নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
তুরস্কের দক্ষিণ এবং সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাতে হু হু করে বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা। সোমবার স্থানীয় সময় ভোর রাতের দিকের এই ভূমিকম্পে উভয় দেশে প্রাণহানি ৬০০ ছাড়িয়ে গেছে।
ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান বলছে, গত ৮০ বছরের ইতিহাসে সোমবার সর্বোচ্চ শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে তুরস্ক ও সিরিয়া। ভূমিকম্পে হাজার হাজার বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে। এখন পর্যন্ত উভয় দেশের কর্তৃপক্ষ ৬৪১ জনের প্রাণহানির তথ্য নিশ্চিত করেছে। তবে ধ্বংসস্তূপের নিচে শত শত মানুষ আটকা পড়ায় হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন দেশ দুটির কর্মকর্তারা।
সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে সিরিয়ার সীমান্ত লাগোয়া তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের গজিয়ানতেপ শহরে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এই ভূমিকম্প অনুভূত হয় প্রতিবেশী সিরিয়া, লেবানন, সাইপ্রাস, ইসরায়েলেও।
মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি বলেছে, তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, তুরস্কের সাতটি প্রদেশে অন্তত ২৮৪ জন নিহত হয়েছেন। আর আহত হয়েছেন আরও ৪৪০ জন।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, সিরিয়ার সরকার-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় মৃতের সংখ্যা ২৪৫ জনে পৌঁছেছে এবং ৬৩০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী হোয়াইট হেলমেটস বলছে, বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় কমপক্ষে ১৪৭ জন মারা গেছেন।
সিরিয়ার আলেপ্পো এবং হামা শহর থেকে তুরস্কের দিয়ারবাকির পর্যন্ত উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ৩৩০ কিলোমিটারের বেশি বিস্তৃত আন্তঃসীমান্ত এলাকায় অসংখ্য ভবন ধসে পড়ার খবর পাওয়া গেছে।
তুরস্কের ভাইস-প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকতে বলেছেন, তুরস্কের গজিয়ানতেপ এবং কাহরামানমারাস প্রদেশে প্রায় ৯০০টি ভবন ধ্বংস হয়েছে। তিনি বলেন, ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলীয় শহর ইস্কান্দারউনে একটি হাসপাতাল ধসে পড়েছে। তবে এই হাসপাতালে হতাহতের সংখ্যা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
‘দুর্ভাগ্যবশত, একই সময়ে আমরা অত্যন্ত কঠিন আবহাওয়ার সাথেও লড়াই করছি,’ সাংবাদিকদের বলেছেন ওকতে।