নিজস্ব প্রতিবেদক । ১১ আগস্ট ২০২২
কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণের ফলে অভাবনীয় পরিবর্তন হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ‘দেশে প্রতিবছর ২০ থেকে ২২ লাখ মানুষ বাড়ে, ২ লাখ একর কৃষিজমি কমে। এরপরও আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ আছি এবং কৃষিপণ্য রপ্তানিও করছি।’
বুধবার বিকেলে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় তিন দিনব্যাপী কৃষিপ্রযুক্তি মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, গত ১০ বছরে দেশে ৯০ ভাগ কৃষি যান্ত্রিকীকরণ হয়েছে। ফলে কৃষিপণ্য রপ্তানি করে বছরে এক বিলিয়ন ডলারের বেশি উপার্জন হয়। ভবিষ্যতে তা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।
নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, চট্টগ্রাম ও চাঁদপুর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) জামশেদুল আলম।
হাছান মাহমুদ বলেন, প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশ কৃষি উৎপাদনের ক্ষেত্রে যে সাফল্য বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেখাতে পেরেছে, এটি অভাবনীয় ও সারা পৃথিবীর জন্য একটি উদাহরণ। বাংলাদেশ আয়তনের দিক দিয়ে পৃথিবীর ৯২তম দেশ। কিন্তু বাংলাদেশ ধান ও মিঠাপানির মাছ উৎপাদনে পৃথিবীতে তৃতীয়, সবজি উৎপাদনে চতুর্থ ও আলু উৎপাদনে সপ্তম।
রাঙ্গুনিয়ায় অনেক কৃষিজমি পতিত থাকে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এসব পতিত কৃষিজমিতে শাকসবজি থেকে শুরু করে নানা ধরনের কৃষিপণ্য উৎপাদন করা সম্ভব। আমাদের এখান থেকে সারা দেশে কিংবা সারা চট্টগ্রামে কৃষিপণ্য যাবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এখন উল্টো হচ্ছে। তাই আগামী শীত মৌসুম সামনে রেখে একটি পরিকল্পনা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
পৃথিবীতে খাদ্যসংকট চলছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, পৃথিবীতে এখন সংকট চলছে। পৃথিবীতে খাদ্যসংকটও তৈরি হয়েছে। কারণ, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ; করোনা মহামারি এখনো যায়নি। আবার কোন মহামারি আসে, তা বলা যায় না। তাই প্রধানমন্ত্রী আহ্বান জানিয়েছেন, যেন দেশের এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি না থাকে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কারিমা আক্তার। সঞ্চালনায় ছিলেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা উত্তম কুমার।