প্রবাস সংবাদ


ভার্জিনিয়ায় ‘৫২ থেকে ২৪’ গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও চিত্রপ্রদর্শনী অনুষ্ঠিত

ভার্জিনিয়ায় ‘৫২ থেকে ২৪’ গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও চিত্রপ্রদর্শনী অনুষ্ঠিত

৫২’র ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান, বাংলাদেশের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলোর স্মরণে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার হার্নডনে অনুষ্ঠিত হলো এক ব্যতিক্রমী আয়োজন। রবিবার দুপুরে ফ্রাইং প্যান ফার্ম ভিজিটর পার্কের অডিটোরিয়ামে দুই ঘণ্টাব্যাপী এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, চিত্রপ্রদর্শনী ও স্মৃতিচারণের মাধ্যমে ঐতিহাসিক ঘটনাগুলো তুলে ধরা হয়।জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হওয়া এই আয়োজনে আয়োজকরা বলেন, স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও ন্যায়ের আন্দোলনে সাধারণ মানুষের ভূমিকা স্মরণ করিয়ে দিতেই এই আয়োজন।অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল ‘৫২ থেকে ২৪ শীর্ষক প্যানেল আলোচনা, যেখানে বাংলাদেশে সংঘটিত গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ও গণআন্দোলনের ধারাবাহিকতা নিয়ে আলোচনা করেন বিশিষ্ট বক্তারা। আলোচনায় অংশ নেন সুলতানা নাসিরা খান, হিরন চৌধুরী, রুনা হক ও মারুফ রহমান। আলোচনার সঞ্চালনায় ছিলেন আনোয়ার ইকবাল। বক্তারা ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন এবং বিশেষ করে ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের পটভূমি ও প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেন। ২০২৪ সালের আন্দোলনকে বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের এক মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করে তারা বলেন, “এই অভ্যুত্থান শুধু একটি প্রতিবাদ নয়, এটি প্রমাণ করে যে নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই কখনো থামে না।” এ সময় একটি তথ্যচিত্রের মাধ্যমে ১৯৫২ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত বাংলাদেশের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরা হয়।সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় ছিল ধ্রুপদ সাংস্কৃতিক সংগঠনের দলীয় নৃত্য, যেখানে নৃত্যশিল্পীরা বাংলাদেশের বিভিন্ন আন্দোলন ও সংগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলোকে স্মরণ করে রচিত জনপ্রিয় দেশাত্মবোধক গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেন। নৃত্য পরিচালনা ও কোরিওগ্রাফি করেন অপর্ণা মিত্র। তাদের নৃত্যে উঠে আসে বাঙালির সংগ্রামের চিত্র, যা দর্শকদের আবেগাপ্লুত করে।এছাড়া, স্বাধীনতা ও গণঅভ্যুত্থান নিয়ে বেশ কয়েকটি আবৃত্তি পরিবেশিত হয়, যেখানে আবৃত্তিকাররা নিজেদের কণ্ঠে তুলে ধরেন মুক্তির চেতনা ও সংগ্রামের ইতিহাস। স্বাধীনতা-সংগ্রাম সম্পর্কিত সঙ্গীত শিল্পীদের গান পরিবেশনা দর্শকদের আবেগে আন্দোলিত করে।আয়োজনের আরেকটি উল্লেখযোগ্য অংশ ছিল চিত্রপ্রদর্শনী, যেখানে ২০২৪ সালের জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রদের আত্মত্যাগের চিত্র ফুটে ওঠে।ছবির ক্যানভাসে উঠে আসে রাজপথে বিক্ষোভরত ছাত্রদের দৃশ্য, নিপীড়নের শিকার সাহসী তরুণদের মুখচ্ছবি ও তাদের আত্মত্যাগের স্মরণীয় মুহূর্ত। এছাড়া, ডিসি-মেরিল্যান্ড-ভার্জিনিয়া (ডিএমভি) এলাকায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা কিভাবে এই আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন, তার ওপরও একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।তরুণ প্রজন্মের অংশগ্রহণ ছিল লক্ষণীয়। গণঅভ্যুত্থানে সরাসরি যুক্ত থাকা তরুণ প্রবাসী বাংলাদেশিরা তাদের অভিজ্ঞতা ও স্মৃতিচারণ করেন, যা উপস্থিত দর্শকদের আবেগাপ্লুত করে। সবশেষে, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া ছাত্রদের বর্বর হত্যাযজ্ঞ এবং শহীদ পরিবারদের স্মৃতিচারণের ওপর দুটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এর মধ্যে একটি প্রামাণ্যচিত্র ছিল সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের করা, যা ২০২৪ সালের আন্দোলনের প্রেক্ষাপট ও জনগণের ভূমিকার ওপর আলোকপাত করে। আরেকটি ছিল “যাত্রাবাড়ী ম্যাসাকার”, যেখানে গণঅভ্যুত্থানের সময় যাত্রাবাড়ীতে সংঘটিত ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞের বর্ণনা তুলে ধরা হয়।সমাপ্তি বক্তব্যে বক্তারা বলেন, “গণতন্ত্র ও ন্যায়ের জন্য যারা জীবন দিয়েছেন, তাদের আত্মত্যাগ কখনোই ভোলা যাবে না।” তারা আরও বলেন, “ফ্যাসিবাদমুক্ত নতুন বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব সবার, আর সেই লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস চালাতে হবে।”অনুষ্ঠানের উপস্থাপনায় ছিলেন মেজর (অব.) শাফায়াত আহমদ। এই আয়োজনের সার্বিক পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনায় ছিলেন ফারজানা ক্লারা। এছাড়া, পুরো আয়োজন সফলভাবে সম্পন্ন করতে আয়োজক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন লিনিয়া নাজমী নন্দীনি, আনোয়ার হোসেন সুমন ও অনুপ রায়হান। তাদের নিবেদিত প্রচেষ্টায় অনুষ্ঠানটি এক স্মরণীয় আয়োজন হয়ে ওঠে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫


