বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের জোট ছেড়ে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়ায় বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) ইবরাহিমকে তার নির্বাচনী এলাকা হাটহাজারীতে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে।বুধবার (২২ নভেম্বর) হাটহাজারী উপজেলা এবং পৌরসভা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা এ ঘোষণা দেন।এক বিবৃতিতে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নূর মোহাম্মদ ও সদস্য সচিব গিয়াসউদ্দিন বলেন, বর্তমান সরকার অবৈধ এবং আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের অধীনে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি যুক্তফ্রন্ট গঠন করে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেয়। এতে হাটহাজারীর সাধারণ জনগণের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয়।এ খবর প্রকাশিত হওয়ার পর হাটহাজারী উপজেলা বিএনপির জনমনে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। মেজর জেনারেল (অব.) ইবরাহিম শেষ বয়সে এসে স্বেচ্ছাচারিতা, লোভ-লালসায় লালায়িত হয়ে অনৈতিক সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করে এই ঘৃণিত কাজ করেন।বেইমানি করা মেজর জেনারেল (অব.) ইবরাহিমের মজ্জাগত ও স্বভাবসিদ্ধ ব্যাপার। তিনি ১৯৯৬ সালে জেনারেল নাসিমের অভ্যুত্থানের পক্ষে ছিলেন এবং তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আবদুর রহমান বিশ্বাস কর্তৃক মেজর জেনারেল হেলাল মোর্শেদ খানের সঙ্গে বরখাস্ত হন।সেই জেনারেল হেলাল মোর্শেদ খান এখন জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান। ২০১৮ সালে বিএনপি নিজ দলের শতভাগ যোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন না দিয়ে মেজর জেনারেল (অব.) ইব্রাহিমের মতো একজন সিঙ্গেল ম্যানের জোটকে সম্মান দেখিয়ে ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দ দেয়। তার পক্ষে বিএনপির সব ইউনিট কাজ করে। কিন্তু তখনো তিনি সে সময়ের মহাজোট প্রার্থীর কাছে আর্থিক সুবিধা নিয়ে নিজেকে আত্মসমর্পণ করেন।ইব্রাহিমের নির্বাচনে কাজ করতে গিয়ে হাটহাজারী বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের বহু নেতাকর্মী হামলা মামলা এবং নির্যাতনের শিকার হলেও তিনি কারো খোঁজ-খবর নেননি। তাই, দ্ব্যর্থহীনভাবে বলা যায়, মোনাফেকী এবং বেইমানি তার মজ্জাগত।লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, আমরা হাটহাজারী উপজেলা, পৌরসভা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা মেজর জেনারেল (অব.) ইব্রাহিমকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করলাম। পাশাপাশি তাকে আমরা অবাঞ্ছিত ঘোষণা করলাম। আর যদি হাটহাজারী উপজেলা উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপি পরিবারের কেউ ইব্রাহিমকে কোনোভাবে সহযোগিতা করেন বা যোগাযোগ রাখেন, তাহলে আমরা তার বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।জানা গেছে, বুধবার (২২ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে যুক্তফ্রন্ট নামে একটি জোট গঠন করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন সৈয়দ ইবরাহিম। তিনি নতুন ওই জোটের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।সংবাদ সম্মেলনে সৈয়দ ইবরাহিম বলেন, এই মুহূর্তে আমার রাজনৈতিক অক্ষমতা এই যে, সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে পেরে উঠছি না। ২৮ অক্টোবরের পর সুনির্দিষ্ট একটা অবস্থা এসে দাঁড়িয়েছে যেখানে পরিস্থিতি পুনর্মূল্যায়ন করা প্রয়োজন যে, চুপ থাকব না কি বিকল্প ব্যবস্থা নেব। আমি বিকল্প অবস্থান নিয়েছি, নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৩ নভেম্বর ২০২৩
খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলনের মেয়রপ্রার্থী মো. আব্দুল আউয়াল বলেন, মানুষের ভোট দিতে সমস্যা হচ্ছে। সঠিকভাবে ভোট দিতে পারছে না। কোনো কোনো জায়গায় হাতপাখায় ভোট দিলে নৌকা আসছে, এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। খালিশপুর ১২ নম্বর ওয়ার্ডে একটা কেন্দ্রে হাতপাখায় টিপ দিলে নৌকা আসছে। কিছু কিছু মেশিনে বিভ্রাট দেখা দিচ্ছে। মেশিন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, ঠিকমতো কাজ করছে না।সোমবার (১২ জুন) সকাল ১০টায় নগরীর ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের বানিয়াখামার এলাকার দারুল কোরআন বহুমুখী মাদরাসা কেন্দ্রে ভোটদান শেষে তিনি এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, পরিবেশ ভালো আছে, আমার মনে হচ্ছে। যদি পরিবেশ এমন ভালো থাকে তাহলে মানুষ ভোটকেন্দ্রে আসবে। মানুষের সাথে আমাদের একটা আত্মিক সম্পর্ক সৃষ্টি হয়েছে। মানুষ মনে করে আমাদেরকে ভোট দিলে আমরা নগর উন্নয়ন করতে পারব। মানুষের মধ্যে আকাঙ্ক্ষা রয়েছে। মানুষ পরিবর্তন করতে চায়। এই আশায় মানুষ আমাদেরকে ভোট দেবে। কোনো ষড়যন্ত্র না হলে হাতপাখা মার্কা বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে। ভোট যদি সুষ্ঠু ও সুন্দর হয় ফলাফল যাই হোক আমরা মানব।কেসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এবারের নির্বাচনের মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছেন ৫ জন। তারা হলেন আওয়ামী লীগের তালুকদার আব্দুল খালেক (নৌকা), জাতীয় পার্টির এস এম শফিকুল ইসলাম মধু (লাঙল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আব্দুল আউয়াল (হাতপাখা), স্বতন্ত্রপ্রার্থী এস এম শফিকুর রহমান (দেয়াল ঘড়ি) ও জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন (গোলাপ ফুল)।৩১টি ওয়ার্ডের ২৮৯টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৭৩২টি ভোটকক্ষে ভোট গ্রহণ চলছে। ৩১টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৩৬ জন ও ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৩৯ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যার মধ্যে নগরীর ১৩ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে ২ জন কাউন্সিলর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।এবারের সিটি নির্বাচনে ৩১টি ওয়ার্ডে ২৮৯টি ভোটকেন্দ্রে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। এর মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ জন ও পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ জন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ জুন ২০২৩
বগুড়া-৪ এবং বগুড়া-৬ আসনের উপনির্বাচনে অংশ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনেও আলোচনার উত্তাপ ছড়িয়েছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আলোচিত মুখ আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম। ইতোমধ্যেই জানিয়েছেন, আগামীতেও সংসদ নির্বাচন করতে চান তিনি।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হিরো আলমের অনুসারীদের অনেকের মধ্যেই আবার প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, আগামীতে তিনি কোনো রাজনৈতিক দলে যোগ দেবেন কি-না।জবাবে হিরো আলম জানান, কোনো রাজনৈতিক দলে যোগদান নয়, ভবিষ্যতে নিজেই নতুন দল গঠনের ইচ্ছা রয়েছে তার। এখন যেসব রাজনৈতিক দল আছে, সব একই রকমভাবে চলছে উল্লেখ করে তিনি বলছেন, নতুন দল করলে সেখানে পরিবর্তন আনতে চান তিনি। দিতে চান নতুন কিছু।জার্মানিভিত্তিক গণমাধ্যম ডয়চে ভেলের বাংলা বিভাগের ইউটিউব চ্যানেলে প্রচারিত এক টকশোতে অংশ নিয়ে শুক্রবার রাতে তিনি এসব কথা বলেন।রাজনীতির সংস্কৃতি ও হিরো আলম শিরোনামের টকশোতে উপস্থাপক ডয়েচে ভেলে বাংলা বিভাগের প্রধান খালেদ মুহিউদ্দীন হিরো আলমের কাছে জানতে চান, হিরো আলমের রাজনৈতিক লক্ষ্য কী? কোনো জোটে বা রাজনৈতিক দলে যোগ দেবেন কি-না? সরকার বা বিরোধী দলে যোগ দেওয়ার জন্য তার সঙ্গে কেউ কোনো যোগাযোগ করেছেন কিনা?জবাবে হিরো আলম বলেন, আমি সব সময় জনসেবা করা পছন্দ করি। সেই উদ্দেশ্য থেকেই রাজনীতি করা। ভোটের আগে বা পরে বড় কোনো রাজনৈতিক দল এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের যোগাযোগ করেনি। কোনো দলে যোগ দিব কি-না, এখন পর্যন্ত ঠিক করিনি।নিজের কোনো নতুন রাজনৈতিক দল করবেন কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে হিরো আলম বলেন, সবারই স্বপ্ন থাকে দল করার। আমারও নতুন দল করার ইচ্ছা আছে। আমি দল করলে নতুন কিছু নিয়ে আসব। কোনো হিংসা থাকবে না, বিবাদ থাকবে না, সুষ্ঠুমতো ভোট হবে। যার যাকে ভালো লাগবে, তাঁকে ভোট দিবেন। সমাজের জন্য কাজ করবেন।তিনি বলেন, নতুন দল করলে পরিবর্তন কিছু নিয়ে আসব। রাজনৈতিক দলগুলোর দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে হবে। সমাজ পাল্টাতে হবে। দলের কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। এখন যেসব রাজনৈতিক দল আছে, সব একই রকমভাবে চলছে। যারা চালাচ্ছেন, একই রকমভাবে চালাচ্ছেন। যিনি ক্ষমতায় আছেন, তার বাবাও আছে, বাবা গেলে ছেলে আছে। তারা কিন্তু দলে আসন ছাড়ছেন না। এতে দলে এবং দেশে কোনো পরিবর্তন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। দেশের পরিবর্তন করতে গেলে নতুনদের পদ ছেড়ে দিতে হবে। পরিবর্তন আনার জন্য নতুনদের সুযোগ দিতে হবে।আপনার মধ্যে কী এমন গুণ আছে যে মানুষ অন্যদের বাদ দিয়ে আপনাকে বেছে নেবেন, এমন প্রশ্নের উত্তরে হিরো আলম বলেন, আমি সৎ পথে চলি, মানুষের পাশে দাঁড়াই, সহযোগিতা করি। মানুষ এখন ক্যাডার চায় না, সুখে–দুঃখে মানুষের পাশে থাকবেন, এমন মানুষ চায়।অনুষ্ঠানের অপর আলোচক ছিলেন ব্যারিস্টার নিঝুম মজুমদার। তিনি অভিযোগ করেন, বগুড়া-৪ উপ-নির্বাচনে বিএনপি কূটচালে হিরো আলমকে ভোট দিয়ে জেতানোর চেষ্টা করেছে। বিএনপির নির্দেশে নেতা-কর্মীরা হিরো আলমের পক্ষে কাজ করেছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।এ প্রসঙ্গে হিরো আলম বলেন, “বিএনপির একজন নেতা-কর্মী তাকে সহযোগিতা করেছেন, এমন প্রমাণ কেউ দিতে পারলে আর কোনো দিন ভোট করব না। আওয়ামী লীগ-বিএনপি সব দলের লোকজনই আমাকে ভোট দিয়েছে।”এজে/
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জামায়াতে ইসলামী। রোববার সকালে বিক্ষোভ মিছিলটি রাজধানীর কারওয়ান বাজার থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে হাতিরঝিল মোড়ে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তর সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিমের নেতৃত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি নাজিম উদ্দিন মোল্লা, ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য মু. আতাউর রহমান সরকার, ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিসে শূরা সদস্য এডভোকেট ইব্রাহিম খলিল, অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান,কুতুব উদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার নোমান আহমেদী, ইউসুফ আলী মোল্লা ও ছাত্রনেতা সালাহউদ্দিন প্রমুখ।ড. রেজাউল করিম সরকারকে হুশিয়ার করে বলেন, অবিলম্বে কারারুদ্ধ সব আলেম, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে নিঃশর্ত মুক্তি না দিলে জনগণ দুর্বার গণআন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটিয়ে তাদের মুক্ত করবে।তিনি বলেন, সরকার নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করে বিরোধী দলের আন্দোলনকে বিভ্রান্ত ও বিপথগামী করতে চায়। কিন্তু তাদের এ ষড়যন্ত্র জনগণ কখনোই সফল হতে দেবে না।ষড়যন্ত্র ও অপরাজনীতি পরিহার করে অবিলম্বে পদত্যাগ করে কেয়ারটেকার সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। অন্যথায় সরকারের জন্য লজ্জাজনক পরিণতি অপেক্ষা করছে।তিনি সরকার পতনের লক্ষ্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নেমে আসার আহবান জানান।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৩ জানুয়ারি ২০২৩
জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে তাঁকে ঢাকার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মো. ফারুক হোসেন আজ মঙ্গলবার সকালে বলেন, সিটিটিসি শফিকুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে।এর আগে দলটির পক্ষ থেকে জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমানকে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে তুলে নেওয়ার অভিযোগ করা হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৩ ডিসেম্বর ২০২২
ভারতের দারুল উলুম দেবওন্দের কর্মপদ্ধতিকে বৈপ্লবিক ধারা বলে মন্তব্য করেছেন কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক।তিনি বলেন, ‘শায়খুল হাদীস পরিষদ’ সারাদেশে আকাবীরে দেওবন্দের চিন্তাধারা নিয়ে ব্যাপক আলোচনার মধ্য দিয়ে হতাশাজনক পরিস্থিতিতে এক নবজাগরণ সৃষ্টি করবে। মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) রাজধানীর বাবুস সালাম ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে শায়খুল হাদীস পরিষদ উত্তরা জোনের উদ্যোগে ‘আকাবীরে দেওবন্দের চিন্তাধারা ও আজকের প্রেক্ষিত’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উত্তরা জোনের আহ্বায়ক মুফতি আনীসুর রহমানের সভাপতিত্বে সদস্য সচিব মুফতি নেয়ামতুল্লাহ আমীন ও মাওলানা মুর্শিদ সিদ্দিকীর যৌথ সঞ্চালনায় আলোচনা করেন দারুল উলুম করাচির সিনিয়র মুহাদ্দিস মুফতি আব্দুল মান্নান, মুফতি আব্দুল মুনতাকিম, মাওলানা তাফাজ্জুল হক আজিজ, মুফতি হাবীবুল্লাহ মিসবাহ, মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ, মাওলানা মাহবুবুল হক, মুফতি মাসুদুল করীম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরীর সভাপতি মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মাওলানা হাসান জুনাইদ, মাওলানা বখতিয়ার হুসাইন সরদার, মাওলানা নুরুল ইসলাম কাসেমি প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০২ নভেম্বর ২০২২
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, আওয়ামী লীগকে এখন আর কেউ ভালোবাসে না, স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া দলটির জনপ্রিয়তা আজ শূন্যের কোঠায় এসে দাঁড়িয়েছে। গুলি আর প্রশাসনের কারণে তারা টিকে আছে।আজ শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক যোগদান অনুষ্ঠানে মান্না এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট আইনজীবীসহ টাঙ্গাইল জেলার ১১ জন নাগরিক ঐক্যে যোগ দেন।মান্না বলেন, রাজনৈতিক কর্মীদের বিশ্বাস রাখতে হবে, এই সরকার ক্ষমতা ছেড়ে চলে যাবে। যেমন বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস রেখেছিলেন, তাই দেশ স্বাধীন হয়েছিল। দেশে কেউ বলবে না যে খুশি আছে। যে সব ক্ষমতা নিয়ে বসে আছে, সে–ও খুশি নয়। এ ভয়ে থাকে যে কখন ক্ষমতা চলে গেল। তিনি বলেন, যে আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছে, তাদের আজ কেউ ভালোবাসে না। সবচেয়ে প্রবীণ, স্বাধীনতাযুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া দলটির জনপ্রিয়তা আজ শূন্যের কোঠায় চলে এসেছে। গুলি আর প্রশাসনের কারণে টিকে আছে। তাই ভোলা ও নারায়ণগঞ্জে খুনের ঘটনা ঘটেছে।নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, এসব ঘটনা কিন্তু আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্য নয়, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদের কারণে হয়েছিল। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উৎসবে হামলা চালানো হয়েছিল। এখন গুলি, লাঠি, কাঁদানে গ্যাসের শেল ছাড়া প্রতিবাদ বন্ধ করতে পারছে না সরকার। এভাবে পারবে না প্রতিবাদ বন্ধ করতে। তিনি বলেন, ‘বাসের ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়িয়ে এখন ৫ পয়সা কমায়। এ সরকার ফোরটোয়েন্টি সরকার। দেশে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা প্রায় আট কোটি। ক্ষুধা আমাদের প্রধান সমস্যা। সমস্যা রুখতে প্রয়োজন কল্যাণ রাষ্ট্র।’অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, প্রেসিডিয়াম সদস্য মমিনুল ইসলাম, জিন্নুর চৌধুরী দীপু ও মোফাখখারুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক কবীর হাসান প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সরকার ক্যাসিনো, জুয়া, মাদক ব্যবসাসহ জঘন্য অপরাধে জড়িত অপরাধীদের ছেড়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। তাঁরা বলেন, সরকার গুন্ডা, মাস্তানদের দিয়ে জনগণকে ভয় দেখিয়ে দমন–পীড়ন করে রাখতে চায়।রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আজ শনিবার দুপুরে গণতন্ত্র মঞ্চের বিক্ষোভ সমাবেশ ও পদযাত্রা কর্মসূচিতে এসব অভিযোগ করেন সাত দলীয় এ জোট নেতারা। ‘সরকার ও শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন কর, জ্বালানি তেলের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার কর ও দাম কমাও-মানুষ বাঁচাও’ স্লোগানে এই কর্মসূচি পালিত হয়।সমাবেশে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, ‘যাঁরা বাংলাদেশে ক্যাসিনো চালু করেছেন, জুয়া খেলা চালু করেছেন, তাঁদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কোর্টকাছারি কোথায়? তাঁরা গিয়ে বঙ্গবন্ধুর কবরে ফুল দিচ্ছেন।’গণ অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হকও তাঁর বক্তব্যে ক্যাসিনো কেলেঙ্কারিতে জড়িত ব্যক্তিদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘ক্যাসিনো, মাদক ব্যবসাসহ জঘন্য অপরাধে জড়িত অপরাধীদের শেখ হাসিনা নির্বাচন উপলক্ষে ছেড়ে দিচ্ছে। যাতে ঢাকায় তাঁরা গুন্ডামি, মাস্তানি করেন। জনগণের ওপর দমন–পীড়ন চালিয়ে জনগণকে ভয় দেখিয়ে দমন–পীড়ন করে রাখতে চায়। গত ১০ বছরে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে এই সরকার কোনো অভিযান চালায়নি। কারণ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের গুন্ডাদের প্রশিক্ষিত করা হয়েছে। সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো তাঁরা দাসত্বের শৃঙ্খলায় আবদ্ধ করেছে।’সমাবেশ শেষে জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে একটি পদযাত্রা বের হয়ে পল্টন মোড় হয়ে কাকরাইলে গিয়ে শেষ হয়।সমাবেশে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, অনেক দেনদরবার করার পর পুলিশের সবচেয়ে বড় কর্মকর্তাকে জাতিসংঘ আমন্ত্রণ জানিয়েছে, ভিসা পেয়েছেন। কিন্তু তিনি এই কনফারেন্সে যোগ দেওয়ার বাইরে কোথাও যেতে পারবেন না। এর চাইতে লজ্জার কিছু থাকতে পারে? পুলিশকে আজ সারা পৃথিবীর বুকে নিন্দার পাত্র বানানো হয়েছে।গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘নানা জায়গা বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশে এ সরকারের গুন্ডা বাহিনী ছাত্রলীগ, যুবলীগ নানাভাবে হামলা করছে এবং একই সঙ্গে রাষ্ট্রের পুলিশ বাহিনীও হামলা চালাচ্ছে। হামলা করে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। এ সরকার ডলারসংকটে আমদানির বিল দিতে পারছে না। দুর্নীতির কারণে হচ্ছে। জ্বালানি তেলে লাভ করেছেন, কর, ভ্যাট নিয়েছেন, সমন্বয় করেন। তাহলে এই দাম বাড়ানোর দরকার নেই। মানুষের ভয়াবহ নাভিশ্বাস অবস্থা। মানুষের পেটে লাথি মারবেন না।’বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাউয়ূমবক্তব্য দেন। সমাবেশ শেষে জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে একটি পদযাত্রা বের হয়ে পল্টন মোড় হয়ে কাকরাইলে গিয়ে শেষ হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৭ আগস্ট ২০২২