ফেসবুকের কল্যাণে সন্তান খুঁজে পেলো তাঁর হারানো মাকে

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৬ অক্টোবর ২০২২

ফেসবুকের কল্যাণে সন্তান খুঁজে পেলো তাঁর হারানো মাকে

এমন কিছু ঘটনা ঘটে যা রূপকথাকে হার মানায়। সোস্যাল মিডিয়া শুধু বিনোদনের একটি অংশ নয় তা বারবার প্রমাণিত হয়েছে, এমনই এক ঘটনার প্রমাণ হলো এক মা- ছেলের ক্ষেত্রে। ফেসবুকের কল্যাণে হারিয়ে যাওয়া মা কে খুঁজে পেয়েছেন গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার রশিদুল ইসলাম।

জানা যায়, মা জরিনা বেগম (৫২) গত ৩০ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫ ঘটিকায় কাপড়ের একটা ব্যাগ নিয়ে গাইবান্ধা পলাশবাড়ী হরিনমারি থেকে ভবানীপুর গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে বের হয়, কিন্তু পথ ভুলে জরিনা বেগম চলে আসেন বগুড়ায়।
মা জরিনা বেগম গন্তব্যে না পৌছালে পরিবারের লোকজন দুশ্চিন্তায় পড়ে যায়। গত ২ অক্টোবর রশিদুল ইসলাম পলাশবাড়ী থানায় মায়ের নিখোঁজ সংবাদ নিয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।

বগুড়ায় যা ঘটেছিল:

৫ অক্টোবর বুধবার বগুড়া সদর উপজেলার শাখারিয়া ইউনিয়নের গোপালবাড়ি গ্রামে রাস্তার পাশে অসহায় অবস্থায় একজন মহিলাকে দেখতে পান শাখারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মহিলা মেম্বার রাশেদা খাতুন। কাছে গিয়ে অচেনা মহিলাকে নাম ঠিকানা জিজ্ঞেস করলে তিনি আংশিক ঠিকানা দিতে থাকেন। পরক্ষণে রাশেদা খাতুন তাঁর বাসায় নিয়ে যান । ছেলে-মেয়েরা তাঁকে জিজ্ঞাসা করে জানতে পারেন তাঁর নাম জরিনা। বাড়ির ঠিকানা সঠিক ভাবে দিতে না পাড়ায় হাতে থাকা ব্যাগে রংপুর পীরগঞ্জের ঠিকানায় ফোন করেন রাশেদা খাতুনের ছেলে রাহি। ইতিমধ্যে তাঁর মেয়ে জরুরী সেবা কেন্দ্র ৯৯৯ কে জানানো হলে তাঁরা মহিলাকে ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা মেম্বারের হেফাজতে রাখতে বলেন। এসবে সমাধান না মিললেও রাহি তার বন্ধু হারুনকে বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে পরিবারের সন্ধান চেয়ে পোস্ট করতে বলে।

হারুন রংপুর, গোবিন্দগঞ্জ, গাইবান্ধা ও বগুড়ার কিছু ফেসবুক গ্রুপে পোষ্ট করার কিছুক্ষণের মধ্যে রাশেদ মিনহাজ নামে এক ব্যক্তি ফোন করে জানান জরিনা বেগম তাঁর প্রতিবেশি। পরবর্তীতে তাঁর ছেলে রশিদুল ইসলামকে খবর দিয়ে রাতেই বগুড়া চলে আসেন তাঁরা। জরিনা বেগমকে শাখারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা মেম্বার মাহমুদা বেগমের বাসায় থেকে তার ছেলে রশিদুল ইসলাম নিয়ে রাতেই বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। হারানো মাকে খুজে পেয়ে উচ্ছ্বসিত ছেলে, পরিবারকে খুঁজে পেয়ে উচ্ছ্বসিত মা।