মালয়েশিয়ায় একসাথে জোড়া সম্মানে ভূষিত ঝাড়খণ্ডের সমাজসেবী লুৎফল

মালয়েশিয়ায় একসাথে জোড়া সম্মানে ভূষিত ঝাড়খণ্ডের সমাজসেবী লুৎফল

বাণিজ্যিক সাফল্য ও সমাজসেবায় অসামান্য অবদানের জন্য মালয়েশিয়াতে একসাথে জোড়া সম্মাননা পেলেন ঝাড়খণ্ডের প্রখ্যাত সমাজসেবী লুৎফল হক। তিনি ইতিমধ্যেই খ্যাতির শীর্ষে অবস্থান করছেন। ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নানান সম্মানে ভূষিত হয়েছেন তিনি। এবার তার মুকুটে নতুন পালক যুক্ত হল। একসাথে দু-দুটি জোড়া সম্মান পেলেন তিনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থা গ্লোবাল হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলের তরফে তাকে সমাজসেবায় অসামান্য অবদানের জন্য ইন্দো গ্লোবাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৩ প্রদান করা হয়। পাশাপাশি কমনওয়েলথ ইউনিভার্সিটি তাঁকে বাণিজ্যিক সাফল্যের জন্য সম্মানিক ডক্টরেট ডিগ্রী প্রদান করেন।কমনওয়েলথ ইউনিভার্সিটির তরফে এদিন মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে একটি পাঁচতারা হোটেলে অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়। এদিন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়ার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী, প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, উদ্যোগপতি জনাব ড: মজলি মালিক। এদিন জনাব লুৎফল হককে কমনওয়েলথ ইউনিভার্সিটির তরফে সম্মানিক ডক্টরেট ডিগ্রী ও ইন্দো গ্লোবাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৩ তুলে দেন মালয়েশিয়ার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ড: মজলি মালিক।জনাব লুৎফল হক অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। জীবিকা নির্বাহের জন্য তিনি পাথর খনিতে দিনমজুর হিসেবে কাজ শুরু করেন। তিনি দিনমজুর হিসেবে তার কর্ম জীবন শুরু করলেও তার চোখ জুড়ে ছিল বিশাল স্বপ্ন। তিনি স্বপ্ন দেখতেন জীবনে একদিন সফল হতে হবে। দীর্ঘ কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যাবসায়ের মাধ্যমে তিনি বর্তমানে একজন সফল ব্যবসায়ী হিসেবে সুনামের সাথে কাজ করছেন দেশজুড়ে। তার কঠোর পরিশ্রম এবং পিছনে না তাকানোর অভ্যাসের জোরে, লুৎফল হক শুধু ঝাড়খণ্ডেই নয়, তার বাণিজ্যিক সাফল্য ও মানব সেবার কথা ঝাড়খণ্ডের বাইরেও দেশজুড়ে চর্চা হচ্ছে। এই প্রথম বিদেশের মাটিতে ডঃ মালিক লুৎফল হকের মানবসেবার তুমুল প্রশংসা করেন।