ভোটের ছয় দিন আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন গাজীপুরে দুটি আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হওয়া এম এম নিয়াজ উদ্দিন। তিনি দলের গাজীপুর মহানগরের সভাপতিও।আজ রোববার বিকেলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তের বিষয়টি বাংলা ওয়্যারকে নিশ্চিত করেছেন।গাজীপুর-১ (কালিয়াকৈর ও সিটির একাংশ) ও গাজীপুর-৫ (কালীগঞ্জ ও সদর একাংশ) আসন থেকে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী হন নিয়াজ উদ্দিন। দুটি নির্বাচনী এলাকার গুরুত্বপূর্ণ কিছু এলাকায় পোস্টার ও ব্যানারও সাঁটিয়েছিলেন। কিন্তু প্রচার–প্রচারণা শুরুর ১৩তম দিনে নির্বাচন থেকেই সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেন তিনি।এ বিষয়ে জানতে চাইলে নিয়াজ উদ্দিন বলেন, ‘সরকারের একতরফা নির্বাচন, সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং ব্যক্তিগত কারণে সরে দাঁড়িয়েছি। আমার সরে দাঁড়ানোর বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গেও কোনো আলোচনা হয়নি। মূলত আমি আর পারছি না, যার কারণে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছি।’গাজীপুর-১ (কালিয়াকৈর ও সিটির একাংশ) আসন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী আ ক ম মোজাম্মেল হক ও দলটির স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম (রাসেল) নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ছাড়া গাজীপুর-৫ (কালীগঞ্জ ও সদর একাংশ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মেহের আফরোজ (চুমকি) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আখতারউজ্জামান প্রচার–প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।নির্বাচন থেকে জাতীয় পার্টির প্রার্থীর সরে দাঁড়ানোর বিষয়ে গাজীপুর জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিষয়টি তিনি আমাদের লিখিত বা মৌখিক কোনোভাবেই জানাননি। তবে মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছি। তিনি সরে দাঁড়ালে আমাদের এতে কিছু করার নেই।’
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩
বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদকে ‘জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান’ করা হয়েছে এবং ‘জিএম কাদেরকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে’ – এমন খবরকে ‘ভুয়া’ অভিহিত করেছেন দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে তিনি এক ভিডিওবার্তায় এ দাবি করেন।এর আগে মঙ্গলবার সকালে কাজী লুৎফুল কবীর নামে এক ব্যক্তি নিজে ‘প্রেস নোট (জাপা)’ নামের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, ‘দশম জাতীয় কাউন্সিলকে সামনে রেখে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিলেন জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা ও পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদ’।এই প্রেস নোট দেখে ঢাকার বহু গণমাধ্যম সংবাদ প্রচার করে। পরে জাতীয় পার্টির নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় বিষয়টি সঠিক নয়। রওশন এরশাদের অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে তার নাম ব্যবহার করে একটি মহল এই বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে।জানা গেছে, রওশন এরশাদের নামে ইস্যু করা এই প্রেস বিজ্ঞপ্তির বিষয়টি তিনি নিজেও জানেন না। আবার কো-চেয়ারম্যান হিসেবে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তারা নিজেরাও বিষয়টি জানেন না।এ বিষয়ে মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘এটা ফেক নিউজ। যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, দলের কো-চেয়ারম্যান, তারা এ সিদ্ধান্তে কোনো সাক্ষর করেননি। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী যে কেউ ইচ্ছা করলে চেয়ারম্যান হতে পারে না। কাউকে অব্যাহতি দিতেও পারে না। জাতীয় পার্টি জিএম কাদেরের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আছে।’তার মন্তব্য, ‘এ ধরনের কোনো ঘটনা জাতীয় পার্টিতে ঘটে নাই।’ নেতাকর্মীদের বিভ্রান্তি না হওয়ার আহ্বান জানান চুন্নু।এ বিষয়ে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এটা খুব ফালতু হয়েছে। এসব কিছু জানি না। জাতীয় পার্টি জিএম কাদেরের নেতৃত্বেই ঐক্যবদ্ধ।’এদিকে, রওশন এরশাদের নাম ব্যবহার করে প্রেস বিজ্ঞপ্তিকে ‘ষড়যন্ত্র’ আখ্যা দিয়ে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ করেছে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার দুপুরে বনানীতে দলের চেয়ারম্যানের কার্যালয়ের সামনের সড়কে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।Advertiseme
