আওয়ামী লীগ


রাজধানীতে যুব ও মহিলালীগ কর্মী ইয়াসমিনের বাসায় হামলা লুটপাট ও বাড়ি দখল

রাজধানীতে যুব ও মহিলালীগ কর্মী ইয়াসমিনের বাসায় হামলা লুটপাট ও বাড়ি দখল

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের যুব ও মহিলালীগের সক্রিয় কর্মী ইয়াসমিন আক্তারের ফ্লাট বাসায় হামলা চালিয়ে দখল করে নেয় দূর্বৃত্তরা, সাথে ভাংচুর ও লুটপাট করে ঐ ফ্লাটের ভারাটিয়াদের বের করে দেওয়া হয় । এছাড়াও গ্রামের বাড়ির জমি ও বসত ভিটা দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে।গেল ৫ আগষ্ট ছাত্র জনতার গণ আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে চলে যান আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা পদত্যাগের পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রাণভয়ে আত্মগোপনে চলে যান, এই সুযোগে সারাদেশে অরাজকতার সৃষ্টি হয়। সারাদেশে ভাংচুর, লুটপাট চালায় কিছু দূর্বৃত্তরা। ৭ আগষ্ট বুধবার আনুমানিক বিকাল ৩টায় এই ঘটনার শিকার হয়েছেন রাজধানীর মোহাম্মদপুর খিলজি রোডের 'ব্লক বি' এর টিসিএল মাছুদ গার্ডেনের ৬ তলার ইয়াসমিন আক্তারের ফ্লাটে।জানা যায়, জোর জবরদস্তি করে ফ্লাট দখল করে নিয়েছে এলাকার কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী। এছাড়াও ইয়াসমিনের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার জেলার তিতাস উপজেলার পৈত্রিক সম্পত্তি জোর করে দখল করে দূর্বৃত্তরা। এলাকার পরিচিত মুখ হওয়ায় এবং রাজনীতিতে সক্রিয় থাকায় ইয়াসমিন আক্তার প্রাণের ভয়ে তার মেয়ের পরিবারের সাথে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন। বাংলাদেশে প্রবেশ করলে প্রাণনাশের আশঙ্কা আছে বলে জানান তিনি।এবিষয়ে মুঠোফোনে কথা হয় ঢাকায় থাকা ইয়াসমিন আক্তারের দ্বিতীয় মেয়ের সাথে, তিনি বলেন- আমার মা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করায় ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে আমাদের ঢাকায় ফ্লাট ও গ্রামের পৈত্রিক সম্পত্তি দখল করে।আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী হওয়ায় বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে ইয়াসমিন দেশে ফিরতে পারবেন কি না এবিষয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে আছেন তিনি।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ আগস্ট ২০২৪


দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনাই আ. লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বার্তা

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনাই আ. লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বার্তা

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাজনীতি করলে কি ব্যবসা করার অধিকার থাকবে না? রাজনীতিবিদরা চাঁদা তুলে ভাত খাবে? চাঁদা তুলে পরিবার চালাবে? ব্যবসা করলে তো আপত্তি নেই। সৎ ব্যবসা করলে আপত্তি নেই। অসৎ ব্যবসায়ী ও দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। আমাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স।আজ (শনিবার) সকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিতব্য সভার স্থান পরিদর্শনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গিয়েছিলেন ওবায়দুল কাদের।তিনি বলেন, কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত আমরা প্রস্তুত, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজন সম্পন্ন। আওয়ামী লীগের শোভাযাত্রা আনন্দঘন, উৎসবমুখর হয়েছে। আগামীকাল প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতেও স্বতঃস্ফূর্ত, সুশৃঙ্খল ও আনন্দঘন উপস্থিতি হবে এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।নির্দ্বিধায় বলতে পারি, বাঙালির জীবনে দুটি শ্রেষ্ঠ অর্জন তা আওয়ামী লীগের হাত ধরে।’৭৫ বছরে আওয়ামী লীগের কোনো অপ্রাপ্তি রয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, অপ্রাপ্তির বিষয় সেভাবে দেখছি না। প্রাপ্তির খাতায় হিসেব করে এগিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশের রাজনীতিতে অপ্রাপ্তিটা রাজনৈতিক। আমাদের অসমাপ্ত কাজ বিজয়কে সুসংহত করতে পারিনি৷সাম্প্রদায়িকতা বিজয়কে সুসংহত করার পথে অন্তরায় হয়ে আছে। এই সাম্প্রদায়িক ও জঙ্গিবাদী শক্তিকে পরাজিত করা ও পরাভূত করা আমাদের বিজয়কে সুসংহত করবে।আগামীর জন্য আওয়ামী লীগের নতুন বার্তা কী? জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের বার্তা নতুন কিছু না। আমরা আমাদের পার্টির নির্বাচনী ইশতেহার দিয়েছি, সেই ইশতেহার বাস্তবায়ন... আমরা একদিক থেকে বলতে পারি দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনা ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা জরুরি, এটা আমাদের অঙ্গীকার।আমাদের অনেক উন্নয়ন কাজ চলমান, যেমন আন্ডারগ্রাউন্ড মেট্রো, এমআরটি লাইন ১ ও ৫, মাতারবাড়ি, পায়রা, রূপপুর এই কাজগুলো সুসম্পন্ন করতে হবে। এটাই দায়িত্ব ও কর্তব্য। আমরা রাজনীতি করি মানুষের জন্য। মানুষের সঙ্গে ছিলাম, আছি ও থাকব।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২২ জুন ২০২৪


ছাত্র রাজনীতি বন্ধের নামে বুয়েট যাতে জঙ্গিবাদের কারখানায় পরিণত না হয়: কাদের

ছাত্র রাজনীতি বন্ধের নামে বুয়েট যাতে জঙ্গিবাদের কারখানায় পরিণত না হয়: কাদের

বুয়েট শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, 'আমি রাজনীতি করি, সে জন্য বুয়েটে আমি যেতে পারব না? এটা কোন ধরনের আইন?'আজ রোববার সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে চট্টগ্রাম বিভাগের নেতাদের সঙ্গে মত বিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, 'আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা অপকর্ম-অন্যায়ের বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করেন এবং সেই নীতিতেই আমরা এগিয়ে চলছি। আজকে বিশ্বজিৎ হত্যার বিচার করতে গিয়ে আমাদের আমাদের অনেক কর্মী দণ্ডিত হয়েছে। তারপর বুয়েটে আবরার হত্যাকাণ্ডে আমরা কাউকে ছাড় দেইনি। শেখ হাসিনা কাউকে ছাড় দেননি।'তিনি বলেন, 'এখানে সেদিন যা ঘটেছে, কেউ তো ওখানে রাজনৈতিক কোনো কর্মসূচি পালন করতে যায়নি! সেখানে তো কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল না। আজকে আমি রাজনীতি করি, সে জন্য বুয়েটে আমি যেতে পারব না? এটা কোন ধরনের আইন? এটা কোন ধরনের নিয়ম?'আমরা পরিষ্কার একটা কথা বলতে চাই, ঘটনার তদন্ত চলছে। আমরা খতিয়ে দেখছি। ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করার নামে বুয়েটকে একটা অপরাজনীতি-জঙ্গিবাদের কারখানায় রূপান্তরিত করা হবে, পরিণত করা হবে—এটা যাতে না হয়। আমরা তদন্ত করে দেখছি, এ ধরনের কিছু পাওয়া গেলে সরকারকে অ্যাকশনে যেতে হবে,' বলেন তিনি।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩১ মার্চ ২০২৪


বাড়তে পারে মন্ত্রিসভার পরিধি : ওবায়দুল কাদের

বাড়তে পারে মন্ত্রিসভার পরিধি : ওবায়দুল কাদের

সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচনের পর বর্তমান মন্ত্রিসভার পরিধি বাড়তে পারে বলে জানালেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।আজ সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।গত ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর ১১ জানুয়ারি টানা চতুর্থবারের মতো আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়। তাতে প্রধানমন্ত্রীসহ নতুন মন্ত্রিসভার সদস্য ৩৭ জন। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ছাড়া ২৫ জন মন্ত্রী ও ১১ জন প্রতিমন্ত্রী রয়েছেন।বর্তমান মন্ত্রিসভার পরিধি বাড়ছে কি না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটি প্রধানমন্ত্রী বলতে পারেন। তবে সময়মতো কিছু, যেমন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়—এগুলোয় কোনো না কোনো সময় মন্ত্রী আসবেন। প্রসঙ্গত, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে বর্তমানে আলাদা মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী নেই। এগুলোর দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রীর হাতে রয়েছে।ওবায়দুল কাদের মনে করেন, সংরক্ষিত আসনের নির্বাচনের পর নির্বাচিত নারীদের মধ্য থেকে মন্ত্রী হতে পারেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪


সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়ন ফর্ম বিক্রি শুরু, ফরম কিনলেন অপু বিশ্বাস, নিপুন

সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়ন ফর্ম বিক্রি শুরু, ফরম কিনলেন অপু বিশ্বাস, নিপুন

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মাঝেও দেখা যাচ্ছে তারকাদের। এ দলে রয়েছেন ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস। আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন তিনি।মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র কিনেছেন তিনি। মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের পর সবার কাছে দোয়া চান অভিনেত্রী।সংরক্ষিত আসনে সংসদ সদস্য হওয়ার ইচ্ছা আগেই প্রকাশ করেছিলেন অপু বিশ্বাস। সেসময় বলেছিলেন, ‘আমি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সংরক্ষিত আসন থেকে মনোনয়নপত্র কিনেছিলাম। এবারও মনোনয়ন কিনতে চাই।’তিনি আরও বলেছিলেন, ‘মনোনয়ন পেলে নারীদের নিয়ে কাজ করতে চাই। সবাই জানেন, আমি মনে-প্রাণে আওয়ামী লীগ ধারণ করি। সে কারণেই সংরক্ষিত আসনের মনোনয়ন চাই। আমার বিশ্বাস, এই দায়িত্ব পালন করার মতো যোগ্যতা আমার আছে।’এছাড়াও মনোনয়নপত্র কিনেছেন অভিনেত্রী শাহনূর ও সোহানা সাবা। জানা গেছে সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকায় যোগ হতে পারে আরও কয়েকজন তারকার নাম।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪


স্বতন্ত্র এমপিরা স্বতন্ত্রই থাকবেন : কাদের

স্বতন্ত্র এমপিরা স্বতন্ত্রই থাকবেন : কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, স্বতন্ত্র এমপিরা স্বতন্ত্রই থাকবেন। তবে তারা সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করতে পারবেন। এ কথাটাই আমাদের সংসদ নেতা দলের সভাপতি শেখ হাসিনা পরিষ্কারভাবে বলেছেন।রোববার (২৮ জানুয়ারি) রাতে গণভবনে স্বতন্ত্র এমপিদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।তিনি বলেন, নির্বাচন উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে কিছু সংঘাত, সহিংসতা ও অন্তঃকোন্দল ছিল। কোথাও কোথাও বিচ্ছিন্নভাবে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটছে। এটা আর হতে দেওয়া যাবে না। তারা সবাই আওয়ামী লীগেই থাকতে চান বলে জানিয়েছেন। ভিন্ন কোনো নামে পরিচয় দিতে গেলে তাদের আবেগ আহত হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৮ জানুয়ারি ২০২৪


শেখ হাসিনার সরকারকে কোনো বিদেশি শক্তি বসায়নি :  কাদের

শেখ হাসিনার সরকারকে কোনো বিদেশি শক্তি বসায়নি : কাদের

বিএনপির উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আমাদের সরকার কোনো বিদেশি শক্তি বসায়নি। বাংলাদেশের জনগণের ভোটে শেখ হাসিনা নির্বাচিত হয়েছেন।’ আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর গুলিস্তানে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে অনুষ্ঠিত শান্তি ও গণতন্ত্র সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিদেশিদের ভয় দেখান? ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ লোকের ভোটারের ভোটে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠিত হয়েছে। এই সরকার জনগণের সরকার, নির্বাচিত সরকার। যেখানে ২৮ দল নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। চীন বা রাশিয়া আমাদের বন্ধু হতে পারে। আমাদের সরকার কোনো বিদেশি শক্তি বসায়নি। বাংলাদেশের জনগণের ভোটে শেখ হাসিনা বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছে।’ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কোথায় অক্টোবরের ২৮ তারিখ? সময় ঠিক এ রকম। কোথায় ছিলেন এত দিন, কোথায় ছিলেন গয়েশ্বর বাবু? তিনি আজ (শনিবার) পল্টনে হাজির হয়েছেন। বলেছিলেন, অলিগলি খুঁজে পাব না, আমরা পালিয়ে যাব। কে পালিয়েছে? ডিবি অফিসে কোরাল মাছ খেয়ে পালিয়েছিল কারা? গয়েশ্বর বাবু অলিগলি খুঁজে পাননি। দোকানের ভেতরে ঢুকেছিল। দোকানদার বলে, আপনি কে? বলে, আওয়ামী লীগের গুন্ডারা তাড়া করেছে। দোকানদার বলে, আমিও আওয়ামী লীগ। যাবে কোথায়?’ কাদের বলেন, ‘দেখতে দেখতে ১৫ বছর। সামনে আরও ৫ বছর। মানুষ বাঁচে কয় বছর! কবে হবে আন্দোলন? এই বছর না ওই বছর? রোজার পর না কোরবানির পর? কবে হবে আন্দোলন? কোন বছর?’ বিএনপিকে ভুয়া বলে কাদের বলেন, ‘বিএনপি আবার মাঠে নেমেছে। ভুয়া তো তারা চিরজীবন। আন্দোলন করে ভুয়া হয়ে গেছে। এই আন্দোলনে জনগণ সাড়া দেয় না। অবরোধ ডাকে কেউ শোনে না, হরতাল ডাকে রাস্তায় যানজট। বিএনপির আন্দোলন-অবরোধ-হরতাল, এক দফা ভুয়া। বিএনপি মানেই হচ্ছে ভুয়া।’ কাদের বলেন, ‘মাঠে নেমেছেন। কালো পতাকা মিছিল। কালো পতাকা মানে হচ্ছে শোক মিছিল। এ আরেক ভুয়া। আন্দোলনের নামে ভুয়া। ৩০ তারিখে (জানুয়ারি) আবার ডাকছে। সেটাও ভুয়া। লোকজন নেই, জনগণ নেই, নেতা-কর্মীরা হতাশ। তাদের নেতা লন্ডনের তারেক জিয়ার প্রতি কোনো আস্থা নেই। নেতা-কর্মীরা এখন আর তারেকের ফরমায়েশিতে কান দেয় না। বাংলাদেশের জনগণ তো নেই।’ খেলা একটা হয়ে গেছে মন্তব্য করে কাদের বলেন, ‘নির্বাচনের খেলা শেষ পাঁচ বছরের জন্য। এখন খেলা হবে রাজনীতির। এখন খেলা হবে দুর্নীতি, সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদ, হরতাল, আগুন-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে। ৩০ তারিখ আবার কালো পতাকা মিছিল। সেদিন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মহানগর, জেলা, সকল উপজেলায় আপনারা লাল-সবুজ পতাকা হাতে গণতন্ত্র, শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করবেন। সারা দেশে আমাদের নেতা-কর্মীরা পাহারায় থাকবেন। এই অপশক্তিকে আমরা আর বাড়তে দিতে পারি না। তাদের রুখতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৭ জানুয়ারি ২০২৪


