নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৭ এপ্রিল ২০২৩
জ্ঞাত আয়বহির্ভূতভাবে ১ কোটি ছয় লাখ ১৩ হাজার টাকার সম্পদ অর্জন এবং আয়ের উৎস ও তথ্য গোপন করায় বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুর রহমান দুলুর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বগুড়া সমন্বিত কার্যালয়ে গতকাল বুধবার মামলাটি দায়ের করা হয়। সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মো. তারিকুর রহমান বাদী হয়ে এই মামলা করেন। তবে মামলাটিকে হয়রানিমূলক দাবি করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা দুলু।
দুদক জানায়, দুলুর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি তার সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশ দেওয়া হয়। তিনি ওই বছরের ২৫ জুলাই তার সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন।দুলুর দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে দেখা যায় তার স্থাবর অস্থাবর মিলে সম্পদের পরিমাণ ২ কোটি ৯২ লাখ ৫২ হাজার ২৬৯ টাকা।কিন্তু যাচাইকালে আওয়ামী লীগের এই নেতার স্থাবর-অস্থাবর মিলে সম্পদ পাওয়া যায় ৩ কোটি ৭২ লাখ ৭৭ হাজার ২০৯ টাকার।তার পারিবারিক ঋণ ও খরচ বাদ দিলে দুলুর মোট সম্পদের পরিমাণ দাড়ায় ২ কোটি ৭১ লাখ ৫২ হাজার ৩৬ টাকা।এই হিসেবে দুলু জ্ঞাত আয় বহির্ভূতভাবে ১ কোটি ৬ লাখ ১৩ হাজার ৮৯০ টাকার সম্পদ ভোগদখল রেখেছেন।
মামলার বাদী দুদকের সহকারি পরিচালক মো. তারিকুর রহমান জানান, আওয়ামী লীগ নেতা দুলু অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন করায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ সালের ২৬ এর (২) ও ২৭ এর (১) ধারায় মামলা হয়েছে। দুলু তার সম্পদ বিবরণীতে মিথ্যা তথ্য, আয়ের উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশ্যে স্থানান্তর ও রূপান্তর করে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪ (৩) (২) ধারায় অপরাধ করেছেন।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুর রহমান দুলু বলেন, আমার আয়করের আয় বিবরনীতে যা উল্লেখ আছে তার বাইরে আমার কোন সম্পদ নেই। আর আমার অতিরিক্ত যে পরিমাণ টাকা উল্লেখ করেছে তা আমি বাড়ি করার সময় লোন নিয়েছিলাম।যা অর্থ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অনুযায়ী সাত শতাংশ টাকা পরিশোধ করি যার প্রমাণপত্র আমার কাছে আছে। সেসময়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জমা দিলে সেই টাকার বিষয়ে আর জিজ্ঞাসা করা হবে না। এই পরিমাণ টাকা দুদক ধরে বসেছে। আগামীতে তদন্ত শেষ হলে আমিও আমার প্রমাণপত্র দেখিয়ে দিবো।আমার বিরুদ্ধে এই মামলাটি মিথ্যা।