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২২ আগস্ট ২০২৩
মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি, নানা ধরনের মামলা-মোকদ্দমা এবং দল পরিচালনায় অযোগ্যতা ও অসাংগঠনিক আচরণের কারণে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদপন্থিরা। একই সঙ্গে রওশন এরশাদকে জাতীয় পার্টির নতুন চেয়ারম্যান করার কথা জানানো হয়েছে।মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) রওশন এরশাদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।এতে বলা হয়, জাতীয় পার্টির একাংশের মেয়াদোত্তীর্ণ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। দশম জাতীয় কাউন্সিলকে সামনে রেখে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিলেন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদ।জাতীয় পার্টির সংখ্যাগরিষ্ঠ কো-চেয়ারম্যানদের পূর্বে নেওয়া সিদ্ধান্ত মঙ্গলবার সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করেন বেগম রওশন এরশাদ। সে অনুযায়ী আসন্ন দশম জাতীয় সম্মেলন পর্যন্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।এর আগে জাতীয় পার্টির অধিকাংশ প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ সদস্যের মতামত এবং চারজন কো-চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে পার্টির চলমান ক্রান্তিকাল মোকাবিলায় দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদকে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।গত বছরের ৭ ডিসেম্বরের এক সভার কার্যবিবরণীতে দেখা যায়, মামলা-মোকদ্দমায় জাতীয় পার্টির চলমান অচল অবস্থা নিরসনে পার্টির চারজন কো-চেয়ারম্যান ও দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্য দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদকে সংকট উত্তরণে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। এতে তাদের স্বাক্ষর রয়েছে।এর পরিপ্রেক্ষিতে পার্টির চার কো-চেয়ারম্যান ও দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রধান পৃষ্ঠপোষককে ক্রান্তিকাল মোকাবিলায় অস্থায়ী ভিত্তিতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব অর্পণ করেন। উল্লেখিত কো-চেয়ারম্যানরা হলেন- এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, অ্যাডভোকেট কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম। আর প্রেসিডিয়াম সদস্যরা হলেন- আলহাজ শফিকুল ইসলাম সেন্টু ও ডা. নাছরিন জাহান রত্নী। যা আজ মঙ্গলবার রওশন এরশাদ গ্রহণ করেছেন।জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘আমি কখনো রওশন এরশাদকে দলের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিতে অনুরোধ করিনি। এক বছর, দুই বছর আগের কোনো স্বাক্ষরকে কেন্দ্র করে এ ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানোর সুযোগ নেই।’তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন জিএম কাদেরপন্থি একাধিক নেতা। জিএম কাদেরের প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী বিষয়টি সম্পর্কে কিছু জানেন না বলে জানান। তিনি বলেন, মিটিং কোথায় হয়েছে? কারা উপস্থিত ছিলেন? এটা রওশনপন্থিরা বলতে পারবেন। এ বিষয়ে রওশনপন্থি নেতা ইকবাল হোসেন রাজুও কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২২ আগস্ট ২০২৩
দেশের মানুষ একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব মো. মুজিবুল হক। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের দফা একটি, সুষ্ঠু নির্বাচন।’আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ইইউ প্রতিনিধিদলের সদস্যরা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বিশেষ দূত মশরুর মাওলার গুলশানের বাসায় পৌঁছান। পরে সেখানে জাতীয় পার্টির নেতাদের সঙ্গে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা বৈঠক করেন তাঁরা।বৈঠকে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক ছাড়াও দলটির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জি এম কাদের) ও চেয়ারম্যানের বিশেষ দূত মশরুর মাওলা উপস্থিত ছিলেন।