‘ভুলভাল’ ইংরেজি বলা নিয়ে যা বললেন জায়েদ খান

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৩ আগস্ট ২০২৩

‘ভুলভাল’ ইংরেজি বলা নিয়ে যা বললেন জায়েদ খান

এমনিতেই ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়ক জায়েদ খানকে নিয়ে সমালোচনার অন্ত নেই। তার মধ্যে সম্প্রতি ‘ভুলভাল’ ইংরেজি বলা নিয়ে নেটমাধ্যমে সমালোচনার মুখে পড়েছেন এই নায়ক। এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন তিনি।

দেশের একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে জায়েদ খান বলেন, ‘টানা ১৫ মিনিট ইংরেজি বললে টেন্স ভুল হতেই পারে। আমি ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা করে আসিনি। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো, ভাষা কেন এসেছে? নিজের বক্তব্য অপরকে বোঝানোর জন্য। আমি বোঝাতে পেরেছি কি না সেটাই মুখ্য।’


সমালোচকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আসলে কিছু মানুষ রয়েছে, যারা অন্যকে টেনে নামানোর চেষ্টা করে। সেখানে আমি টানা ১৫ মিনিট ইংরেজি বলে গেলাম—সেটা পজিটিভলি দেখা উচিত ছিল যেখানে, সেখানে তারা ভুল ধরছে। ওই যে বলে, যাকে দেখতে পারে না, তার চলন বাঁকা। এরা আসলে অযোগ্য, অযোগ্যরা খুঁজে খুঁজে অন্যের ভুল বের করে।’

কথা প্রসঙ্গে উদাহরণস্বরূপ সাবেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার ইনজামামুল হকের ইংরেজিতে দুর্বলতার বিষয়টি তুলে আনেন জায়েদ খান। তার কথায়, ‘পাকিস্তানের ক্রিকেটার ইনজামামুল হক কোনো দিনও ইংরেজি বলতে পারেননি। তাকে প্রশ্ন করা হতো উর্দুতে। এসব ক্ষেত্রে অনেক জায়গায় দোভাষী থাকে। যারা ভাষা অনুবাদ করে দেয়। সেই জায়গায় আমি নিজেই ইংরেজি বলে গেছি।’

এ তো গেল জায়েদ খানের ইংরেজিতে আটকানোর প্রসঙ্গ। সাম্প্রতিক ট্রেন্ড ‘নারী কীসে আটকায়’ প্রশ্নেও নিজের অভিমত ব্যক্ত করেছেন এই অভিনেতা। তিনি বলেন, ‘এখন নতুন ট্রেন্ড শুরু হয়েছে, নারীরা জায়েদ খানে আটকায়। আর জায়েদ খান আটকায় সুন্দরী নারীতে।


তিনি আরও জানান, নারীরা তাকে নিয়ে কখনো বাজে মন্তব্য করেন না। করে শুধু ছেলেরা। কারণ ছেলেরা তাকে নিয়ে ঈর্ষা করে। এ প্রসঙ্গে একটি ঘটনার কথাও উল্লেখ করেন অভিনেতা।

তার ভাষায়, ‘একজন ছেলে আমার ছবিতে বাজে মন্তব্য করেছিল। কিন্তু এরপরেই তার স্ত্রী আমাকে মেসেজ দিয়ে বলেছে, আপনি আমার হাজবেন্ডের কথায় কিছু মনে করবেন না। উনি আপনাকে নিয়ে জেলাস করেছে।’

দিন কয়েক আগে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরেছেন জায়েদ খান। এর মধ্যেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক নিয়ে নানা কাজে। ‘মুজিব- একটি জাতির রূপকার’ সিনেমায় টিক্কা খানের চরিত্রে অভিনয় করেছেন জায়েদ খান।


শনিবার (১২ আগস্ট) সন্ধ্যায় রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল বলরুমে ছবিটির সেন্সর সনদ হস্তান্তর করা হয়। বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন ভারতের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক শ্যাম বেনেগাল।