সমর্থকদের তোপে ম্যাচ শেষ করে দেন রেফারি। মাঠ ছাড়ার সময়ও আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়দের লক্ষ্য করে বিভিন্ন ছুঁড়ে মারেন সমর্থকরা। পরে পরিস্থিতি ঠিক হলে চার মিনিট মাঠে গড়ায় ম্যাচ। কিন্তু তখন আর গোল না হলে হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় আর্জেন্টিনাকে। Apple

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৫ জুলাই ২০২৪


মেট্রো স্টেশন যেভাবে ধ্বংস করেছে, মানতে পারছি না: প্রধানমন্ত্রী

মেট্রো স্টেশন যেভাবে ধ্বংস করেছে, মানতে পারছি না: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকারের উন্নয়ন যারা ধ্বংস করেছে তাদের বিরুদ্ধে দেশবাসীকেই রুখে দাঁড়াতে হবে। এ তাণ্ডব যারা করেছে, তাদের বিচার দেশবাসীকে করতে হবে।বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সকালে কোটা আন্দোলনের সময় ক্ষতিগ্রস্ত মিরপুর-১০ মেট্রোরেল স্টেশন পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।শেখ হাসিনা বলেন, কোটা আন্দোলনকারীদের যেমন দাবি ছিল তার থেকে বেশি পূরণ করা হয়েছে। তাহলে এখনও কীসের আন্দোলন। তাদের দাবি ক্ষণে ক্ষণে পরিবর্তন হয়েছে। যা ধ্বংসযজ্ঞকে সুযোগ করে দিচ্ছে।তিনি বলেন, গেল ১৬ বছরে দেশের অভাবনীয় উন্নয়ন করা হয়েছে। যার সুফল সাধারণ মানুষ পাচ্ছে। এগুলোর উপর এত ক্ষোভ কেন? রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্টে সাধারণ মানুষেরই কষ্ট হবে। সেটা কি সাধারণ মানুষ ভেবেছে? যারা এই কষ্ট তৈরি করল তাদেরকে জনগণেরই প্রতিহত করতে হবে। এসব তাণ্ডব যারা চালিয়েছে তাদের বিচার জনগণকেই করতে হবে।এ সময় ধ্বংসযজ্ঞকারীদের রুখে দিতে জনসাধারণকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।তিনি বলেন, দেশের মানুষের জীবনমান উন্নতি করতে কাজ করে যাচ্ছি। সাধারণ মানুষ যেন নির্বিঘ্নে কর্মক্ষেত্র পৌঁছাতে পারে সেটা সুনিশ্চিত করা হবে। দেশ যেন আর্থিকভাবে সচ্ছল হতে পারে সেই চেষ্টা করা হবে। এ দেশ মানুষ রক্ত দিয়ে স্বাধীন করেছে সেটা ব্যর্থ হতে পারে না।তিনি আরও বলেন, যে স্থাপনাগুলো মানুষের জীবনকে সহজ করে সেগুলো ধ্বংস করা আসলে কোন ধরনের মানসিকতা। ঢাকা শহর যানজটে নাকাল থাকলেও মেট্রোরেল স্বস্তি দিয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তির এই পরিবহন এভাবে ধ্বংস করেছে তা মানতে পারছি না।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৫ জুলাই ২০২৪