'তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে সাজা বাস্তবায়ন করব'

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৯ ডিসেম্বর ২০২২

'তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে সাজা বাস্তবায়ন করব'

চার মামলায় সাজার রায় মাথায় নিয়ে ‘পালিয়ে থাকা’বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে সাজা বাস্তবায়ন করার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার ঢাকায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের এক সভায় তিনি বলেন, “মুচলেকা দিয়ে গেছিল সাজাপ্রাপ্ত আসামি। আমি ব্রিটিশ সরকারের সাথে যোগাযোগ করব, তারেক জিয়াকে বাংলাদেশে ধরে এনে সাজা বাস্তবায়ন করব। আমেরিকা... তারা খুনি পালতেছে একটা, আবার কানাডা পালে আরেকটা, পাকিস্তানে আছে দুইটা। সবার কাছে বলব- এই খুনিদের ফেরত পাঠাতে হবে।

“আর ব্রিটিশ সরকারকে বলব তারেক জিয়াকে দেশে ফেরত পাঠাতে। কারণ সে সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তারা (বহির্বিশ্ব) মানবতার কথা বলে, দুর্নীতির কথা বলে, আবার সেই খুনিকে, দুর্নীতিবাজকে তাদের দেশে আশ্রয় দেয়। কাজেই তাকে বাংলাদেশের কাছে হ্যান্ডওভার করতে হবে। এই দেশে নিয়ে এসে সাজা আমি বাস্তবায়ন করব।”


বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর এই সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, “যেসব দেশ আমাদের দেশের গণতন্ত্রের কথা বলে, তাদের দেশের অবস্থাতো আমরা জানি। প্রতিদিন মানুষ খুন হয়, ভোটের সময় ভোট চুরি হয়েছে বলে তাদের ক্যাপিটলেও আক্রমণ হয়, পাঁচ-ছয় জন গুলি করে মারে, আর তাদের কাছ থেকে আমার গণতন্ত্রের ছবক নিতে হবে! আমরা বাংলাদেশ, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকবে।”

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাকে যখন আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হল, আমি তখনই দেশে চলে আসছি। ওর বাপও (জিয়াউর রহমান) তো আমাকে ঠেকাতে পারেনি। তারেক জিয়ার বাপও আমাকে ঠেকাতে পারেনি। আবার যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার, তখনও পারেনি। এতই নেতৃত্ব দেওয়ার শখ, দেশের বাইরে পালিয়ে থেকে কেন? ডিজিটাল বাংলাদেশ করে দিয়েছি, সেই সুযোগে ডিজিটালি কথা বলে।”

দেশবাসীর উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সবাই প্রস্তুত থাকবেন, বাংলাদেশের কোনো মানুষের একটা ক্ষতিও যেন করতে না পারে। দোকানপাট সবাইকে বলে দেবেন তারাও যেন প্রতিবাদ করে। এর আগে বহু যন্ত্রণা দিয়েছে তারা। আমরা অনেক সহ্য করেছি। এইভাবে আমার কৃষক শ্রমিক আমাদের নেতা-কর্মী কারও গায়ে হাত দিলে আর ক্ষমা নাই।”

সংবাদকর্মীদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “বিএনপিকে যারা তেল মারছে, আমরা তাদেরও হিসাব করব। আওয়ামী লীগের সময় আরাম-আয়েশ করে ব্যবসা করে খাচ্ছে তো, কারও ব্যবসায় আমরা বাধা দিইনি তো। সবাইকে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ব্যবসা করতে দিয়েছি।”

তার ভাষায়, “বিএনপির আমলে তো এত আরামে ব্যবসা করতে পারেনি। এই মিডিয়া একটা উল্টা পাল্টা লিখলেই তো মারত। তারপরেও এত আহ্লাদ কিসের? এত তেল মারা কিসের? আমি তো জানি না। কত তেল আছে আমি দেখব।”