দেশ প্রেমিক সরকার হিসেবে আওয়ামী লীগ দ্রব্যমূল্য কমাতে ব্যবস্থা নিচ্ছে-কাদের

দেশ প্রেমিক সরকার হিসেবে আওয়ামী লীগ দ্রব্যমূল্য কমাতে ব্যবস্থা নিচ্ছে-কাদের

দেশ প্রেমিক সরকার হিসেবে আওয়ামী লীগ দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন,কারো স্বীকৃতির জন্য সরকার অপেক্ষায় বসে নেই। কারো রিকগনিশনের জন্য চাতক অপেক্ষায় বসে আছি, নির্বাচিত সরকার এমন দেউলিয়া অবস্থায় পড়েছে- এটা মনে করার কোন কারণ নেই। তিনি আজ দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে এ কথা জানান। তিনি বলেন, বিএনপি হিংসায় জ্বলছে। কারণ তারা নির্বাচনে অংশ না নিলেও দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করেছেন। বিএনপি এখন ঈর্ষাকাতর।সেতুমন্ত্রী বলেন, আন্দোলনের নামে বিএনপি সহিংসতার আশ্রয় নিলে তার বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তাদের দায়িত্ব পালন করবে এবং রাজনৈতিকভাবে আমরাও মোকাবেলা করব। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি'র তথাকথিত আন্দোলনের রুপরেখা কেউ দেখেনি। তাদের আন্দোলনের বিষয়টি স্পষ্ট নয়। তথাকথিত আন্দোলনের ডাক দিয়ে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি এখন দেশি-বিদেশে হাসি তামাশার পাত্রে পরিণত হয়েছে। তাদের কথিত আন্দোলন দেশের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি ধ্বংসের পাঁয়তারা বলে মনে করি। ওবায়দুল কাদের বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি দেয়ার অধিকার বিএনপির আছে। কিন্তু আন্দোলনের নামে যদি তারা ২৮ অক্টোবর এবং এ পরবর্তী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট করে, মানুষ পুড়িয়ে মারে, জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথ পদক্ষেপ নিবে। প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক ও দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া সহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২১ জানুয়ারি ২০২৪


সর্বাধিক পঠিত

বিএনপি'র কিলিং এজেন্ট আওয়ামী লীগ নেতা অথবা কোন প্রার্থীকে হত্যা করতে পারে: কাদের

বিএনপি'র কিলিং এজেন্ট আওয়ামী লীগ নেতা অথবা কোন প্রার্থীকে হত্যা করতে পারে: কাদের

এবারের নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে নির্বাচন বিরোধী অপতৎপরতার জবাব দিতে ৭ জানুয়ারি দলে দলে ভোটকেন্দ্রে আসতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আজ দুপুরে নোয়াখালীর কবিরহাটে চাপরাশিরহাটে পথসভায় তিনি বলেন, আজকে বিএনপি কোন প্রার্থী ও নামী কোন নেতাকে হত্যার জন্য কিলিং এজেন্ট তৈরি করছে। লন্ডন থেকে নির্দেশ আসছে। তারেক রহমানের সাহস নেই, থাকলে দেশে আসুক। আজকে আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি দেশে নির্বাচন পন্ড করতে লাশ ফেলার রাজনীতি করতে চায়। ওরা ৭৫ এ ১৫ আগস্ট, ৩ রা নভেম্বর জেল হত্যা করেছে মোস্তাক জিয়াউর রহমান। তারেক রহমান, খালেদা জিয়া ২০০৪ গ্রেনেড হামলা করেছে শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্য। যেখানে আইভি রহমানসহ ২৩ প্রাণ ঝরে গেছে। আমি সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। এদেরকে প্রতিরোধ করতে হবে। ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ অস্ত্রবাজি, গোলাবাজিতে বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগের অস্ত্র জনগণ। জণগণের শক্তিতেই ৭১ মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্রের আন্দোলন করেছি। ৭ জানুয়ারি শেখ হাসিনা টানা ৪র্থ বার, ৫বাবের মতো বিজয়ী হবেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ৭১ এ কাউকে ভয় পায় নি। এ নির্বাচনে যত বাধাই আসুক, বিদেশি শক্তি নির্বাচন নিয়ে পরামর্শ দিলে আমরা শুনব, কিন্তু বিএনপির সুরে উসকানি দিলে মেনে নিবো না।ওবায়দুল কাদের বলেন, বরিশালে শেখ হাসিনার সমাবেশ এটাই প্রমাণ করে - এই নির্বাচনে ভোট দেয়ার জন্য জনগণ উন্মুখ হয়ে আছে। এই নির্বাচন বাধা দিয়ে ঠেকানোর ক্ষমতা কারো নেই। পথ সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, বিএনপি লাল কার্ড খেয়ে পালিয়ে গেছে। এখন লিফলেট বিতরণের আন্দোলন করে। বিএনপির কোমর, হাটু ভেঙে গেছে, আর দাড়াতে পারবে না।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩


বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে বিদেশীদের মাথাব্যথা নেই, তারা ইউক্রেন, গাজা নিয়ে ভাবছে: কাদের

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে বিদেশীদের মাথাব্যথা নেই, তারা ইউক্রেন, গাজা নিয়ে ভাবছে: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, নির্বাচনের বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চেয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধি দল। মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ইইউ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি এই কথা জানান।ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা ইইউকে জানিয়েছি, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থেকে নির্বাচন করতে হচ্ছে। একে ঘিরে সারাদেশে ভোটারদের মধ্যে স্বতঃস্ফূর্ততা বিরাজ করছে। আশা করি, নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক হবে।তিনি বলেন, বিএনপি সহিংসতা করছে। বাংলাদেশে খোমেনি আদলে বিপ্লব হবে- এমন দুঃস্বপ্ন দেখছে তারা। কিন্তু এটা আদৌ সম্ভব নয়। কারণ, এদেশ নিয়ে বিদেশিদের এখন মাথাব্যথা নেই। ইউক্রেন, গাজা নিয়ে ভাবছে তারা।মন্ত্রী বলেন, ইইউকে বলেছি, ওয়েস্ট মিনিস্টার গণতন্ত্রের নতুন একটা কৌশল এবং মডেল আমরা তৈরি করতে যাচ্ছি। এবারের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা কাজ করতেই পারেন। তাতে আমাদের কোনও সমস্যা নেই।তিনি আরও বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদে বিরোধী দল কে হবে, সেই বিষয়ে ইইউ প্রতিনিধি দলের সদস্যরা জানতে চেয়েছেন। তারা বলার চেয়ে শুনতে আগ্রহী ছিলেন বেশি।এসময় আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, উপ-দপ্তর সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ এ আরাফাত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩


নির্বাচনে বাধাদানকারীদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিতে যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টি আকর্ষণ আ’লীগের

নির্বাচনে বাধাদানকারীদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিতে যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টি আকর্ষণ আ’লীগের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সংঘাতের আশঙ্কা সব সময় থাকেই। তবে এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অব্যাহত থাকবে। যারাই নির্বাচনের পরিবেশ দূষিত করবে, সংঘাতে জড়াবে, তাদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।নির্বাচনে বাধাদানকারীদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যারা নির্বাচন অনুষ্ঠানে বিঘ্ন সৃষ্টি করবে, তাদের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া এবং তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা—এটা তো যুক্তরাষ্ট্রের বহুল প্রচারিত ঘোষণা। এনডিআইসহ যে পাঁচ মার্কিন প্রতিনিধি এখন বাংলাদেশে আছেন, এ বিষয়ে তাঁদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।১৫ বছরে ব্যাংক খাত থেকে ৯২ হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়েছে—বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) এমন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সিপিডি যেহেতু অনিয়মের অভিযোগ এনেছে, তাদেরই বলতে হবে সেই টাকাগুলো কোথায় আছে। তারা যদি বিস্তারিত তথ্য দেয়, আমরা সেই টাকা দেশে ফিরিয়ে আনব।’এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচনের বিরুদ্ধে বিএনপি লিফলেট বিতরণ করবে কেন? অসহযোগ করবে কেন? আসলে নির্বাচনের বিরুদ্ধে শান্তির প্রোগ্রাম হয় না। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতেই বিএনপির এই প্রোগ্রাম।’সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, উপদপ্তর সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য তারানা হালিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩


