নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৩ নভেম্বর ২০২২
রাজিবুল ইসলাম রক্তিম (বগুড়া) : গত ১১ নভেম্বর রাত্রী অনুমান পৌনে নয়টার সময় বগুড়া নামাজগড় এলাকায় তালুকদার মতি ম্যানশনের চতুর্থ তলায় "ব্রেক এন রান" নামক বিলিয়ার্ড ক্লাবে পুল খেলাকে কেন্দ্র করে জুনায়েদ আল-হাবিব বিপুল (২১) নামে একজনকে উপর্যপুরি ছুরিকাঘাতে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন বিপুলকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
জেলা পুলিশ জুনায়েদ আল-হাবিব বিপুলের হত্যাকাণ্ড আমলে নিয়ে বগুড়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও সদর থানা পুলিশের যৌথ টিম গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির মাধ্যমে ১২ নভেম্বর বগুড়া জেলার সদর ও শিবগঞ্জ থানা বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চাঞ্চল্যকর বিপুল হত্যাকান্ডে জড়িত ৫ জন আসামি ও হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ১ বার্মিজ চাকুসহ ১২ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা হল সদরের শিববাটি শাহী মসজিদ এলাকায় মৃত কমল রায়ের পুত্র দীপংকর রায় (১৯), নামাজগড় ভূষিপট্টি এলাকার ফটিক হোসেন পুত্র মোঃ আরিফ হাসান (৩২) "ব্রেক এন রান" এর মালিক, দক্ষিন কাটনারপাড়া এলাকার মনোয়ার হোসেন পুত্র শাকি আল মামুন (২৭), ফুলবাড়ি দক্ষিনপাড়া এলাকার মাহমুদুন নবী পুত্র শোহাইব নবী (২২) এবং শিববাটি শাহী মসজিদ এলাকার হাবিবুর রহমানের পুত্র সাহিল (২০)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জুনায়েদ আল-হাবিব বিপুলকে ছুরিকাঘাতে হত্যাকাণ্ডের কথা তারা পুলিশের কাছে স্বীকার করে।
এই বিষয়ে জেলা পুলিশের মিডিয়া ও মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শরাফত ইসলাম জানান, ছুরিকাঘাতে ঘটনার খবর পেয়ে আমি সহ পুলিশের বেশ কয়েকটা টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। এরপর বগুড়া জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী (বিপিএম) মহোদয়ের নির্দেশনায় গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির মাধ্যমে আসামিদের সনাক্ত করে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বার্মিজ চাকু সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, পলাতক অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যহত আছে। আমরা খুব দ্রুত অন্যান্য আসামীদেরকে গ্রেপ্তার করতে করতে সক্ষম হব।