বৈঠক শেষে মুজিবুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘উনারা (ইইউ প্রতিনিধিরা) এসেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের আরেকটি টিম (প্রতিনিধিদল) আসবে ২৩ জুলাই। তাঁরা বিভিন্ন দল ও পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করছেন আগামী নির্বাচনটা যাতে সুষ্ঠু হয়, ভালোভাবে হয়, নিরপেক্ষভাবে হয়—এ বিষয়ে তাঁরা কথা বলছেন। দুটি টিম তাদের মূল্যায়ন প্রতিবেদন দেওয়ার পর তাঁরা সিদ্ধান্ত নেবেন পর্যবেক্ষক পাঠাবেন কি না।’ইইউ প্রতিনিধিদলটি জাতীয় পার্টির কাছে কী জানতে চেয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে মুজিবুল হক বলেন, ‘আমরা বলেছি, নির্বাচন আমরা চাই, দেশের মানুষ চায় একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন। সে নির্বাচনটা যদি করতে হয়, তাহলে নির্বাচন কমিশন এবং সরকারের সবচেয়ে বড় ভূমিকা দরকার। এখন যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, এটা আলোচনার মাধ্যমে সম্ভব। আসলে মূল পদক্ষেপটা সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া প্রয়োজন।’নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে কোনো কথা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে মুজিবুল হক বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে কোনো কথা হয়নি। তাঁরা এটা নিয়ে ইন্টারেস্টেড (আগ্রহী) না।’জাতীয় পার্টি সংলাপ চায় কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে দলটির মহাসচিব বলেন, জাতীয় পার্টি অবশ্যই সব সময় সংলাপ চায়। কারণ, সংলাপ ছাড়া তো কোনো সমস্যার সমাধান হবে না। তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, বড় দুটি রাজনৈতিক দল আজকে দুই পয়েন্টে (অবস্থানে)। দুই দলই বলছে, এক দফা। কিসের এক দফা? আমরা চাই জনগণের স্বার্থে কোনো দফাটফা না; নির্বাচনটা কীভাবে করা যায়, সুষ্ঠুভাবে করা যায়, সবার সহযোগিতায়—সে বিষয়ে সবার একসঙ্গে কথা বলা দরকার।’
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৫ জুলাই ২০২৩
জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে বলে মনে হয় না। নির্বাচনী পরিস্থিতি উন্নয়নে সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে। সরকার চাইলে আমরা দলীয় ফোরামে আলোচনা করে জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে প্রস্তাবনা দেবো।সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর বনানীতে জাপা চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে আলোচনাকালে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন জিএম কাদের।জাতীয় পার্টি আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল জানিয়ে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, সংবিধানের কয়েকটি ধারার কারণেই বিচার বিভাগের পূর্ণ স্বাধীনতায় ঘাটতি আছে। ওই ধারার কারণে বিচার বিভাগ কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। জাপা চেয়ারম্যানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ায় শুধু জাতীয় পার্টি নেতাকর্মীই নয়, দেশের সাধারণ মানুষও খুশি হয়েছে।মামলার কারণে স্বাভাবিক রাজনীতিতে কিছুটা বাধা এসেছে জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দীর্ঘসময় রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকায় জনগণের আস্থা হারিয়েছে। বিএনপিকেও দেশের সাধারণ মানুষ পছন্দ করে না। দেশের মানুষ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বাইরে একটি তৃতীয় শক্তি প্রত্যাশা করছে। জাতীয় পার্টি সেই তৃতীয় শক্তি হিসেবে নির্বাচনে আবির্ভূত হতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। জাতীয় পার্টি তিনশো আসনেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।তিনি বলেন, দেশ থেকে দুর্নীতি, দুঃশাসন, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য দূর করতেই আমরা রাজনীতি করছি। দেশের মানুষ মনে করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির চেয়ে জাতীয় পার্টি দেশ পরিচালনায় অনেক বেশি সফলতা অর্জন করেছে। তাই দেশের মানুষ জাতীয় পার্টিকে বিকল্প শক্তি হিসেবে দেখতে চায়।এর আগে গাজীপুর জেলা জাতীয় পার্টির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন জিএম কাদের। এসময় দলের মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইমাম, হাজি সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, এ বিজয়ের জন্য মহান আল্লাহতায়ালার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এ বিজয়কে আমি রংপুর মহানগরবাসীর কাছে উৎসর্গ করলাম। আপনারা আগের মতো আমার পাশে থাকবেন। আমিও দরজায় পর্দাবিহীনভাবে আপনাদের পাশে থাকব। দুর্নীতি মুক্ত থেকে নগরবাসীর সেবা করার চেষ্টা করব, ইনশাআল্লাহ। এ সময় তিনি জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কথা স্মরণ করে তার রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।তিনি বলেন, ইভিএমে ভোট ধীরগতিতে এবং বিভিন্ন কেন্দ্রের মেশিনের ত্রুটির কারণে ভোট কম পোলিং হয়েছে। যদি স্বাভাবিকভাবে ভোট হতো এবং কাঙ্ক্ষিত ভোট পোল হতো তা হলে এবার আমি দুই লাখ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হতাম।নির্ধারিত সময় সাড়ে ৪টায় হলেও অনেক কেন্দ্রে ভোট হয়েছে সন্ধ্যা পর্যন্ত। একদিকে অনেক কেন্দ্রের ফল ঘোষিত হয়েছে, আর অনেক কেন্দ্রে চলেছে ভোট। ইভিএমে ভোট ধীরগতিতে হওয়ায় যারা সাড়ে ৪টার আগে কেন্দ্রে প্রবেশ করেছিলেন তাদের ভোট নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত ছিল সাড়ে ৪টার পরও যেসব কেন্দ্রের ভেতরে মানুষ থাকবে, সেখানে ভোটগ্রহণ করা হবে।এর আগে মঙ্গলবার রাত সোয়া ১২টার দিকে রংপুর শিল্পকলা একাডেমিতে তাকে নির্বাচিত ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন।প্রসঙ্গত, এক লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৮ ভোট পেয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিশাল ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন তিনি। সরকারদলীয় প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়ার চেয়ে এক লাখ ২৪ হাজার ৫৫৯ ভোট বেশি পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী আমিরুজ্জামান পিয়াল হাতপাখা প্রতীকে পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৮৯২ ভোট। ৩৩ হাজার ৮৮৩ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন হাতি প্রতীকের স্বতন্ত্রপ্রার্থী (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) লতিফুর রহমান। আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডালিয়া পেয়েছেন ২২ হাজার ৩০৯ ভোট।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৮ ডিসেম্বর ২০২২
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না বলে আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এ বিষয়ে নিম্ন আদালতে চলমান মামলা আগামী ৯ জানুয়ারির মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।একই সঙ্গে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে জিএম কাদের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন বলে দেওয়া হাইকোর্টের আদেশ বাতিল করেছেন আপিল বিভাগ।বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।এদিকে জাপার সাবেক এক নেতার করা মামলায় আদালতের আদেশের কারণে গত ৩০ অক্টোবর থেকে জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদের দলীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ থেকে দূরে আছেন।গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জি এম কাদের ও রওশন এরশাদের সাক্ষাতের পর জাপার সঙ্গে সরকারের সম্পর্কে যে টানাপোড়েন চলছে, সেটার একটা সুরাহা হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, সংখ্যায় সাতজন হলেও জাতীয় সংসদ থেকে বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগে সরকার রাজনৈতিকভাবে কিছুটা হলেও চাপে পড়েছে। ফলে সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাপার গুরুত্ব সরকারের কাছে বেড়েছে। তাই রাজনৈতিক কৌশলগত কারণে বিএনপির শূন্য আসনগুলো জাপাকে দিতে চায় সরকার।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৫ ডিসেম্বর ২০২২
জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের বলেছেন, ‘সরকার মানুষের পেটে তিনবার লাথি মেরেছে। একবার রিজার্ভ সংকটের ফলে ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন করে। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে বেশি দামে আমদানি করে দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে দেয়। আবার তেলের দাম বাড়িয়ে মানুষের পেটে লাথি মারা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘দেশ আল্লাহর ওয়াস্তে চলছে। সরকার আছে বলে মনে হচ্ছে না। সব সেক্টরে দুর্নীতি হচ্ছে।’শুক্রবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ সনাতন পার্টির (বিএসপি) আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জিএম কাদের এসব কথা বলেন।বিদ্যুৎ-জ্বালানি এ দুই খাতকে দুর্নীতির আখড়া উল্লেখ করে জিএম কাদের বলেন, ‘আমি জ্বালানি খাতে চাকরি করেছি। অয়েল সেক্টরে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা আছে। অনেক পরিচিত লোক থাকায় আমি দুর্নীতির অনেক খবর পাই।’জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘দেশে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় ব্যবসার নামে আমলাদের সহযোগিতায় লুণ্ঠনের রাজত্ব কায়েম হয়েছে। দুর্নীতির কারণে ভালো উদ্যোগ সফল হচ্ছে না। দলীয় লোক, যাদের টাকা-পয়সা আছে, তাদের লিস্ট করে টিসিবির কার্ড দেওয়া হচ্ছে। দেশের জনগণ এগুলো থেকে মুক্তি চায়।’