ডক্টর মালিক বলেন, জনাব লুৎফল হক জিরো থেকে হিরো হয়েছেন। তিনি শৈশবে কৈশোরে দারিদ্রতার সাথে লড়াই করেছেন। বর্তমানে তিনি একজন বড় মাপের সফল ব্যবসায়ী। তিনি কিন্তু শৈশবের দারিদ্রতার কথা ভুলে যাননি। তাই তিনি হাজার হাজার গরীব ও দুস্থ মানুষদের সেবায় আজও নিয়োজিত রয়েছেন।মালিক আরও বলেন, লুৎফল হকের সমাজসেবা অজস্র মানুষদের অনুপ্রাণিত করবে। এদিন কমনওয়েল ইউনিভার্সিটির প্রো ভাইস চ্যান্সেলর ড: রিপু রঞ্জন সিনহা উপস্থিত ছিলেন। তিনি লুৎফল হকের ভুয়সী প্রশংসা করেন।মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর শহরের পাঁচতারা হোটেল সুইস গার্ডেন হোটেলে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যেখানে আমেরিকা,অস্ট্রেলিয়া, ফিলিপাইন, নিউজিল্যান্ড, মালয়েশিয়া, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া সহ ভারতের বহু বিশিষ্টজন উপস্থিত ছিলেন।উল্লেখ্য, সমাজসেবায় অসামান্য অবদানের জন্য ইতিপূর্বে লুৎফল হককে মুম্বাইতে অল ইন্ডিয়া জার্নালিস্ট প্রোটেকশন কমিটি কর্তৃক সমাজসেবার ক্ষেত্রে সম্মানিত করা হয়েছিল, যেখানে তাঁর সমাজসেবার কথা মুম্বাইয়ের বিভিন্ন সংবাদপত্র ও টিভি চ্যানেলে প্রকাশিত হয়েছিল। তাছাড়া গত মাস দুয়েক পূর্বে কলকাতায় একটি পাঁচতারা হোটেলে লুৎফল হককে সমাজসেবার ক্ষেত্রে নিঃস্বার্থ কাজের জন্য বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড সম্মান প্রদান করা হয়। এই মহার্ঘ্য সম্মানটি তুলে দেন বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর।এ দিন মালেশিয়ার মাটিতে লুৎফল হকের দু’দুটি পুরস্কার প্রাপ্তিতে গোটা ঝাড়খন্ড ও বাংলা জুড়ে প্রশংসার বন্যা বইছে। সমাজের বহু গুণীজন লুৎফল হকের এই পুরস্কার প্রাপ্তিতে অভিনন্দন জানিয়েছেন।এদিকে লুৎফল হক বলেন, আমি শৈশবে দারিদ্রতার সাথে লড়াই করেছি, খুব কাছ থেকে দারিদ্রতাকে দেখেছি। আজ আমি ব্যবসায়ী হিসেবে সফল হয়েছি, তাই গরিব মানুষকে আমি ভুলিনি। আমি যতদিন পৃথিবীতে বাঁচবো, ততদিন গরিব ও অসহায় মানুষের সেবা করে যাব।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩১ মার্চ ২০২৩


