নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
আজ বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) হিজরি রজব মাসের ২৬ তারিখ পবিত্র শবে মেরাজ। বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা আজকের রাতটিকে ইবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে পালন করবেন।
বৃহস্পতিবার বাদ জোহর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে শবে মেরাজের গুরুত্ব ও তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
লায়লাতুল মেরাজ বা শবে মেরাজ প্রিয়নবী সা.-এর মেরাজের স্মৃতির সঙ্গে জড়িত। নবুওয়াত লাভের একাদশ বর্ষের রজব মাসের ২৬ তারিখ দিবাগত রাতে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা:) হজরত জিবরাঈল আলাহিস্সালামের সঙ্গে পবিত্র কাবা হতে ভূমধ্যসাগরের পূর্ব তীর ফিলিস্তিনে অবস্থিত পবিত্র বায়তুল মুকাদ্দাস হয়ে সপ্তাকাশের ওপর সিদরাতুল মুনতাহা হয়ে সত্তর হাজার নূরের পর্দা পেরিয়ে আরশে আজিমে মহান আল্লাহ তায়ালার দিদার লাভ করেন এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের হুকুম নিয়ে দুনিয়াতে প্রত্যাবর্তন করেন। তিনি অবলোকন করেন সৃষ্টি জগতের সব কিছুর অপার রহস্য।
ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায় মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত সফরকে ‘ইসরা’ এবং মসজিদুল আকসা থেকে সাত আসমান পেরিয়ে আরশে আজিম সফরকে ‘মিরাজ’ বলা হয়। ইতিহাসের নিরিখে নবুওয়াতের দশম বছর ৬২০ খ্রিস্টাব্দের ২৬ রজব দিবাগত রাতে মহানবী (সা:) আল্লাহর সান্নিধ্যে মিরাজ গমন করেন। পবিত্র কোরআনের সূরা বনি ঈসরাইল ও সূরা নজমের আয়াতে, তাফসিরে এবং সব হাদিস গ্রন্থে মিরাজের ঘটনার বর্ণনা রয়েছে।
সেদিন রাতে মক্কার মসজিদুল হারাম থেকে জিবরাইল (আ.)-এর সঙ্গে বোরাক নামের বিশেষ বাহনে করে বাইতুল মুকাদ্দাসে যান মহানবী (সা.)। সেখানে নবী-রাসুলদের সঙ্গে দুই রাকাত নামাজ পড়ে তিনি সাত আসমান অতিক্রম করেন। সেখানে তার সঙ্গে বিভিন্ন নবীর দেখা হয়। সিদরাতুল মুনতাহার আগ পর্যন্ত তার সঙ্গে ছিলেন জিবরাইল (আ.)। এরপর মহানবী (সা.) জান্নাত, জাহান্নাম ও আরশসহ সৃষ্টির বিভিন্ন রহস্য প্রত্যক্ষ করেন।
ফেরার সময় মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে তিনি নিজ উম্মতের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ উপহার নিয়ে আসেন। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এই ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ এসেছে।