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৬ আগস্ট ২০২২
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য দেশের সার্বভৌমত্ব প্রশ্নবিদ্ধ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের। তিনি বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাম্প্রতিক বক্তব্যের দায় সরকার এড়াতে পারে না। এমন বক্তব্যে প্রতিবেশী বন্ধু দেশ ভারতকেও অস্বস্তিতে ফেলেছে। শনিবার (২১ আগস্ট) দুপুরে বনানী জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের কার্যালয় মিলনায়তনে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।দুর্নীতির মাধ্যমে প্রতিবছর দেশ থেকে লাখো-কোটি টাকা পাচার হচ্ছে উল্লেখ করে জিএম কাদের বলেন, জবাবদিহিতার অভাবে দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়েছে প্রতিটি ক্ষেত্রে। কেউ দুর্নীতির সমালোচনা করলে সরকার তাকে ষড়যন্ত্রকারী ও রাষ্ট্রবিরোধী মনে করে। সঠিকভাবে দেশ পরিচালনা করতে চাইলে, সমালোচনা শুনতে হবে এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।জিএম কাদের বলেন, হিন্দু শাস্ত্রমতে শিষ্টের লালন আর দুষ্টের দমনের জন্যই শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব। কিন্তু এখন দেশে চলছে, দুষ্টের লালন আর শিষ্টের দমন। এখন শুধু সংখ্যালঘু সম্প্রদায় দেশ ছেড়ে যাচ্ছেন না, এখন মুসলিমরাও সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বৈষম্যের শিকার হয়ে দেশ ছেড়ে যাচ্ছেন। এখন সৎ মানুষ হলে চাকরি মেলে না, আদর্শবান হলে ব্যবসা করতে পারছেন না। বেঁচে থাকার তাগিদেই এখন দেশ ছেড়ে অন্যদেশে যাচ্ছে সবাই।জিএম কাদের বলেন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কথা উঠলে সরকারের পক্ষ থেকে এটিকে হাস্যকর হিসেবে উড়িয়ে দেওয়া হয়। ফলে সারাবিশ্বের কাছে আমরা মিথ্যেবাদী রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত হচ্ছি। দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। মানুষ নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে প্রতিনিধি নির্বাচন করবে। আবার প্রতিনিধি পছন্দ না হলে ভোটের মাধ্যমে পরিবর্তন করার অধিকার চায়। প্রজাতন্ত্র মানে দেশের মালিকানা সাধারণ মানুষের। দেশের মালিকানা সাধারণ মানুষের না থাকলে এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত না হলে কখনোই দুর্নীতি রোধ করা সম্ভব হবে না।এ বছর সরকারকে ৮০ থেকে ৯০ হাজার কোটি টাকা ঋণের সুদ দিতে হচ্ছে উল্লেখ করে সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, ২-১ বছরে আসলসহ সুদের টাকা পরিশোধ করতে হবে। তখন অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে পড়তে পারে দেশ। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, তখন শ্রীলঙ্কার মতো দেউলিয়া হতে পারে দেশ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২০ আগস্ট ২০২২
৫১ শতাংশেরও বেশি জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নির্দয় ও নজিরবিহীন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের। তিনি বলেছেন, জ্বালানি তেলের এমন মূল্যবৃদ্ধিতে জনজীবনে মহাবিপর্যয় সৃষ্টি হবে। প্রমাণ হলো দেশের মানুষের প্রতি সরকারের কোনো দরদ নেই। শনিবার (৬ আগস্ট) এক বিবৃতিতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, অকটেনের মূল্য এক লাফে ৫১ দশমিক ৬৮ শতাংশ বেড়ে প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকায়। ৮৬ টাকা লিটারের পেট্রোলের দাম ৫১ দশমিক ১৬ শতাংশ বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ৪২ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে প্রতি লিটার ৮০ টাকার বদলে বিক্রি হচ্ছে ১১৪ টাকায়। অথচ বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেলের দাম এখন নিম্নমুখী। গত ৪/৫ মাসে বিভিন্ন স্থানে বেঞ্চমার্ক ক্রুড অয়েলের দাম কমেছে ২৯ থেকে ৩০ শতাংশ উল্লেখ করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ইউএস বেঞ্চমার্ক ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ৮৯ ডলারের নিচে নেমে গেছে। গত মার্চে যার দর উঠেছিল ১২৪ ডলারে। আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্ক ব্রেন্ট ক্রুড প্রতি ব্যারেল বিক্রি হচ্ছে ৯৪ ডলারে। সারাবিশ্বে যখন জ্বালানি তেলের দাম কমতে শুরু করেছে, তখন দেশে তেলের মূল্য বৃদ্ধি সব মহলকে হতাশ করেছে। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে বেড়ে যাবে পরিবহন ব্যয় উল্লেখ জিএম কাদের আরও বলেন, নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাবে কয়েকগুণ। পাশাপাশি দেশীয় পণ্যের উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাবে, বাড়বে দামও। এতে রপ্তানি শিল্পেও বিপর্যয় সৃষ্টি হবে। ভয়াবহ পরিণতির দিকে অগ্রসর হবে দেশের অর্থনীতি। হাহাকার উঠবে সাধারণ মানুষের পরিবারে। তাই জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির গণবিরোধী সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ করছি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৬ আগস্ট ২০২২
দেশে রাজনীতি নেই বলে দাবি করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের। তিনি বলেছেন, দেশে রাজনীতি করার পরিবেশ সীমিত হয়ে গেছে।বুধবার (৩ আগস্ট) বিকেলে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে জাতীয় ছাত্র সমাজের সাবেক নেতাদের সঙ্গে এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।জি এম কাদের বলেন, দেশের মানুষের কথা বলার অধিকার সীমিত হয়ে পড়েছে। এটা গণতান্ত্রিক চর্চার জন্য বড় ধরনের হুমকি। জাপা মানুষের বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতার জন্য কাজ করছে।জাতীয় পার্টি গণমানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে রাজনীতি করছে - দাবি করে সাবেক এ প্রতিমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচিত করার অধিকার ছিনতাই হয়ে গেছে। আমরা মানুষের সব অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করব।এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক ছাত্রনেতা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হেলাল উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন, হুমায়ুন খান, দেলোয়ার হোসেন খান মিলন, যুগ্ম ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ফয়সাল দিদার দিপু, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য শামীম আহমেদ রাজীব, এ কে এম সাজ্জাদ পারচেজ, রেজাউর রাজী স্বপন চৌধুরী, রাকিব খান প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৪ আগস্ট ২০২২
দেশের মালিকানা ছিনতাইজাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের বলেছেন, জনগণের থেকে দেশের মালিকানা ছিনতাই হয়ে গেছে।গতকাল জাপা বনানী চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জি এম কাদের এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক ও সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত প্রেসিডিয়াম সদস্য জহিরুল আলম রুবেলকে শুভেচ্ছা জানান জাপা চেয়ারম্যান।জি এম কাদের বলেন, দেশের প্রকৃত মালিক জনগণ। তারা যাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করবে তারাই জনগণের মতামতের ভিত্তিতে দেশ পরিচালনা করবেন। কিন্তু এখন দেশের মালিকানা সাধারণ মানুষের কাছে নেই। তিনি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে যে দল পরাজিত হবে তারা হয়তো নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এমন বাস্তবতায় দাঁড়িয়েছে। এজন্য দেশের রাজনৈতিক নেতারাই দায়ী। তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশের সরকার পরিবর্তন হয়, আবার শান্তিপূর্ণভাবে সরকার গঠন হয়। আবার সরকারের কেউ পদত্যাগ করলে শান্তিপূর্ণ ভোটের মাধ্যমে তা পূরণ হয়। কিন্তু আমাদের দেশের বাস্তবতা ভিন্ন। এখানে নির্বাচন যেন যুদ্ধ, নির্বাচনে পরাজিত হলে তাকে মরতে হবে। জাপা চেয়ারম্যান বলেন, এমন বাংলাদেশের জন্য মুক্তিযুদ্ধ হয়নি। এমন বাংলাদেশের জন্য বীর শহীদরা আত্মত্যাগ করেননি।এ সময় বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার বাস্তবতা অনেকটাই এক বলে মন্তব্য করেন জি এম কাদের। তিনি বলেন, অভিযোগ আছে লুটপাটের কারণে মেগা প্রকল্পগুলোয় অনেক বেশি ব্যয় হয়। ফলে ওই প্রকল্পের আয় দিয়ে ঋণ শোধ করা অসম্ভব হয়ে পড়তে পারে। কিন্তু যখন সুদসহ ঋণ পরিশোধ করতে হবে, তখন দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ পেতে পারে এমন আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২১ জুলাই ২০২২