আ’লীগের মনোনয়ন যারা পেলেন, যারা বাদ পড়লেন

আ’লীগের মনোনয়ন যারা পেলেন, যারা বাদ পড়লেন

সারা দেশে ৩০০ আসনেই দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। আজ রোববার বিকেলে তালিকা প্রকাশ করা হবে। আওয়ামী লীগের পার্লামেন্টারি বোর্ডের একাধিক সদস্য জানিয়েছেন, আলোচিত অনেকে বাদ পড়তে পারেন। বাদ পড়া সদস্যের সংখ্যা অর্ধশত হতে পারে। এমন অনেকেই মনোনয়ন পেতে পারেন, যাঁরা এই প্রথম দলের প্রার্থী হতে যাচ্ছেন। দলটির কেন্দ্রীয় নেতা সেলিম মাহমুদ, আহমদ হোসেন, শফিউল আলম চৌধুরী প্রথমবারের মতো দলীয় মনোনয়ন পেতে পারেন। অনেক নতুন মুখ আসতে পারে।তবে বর্তমান মন্ত্রিসভার সদস্যদের কেউ বাদ পড়ছেন না বলেও দলটির সূত্রগুলো জানাচ্ছে।গত বৃহস্পতিবার থেকে আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ড দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ে টানা বৈঠক করছে। গতকাল শনিবার রাতে দেশের আট বিভাগের প্রার্থীর তালিকা চূড়ান্ত করা হয়। তবে এবার বোর্ডের বৈঠকের স্থান এবং কারা বাদ পড়ছেন, এই বিষয়ে অত্যন্ত গোপনীয়তা অবলম্বন করা হয়।আজ সকাল ১০টায় গণভবনে আওয়ামী লীগের সব মনোনয়নপ্রত্যাশীর সঙ্গে মতবিনিময় করবেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে তাঁদের দিকনির্দেশনা দেবেন। বিকেলে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হতে পারে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।১৮ থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের কাছে দলীয় ফরম বিক্রি করা হয়। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, কেন্দ্রীয় নেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিম, শেখ হেলালসহ কমপক্ষে ছয়জন নেতার আসনে বাড়তি কেউ মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেননি। বাকি আসনের জন্য ৩ হাজার ৩৫৬টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি করে দলটি।একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪৮ জন মন্ত্রী-সংসদ সদস্য বাদ পড়েছিলেন। ২০১৪ সালের ভোটে বাদ পড়েছিলেন ৬৩ জন মন্ত্রী-সংসদ সদস্য।ঢাকায় পরিবর্তন অনেক:রাজধানী ঢাকাতেই বেশ কয়েকটি আসনে প্রার্থিতায় পরিবর্তন আনা হতে পারে। দলীয় সূত্র জানায়, ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য সাদেক খানের পরিবর্তে এবার আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক মনোনয়ন পেতে পারেন। তিনি ২০০৮ সালে এই আসন থেকে জয়ী হয়ে প্রতিমন্ত্রী হয়েছিলেন।ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দীন বাদ পড়তে পারেন বলে জানা গেছে। তাঁর জায়গায় চিত্রনায়ক ফেরদৌস মনোনয়ন পেতে পারেন।আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ঢাকা-৮ আসনে দলীয় মনোনয়ন পাচ্ছেন বলে দলটির সূত্র জানায়। এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ১৪ দলের শরিক ও ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। বাহাউদ্দিন নাছিম ২০১৪ সালে মাদারীপুর-৩ আসন থেকে জয়ী হয়েছিলেন। গত নির্বাচনে তিনি কোথাও সুযোগ পাননি।ঢাকা–৪ আসনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সানজিদা খানম মনোনয়ন পাচ্ছেন। এখানে বর্তমান সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা। ঢাকা-১১ আসনে রহমতুল্লাহর পরিবর্তে ওয়াকিল উদ্দিন মনোনয়ন পেতে পারেন।ঢাকা-৫ আসনে কাজী মনিরুল ইসলামকে বাদ দেওয়ার আলোচনা আছে। এই আসনে মনোনয়ন পেতে পারেন মশিউর রহমান মোল্লা। তিনি এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লার ছেলে।ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনকে এবার ঢাকা-৬ আসনে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে। এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ।ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজি মোহাম্মদ সেলিম। তিনি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। তবে এবার তিনি এবং তাঁর দুই ছেলে মনোনয়ন চেয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত তাঁর বড় ছেলে সোলায়মান সেলিমকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে বলে জানা গেছে। তিনি স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর। ঢাকা-১৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাচ্ছেন যুবলীগের নেতা মাইনুল হাসান খান। এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের আগা খান।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, কেন্দ্রীয় নেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিম, শেখ হেলালসহ কমপক্ষে ছয়জন নেতার আসনে বাড়তি কেউ মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেননি। বাকি আসনের জন্য ৩ হাজার ৩৫৬টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি করে দলটি।টাঙ্গাইলের দুটি আসনে পরিবর্তনের কথা শোনা যাচ্ছে। এর মধ্যে সদর আসন টাঙ্গাইল-৫–এ যুবলীগ নেতা মামুনুর রশীদের মনোনয়ন পাওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে। এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য সানোয়ার হোসেন। টাঙ্গাইল-৩ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আতাউর রহমান খান। তিনি হত্যা মামলায় কারাগারে থাকা সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খানের বাবা। এবার এই আসনে পরিবর্তনের কথা এসেছে। নতুন মুখ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য কামরুল হাসান খান সেখানে মনোনয়ন পেতে পারেন।আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ এবার ফরিদপুর-৪ আসনে মনোনয়ন পেতে পারেন। সেখানে মুজিবুর রহমান চৌধুরী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য। ফরিদপুর-১ আসনে মঞ্জুর হোসেনের বদলে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান মনোনয়ন পাচ্ছেন। ফরিদপুর-৩ আসনে খন্দকার মোশাররফ হোসেনের পরিবর্তে জেলা সভাপতি শামীম হক মনোনয়ন পেতে পারেন।বাদ পড়তে পারেন মহীউদ্দীন খান আলমগীরচট্টগ্রাম বিভাগের চাঁদপুর-১ আসনে সাবেক মন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর বাদ পড়তে পারেন। এই আসনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে। চাঁদপুর–২ আসনে এবার মনোনয়ন পাচ্ছেন আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী ফোরাম সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী (মায়া)। এই আসনে বর্তমানে সংসদ সদস্য রয়েছেন নুরুল আমীন।চট্টগ্রাম–১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে পারেন মাহাবুবুর রহমান। তিনি এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা মোশাররফ হোসেনের ছেলে। মোশাররফ হোসেন আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন যে তিনি আর নির্বাচনে অংশ নেবেন না। চট্টগ্রাম–৪ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য দিদারুল আলম বাদ পড়ছেন। এই আসনে মনোনয়ন পাচ্ছেন এস এম আল মামুন। তিনি সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কাসেমের ছেলে। চট্টগ্রাম–৫ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে এম এ সালামকে। এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির কো–চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।মনোনয়ন পাচ্ছেন প্রতিমন্ত্রী ও তাঁর সহধর্মিণীরাজশাহী-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ওমর ফারুক চৌধুরীর বাদ পড়ার কথা শোনা যাচ্ছে। তাঁর জায়গায় মনোনয়ন পাচ্ছেন দলের কেন্দ্রের একটি উপকমিটির সদস্য আয়েশা আকতার জাহান। তিনি রাজশাহী-৬ আসনের সংসদ সদস্য পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সহধর্মিণী।মাগুরায় সাকিব, যশোরেও নতুন মুখমাগুরা-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে রাজনীতিতে নতুন ক্যারিয়ার শুরু করতে যাচ্ছেন তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। বর্তমানে এই আসনের সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) ছিলেন। তাঁর বাবা মাগুরা-২ আসন থেকে চারবারের সংসদ সদস্য ছিলেন।সাকিব আল হাসান মাগুরা-১, মাগুরা-২ ও ঢাকা-১০ আসনের জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন।যশোর-২ আসনে নতুন মুখ হিসেবে জায়গা পাচ্ছেন তৌহিদুজ্জামান। তিনি একজন চিকিৎসক এবং আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা তোফায়েল আহমেদের জামাতা। এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য সাবেক সেনা কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন।দেশের উত্তরে কুড়িগ্রাম-১ আসন থেকে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. রেজওয়ানুল হক চৌধুরীর মনোনয়ন পাওয়ার কথা জানা গেছে। এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আছলাম হোসেন সওদাগর।বাদ পড়ছেন পঙ্কজ, পাচ্ছেন শাম্মীবরিশাল-৪ আসনে সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ নাথের জায়গায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদকে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। বরিশাল-২ আসনেও পরিবর্তন আসছে। ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহ ই আলম বরিশাল-২ আসন পাচ্ছেন না। এই আসনে ২০০৮ সালের নির্বাচনের সংসদ সদস্য তালুকদার মোহাম্মদ ইউনুসকে বাছাই করা হয়েছে। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকও।আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা আমির হোসেন আমুর বোন সুলতানা নাদিরা এবার মনোনয়ন পাচ্ছেন বলে জানা গেছে। তিনি বরগুনা-২ (বামনা-পাথরঘাটা-বেতাগী) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম সবুরের সহধর্মিণী। এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান।মনোনয়নের আলোচনায় আইজিপির ভাইজাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সুনামগঞ্জ-১ আসনে মোয়াজ্জেম হোসেনকে বাদ দেওয়ার আলোচনা চলছে। এই আসনে মনোনয়ন পাচ্ছেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রঞ্জিত সরকার। সিলেট-২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাচ্ছেন শফিকুর রহমান। এই আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য গণফোরামের মোকাব্বির খান। সিলেট-৫ আসনে হাফিজ আহম্মেদ মজুমদার বাদ পড়তে পারেন। এই আসনে মনোনয়ন পেতে যাচ্ছেন সিলেট মহানগর সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমদ।সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) আসনে দুবারের সংসদ সদস্য জয়া সেনগুপ্তকে পরিবর্তনের আলোচনা আছে। এই আসনটিতে সাতবারের সংসদ সদস্য ছিলেন জয়া সেনের স্বামী প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। এবার এই আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মাহমুদ। তিনি সংসদ সদস্য হতে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ ছেড়েছেন। তিনি পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের ছোট ভাই।মৌলভীবাজার-২ আসনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী মনোনয়ন পাচ্ছেন বলে জানা গেছে। গত নির্বাচনে ধানের শীষ নিয়ে এই আসনে সংসদ সদস্য হন সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ।নতুন মুখ সাবেক মুখ্য সচিবজামালপুর-৫ আসনে নতুন মুখ আসছেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ। তিনি দলের নির্বাচনী কৌশল নির্ধারণে যে একটি কমিটি কাজ করছে, এর গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। এই আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য মোজাফফর হোসেন। জামালপুর-৪ আসনে সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান বাদ পড়ছেন। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মারুফা আক্তার পপি সেখানে মনোনয়ন পেতে পারেন।নেত্রকোনা-১ (কলমাকান্দা-দুর্গাপুর) আসন থেকে বর্তমান সংসদ সদস্য মানু মজুমদার বাদ পড়তে পারেন বলে আলোচনা আছে। তাঁর জায়গায় মোশতাক আহমেদ রুহীর প্রত্যাবর্তন ঘটতে পারে। এই আসনে তিনি ২০০৮ সালে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা) আসনের সংসদ সদস্য ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল বাদ পড়তে পারেন। এখানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন মনোনয়ন পেতে পারেন বলে জানা গেছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৬ নভেম্বর ২০২৩


