এপিএ বাস্তবায়নে ৪৬ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৩য় অবস্থানে জবি

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৪ অক্টোবর ২০২২

এপিএ বাস্তবায়নে ৪৬ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৩য় অবস্থানে জবি

মোঃ আবুল বাশার , জবি প্রতিনিধি: 
বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) বাস্তবায়নে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) কর্তৃক মূল্যায়নে দেশের ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।

সরকারের মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জরী কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির আওতায় কৌশলগত উদ্দেশ্যসমূহ; জাতীয় শুদ্ধাচার কর্মপরিকল্পনা; ই-গভর্ন্যান্স; অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা; সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি ও তথ্য অধিকার কর্মপরিকল্পনাসহ ৫টি বিষয়ে প্রাপ্ত সার্বিক স্কোর ১০০-তে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ৯৩.৭৫ পেয়ে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে। রবিবার ইউজিসির সচিব ড. ফেরদৌস জামান স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ তথ্য জানানো হয়। টানা তৃতীয়বারের মতো শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরকৃবি), তাদের স্কোর ৯৯.৪৭। এপিএ মূল্যায়নে ৯৪.৪৮ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

একটি প্রতিষ্ঠানে বা সংস্থায় সেবা প্রদানে গতিশীলতা আনয়ন, দক্ষতা বৃদ্ধি এবং দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সরকার ২০১৪-১৫ সাল থেকে দেশে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) চালু করে। এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরণে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতার উন্নয়ন, সকল স্তরের কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা নিরূপণ এবং সরকার ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-২০৩০ ও রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়ন অনেকটা সহজ হয়। ২০১৫-১৬ অর্থবছর থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ইউজিসি’র এপিএ স্বাক্ষর হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৬-১৭ অর্থবছর থেকে ইউজিসি তার আওতাধীন সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এই চুক্তি স্বাক্ষর করে সে মোতাবেক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে। ফলভিত্তিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা, সরকারী কর্মকাণ্ডে গতিশীলতা আনয়ন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতকরণ, পরিচালিত উপায়ে কর্মসম্পাদন, সম্পাদিত কর্মের বস্তুনিষ্ঠ ও নৈর্ব্যক্তিক মূল্যায়ন, সর্বোপরি সরকারের বিভিন্ন রূপকল্প বাস্তবায়নে সহায়তাই এপিএ-এর মূল লক্ষ্য।