নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৩ নভেম্বর ২০২২
বাংলাদেশ আবার পরাধীনতার জাঁতাকলে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ বুধবার দুপুরে বিএনপির বগুড়া জেলা ইউনিটের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, আমাদের নিন্দুকেরা বলেন বিএনপির জন্ম নাকি ক্যান্টনমেন্টে, গণতন্ত্রের কোনো চর্চা নেই। তাদের অনুরোধ করবো আসুন আজকে বগুড়ায়। দেখুন গণতন্ত্রের কী অভূতপূর্ব চর্চা। বিএনপি সরকার ক্ষমতায় থাকতে বগুড়ায় প্রথম আমাদের আজকের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি গঠন শুরু করেছিলেন। পোস্টার ছাপিয়ে মার্কা দিয়ে নির্বাচন হয়েছে। আজকে আবার সেই চিত্র দেখে আমার মন ভরে গেছে।
বিএনপির জন্মই হয়েছিল গণতন্ত্রকে পুনর্জন্ম দেওয়ার জন্য। যে গণতন্ত্রকে আওয়ামী লীগ গিলে খেয়ে ফেলেছিল। যে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়ে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল। সেই গণতন্ত্রকে আবার ফিরিয়ে নিয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করেছিলেন। আজকে ৫০ বছর পরে, আমাদের চরম দুর্ভাগ্য, এই দেশে আবার আমাকে বলতে হয় যে, আমাদের গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেওয়া হোক। আমার অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হোক। আমার ভোটের, কথা বলার অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হোক। এর চেয়ে দুর্ভাগ্য আর কিছু হতে পারে না, বলেন ফখরুল।
তিনি আরও বলেন, ৫০ বছর পরে এ কথা নিঃসন্দেহে বলতে পারি এ বাংলাদেশ আবার পরাধীনতার জাঁতাকলে পড়েছে। আবার একটি ফ্যাসিবাদী, অগণতান্ত্রিক, কর্তৃত্ববাদী ব্যবস্থার মধ্যে পড়েছে। সেদিন যেমন এই বগুড়ার সন্তান প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান পুরো জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছিলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘ ৯ বছর রাজপথে ঘুরে ঘুরে আন্দোলন করেছিলেন গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য, সেই আন্দোলন আজ আবার ঘোষণা করেছেন আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
আমাদের আজকে যে আন্দোলন-সংগ্রাম শুরু হয়েছে, সারা দেশের মানুষ যে আবার জেগে উঠছে, এই জাগরণ সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। জনগণের জাগরণের মধ্য দিয়ে এদের পরাজিত করতে হবে। আওয়ামী লীগ এখন প্রমাদ গুণছে। তারা বুঝে গেছে তাদের পায়ের নিচে আর মাটি নেই। তারা বুঝে গেছে এ দেশের মানুষ আর তাদের সঙ্গে নেই।
সেই জন্য আজকে তারা ভিন্ন পথে যাওয়ার চেষ্টা করছে। তারা সংঘাত সৃষ্টি করতে চায়। তারা আমাদের সংবিধানসম্মত অধিকার যে, আমি সমাবেশ-মিছিল করতে পারবো। জনগণকে সামনে নিয়ে এগিয়ে যেতে পারবো, সেটা লুপ্ত করতে যত রকমের হীন কৌশল আছে সেগুলোকে তারা আজকে ব্যবহার করছে। সমাবেশ করতে দেবে না, বারবার হুমকি।
এত হুমকি কারা দেয়? যারা ভেতরে দুর্বল। তাদের গলা অনেক চড়া হয় কিন্তু ভেতরে ভেতরে ভয়ে কাঁপতে থাকে। এরা হচ্ছে সেই দল। প্রত্যেকটা সমাবেশে তারা পরিবহন বন্ধ করে দিয়েছে দুদিন আগে থেকে। তারা অত্যাচার করেছে, আক্রমণ করেছে—বলেন বিএনপি মহাসচিব।