নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৭ নভেম্বর ২০২৩
নির্বাচনকে ঘিরে আন্তর্জাতিক চাপ নিয়ে সমকালের প্রধান শিরোনাম, ‘অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের উপায় খুঁজতে বিদেশি চাপ’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, এতদিন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাওয়া ছিল, বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হোক। কূটনীতিকরা এখন শুধু অবাধ ও সুষ্ঠু নয়– নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, গ্রহণযোগ্য, সহিংসতামুক্ত ও অংশগ্রহণমূলক দেখতে চাইছেন।
বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচনের জন্য যে পরিবেশ দরকার, এর ঘাটতিও দেখছেন তারা। এ জন্য পশ্চিমা দেশগুলোর তরফ থেকে সব রাজনৈতিক দলকে সংলাপের তাগিদও দেওয়া হয়েছে।
এদিকে সরকারের সর্বোচ্চ মহল থেকে নির্বাচনের বিষয়ে কূটনীতিকদের একাধিকবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সেইসাথে তারা এটাও বলেছে নির্বাচনে কোনো দল অংশগ্রহণ করবে কি করবে না, এটি একান্তই সে দলের সিদ্ধান্ত।
২০১৪ ও ২০১৮ সালের ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ নির্বাচনের পর বাংলাদেশে আগামী নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করা নিয়ে চাপ আসছে আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে।
জাতিসংঘসহ পশ্চিমা মিত্ররা মনে করে, বাংলাদেশে নির্বাচন কমিশন (ইসি), মানবাধিকার কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিচার বিভাগসহ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরকার রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে ব্যবহার করে।
*বাংলাদেশের খাদ্য মূল্যস্ফীতি নিয়ে নিউ এইজের প্রথম পাতার খবর, ‘Food inflation reaches new height’ অর্থাৎ ‘খাদ্য মূল্যস্ফীতি নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, অক্টোবরে বাংলাদেশের খাদ্য মূল্যস্ফীতি একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে, যা সামগ্রিক মুদ্রাস্ফীতিকে গত এক দশকে প্রথমবারের মতো দুই অঙ্কের কাছাকাছি ঠেলে দিয়েছে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকার নানা প্রচেষ্টা হাতে নিলেও কোনটাই কাজে দেয়নি।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাব অনুযায়ী, অক্টোবরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। যা আগের মাসেও কিছুটা কম ছিল।
অন্যদিকে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি রেকর্ড নয় দশমিক ৯৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। যা গত ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। সেইসাথে খাদ্য বহির্ভুত পণ্যের মূল্যস্ফীতিও বেড়ে আট দশমিক তিন শতাংশ হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট এজেন্সিগুলির বাজার পর্যবেক্ষণ একপ্রকার না থাকায় গত মাসে ডিম, আলু, পেঁয়াজ, চিনি, ভোজ্য তেল, মাংস ও মাছসহ সব ধরণের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আরও বেড়েছে।
যার ফলে সীমিত আয়ের ভোক্তাদের প্রয়োজনীয় খাবারটা কিনতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে।
*এদিকে এইড ডাটার গবেষণা নিয়ে কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম, ‘মার্কিন চাপের বিপরীতে চীনা ঋণের রেকর্ড’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের মান নিয়ে বাংলাদেশকে চাপে রাখার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র।
তবে পশ্চিমারা যখন চাপ তৈরি করছে তখন চীন সহযোগিতায় এগিয়ে আসছে। আওয়ামী লীগ সরকারের চলতি মেয়াদে (২০১৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত) চীনা ঋণের আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের উইলিয়াম অ্যান্ড ম্যারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক গবেষণা ল্যাব এইডডাটার সর্বশেষ গবেষণায় বাংলাদেশে চীনা ঋণের এই চিত্র তুলে ধরা হয়।
এইডডাটা বলছে, স্বাধীনতার পর থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে ছিল। এখন সেই জায়গা নিয়েছে চীন।
চীন এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ঋণদাতা দেশই নয়, বিশ্বের একক বৃহত্তম ঋণদাতা দেশও চীন।
নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে বছরে প্রায় ৮০ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেয় চীন। যুক্তরাষ্ট্র এখন চেষ্টা করছে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে চীনের সঙ্গে তার যে বিরাট ব্যবধান তা কমিয়ে আনতে। তবে শেষ পর্যন্ত তারা চীনের সঙ্গে পারবে কি না তা স্পষ্ট নয়।
এইডডাটার গবেষণায় দেখা গেছে, বিএনপি সরকারের (২০০২-০৬) তুলনায় আওয়ামী লীগ সরকারের ২০০৯ থেকে ২০১৪ মেয়াদে দ্বিগুণ উন্নয়ন অর্থায়ন করেছে চীন। আবার ২০১৪-১৮ মেয়াদে তা সাত গুণ বেড়েছে।
কারণ তারা চীনের মতো সহযোগিতা করতে পারছে না। আবার পরিস্থিতিকেও মানতে পারছে না।
* বিএনপি নেতা ধরপাকড় নিয়ে মানবজমিনের প্রধান শিরোনাম, ‘তফসিলের আগে ‘ক্র্যাকডাউন’’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ২৮শে অক্টোবর মহাসমাবেশে সংঘর্ষের পর বিরোধী জোটের নেতাকর্মীদের ওপর রীতিমতো ক্র্যাকডাউন চলছে।
বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারে অব্যাহত রয়েছে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান। প্রতিরাতেই নেতাদের বাসায় বাসায় চলছে তল্লাশি। প্রতিদিনই গড়ে সারা দেশে পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হচ্ছেন।
সিনিয়র থেকে মাঠপর্যায়ের নেতা কেউ বাদ যাচ্ছেন না। ইতিমধ্যে গত ১০ দিনে দলটির মহাসচিব, দুইজন স্থায়ী কমিটির সদস্য, তিনজন ভাইস চেয়ারম্যান, তিনজন যুগ্ম মহাসচিব, দুইজন সাংগঠনিক সম্পাদকসহ সাড়ে পাঁচ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারের পর সিনিয়র নেতাদের পাঠানো হচ্ছে রিমান্ডে। তালা ঝুলছে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে। বন্ধ রয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ও। গ্রেপ্তার এড়াতে আড়ালে চলে গেছেন দলটির সিনিয়র নেতারা।
দলীয় কর্মপন্থা নির্ধারণে বৈঠকও করছেন ভার্চ্যুয়ালি। রাজপথে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছেন দলটির মাঝারি ও মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীরা।