রংপুরের নারীরা তিনবেলা ঠোঁটে লিপস্টিক দিয়ে কাজ করে, অভাব নেই-টিপু মুনশি

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৮ নভেম্বর ২০২৩

রংপুরের নারীরা তিনবেলা ঠোঁটে লিপস্টিক দিয়ে কাজ করে, অভাব নেই-টিপু মুনশি

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, তাঁর নির্বাচনী এলাকা রংপুরে প্রচুর আলু, পেঁয়াজ উৎপাদন হয়, তাই সেখানে এসব জিনিসের দাম বাড়েনি। রংপুরের নারীরা তিনবেলা ঠোঁটে লিপস্টিক দিয়ে কাজ করে। সেখানে অভাবের কোনো চিহ্ন নেই। তাই ভোট নিয়ে চিন্তা করছি না।

বুধবার (৮ নভেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে ন্যাশনাল ট্যারিফ পলিসি মনিটরিং ও রিভিউ কমিটির সভাশেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
বাণিজ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে প্রশ্ন করা হয়, জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলেন না, কিন্তু ভোট চাইতে তো এলাকায় যেতে হবে ক'দিন পর।

এসময় মন্ত্রী বলেন, আমদানি করা পেঁয়াজের স্টক শেষ হয়ে গেছে। দাম বেশি পড়ে যাওয়ায় ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা সম্ভব হচ্ছে না এখনই নতুন পেঁয়াজ বাজারে না আসা পর্যন্ত পেঁয়াজের দাম কমবে না। আগামী মাসে মুরিকাটা পেঁয়াজ বাজারে আসলে দাম কমতে শুরু করবে।

তিনি বলেন, আমদানি করা আলু বাজারে মাত্র আসা শুরু করেছে। আরও আসতে থাকলে আলুর দাম কমে যাবে। একইসাথে নতুন আলু বাজারে আসতে আরও মাসখানেক সময় লাগবে। তখন দামে প্রভাব পড়বে।

তিনি আরও বলেন, মূল্যস্ফীতি না কমলে জিনিসপত্রের দাম কমানো অসম্ভব হয়ে যায়। মূল্যস্ফীতি না কমা পর্যন্ত সব জিনিসের দাম বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষে কমানো সম্ভব নয়, এটাও বুঝতে হবে।

টিপু মুনশি বলেন, বিশ্ব বাজারে জিনিসপত্রের দামের ব্যাপারে মিডিয়া যদি পজিটিভ খবর প্রচার করে তাহলে ভোটারদের উপর এর প্রভাব পড়বে না। পণ্যের দাম শুধু দেশেই বাড়েনি, সারা বিশ্বের চিত্র একই। তবে, এসব কাটিয়ে উঠে আগামীতে এর সুফলও পাবে মানুষ।

চিনির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, চিনির দাম কমানো যাবে না কারণ বিশ্ব বাজারে দাম কমে নি।

বাংলাদেশে ভোটের চিত্র একেক এলাকায় একেকরকম, তাই পণ্যের দামের কারণে ভোট কমে যাবে না এটা মনে করেন না বানিজ্যমন্ত্রী। বলেন, দেশে উৎপাদিত পণ্যের দাম বেড়ে যায় চাঁদাবাজি এবং পরিবহন খরচের কারণে। জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ার প্রভাবও এর উপর পড়ছে। তবে দেশীয় উৎপাদিত শাক-সবজি বাজারে আসতে শুরু করলে দুই এক সপ্তাহের মধ্যে দাম কমতে শুরু করবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর অনুমতি পেতে দেরি হওয়ায় পণ্য আমদানি করতে দেরি হয়। এ কারণে বাজারে দামও বেড়ে যায়। এর দোষ বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের না। বানিজ্য মন্ত্রণালয় চাইলেও সময়মত আমদানি করতে পারে না।