সিঙ্গাপুর গেলেন ওবায়দুল কাদের

সিঙ্গাপুর গেলেন ওবায়দুল কাদের

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর গেছেন ।সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার শেখ ওয়ালিদ ফয়েজ সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আজ শনিবার সকালে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী ঢাকা ছাড়েন। তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর গেছেন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি ০৫৮৪ ফ্লাইটে সকাল সাড়ে ৮টায় তিনি ঢাকা ছেড়েছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩


বিএনপি সাম্প্রদায়িকতাকে পুঁজি করে রাজনীতি করে : ওবায়দুল কাদের

বিএনপি সাম্প্রদায়িকতাকে পুঁজি করে রাজনীতি করে : ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির রাজনীতি পাকিস্তানি ভাবাদর্শের। উগ্রবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতি। সাম্প্রদায়িকতাকে পুঁজি করে তারা রাজনীতি করে। ২০০১ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে তাদের হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় উপাসনালয়, বাড়ি-ঘর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।তিনি বলেন, সে সময়কার মন্ত্রী, এমপিদের সরাসরি নির্দেশে বিভিন্ন জায়গায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালিয়েছিল বিএনপির সন্ত্রাসীবাহিনী। তাদের পাশবিক অত্যাচারের হাত থেকে শিশু থেকে বৃদ্ধা কেউই রেহাই পায়নি। এখন নির্বাচন যত কাছে আসছে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীররা সনাতন ধর্মাবলম্বীসহ অন্যান্য ধর্মের মানুষের উপর প্রভাব সৃষ্টি করতে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন এবং পরোক্ষভাবে তাদের হুমকি দিচ্ছেন।রোববার (১৩ আগস্ট) দুপুরে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেছেন। বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশ্যে দুরভিসন্ধিমূলক ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ২০০১ সালের নির্বাচনের পর বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডারবাহিনী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর যে নির্যাতন চালিয়েছিল, তা ইতিহাসে নজিরবিহীন। সারাদেশে প্রায় ৫০ হাজার নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছিল। ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় এক রাতে বিএনপি ক্যাডারবাহিনী কর্তৃক ২০০ নারী গণধর্ষণের শিকার হয়েছিল। সংখ্যালঘু সম্প্রদায় শুধু নয়, বিএনপির সন্ত্রাসের শিকার হতে হয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে। বিএনপি-জামায়াত অশুভ জোটের শাসনামলে আওয়ামী লীগের ২৪ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল। আর অসংখ্য নেতাকর্মী ক্ষতের দগদগে চিহ্ন বহনের পাশাপাশি মানবেতর জীবনযাপন করছে।ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারতের বাবরি মসজিদের ঘটনার সময় হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিয়ে বিএনপি মহাসচিব নির্লজ্জ মিথ্যাচার করেছেন। অথচ সে সময় বিএনপির ক্যাডারবাহিনী ও তাদের উগ্রসাম্প্রদায়িক দোসরদের হামলায় রক্তাক্ত প্রান্তরে পরিণত হয়েছিল বাংলাদেশ। হিন্দু সম্প্রদায় ও তাদের উপাসনালয়, বাড়ি-ঘরের সুরক্ষা দিতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছিল তৎকালীন বিএনপি সরকার। শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ই নয় বিএনপি তখন সাধারণ মানুষের ন্যূনতম নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছিল। বিএনপির রাজনীতি ধর্মকে পুঁজি করে এবং উগ্রসাম্প্রদায়িক অপশক্তির উপর নির্ভর করে পরিচালিত হয়ে আসছে। যার প্রমাণ ২০০১ পরবর্তী সময়েও পরিলক্ষিত হয়।তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানি শাসক ও তাদের দোসর উগ্র-সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে পরাজিত করে অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল জাতিরাষ্ট্র হিসেবে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়। ৩০ লাখ শহীদের রক্তের আখরে রচিত পবিত্র সংবিধানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির শক্তিশালী ভীত রচিত হয়। বাঙালি জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতাকে রাষ্ট্রের মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করা হয় এবং ধর্ম-বর্ণ জাতি-লিঙ্গ শ্রেণি-পেশা নির্বিশেষে দেশের সকল নাগরিকের সমান অধিকার নিশ্চিত করা হয়। আওয়ামী লীগ সেই অঙ্গীকারকে ধারণ করেই রাজনীতি করে আসছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৩ আগস্ট ২০২৩


নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে সন্ধ্যায় বসছে আওয়ামী লীগ

নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে সন্ধ্যায় বসছে আওয়ামী লীগ

আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে সন্ধ্যায় বসছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। নির্বাচন ঘিরে কে কোন দায়িত্ব পালন করবেন, দলের ইশতেহার তৈরিতে কার কী ভূমিকা থাকবে, দলের তৃণমূল পর্যায়ে সাংগঠনিক অবস্থা কী, এসব নিয়ে আলোচনা হতে পারে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের এ বৈঠকে। আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বৈঠকটি সন্ধ্যায় গণভবনে অনুষ্ঠিত হবে। সেই বৈঠকেই দলের আগামী রাজনীতি ও নির্বাচনের ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন দলটির একাধিক সিনিয়র নেতা।জানা গেছে, আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী বৈঠকের জন্য ৯টি এজেন্ডা ঠিক করা হয়েছে। এগুলো হলো- শোক প্রস্তাব, দলের সভাপতি শেখ হাসিনার জন্মদিন উদযাপন (২৮ সেপ্টেম্বর), শেখ রাসেল দিবস (১৮ অক্টোবর), জেলহত্যা দিবস (৩ নভেম্বর), নূর হোসেন দিবস (১০ নভেম্বর), ডা. মিলন দিবস (২৭ নভেম্বর), সমসাময়িক বিষয় (জাতীয় ও আন্তর্জাতিক), সাংগঠনিক বিষয় ও বিবিধ। এ ছাড়া বৈঠকে একগুচ্ছ নির্বাচনী দিকনির্দেশনা দিতে পারেন দলীয়প্রধান শেখ হাসিনা। নির্বাচন নিয়ে দেশ-বিদেশে চলমান রাজনৈতিক ইস্যু, বিরোধী দলগুলোর লাগাতার আন্দোলন মোকাবিলায় করণীয় এবং আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হবে বৈঠকে। এ বৈঠক থেকেই নির্ধারণ হবে নির্বাচনী কৌশল। আওয়ামী লীগের একজন সাংগঠনিক সম্পাদক ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজকের বৈঠকটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে দলের ৮ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের দেওয়া রিপোর্টগুলোর চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হবে। বিশেষ বর্ধিত সভায় যে সমস্যাগুলো তৃণমূলের নেতারা জানিয়েছেন, সেগুলোর বিষয়েও নিদের্শনা দিতে পারেন দলের প্রধান। বিভিন্ন সময় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও নৈতিক স্খলনের কারণে বহিষ্কৃত নেতাদের দলে ফিরিয়ে আনা যায় কি না তা নিয়েও আলোচনা হতে পারে। নানা অভিযোগ থাকলেও দলের জন্য বিভিন্ন সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন অথবা বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে মার খেয়েছেন, জেল খেটেছেন তাদের শর্ত দিয়ে ক্ষমা করে পদ-পদবি ফিরিয়ে দেওয়া হতে পারে। পাশাপাশি নির্বাচনী ইশতেহারের কতটুকু অগ্রগতি হলো সে বিষয়টিও আলোচনায় গুরুত্ব পাবে।সূত্র আরও জানায়, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক থেকে দলের তৃণমূল নেতাদের জাতীয় নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি নিতে দিকনির্দেশনা দেবেন দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।এদিকে আওয়ামী লীগের পক্ষে জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনায় এতদিন সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেছেন এইচ টি ইমাম। তার মৃত্যুর পর এখন কার কাঁধে এ দায়িত্ব পড়বে, তা নিয়ে আওয়ামী লীগে নানা ধরনের আলোচনা রয়েছে। সেই বিষয়েও আজকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে।আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম গণমাধ্যমকে বলেন, আজকের বৈঠক আমাদের নিয়মিত একটি বৈঠক। এই বৈঠকে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনায় হয়। এ ছাড়া সামনে নির্বাচন। তাই নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের এই কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনী ইশতেহার তৈরির কাজ কতদূর, কোনো সংযোজন-বিয়োজন করতে হবে কি না এসব বিষয়েও আলোচনা হতে পারে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ আগস্ট ২০২৩


জামায়াত নেতার প্রতিষ্ঠানের আঙিনায় চারা রোপণ করলেন ডেপুটি স্পিকার

জামায়াত নেতার প্রতিষ্ঠানের আঙিনায় চারা রোপণ করলেন ডেপুটি স্পিকার

জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ও পাবনা-১ (সাঁথিয়া-বেড়া) আসনের সংসদ সদস্য শামসুল হক ১৪ জন সংসদ সদস্যকে নিয়ে পাবনার ঈশ্বরদীতে জামায়াত নেতার বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ করার খবরে জেলাজুড়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা।জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল রহিম, সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুকসহ অন্তত পাঁচজন ঊর্ধ্বতন নেতার কাছে মন্তব্য জানতে চাইলে সবাই বলেছেন, ‘নো কমেন্ট’। জামায়াত নেতার প্রতিষ্ঠানের আঙিনায় গাছের চারা রোপণ করেন ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক ও তাঁর সঙ্গে থাকা সংসদ সদস্যরাতবে বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে দেখছে জেলা জামায়াত। জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ইকবাল হোসাইন বলেন, ‘আমরা সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোতে অংশগ্রহণ করি, সেখানে রাষ্ট্রের এমপি, মন্ত্রী পর্যায়ের লোকজন আসতেই পারেন। এতে দোষের কিছু আছে বলে মনে করি না।’গতকাল বুধবার দুপুরে ঈশ্বরদী পৌরসভা জামায়াতের আমির ও আরআরপি গ্রুপের মালিক গোলাম আজমের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়। ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক সকালে ঈশ্বরদীর রূপপুরে নির্মাণাধীন পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প পরিদর্শনে যান। তাঁর সঙ্গে যোগ দেন পাবনা-৪ (আটঘরিয়া-ঈশ্বরদী) আসনের সংসদ সদস্য নূরুজ্জামান বিশ্বাস, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য শাহিন আক্তার, খালেদা খানম, শিরীন আহমেদ, জিন্নাতুল বাকিয়া, বাসন্তী চাকমা, শামসুন নাহার, নার্গিস রহমান, মনিরা সুলতানা, নাদিরা ইয়াসমিন, রত্না আহমেদ, সালমা চৌধুরী, সেলিনা ইসলাম ও ডরথী রহমান।পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে ডেপুটি স্পিকার শামসুল হকের নেতৃত্বে সংসদ সদস্যরা জামায়াত নেতা গোলাম আজমের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ ও বিশ্রাম করেন। পরে তাঁরা আরআরপি ফিড মিলের আঙিনায় একটি চারা রোপণ করেন।এদিকে সংসদ সদস্যদের নিয়ে জামায়াত নেতার বাড়িতে ডেপুটি স্পিকারের মধ্যাহ্নভোজের খবর ছড়িয়ে পড়লে জেলাজুড়ে আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়। আওয়ামী লীগের মতো দলের সংসদ সদস্যদের জামায়াত নেতার বাড়িতে দাওয়াত খাওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেন অনেকে। অনেকে আবার বিষয়টিকে ‘লজ্জাজনক’ বলে মন্তব্য করেন।নাট্য সংগঠন পাবনা ড্রামা সার্কেলের সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর চক্রবর্তী বলেন, আওয়ামী লীগ প্রগতিশীল রাজনৈতিক দল। তাদের নেতৃত্বেই তাঁরা যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে আন্দোলন করেছেন। আওয়ামী লীগের এতজন সংসদ সদস্য জামায়াত নেতার বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ করতে পারেন, ভাবতেও কষ্ট লাগে। বিষয়টি লজ্জাজনক।ঈশ্বরদী নাগরিক মঞ্চের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে গড়া দল আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ সরকারের দায়িত্বশীল পদে থেকে জামায়াতে ইসলামীর আমিরের বাড়িতে ১৪ জন এমপিকে সঙ্গে নিয়ে দাওয়াতে যোগ দিয়ে ডেপুটি স্পিকার ঠিক করেননি। এটা একটা ন্যক্কারজনক ঘটনা।’ডেপুটি স্পিকার শামসুল হকের বাড়ি পাবনার বেড়া উপজেলা সদরে। জানতে চাইলে বেড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবদুর রশিদ বলেন, ‘আমরা যারা আওয়ামী লীগ করি তাদের কাছে বিষয়টি নীতিতে বাধে। আদর্শগতভাবেই আমরা মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাবিরোধী কোনো সংগঠনের নেতার বাড়িতে দাওয়াত খেতে পারি না।’

