নারায়ণগঞ্জে যুবদল কর্মী শাওনের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে শোকমিছিল

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

নারায়ণগঞ্জে যুবদল কর্মী শাওনের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে শোকমিছিল

নারায়ণগঞ্জে বিএনপি ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে গুলিতে যুবদলের কর্মী শাওন প্রধানের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে শোকমিছিল ও সমাবেশ করেছে জেলা যুবদল। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ভুঁইগড় এলাকায় যুবদলের নেতা–কর্মীরা এ কর্মসূচি পালন করেন।

জেলা যুবদলের আহ্বায়ক গোলাম ফারুকের নেতৃত্বে মিছিলে সদস্যসচিব মশিউর রহমানসহ যুবদলের অন্য নেতা–কর্মীরা অংশ নেন। সদর উপজেলার ফতুল্লার ভুইঁগড় এলাকা থেকে শুরু হওয়া মিছিলটি জালকুড়ি পাসপোর্ট অফিসের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে যুবদলের নেতা–কর্মীরা বক্তব্য দেন। এদিকে শোকমিছিল ও সমাবেশ এলাকায় পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি দেখা গেছে।

মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে আহ্বায়ক গোলাম ফারুক বলেন, ‘শাওনকে মিছিলে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। শাওন হত্যার পর পরিবারকে দিয়ে আবার বিএনপির নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশ মিথ্যা মামলা করিয়েছে। আমরা শাওন হত্যার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। যত দিন খালেদা জিয়া মুক্ত না হবেন, দেশের গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার দেশের মানুষ ফিরে না পাবে, তত দিন রাজপথে এ আন্দোলন চলছে, চলবে।’

ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রিজাউল হক বলেন, সকালে যুবদলের ৫০ থেকে ৬০ নেতা–কর্মী অল্প সময়ের জন্য শোকমিছিল বের করেছিলেন। পুলিশ তাঁদের সঙ্গে ছিল, তবে বাধা দেওয়া হয়নি।

এর আগে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার ছয় দিন পর গতকাল বুধবার নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদল শহরের খানপুর বরফকল এলাকায় শোকমিছিল ও সমাবেশ করেছিল।

গত বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জে বিএনপি ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে যুবদল কর্মী শাওন প্রধানের মৃত্যু হয়। বিএনপি তাঁকে যুবদলের কর্মী বলে দাবি করে। বিএনপির মিছিলে অংশ নেওয়া শাওনের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। অন্যদিকে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগ শাওনকে যুবলীগের কর্মী দাবি করে মিছিল করে। শাওন মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ শাওনে বড় ভাই মিলন হোসেনকে দিয়ে বিএনপির পাঁচ হাজার নেতা–কর্মীসহ অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করে। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে জেলা বিএনপির ৭১ নেতা–কর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৭০০ থেকে ৮০০ নেতা–কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।