নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
আগামী নির্বাচনে ফাইনাল খেলায় ফয়সালা হবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আন্দোলন আন্দোলন করতে করতে মির্জা ফখরুল সাহেবের গলা শুকিয়ে ফেলছেন। কিন্তু মরা নদীতে জোয়ার আসে না। জোয়ার কি আসবে কখনও? নেতাকর্মীর আন্দোলন দিয়ে ইতিহাসে সরকার হটানো যায় না। এখনও আপনাদের সঙ্গে নেতাকর্মীর বাইরে জনগণ যোগদান করেনি, কোন মুখে বলেন ফয়সালা হবে। হবে, হবে, ফয়সালা হবে। ফয়সালা হবে আগামী নির্বাচনে। তখন দেখা যাবে কে হারে কে জেতে।
শনিবার (০৩ সেপ্টেম্বর) কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) তে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিশ্ব পরিস্থিতিতে একটা সংকটময় অবস্থা চলছে। সারা বিশ্বেই অস্থিরতার মধ্যে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনিই প্রথম সরকার প্রধান যিনি বলেছেন আমাদের মানুষ কষ্টে আছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন কষ্টে আছে। তার মানে বাস্তবতা স্বীকার করে নিয়েছেন। তারপরও এখানে আন্দোলনের হাঁক ডাক শোনা যায়। ।
তিনি বলেন, রাজপথে এখন কি চক্রে আছেন আমরা জানি। ট্যামস নদীর ওপার থেকে দণ্ডিত অর্থপাচারকারী, অপরাধী যুবরাজ হাঁক ডাক দিচ্ছে। সেই ডাকে ট্যামস নদীতে ঢেউ উঠেছে কি-না? জানি না। তবে পদ্মা মেঘনা, যমুনায় ঢেউ নেই। বিএনপির শুকন নদীতে জোয়ার আর আসে না। চিৎকার যত পারেন করুন ফয়সালা হবে। আমিও বলছি ফয়সালা হবে। ফয়সালা হবে নির্বাচনে। আগামী নির্বাচনে ফয়সালা হবে।
বিএনপি মহাসচিবের উদ্দেশে বলেন, রাজপথে হুমকি দিয়ে লাশ ফেলতে চান? আপনারা লাশ ফেলার দুষ্ট চক্রে আবদ্বিত। লাশ ফেলে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন কোনো আন্দোলনে ফয়সালা বিরোধী দল করতে পারেনি। সরকার হটাবেন? জনগণ সাড়া দেক, দেখি না। এখনও কোথাও জনগণ সাড়া দেওয়ার কেউ নেই। জনগণ কারো সাথে মারামারি করে না। আপনাদের আন্দোলন মানেই হচ্ছে নিজেরা নিজেরা মারামারি। আপনাদের বিক্ষোভ মানেই হচ্ছে পুলিশের দোষ, পুলিশের ওপর হামলা। পুলিশের ওপর হামলা পুলিশ আত্মরক্ষা করবে না?
তিনি বলেন, আপনাদের হাতে রক্তের দাগ। মির্জা ফখরুল আপনাকে সতর্ক করে দিতে চাই। আপনাদের হাতে রক্তের অনেক দাগ। ২১ হাজার আওয়ামী লীগ কর্মী, আহসান উল্লাহ মাস্টার, মঞ্জুরুল ইমাম, শাহ এ এম এস কিবরিয়া, এদের রক্তে আপনাদের হাত রঞ্জিত। আমরা আপনাদের কাউকে হত্যা করিনি। হত্যা ষড়যন্ত্রের রাজনীতিতে আমরা বিশ্বাস করি না। আমাদের নেত্রী ২০ বার হত্যার টার্গেটে পড়েছেন, কিন্তু খালেদা জিয়াকে কেউ মারতে যায়নি। কাকে অপবাদ দেন?
তিনি বলেন, যখনই আইনমন্ত্রী বললেন কমিশন হবে, সঙ্গে সঙ্গেই বলে কি জিয়াউর রহমান হত্যার কমিশন হবে। এ কমিশন ক্ষমতায় গেলে হবে, কবে? ক্ষমতায় যখন ছিলেন তখন কেন করলেন না? তাহলে নিশ্চই আপনাদের মধ্যেও অনেকেই আছেন জিয়াউর রহমানকে হত্যার পেছনে দূরবিসন্ধিও আছে, চক্রান্তও আছে। তানা হলে কেন কমিশন করলেন না। লাশের কাহিনীও সবাই জানে। আমার প্রশ্নের জবাবে ফখরুল সব সময় নিরুত্তর।