প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কেউ অবৈধ অনুপ্রবেশ করলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৪ অক্টোবর ২০২২

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কেউ অবৈধ অনুপ্রবেশ করলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

সরকার ২৯টি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানকে 'গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো' হিসেবে ঘোষণা করেছে এবং সংস্থাগুলোর তথ্যে অবৈধ অনুপ্রবেশ শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচনার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণাও দিয়েছে।

গত রোববার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অনুসারে, এই পরিকাঠামোগুলো এমন সব তথ্য (ডাটা অথবা ইলেকট্রনিক তথ্য) নিয়ন্ত্রণ, বিশ্লেষণ, বিতরণ ও সংরক্ষণ করে, যা ক্ষতিগ্রস্ত হলে অথবা গুরুতরভাবে প্রভাবিত হলে জননিরাপত্তা, আর্থিক নিরাপত্তা, জনস্বাস্থ্য, জাতীয় নিরাপত্তা ও অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্বের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়তে পারে।
নতুন এই সিদ্ধান্তের ফলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, কেন্দ্রীয় ও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক, জাতীয় পরিচয় ও অভিবাসন বিভাগের মতো সংস্থার তথ্যে অবৈধ অনুপ্রবেশের অপরাধের জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা সংস্থার মহাপরিচালককে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকানোর এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে। এই লক্ষ্য অর্জনে নিয়মিত নিরীক্ষা প্রক্রিয়া চালু করা হবে এবং সরকারের কাছে এ বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।

এসব পরিকাঠামোকে সুরক্ষিত রাখার জন্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার নেওয়ার এখতিয়ারও দেওয়া হয়েছে মহাপরিচালককে।

২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বলা হয়েছে, 'মহাপরিচালকের নিকট যদি যুক্তিসঙ্গতভাবে বিশ্বাস করিবার কারণ থাকে যে, তাহার অধিক্ষেত্রভুক্ত কোনো বিষয়ে কোনো ব্যক্তির কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোর জন্য হুমকিস্বরূপ বা ক্ষতিকর, তাহা হইলে তিনি স্বতঃপ্রণোদিতভাবে বা কাহারও নিকট হইতে কোনো অভিযোগপ্রাপ্ত হইয়া উহার অনুসন্ধান করিতে পারিবেন।'

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো হিসেবে ঘোষিত সংস্থাগুলো হলো: রাষ্ট্রপতির কার্যালয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ ডেটা সেন্টার কোম্পানি লিমিটেড, সেতু বিভাগ, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর, জাতীয় ডেটা সেন্টার ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, বিটিআরসি, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অণুবিভাগ ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট, সোনালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন প্রকল্প, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস, ইমিগ্রেশন পুলিশ, বিটিসিএল, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি, সেন্ট্রাল ডিপজিটরি, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটি, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয়, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ।

জাতীয় ডেটা সেন্টারের পরিচালক (সিএ অপারেশন ও নিরাপত্তা) ও পরিচালক (ডাটা সেন্টার) তারেক এম বরকতউল্লাহ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এসব পরিকাঠামোতে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য আইসিটি কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।'