নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৭ জুলাই ২০২২
নির্বাচনকালীন সরকারের বাইরে নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনায় যেতে রাজি নয় বিএনপি। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আসন্ন সংলাপেও না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। ২০ জুলাই বিএনপির সঙ্গে সংলাপের তারিখ নির্ধারণ করেছে ইসি।
জাতীয় নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহার নিয়ে মতবিনিময়ের পরপরই এবার নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে উন্মুক্ত সংলাপে বসতে যাচ্ছে ইসি। এতে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ ৩৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। কোরবানির ঈদের পর ১৭ জুলাই সংলাপ শুরু হবে। ৩১ জুলাই আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপের মধ্য দিয়ে ইসির এ কার্যক্রম শেষ হবে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করে নির্বাচন কমিশন। তারই ধারাবাহিকতায় কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন এ কমিশনও নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের আয়োজন করছে। এর আগে শিক্ষাবিদ, বিশিষ্ট নাগরিক, সাবেক নির্বাচন কমিশনারসহ সাংবাদিকদের সঙ্গে কয়েক ধাপে সংলাপ করেছে।
শুরু থেকেই নির্বাচনকেন্দ্রিক সব ধরনের সংলাপ বর্জন করে আসছে বিএনপি। ইসি গঠন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের আনুষ্ঠানিক সংলাপ বর্জনের মধ্য দিয়ে এর শুরু। এর পর ইভিএম নিয়ে ইসির মতবিনিময়েও যায়নি বিএনপি।
রাষ্ট্রপতির সংলাপের সময় বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্ষদ স্থায়ী কমিটি বলেছে, বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নিরপেক্ষ সরকার ও নিরপেক্ষ প্রশাসনের সাংবিধানিক নিশ্চয়তা ছাড়া শুধু নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে সংলাপকে কেবল সময়ের অপচয় বলে মনে করে বিএনপি। তাই তারা অর্থহীন কোনো সংলাপে অংশ নেবে না।
এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘যখন এই নির্বাচন কমিশন তৈরি করা হয়, আমরা প্রথম থেকেই এর কিছুতেই সম্পৃক্ত নই। আমাদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত হচ্ছে, আমরা এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাব না। এই সরকার পদত্যাগ করবে, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে, সেই সরকারের অধীনে ছাড়া আমরা নির্বাচনে যাব না।’
বিএনপির নীতিগত অবস্থান হচ্ছে, তারা আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়ে সরকার বা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনায় যাবে না। আলোচনা হবে শুধু নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে। এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নয়—এটাই তাদের মূল দাবি।