নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৮ আগস্ট ২০২২
পঁচাত্তরের পনোরো আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য কুশীলবদের বের করতে তদন্ত কমিশণ গঠনের দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ। একই সঙ্গে ওই হত্যাকাণ্ডে বিদেশে পালিয়ে থেকে আত্মস্বীকৃত ও দণ্ডপ্রাপ্ত আসামীদের বাংলাদেশের কাছে তুলে দিতে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মিলনায়তনে বাঙালির গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও মুক্তি সংগ্রামের নেপথ্যের সংগঠক’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
বঙ্গমাতার ৯২ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এর আয়োজন করে আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ কমিটি।
হানিফ বলেন, "পঁচাত্তরের ১৫ আগষ্ট শুধু বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের শিকার হননি বঙ্গমাতাও হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিলেন। তার হথ্যকারী যারা তাদের যারা দণ্ডপ্রাপ্ত বিদেশে পালিয়ে আছে তাদের বাংলাদেশের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য ঐ সকল রাষ্ট্রগুলোকে অনুরোধ করবো।
“যারা কথায় কথায় গণতন্ত্রের কথা বলেন, মানবতার কথা বলেন, মানবতার পক্ষে অবস্থান নিতে বলেন; তাদের কাছে জাতির পক্ষ থেকে আমাদের অনুরোধ, আপনারা তো সবচেয়ে মানবাধিকারের দেশ হিসেবে চিহ্নিত, আপনারা তো গণতন্ত্রের বড় দেশ হিসেবে চিহ্নিত, আপনাদের মতো দেশে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত এবং দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের অবস্থান বিশ্বের কাছে এবং বাঙালি জাতির কাছে সবচেয়ে বড় বেমানান।”
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে, কিন্তু এই হত্যকান্ডের নেপত্যে কুশীলবদের মুখোশ এখনো উন্মেচন হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, "পঁচাত্তরের হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে যারা রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিলো, যাদের জন্য সমাজ ও দেশ বিভক্ত হয়ে গিয়েছিলো; এই বিভক্ত দুর করতে হলে পঁচাত্তরের হত্যাকাণ্ডের যারা কুশীলব ছিলো, সেই জিয়াউর রহমনাসহ তাদের মুখোশ উন্মোচন হওয়া প্রয়োজন।
“এজন্য তদন্ত কমিশন গঠন করে পঁচাত্তরের এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে নেপথ্যে থেকে যারা ভুমিকা রেখেছিলো, তাদের মুখোশ উন্মেচন করা হোক। তাহলে আমাদের ভবিষ্যতে যুব সমাজ ইতিহাস জানতে পেরে তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে এবং এই জাতি আস্তে আস্তে ঐক্যবদ্ধভাবে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে নিজেদের এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে।”
পচাত্তরের হত্যাকাণ্ডেরর পর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ক্ষমতায় এসে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে বিচারের পথ বন্ধ করে দেয়ার কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, "জিয়াউর রহমানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিলো, যারা আত্মস্বীকৃত ঘাতক তাদের বিচার করতে গেলে নেপথ্যে খলনায়কদের নাম বেরিয়ে আসবে। আর এতে জিয়াউর রহমানের নাম সবার আগে চলে আসবে। এজন্য তিনি ঘাতকদের বিচার বন্ধ করেছিলো। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার কারনেই এই বিচার করা সম্ভব হয়েছে।"
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে, কিন্তু এই হত্যকান্ডের নেপত্যে কুশীলবদের মুখোশ এখনো উন্মেচন হয়নি জানিয়ে করে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, "পঁচাত্তরের হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে যারা রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিলো, যাদের জন্য সমাজ ও দেশ বিভক্ত হয়ে গিয়েছিলো; এই বিভক্ত দুর করতে হলে পঁচাত্তরের হত্যাকাণ্ডের যারা কুশীলব ছিলো, সেই জিয়াউর রহমনাসহ তাদের মুখোশ উন্মোচন হওয়া প্রয়োজন।
“এজন্য তদন্ত কমিশন গঠন করে পঁচাত্তরের এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে নেপথ্যে থেকে যারা ভুমিকা রেখেছিলো, তাদের মুখোশ উন্মেচন করা হোক। তাহলে আমাদের ভবিষ্যতে যুব সমাজ ইতিহাস জানতে পেরে তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে এবং এই জাতি আস্তে আস্তে ঐক্যবদ্ধভাবে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে নিজেদের এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে।”
পচাত্তরের হত্যাকাণ্ডেরর পর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ক্ষমতায় এসে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে বিচারের পথ বন্ধ করে দেয়ার কথা স্বরণ করিয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, "জিয়াউর রহমানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিলো, যারা আত্মস্বীকৃত ঘাতক তাদের বিচার করতে গেলে নেপথ্যে খলনায়কদের নাম বেরিয়ে আসবে। আর এতে জিয়াউর রহমানের নাম সবার আগে চলে আসবে। এজন্য তিনি ঘাতকদের বিচার বন্ধ করেছিলো। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার কারনেই এই বিচার করা সম্ভব হয়েছে।"
বঙ্গবন্ধুর জীবনে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসার অবদান তুলে ধরে তিনি বলেন, "বেগম মুজিবের বিচক্ষনতা ছিলো প্রখর। রাজনীতিতে তিনি যুক্ত ছিলেন না কিন্তু নেপথ্যে থেকে রাজনীতিতে সহায়তা করেছেন। বঙ্গবন্ধুর গুরুত্বপূর্ন সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে তার যে পরামর্শগুলো ছিলো তা ছিলো অবিস্মরনীয়। তিনি অনেক অনুপ্রেরণাময়ী ছিলেন।
"ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষনে অনেকে অনেক পরামর্শ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুকে। কিন্তু বঙ্গমাতা বঙ্গবন্ধুকে নিজের মনে যা আসবে তা বলতে পরামর্শ দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে যখন কারগারে থাকতেন তখন তার সাথে দেখা করে তার নির্দেশনা দলের নেতাকর্মীদের জানাতেন।"
দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন দলের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপা,কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন, ইতিহাসবিদ ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনাল অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও কলাম লেখক সুভাষ সিংহ রায়। অনুষ্ঠান সঞ্চলনা করেন আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ও উপ কমিটির সদস্য সচিব দেলোয়ার হোসেন।