নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ মে ২০২৪
বগুড়া সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২৯ মে অর্থাৎ তৃতীয় ধাপে । মাঠে সরব সম্ভাব্য প্রার্থীরা। জনসংযোগে শামিল করছেন নিজেদের। তবে এবার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না থাকায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে হাড্ডাহাড্ডি, এমন ধারণা সাধারণ ভোটারের। একই পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সুলতান মাহমুদ খান রনি, জেলা যুবলীগের সভাপতি শুভাশীষ পোদ্দার লিটন।
তবে গণ সংযোগ ও জনসমর্থনে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান শফিক এগিয়ে আছেন বলে মনে করছেন স্থানীয় এলাকাবাসী ও আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা।
নির্বাচনের বাকি আরো দুই সপ্তাহ, এরইমাঝে প্রচার-প্রচারণা, উঠান বৈঠক, জনসংযোগে ব্যস্ত প্রার্থী ও নেতাকর্মীরা। সমর্থকরাও বেশ উৎসাহ নিয়ে ছড়িয়ে পড়েছেন নির্বাচনী মাঠে। তবে আগামী ১৩ মে থেকে আনুষ্ঠানিক এ প্রচারণা আরও বৃদ্ধি পাবে।
সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, যিনি সৎ, দক্ষ, উপজেলায় টেকসই উন্নয়ন ও নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতের পাশাপাশি পরিবর্তন আনতে পারবেন- এমন ব্যক্তিকে চেয়ারম্যান হিসেবে চান। এবার ভোটদানের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় বিবেচনা করবেন ভোটাররা। প্রার্থী মাদক ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত কিনা, আদতে উপজেলার রাস্তা-কালভার্ট, ড্রেনেজ ব্যবস্থার পরিবর্তন আনতে পারবেন কিনা, এমনকি রাজনৈতিক দক্ষতা। এছাড়াও উপজেলার আর্থসামাজিক উন্নয়নের মানসিকতাও বিবেচ্য হবে বলে জানান তারা। প্রার্থীর অপরাধ সংশ্লিষ্টতাকেও বেশ গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন সাধারণ ভোটাররা।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানান, নির্বাচনের আনুষ্ঠানিকতা এখনও শুরু হয়নি। এরমধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী ও তাদের সমর্থকেরা দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ছে। নিজেদের অবস্থান জানান দিতে এবং মাঠ দখলে নিতে মরিয়া হয়ে পড়েছে। পোস্টার, ব্যানার ছিড়ে ফেলাসহ সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষোদগারে মেতেছেন।
দুজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর সঙ্গে কথা হলে দ্বন্দ্ব ও বিষোদগার নিয়ে মুখ খুলেন তারা। দোষ চাপান একে অন্যের ওপর। বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে দেরি। এখনই প্রার্থী ও সমর্থকেরা সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্নভাবে হানাহানি, দ্বন্দ্ব ও বিষোদগার মেতে উঠেছেন। তবে, শেষ পর্যন্ত বড় ধরনের সহিংসতায় জড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণা তাদের।
শাখারিয়া ইউনিয়নের বেশ কয়েকজন ভোটার জানান, উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে আবু সুফিয়ান সফিকে যথেষ্ট যোগ্যতা ও দক্ষতা রয়েছে। এক সময় তুখোর ছাত্রনেতা ছিলেন। রাজনৈতিক জীবনে ও জনপ্রতিনিধি হিসেবে তিনি খুবই চৌকশ। নির্বাচনী মাঠেও বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে শফিক বলেন, উপজেলায় আরও দুজন প্রার্থী হচ্ছেন। তারা আমার হাতেই ছাত্রনেতা তৈরি হয়েছিল। এটা সবচেয়ে বড় সফলতা, এজন্য আমি গর্বিত। আমার কর্মীরাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো যোগ্যতা অর্জন করেছেন।
জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু সুফিয়ান সফিক বলেন, এবারও আমি চেয়ারম্যান পদের একজন প্রার্থী। প্রতীক হিসেবে ঘোড়া চেয়েছি। আগামী ১৩ মে থেকে এ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হবে। ইতোমধ্যে সব প্রার্থীরা নির্বাচনের মাঠে রয়েছেন।
সফিক বলেন, টানা ১৫ বছর জনপ্রতিনিধিত্ব করছি। সবার সঙ্গে অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে অনেকে নির্বাচিত। তাদের সঙ্গেও সম্পর্ক ভালো। সেই কারণে স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত। এখানে আওয়ামী লীগ আমার সঙ্গে আছে, নিরপেক্ষ মানুষ আছে।
এ উপজেলায় একটি পৌরসভা, ১১ ইউনিয়নে মোট ভোটার ৪ লাখ ৩৪ হাজার ২২৯ জন।