প্রেমের টানে সাইপ্রাস থেকে বাংলাদেশে নেপালি তরুণী

প্রেমের টানে সাইপ্রাস থেকে বাংলাদেশে নেপালি তরুণী

সাইপ্রাসে রেস্টুরেন্টে চাকরির সুবাদে দুজনের পরিচয় ও প্রেম। অবশেষে ঘর বাঁধার স্বপ্ন নিয়ে সাইপ্রাস থেকে রাসেলের সঙ্গে বাংলাদেশে চলে আসেন জ্যোতি। গত শুক্রবার জ্যোতি ও রাসেল ঢাকায় আদালতের মাধ্যমে কোর্ট ম্যারেজ এবং রায়পুরে নিকাহ রেজিস্ট্রার দিয়ে বিবাহ সম্পূর্ণ করেন। বুধবার রাতে নেপালি গৃহবধূকে একপলক দেখার জন্য ছুটে আসেন গ্রামবাসী। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে জ্যোতি থেকে নাম রাখা হয় খাদিজা বেগম।প্রবাসফেরত রাসেল (৩০) রায়পুর পৌরসভার কাঞ্চনপুর গ্রামের মৃত মনতাজুর রহমান ভূঁইয়াবাড়ির মৃত শহীদ উল্লাহর ছেলে এবং জ্যোতি (খাদিজা আক্তার) (২২) নেপালের সোনাচুড়ি জেলার হেটড়া শহরে বসবাসকারী নিথন জ্যোতির মেয়ে। রাসেল জানান, প্রায় চার বছর ধরে সাইপ্রাসের একটি কোম্পানিতে কাজ করার সুবাদে জ্যোতির সঙ্গে পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত শুক্রবার নেপাল থেকে ঢাকায় এসেই জ্যোতির ইসলাম ধর্ম গ্রহণ শেষে শরিয়াহ মোতাবেক বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হই। মঙ্গলবার আমাদের গ্রামের বাড়ি (রায়পুর) আসি। বুধবার পরিবার-স্বজনদের নিয়ে হলুদসন্ধ্যা ও বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করি। খাদিজা তার পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে আমার কাছে চলে এসেছে। আমিও আর সাইপ্রাস যাব না। বাংলাদেশেই ব্যবসা করব।জ্যোতি বলেন, নেপালে আমার মা-বাবা, ভাইবোন সবাই আছে। আমি সবার সম্মতি নিয়েই রাসেলের কাছে চলে এসেছি। বাংলাদেশর সংস্কৃতি ও গ্রাম্য পরিবেশ আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। রাসেল এবং তার পুরো পরিবারকে আমি অনেক ভালোবাসি। আমি আর নেপালে ফিরে যাব না।রাসেলের মা জানান, ছেলের বউ (নেপালি গৃহবধূ) পেয়ে আমরা খুব খুশি হয়েছি। ওদের আনন্দেই আমরা আনন্দিত। আলহামদুলিল্লাহ আমরা ইসলামি রীতি-নীতি অনুস্মরণ করেই তাদের বিয়ের দিয়েছি। ছেলের কাছে মেয়েটির বর্ণনা শুনে নিজেই বলেছি— তাকে আমাদের দেশে নিয়ে আসতে। বর্তমানে খাদিজা বেগম পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে পারে। সবাই দোয়া করবেন তারা যেন ভালোভাবে আগামীর দিনগুলো কাটাতে পারে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩০ ডিসেম্বর ২০২২


বিদেশের মাটিতে বই মেলা প্রবাসীদের বাংলা বই পড়তে আরও উদ্বুদ্ধ করবে : নওফেল

বিদেশের মাটিতে বই মেলা প্রবাসীদের বাংলা বই পড়তে আরও উদ্বুদ্ধ করবে : নওফেল

উচ্চ শিক্ষাখাতে বাংলাদেশে বৈপ্লবিক পরিবর্তন হচ্ছে বলে মত দিয়েছেন শিক্ষাউপ-মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তিনি বলেছেন, বেসরকারি খাতে নতুন নতুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এতে ভূমিকা রাখছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে আয়োজিত বইমেলা ও বঙ্গসংস্কৃতি উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। দুবাইয়ে বাংলাদেশ কনস্যুলেট প্রাঙ্গনে তিন দিন ব্যাপী এই উৎসব শুরু হয়েছে ৪ নভেম্বর শুক্রবার। মধ্যপ্রাচ্যে প্রবাসীদের নিয়ে প্রথমবারের মত আয়োজিত এই বইমেলা এরই মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। শিক্ষাউপমন্ত্রী বলেন, বিদেশের মাটিতে এই আয়োজন বাংলা বই পড়তে আরও মানুষকে উদ্বুদ্ধ করবে।দুবাইয়ে অবস্থান করছেন ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির চ্যান্সেলর আবুবকর হানিপ। তিনিও এই বইমেলা ও বঙ্গসংস্কৃতি উৎসবে অংশ নেন। তার সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান ড. সবুর খান। এর আগে মেলা উদ্বোধন করেন প্রখ্যাত কবি ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব কবি কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী। সম্মানিত অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মোহাম্মদ নুরুল হুদা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবু জাফর।বইমেলায় স্টলগুলো সেজেছে বিভিন্ন বাংলা বইয়ে। ঢাকা থেকে যোগ দিয়েছে ৩০টি প্রসিদ্ধ প্রকাশনা সংস্থা। মোট স্টল পড়েছে ৭৩টি। বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি এই মেলায় যোগ দিয়েছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৫ নভেম্বর ২০২২