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৭ জুলাই ২০২৩


যত বাধাই আসুক না কেন, পিছপা হওয়া যাবে না, তৃণমূলকে যে বার্তা দিবেন শেখ হাসিনা

যত বাধাই আসুক না কেন, পিছপা হওয়া যাবে না, তৃণমূলকে যে বার্তা দিবেন শেখ হাসিনা

স্বল্প সময়ের নোটিশে দলের নেতা-কর্মীদের যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজপথে নামানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। মূলত আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের আন্দোলন লক্ষ্য রেখেই এই প্রস্তুতি। এ জন্য আগামী ৬ আগস্ট আওয়ামী লীগের সারা দেশের সর্বস্তরের কমিটির শীর্ষ নেতাদের ঢাকায় ডেকে পাঠানো হয়েছে। ওই দিন গণভবনে বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ৬ আগস্ট বিশেষ বর্ধিত সভাকে দল খুব গুরুত্ব দিচ্ছে। মূলত তৃণমূলের কথা শুনবেন দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা। আবার তৃণমূলকে নির্দেশনা দেবেন তিনি। মূল লক্ষ্য আসন্ন নির্বাচন। ভোটে কেউ বাধা সৃষ্টি করতে চাইলে কীভাবে মোকাবিলা করতে হবে, সে বিষয়ে নির্দেশনা থাকবে। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী সূত্র বলছে, বর্ধিত সভার মূল লক্ষ্য হচ্ছেন তৃণমূলের নেতারা। তাঁদের আগামী নির্বাচনের বিষয়ে আশ্বস্ত করবেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দলীয় প্রধানের বার্তা থাকবে—সংবিধান মেনে সময়মতো। দেশে নির্বাচন হবে। যত বাধা ও চাপ আসুক না কেন, পিছপা হবে না আওয়ামী লীগ। নেতা-কর্মীদের সেভাবেই প্রস্তুত থাকতে হবে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে নির্বাচনে কেউ হারাতে পারবে না—এই বার্তাও দেওয়া হবে। এর বাইরে থাকবে নির্দেশনা। যেমন বিরোধী দল ভোট ঠেকানো ও প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা চালাবে। তাই নেতা-কর্মীদের স্বল্প সময়ের নোটিশে যেকোনো কর্মসূচি পালন কিংবা রাজপথে অবস্থান নেওয়ার মতো প্রস্তুতি নিতে হবে। আওয়ামী লীগের একজন কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, নির্বাচন কিংবা বিরোধী দলের আন্দোলন—যেকোনো বিষয়ে লক্ষ্যে পৌঁছাতে দলে ঐক্য দরকার। কিন্তু তৃণমূলে অনেক জায়গায় দলীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুই ধারায় বিভক্ত। সংসদ সদস্যের সঙ্গে দলের দায়িত্বশীল নেতাদের বিভেদ প্রকট। একজনের সঙ্গে অন্যজনের মুখ-দেখাদেখি বন্ধ—এমনও রয়েছে অনেক এলাকায়। বিবদমান সবাইকে এক জায়গায় এনে ঐক্যের ডাক দেওয়া হবে। ওই নেতা আরও বলেন, এবার নির্বাচনে স্লোগান হবে—নৌকা যাঁর, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তাঁর। দল যাঁকে মনোনয়ন দেবে, তাঁর পক্ষে একযোগে কাজ করার বিষয়ে নির্দেশনা থাকবে। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বিশেষ বর্ধিত সভাকে দল খুব গুরুত্ব দিচ্ছে। মূলত তৃণমূলের কথা শুনবেন দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা। আবার তৃণমূলকে নির্দেশনা দেবেন তিনি। মূল লক্ষ্য আসন্ন নির্বাচন। ভোটে কেউ বাধা সৃষ্টি করতে চাইলে কীভাবে মোকাবিলা করতে হবে, সে বিষয়ে নির্দেশনা থাকবে। দেশে নির্বাচন হবে। যত বাধা ও চাপ আসুক না কেন, পিছপা হবে না আওয়ামী লীগ। নেতা-কর্মীদের সেভাবেই প্রস্তুত থাকতে হবে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে নির্বাচনে কেউ হারাতে পারবে না—এই বার্তাও দেওয়া হবে।আওয়ামী লীগের পাঁচজন কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে বর্ধিত সভার গুরুত্ব নিয়ে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তাঁদের মূল কথা হচ্ছে, মার্কিন ভিসা নীতি, নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের তৎপরতা, বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর আন্দোলন কর্মসূচিতে বেশি বেশি লোক জমায়েতের চেষ্টা—এসব বিষয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে কিছুটা হলেও প্রভাব ফেলেছে। জেলা, উপজেলা, এমনকি অনেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলার সময় তাঁরা ‘সামনে কী হবে?’ এমন প্রশ্নে করেন। তাঁদের কণ্ঠে কিছুটা উদ্বেগ আছে।একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আওয়ামী লীগ তৃণমূল পর্যন্ত সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী। ঢাকায় বর্ধিত সভার মাধ্যমে বিভেদ কমানো এবং আশ্বস্ত করতে পারলে রাজপথে এর ফল পাওয়া যাবে। বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচির কারণে এবার শোকের মাস আগস্টের কর্মসূচিতেও কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। আগে শোকের কর্মসূচি ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়ক ও বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলীয় কার্যালয়ে সীমাবদ্ধ থাকত। এবার সভা-সমাবেশে জোর দেওয়া হচ্ছে।বর্ধিত সভায় যাঁরা থাকবেনবর্ধিত সভাটি ৩০ জুলাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ৩০ জুলাই চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচন। ২ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রংপুরে সমাবেশ আছে। সব জেলা থেকে প্রতিনিধিদের আসা নিশ্চিত করতেই ৬ আগস্ট বর্ধিত সভার তারিখ পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।সূত্র আরও জানায়, বিশেষ বর্ধিত সভায় তিন হাজারের মতো দলের নেতা অংশ নিতে পারেন। তৃণমূল নেতাদের কাছ থেকে আগামী নির্বাচন ও বিরোধী দলের আন্দোলন সম্পর্কে বক্তব্য শোনা হবে। আর কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সরকারের উন্নয়ন-অর্জন প্রচারের জন্য বই, সিডিসহ বিভিন্ন উপকরণ দেওয়া হবে তৃণমূলের নেতাদের। তাঁরা নিজ নিজ এলাকায় গিয়ে নির্বাচনের আগে এর প্রচার চালাবেন। বর্ধিত সভায় দলের জাতীয় কমিটি, কেন্দ্রীয় কমিটি ও উপদেষ্টা পরিষদের সবাই অংশ নেবেন। জেলা/মহানগর এবং উপজেলা/থানা/পৌরসভার পর্যায়ের দলীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। একইভাবে সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকেরা অংশ নেবেন সভায়। এ ছাড়া দলীয় সংসদ সদস্য, জেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের দলীয় নির্বাচিত চেয়ারম্যান, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার দলীয় মেয়রদের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৩ জুলাই ২০২৩


বাংলাদেশ বলেই তারা মগের মুল্লুক পেয়েছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বাংলাদেশ বলেই তারা মগের মুল্লুক পেয়েছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে একতারা প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় ঢাকার প‌শ্চিমা মিশনগু‌লো বিবৃতি দিয়েছে। এর প্রতিক্রিয়ায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘বাংলাদেশ বলেই তারা একটা মগের মুল্লুক পেয়েছে। এটা গ্রহণযোগ্য নয়।’বুধবার (১৯ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় বিদেশি মিশনগুলোর বিবৃতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটা সম্পর্কে (বিবৃতি) আমি জানি না। একটি দেশ সম্পর্কে আমি বলতে চাই, আমেরিকার নিউইয়র্কে যখন-তখন লোক মেরে ফেলা হয়। তারা কি স্টেটমেন্ট দেয় কখনও? জাতিসংঘ কখনও বলেছে আমেরিকাতে লোক মরে যায় কেন? চলতি বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের ক্যামব্রিজে পুলিশের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শিক্ষার্থী সাইদ ফয়সাল ওরফে আরিফের প্রসঙ্গ টেনে মোমেন বলেন, একটা বাঙালি ছেলে মারা গেল। এতদিন হলো জাতিসংঘ কখনও বলেছে ওই ছেলের তদন্ত কতদূর হয়েছে? কিংবা রাষ্ট্রদূতরা দলবেঁধে কোনো বিবৃতি দিয়েছেন?গণমাধ্যমকে উদ্দেশ্য করে মোমেন বলেন, আপনারা কেন জিজ্ঞেস করেন না (পশ্চিমা দূতদের)? প্রতিদিন লোক মারা যায় তখন তারা কোনো স্টেটমেন্ট দেয় না। আর বাংলাদেশ বলেই একটা মগের মুল্লুক পেয়েছে। এটা গ্রহণযোগ্য নয়। আপনাদের সঙ্গে তাদের (বিদেশি দূতদের) যখন-তখন সাক্ষাৎ হয়। আপনারা তাদের জিজ্ঞেস করেন না কেন, বাঙালি ছেলে মেরে ফেলল। আমেরিকায় তো যখন-তখন লোক মারা যায়।সাংবাদিকের দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে তিনি বলেন, এগুলো নিয়ে আপনি প্রশ্ন করেছেন কখনও? করেছেন? ফয়সালের কথা প্রশ্ন করেছেন? কেন করেন নাই? আপনাদেরও এসব বিষয়ে সজাগ হওয়া উচিত। খালি আমার দেশ হলে হইচই করা শুরু করে দেয়। আর কোথাও হলে এ রকম হয়?পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাকে একটা প্রতিবেদন দেন কোন কোন দেশে তারা (বিদেশিরা) এ রকম বিবৃতি দিয়েছে; ওখানে লোক মারার পরে। কিছু দিন আগে ফ্রান্সে কতগুলো লোক আক্রান্ত হলো, কেউ কি দলবেধে বিবৃতি দিয়েছে? খালি বাংলাদেশ হলেই দেয়। এখন সময় এসেছে এসব প্রচার বন্ধ করার। তারা আমাদের কাছে বিবৃতি না দিয়ে আপনাদের কাছে দেয়। এটা গ্রহণযোগ্য হয়।হিরো আলমের ওপর হামলায় ঘটনায় মোমেন বলেন, কাকে মেরেছে এটা ইনভেস্টিগেট করে দেখতে হবে, কে মারিয়েছে। এমনতো হতে পারে কেউ কেউ এটাতে যুক্ত ছিল। একটা অস্থিতিশীলতা তৈরি করার জন্য, হয়তো কেউ আমাদের আগামী নির্বাচন চায় না। নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য এ ধরনের অকাম-কুমাম শুরু করে দিয়েছে।ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় বুধবার তীব্র নিন্দা জা‌নিয়েছে ঢাকার প‌শ্চিমা মিশনগু‌লো।মার্কিন দূতাবাস থে‌কে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা গত ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনের প্রার্থী আশরাফুল আলম, যিনি হিরো আলম নামে পরিচিত, তার ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সহিংসতার কোনো স্থান নেই। আমরা পূর্ণ তদন্ত ও দোষীদের জবাবদিহির দাবি জানাই। আসন্ন নির্বাচন যাতে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয় সেজন্য আমরা সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানাই।বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী দূতাবাস ও হাইকমিশনগুলো হলো- যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ড, নরওয়ে, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের ডেলিগেশন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ জুলাই ২০২৩


