নিজস্ব প্রতিবেদক । ০২ আগস্ট ২০২২
ইভিএমে ভোট গননা সম্পর্কে আমার দেওয়া বক্তব্যকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিকৃতভাবে প্রকাশ করে আমার চরিত্রহনন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন পটুয়াখালীর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য জোবায়দুল হক রাসেল।
বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে শনিবার আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে উঠান বৈঠক হয়। তাঁতেরকাঠী মাধ্যমিক বিদ্যালয় এলাকায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
রাসেল বলেন, "২৪ জুলাই আমি বলেছি, ২৭ তারিখের পরদিন দেখা হবে, ভোট কোন সেন্টারে কয়টা ভোট পরে। ভোট গুনবে ইভিএমে কে কোথায় ভোটে দেয় সব আমাদের কাছে চলে আসবে। অতএব, ভয় পাওয়ার কোন কারণ নাই, টেনশনের কোন কিছু নাই, যারা ভোট কেন্দ্রে যাবেন ইনশাআল্লাহ নৌকায় ভোট দিবেন। আপনাদের প্রতি কোন দাবী দাওয়াও নাই। ২৭ তারিখের পরে ২৮ তারিখে দেখা হবে।"
"কিন্তুবক্তবের আগের অংশ থেকে কেটে বিভিন্ন পত্রিকায় এবং ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ায় আমার বক্তব্য বিকৃতভাবে ভোট গুনবে জায়গায় ভোট হবে সহ মনগড়া বক্তব্য উপস্থাপন করে আমাকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে। এ নিয়ে আমি গণমাধ্যমে প্রতিবাদ লিপি দিয়েছি।"
রাসেল বলেন, আপনাদের জ্ঞাতার্থে ২৪ জুলাই আমার দেয়া সম্পূর্ণ বক্তব্য হলো:
আমার নাম অনেকেই শুনেছেন। ছোটবেলায় শৈশব কৈশর আমার এখানেই কেটেছে, আমি এই ফফির বাড়ি স্কুলে পড়েছি। আমি ৮৫/৮৬ সালের দিকে এইখানে আমার শৈশব কৈশরের স্মৃতি আছে। এইখানে আমার যারা আছেন আমার এই এলাকায় মুরব্বিরা যারা আছেন। তাদের কাছে যেহেতু আমি এসেছি, আপনাদের এখানে যেহেতু আমি এসেছি আপনাদের কাছে শুধু আমার একটাই দাবী বলতে পারেন যেহেতু আমি বর্তমানে না ব্যবসায়ী বড় ইঞ্জিনিয়ারও না বড় কোন ডাক্তারও না যেহেতু আমি রাজনীতির সাথে জড়িত আমি যেহেতু রাজনীতি করি শেখ হাসিনার কর্মী বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন সৈনিক নৌকার একজন কর্মী, যেখানেই নৌকার নির্বাচন হয় সেখানেই আমাদের নেতা জনাব ওবায়দুল কাদের তিনি আমাদের পাঠান নৌকার নির্বাচন পরিচালনা করার জন্য। আর এটা আমার ইউনিয়ন, এটা আপনাদের ইউনিয়ন এটা আমাদের সকলের ইউনিয়ন। আমরা একটা সুন্দর উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা যারা কেন্দ্রে যাব তারা নৌকায় ভোট দিব। আমি আবারও বলি এই ইজ্জত আপনাদের, আপনার বাড়ির, আপনার ঘরের, আপনাদের সম্মানের। এখানে কিছু ভাই ব্রাদার আছেন, কিছু আত্মীয় স্বজনেরা আছেন, কালকের বক্তব্যের পরে তাদের মন টোন