নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৪ অক্টোবর ২০২৩
অত্যন্ত আসক্তিযুক্ত মাদক ফেনটানিলের রাসায়নিক পদার্থ উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চীনের ২৫ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
বুধবার (৪ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
ফেনটানিল শক্তিশালী ওপিওড জাতীয় ওষুধ। এটি ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করে। তবে যুক্তরাষ্ট্রে মাদকের যে সমস্যা চলছে— সেটিতে বড় ভূমিকা রাখছে এ ওষুধটি।
যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল জানিয়েছেন এ মাদকটির উৎপাদন শুরু হয় মূলত ‘চীনের রাসায়নিক কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে।’
নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে ওয়াশিংটনস্থ চীনের দূতাবাসে যোগাযোগ করেছিল বার্তাসংস্থা রয়টার্স। তবে তাৎক্ষণিকভাবে দূতাবাস কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
গত এপ্রিলে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছিলেন, চীন ও মেক্সিকোর মধ্যে ‘ফেনটানিলের অবৈধ পাচার বলতে কোনো কিছুই নেই।’
মে মাসে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ চীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন, ফেনটানিলের অবৈধ পাচার ঠেকাতে যেন তারা কার্যকর ব্যবস্থা নেয়। এরপরই চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এমন বক্তব্য দিয়েছিল।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, মেক্সিকোতে পাচার হওয়া এই মাদক মেক্সিকান মাদক চোরকারবারীরা যুক্তরাষ্ট্রে পাঠায়।
চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্রেসক্রিপশনের মাধ্যমে ডাক্তাররা রোগীদের ফেনটানিল খেতে বলতে পারেন। তবে ওপিওডের প্রতি সাধারণ মানুষের আসক্তি বেড়ে যাওয়ার কারণে এ ওষুধটির অবৈধ উৎপাদন বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে।
২০২২ সালেই এ মাদক গ্রহণ করে ১ লাখ ৯ হাজার ৬৮০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চীনের এসব কোম্পানি এই মাদক পাচারের জন্য ভুয়া ঠিকানা ও লেবেল ব্যবহার করে থাকে।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চীনের ১২ প্রতিষ্ঠান, ১৩ ব্যক্তি ছাড়াও কানাডার দুটি প্রতিষ্ঠান ও এক ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।