‘বিজয় সুনিশ্চিত’, ভোট দিয়ে বললেন আরাফাত

‘বিজয় সুনিশ্চিত’, ভোট দিয়ে বললেন আরাফাত

সোমবার বেলা ১১টায় গুলশান মডেল হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজকেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ এ আরাফাত। এর পর উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে তিনি তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।এ সময় জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে নৌকার প্রার্থী বলেন, জয়ের বিষয়ে আমি খুব আশাবাদী। মানুষ নৌকা ছাড়া ভোট দেবে না, তাই বিজয় সুনিশ্চিত।এর আগে আজ সোমবার সকাল ৮টায় ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা একটানা চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।আরাফাত বলেন, ভোট দিতে পেরেছি; ভালো লাগছে। ভোট তো সবসময় নৌকায় দিয়েছি, এবারও নৌকায় দিচ্ছি। প্রার্থী হয়েছি কি হইনি, সেটি বড় কথা নয়, নৌকায় ভোট দেওয়াটাই সবচেয়ে বড় কথা আমার। তিনি বলেন, আমি সকালবেলা কয়েকটা কেন্দ্রে ঘুরেছি এবং খোঁজ নিয়েছি। সকালে একটু বৃষ্টি পড়েছে, বৃষ্টির কারণে ভোটার টার্ন আউট কম হয়েছে। গুলশান, বারিধারা, বনানীর ভোটাররা এমনিতে একটু দেরি করে ঘুম থেকে ওঠে, কিন্তু কালাচাঁদপুর শাহজাদপুর বা নদ্দার দিকে গেলে আপনারা দেখবেন ভোটার অনেক এসেছে। ভাসানটেকের দিকে গেলে দেখবেন ভোটার অনেক এসেছে। এখন কিন্তু ভোটের পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।ভালোই ভোটার আসছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের এ প্রার্থী বলেন, কেমন ভোট পড়ছে তার জন্য ভোটকেন্দ্রে চোখ রাখতে হবে। তবে এখনই তার সঠিক ফিগার বলা যাবে না।নৌকার প্রার্থী সাংবাদিকদের আরও বলেন, আরেকটা বিষয় খেয়াল করছেন কিনা, আমরা বলছি— ভোট দেন-ভোট দেন। আসলে আমরা বলছি না যে নৌকায় ভোট দেন, মানুষ ভোট দিতে এলে ভোট নৌকায় পড়বে, আমাদের ডানে বামে শুধু নৌকার ভোট। আমাদের প্রচেষ্টা হচ্ছে মানুষকে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে আসা।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৭ জুলাই ২০২৩


বিএনপির সঙ্গে সংলাপ নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে আওয়ামী লীগ

বিএনপির সঙ্গে সংলাপ নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে আওয়ামী লীগ

জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় বিএনপির সঙ্গে আলোচনার বিষয়টি নাকচ করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। ক্ষমতাসীন দলেরই একজন জ্যেষ্ঠ নেতা আমির হোসেন আমু এ বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছিলেন। তাঁর বক্তব্য নিয়েই দলটির ভেতরে প্রতিক্রিয়া হয়েছে। এমনকি আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায় থেকে তাঁর কাছে কৈফিয়তও চাওয়া হয়েছে।আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃত্ব চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে জাতিসংঘ বা বিদেশিদের মধ্যস্থতা বা হস্তক্ষেপের পক্ষে নন।যদিও তাঁদের অনেকে চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে বিরোধী দলের সঙ্গে সংলাপ বা আলোচনার প্রশ্নে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনাও রয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ বিরোধী দলের সঙ্গে সংলাপ বা আলোচনার ব্যাপারে এখনো দলগতভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় সংলাপের প্রশ্নে দলের একজন নেতার বক্তব্য নিয়ে আওয়ামী লীগের ভেতরের প্রতিক্রিয়া বেশ দ্রুত প্রকাশ্যে এসেছে। গত মঙ্গলবার ঢাকায় ১৪–দলীয় জোটের এক জনসভায় ওই জোটের সমন্বয়ক ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় আলোচনার কথা বলেছিলেন। পরদিনই গতকাল বুধবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এর উল্টো বক্তব৵ দেন।জাতিসংঘ বা বিদেশিদের মধ্যস্থতায় আলোচনার বিষয় নাকচ করে দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জাতিসংঘের মধ্যস্থতা বা হস্তক্ষেপ করতে হবে, এমন কোনো রাজনৈতিক সংকট দেশে এখনো তৈরি হয়নি। আমাদের দেশে আমরা আলোচনা করব। এটা নিজেদের সমস্যা, নিজেরাই সমাধান করব।’ গতকাল ছয় দফা দিবসের এক অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ–ও বলেন, বিএনপির সঙ্গে আলোচনার সিদ্ধান্ত এখনো নেই।রাজনৈতিক সংকট নিরসনে আলোচনা বা সংলাপের প্রশ্নে গতকাল অন্তত তিনজন মন্ত্রী বক্তব্য দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় আলোচনার বিষয় নাকচ করেছেন। তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ গতকাল দুপুরে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমির হোসেন আমুর বক্তব্য তাঁর ব্যক্তিগত বক্তব্য।’ অন্যদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান গতকাল সাংবাদিকদের প্রশ্নে বলেছেন, আলোচনার বিকল্প নেই।বিএনপির সঙ্গে ক্ষমতাসীনদের নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে বিরোধের মীমাংসার কোনো ইঙ্গিত এখনো নেই। বিরোধী দল নির্দলীয় সরকারের দাবিতে তাদের আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে। অন্যদিকে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে গত ২৪ মে।নির্বাচন নিয়ে বিরোধপূর্ণ রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি সরকার ও আওয়ামী লীগের ওপর একটা চাপ সৃষ্টি করেছে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা মনে করেন। তাঁরা বলছেন, চাপের কারণে এখন কোনো ইস্যু এলেই মন্ত্রীরা এবং আওয়ামী লীগের নেতারা তা নিয়ে একের পর এক বক্তব্য দিয়ে থাকেন এবং তাঁদের বক্তব্যে সমন্বয়ের ঘাটতি প্রকাশ পায়। এখন সংলাপ বা আলোচনার প্রশ্নেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। যদিও ক্ষমতাসীনেরা কোনো চাপের বিষয় স্বীকার করতে রাজি নন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৮ জুন ২০২৩