খুব খারাপ হয়ে গেছে। অনেক ধরণের কথা বলতেছে। আমার ফোনে ফোন দিয়ে বিভিন্ন ধরণের কথা বলা হচ্ছে। আমি শুধু বলতে চাই একটা কথাই, যে ভাবেই ফারুক আপনাদের কাছে যদি খারাপ হয় আপনারা ফারুক ভাইকে কোন ভোট দিয়েন না, আপনার ভোট দিবেন বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার মার্কা নৌকাকে। আপনারা ভোট দিবেন পদ্মা সেতুর রুপকার শেখ হাসিনার মার্কা নৌকাকে। আপনারা ভোট দিবেন এই এলাকার এই জনগণের আপনাদের প্রিয় ভাই ইব্রাহিম ফারুককে। আমার বয়সী যারা আছেন, আমার ছোট বড় মুরব্বিরা যারা আছেন, এইখানে বসে ওইখানে বসে বিভিন্ন ধরণের কথা বার্তা হয়। ভোট আসলে আপনাদের এত দাম বাইড়া যায়, আমি একটা জিনিস বুঝি না, এই সরকার থেকে নুন্যতম একটা সাধারণ মানুষও ৫০ টাকা নেয়। এ টাকায় তার দৈনন্দিন জীবন-যাপনের জন্য, এই আপনার ঘরের বিদ্যুৎ থেকে শুরু করে আপনি যে রাস্তার উপরে হাটেন, আপনাদের চিকিৎসা ভাতা, আপনাদের আপনারা যদি দৈনিক ৫০ টাকা করে ধরেন আপনার নিজেদের জন্য, তাহলে মাসে আপনার ১,৫০০/- টাকা, বছরে আপনার ৯,০০০/- টাকা, পাঁচ বছরে ৪৫,০০০/- টাকা। একজন যদি পান ৪৫,০০০/- টাকা আপনি সরকার থেকে নেন, আপনার পরিবারে যদি ৫ জন থাকে, তাহলে কত টাকা আপনি সরকার থেকে পাচ্ছেন হিসাব করেন। এখন নির্বাচন আসলে নতুন টাকার ছড়াছড়ি এখন তো টাকা দিতে পারছে না, বিকাশ নাম্বারে, আকাশ নাম্বারে, পাতাল নাম্বারে, যা আছে দিয়ে দেন। অসুবিধা নাই টাকা নেন সমস্যা নাই, কেন্দ্রে কিন্তু নৌকা নিয়ে যেতে হবে। নৌকার প্রার্থী আমি আবারও বলি জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। এটা কিন্তু আমার স্বাধীনতার মার্কা। এটা কিন্তু আমাদের স্বাধীনতার কথা। এই স্বাধীনতার মার্কা হলো নৌকা। এই নাজিরপুরে এই এলাকায় বিগত ১৫ টি বছর অনেকে অনেক দলের সাথে জড়িত, বুকে হাত দিয়ে বলুন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আমি ছাত্রলীগ করতাম, আমি আওয়ামী লীগের একজন কর্মী আমি আওয়ামী লীগের নেতা, কোনদিন যারা বিএনপি করেন বা অন্য দলের সাথে জড়িত তাদের নামে একটা মামলা দিয়েছি আমরা বা কোন বাড়িতে হামলা করেছি তাহলে বলেন যারা বিএনপি করেন, বিএনপি তো ভোট করতেছে না, তাহলে আপনি কার পিছে ঘোরেন।
২৭ তারিখের পরদিন দেখা হবে ভোট কয়টা সেন্টারে পরে ভোট গুনবে ইভিএমে কে কোথায় ভোটে দেয় সব আমাদের কাছে চলে আসবে। অতএব, ভয় পাওয়ার কোন কারণ নাই, টেনশনের কোন কিছু নাই, যারা ভোট কেন্দ্রে যাবেন ইনশাআল্লাহ নৌকায় ভোট দিবেন। আপনাদের প্রতি কোন দাবী দাওয়াও নাই। ২৭ তারিখের পরে ২৮ তারিখে দেখা হবে।
সবাই ভাল থাকবেন, বাসায় থাকবেন, শান্তিতে থাকবেন, সুখে থাকবেন। জয়া বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।"