নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৪ মার্চ ২০২৪
স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার মূল চাবিকাঠি হবে ডিজিটাল সংযোগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন স্মার্ট বাংলাদেশ ও স্মার্ট জাতি গঠনই বাংলাদেশের পরবর্তী লক্ষ্য।
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য পূরণে সাইবার সিকিউরিটি ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে কাজ করবে পিপলএনটেক বাংলাদেশ। ইতিমধ্যে সাইবার সিকিউরিটি ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
এই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার (১লা মার্চ) ঢাকায় অবস্থিত পিপলএনটেকের নিজস্ব কার্যালয়ে সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ক একটি সেমিনার আয়োজন করা হয়।
অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহনে সেমিনারে বক্তব্য রাখেন সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা বিষয়ক জাতীয় কমিটির সদস্য ও পিপলএনটেক ইনস্টিটিউট অফ আইটির হেড অফ ফ্যাকাল্টি সাইবার সিকিউরিটি প্রকৌশলী মো. মুশফিকুর রহমান।
বর্তমানে ডিজিটাল বিপ্লবের সময়ে সাইবার সিকিউরিটির গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করা হয় সেমিনারে।
সেমিনারে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে মুশফিকুর রহমান বলেন, বিদেশি সফটওয়্যার ব্যবহারে তথ্য নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকে। জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দেশীয় উৎপাদিত সফটওয়্যার ব্যবহারের চর্চা বাড়াতে হবে। আর এটি নিশ্চিত করতে হলে প্রযুক্তিতে নিজেদের দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা জরুরি এতে দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি প্রযুক্তি রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক আয়ও বাড়বে। এছাড়াও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে সাইবার সিকিউরিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন তিনি।
পরে শিক্ষার্থীদের প্রশ্নোত্তর পর্বের মাধ্যমে শেষ হয় সেমিনারটি।
পিপলএনটেকের আয়োজনে একবছর মেয়াদী পোষ্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন সাইবার সিকিউরিটি কোর্স শুরু হবে চলতি মাসে।
এই কোর্সে থাকবে ইথিক্যাল হ্যাকিং, ডিজিটাল ফরেনসিক ইনভেস্টিগেশন, ইনফরমেশন সিস্টেম সিকিউরিটি আর্কিটেকচার, ইনফরমেশন সিস্টেম অডিটিং, সাইবার সিকিউরিটি অপারেশন সেন্টার, ক্লাউড কম্পিউটিং সিকিউরিটি, নেটওয়ার্ক সিকিউরিটি আর্কিটেকচার সহ মোট ১২ টি বিষয়।
কোর্স শেষে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির পার্টনারশিপে সার্টিফিকেট প্রদান করার ঘোষণা দেওয়া হয়।