ট্রেন্ডিং

২০২৩ সালে ১ লাখ ১০ হাজার লোক নেবে দক্ষিণ কোরিয়া

২০২৩ সালে ১ লাখ ১০ হাজার লোক নেবে দক্ষিণ কোরিয়া

২০২৩ সালে রেকর্ড সংখ্যক ভিসা বৃদ্ধি করবে দক্ষিণ কোরিয়া। শ্রমিক ঘাটতি রোধে ছোট এবং মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠানকে সহায়তা করার জন্য এ পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটির সরকার। নতুন ১ লাখ ১০ হাজার ভিসার মধ্যে ৭৫ হাজার উৎপাদন শিল্পে, ১৪ হাজার কৃষি ও পশুসম্পদ শিল্পে, ৭ হাজার মৎস্য শিল্পে, ৩ হাজার নির্মাণ শিল্পে ১ হাজার সেবামূলক কাজে এবং বাকি ১ হাজার চাহিদার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে।দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট অফিসে বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) এক জরুরি মিটিংয়ে দেশটির শ্রমমন্ত্রী জানান, সরকার আগামী বছর ১ লাখ ১০ হাজার ই-৯ ভিসা ইস্যু করবে। ই-৯ ভিসা ছোট এবং মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য নিয়োগ দেওয়া হবে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের সভাপতিত্বে জরুরি বৈঠকে দেশের অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য শ্রম, অর্থ ও বাণিজ্যমন্ত্রী নীতিগুলো প্রস্তাব করেন।তিনি আরও বলেন, ছোট ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠান মারাত্মক শ্রমিক সংকটে ভুগছে। চলতি বছরে ৭০ হাজার বিদেশি শ্রমিক কোরিয়ায় প্রবেশ করেছে। আগামী বছর তা ১ লাখ ১০ হাজার করা হবে, এতে ওয়ার্ক পারমিট চালু করার পর এক বছরে সর্বোচ্চ শ্রমিক নিয়োগ হবে। মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, ২০১৯ সালে ই-৯ ভিসাধারী বিদেশি কর্মীর সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৭৭ হাজার জন। কিন্তু কোভিডের কারণে গত বছরের ডিসেম্বরে কর্মী সংখ্যা হ্রাস পেয়ে ২ লাখ ১৮ হাজারে নেমে আসে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০২ নভেম্বর ২০২২


বিকল্প প্রক্রিয়ায় মালয়েশিয়া যাচ্ছেন ১০ হাজার বাংলাদেশি কর্মী

বিকল্প প্রক্রিয়ায় মালয়েশিয়া যাচ্ছেন ১০ হাজার বাংলাদেশি কর্মী

বিকল্প প্রক্রিয়া আগামী সপ্তাহের শুরুতে মালয়েশিয়া যাচ্ছেন ১০ হাজার বাংলাদেশি কর্মী। এককালীন ব্যবস্থা হিসেবে জি-টু-জি চুক্তির অধীনে এসব বাংলাদেশি কর্মী মালয়েশিয়ায় যাবেন।এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া সমঝোতা চুক্তির অধীন ২৫টি বাংলাদেশি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে জনশক্তি রপ্তানির চলমান কার্যক্রমের কোনো সম্পর্ক নেই।মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি সেক্রেটারি-জেনারেল অপারেশন্স ইনচার্জ খায়ের রজমান মোহাম্মদ আনোয়ার স্থানীয় গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।তিনি বলেন, 'মূলত উচ্চ অভিবাসন খরচ এড়াতে মালয়েশিয়ান নিয়োগকর্তাদের প্রয়োজন ও উৎসাহে এমন ব্যবস্থায় সরকার সম্মতি দিয়েছে। এটি কেবল বিদেশি কর্মী নিয়োগ ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে করা হয়েছে।'তিনি আরও বলেন, 'মালয়েশিয়ান এমপ্লয়ার্স ফেডারেশন (এমইএফ) এবং মালয়েশিয়ান পাম অয়েল অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে ১০ হাজার বাংলাদেশি কর্মী নেওয়া হচ্ছে। গত ১৪ সেপ্টেম্বর মালয়েশিয়ার মন্ত্রিসভা এই নিয়োগ প্রকল্প অনুমোদন করেছে।'এমইএফ সার্কুলার অনুযায়ী, ১০ হাজার কর্মীর মধ্যে ৪ হাজার ২০০ জন এখনো নিয়োগের জন্য অপেক্ষমাণ। মন্ত্রণালয় মোট ২ হাজার ১০০টি এমইএফ সদস্যদের জন্য বরাদ্দ করেছে।মালয়েশিয়ার শ্রম ও অভিবাসন বিভাগ, কুয়ালালামপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারি মালিকানাধীন বৈদেশিক নিয়োগ সংস্থা বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (বয়েসেল) এই কর্মী পাঠানোর কাজ করছে।গত ২০ সেপ্টেম্বর হাইকমিশনারকে দেওয়া এক চিঠিতে বয়েসেল জানিয়েছে, ২ সপ্তাহের মধ্যে শ্রমিকদের মালয়েশিয়া পাঠানো হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২


বিশেষ সংবাদ