নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৪ ডিসেম্বর ২০২২
গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি : নাটোরের গুরুদাসপুরের নাজিরপুর ইউনিয়নের লক্ষিপুর মৌজায় কৃষি জমিতে এক্সভেটর মেশিন (ভেকু) দিয়ে চলছে পুকুর খননের কাজ। এরপরে ঢাকনাবিহীন ট্রলিতে করে বিক্রি করা হচ্ছে সেই মাটি। নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে পুকুর খনন ও মাটি বহনে নষ্ট হচ্ছে রাস্তার স্থায়িত্ব। এছাড়া খোলা যানবাহনে বহনের কারণে রাস্তার ওপর পড়ে জমছে মাটির আস্তরণ। এতে রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। সেইসাথে ধুলা উড়ে পথচারীসহ বিভিন্ন যানবাহনের চালকসহ যাত্রীরা দূর্ভোগের স্বীকার হচ্ছেন।
এলাকাবাসীরা জানান, পুকুর খনন ও মাটি ব্যাবসায়ী নাজিরপুর ইউনিয়নের রানীনগর গ্রামের আনছার আলীর ছেলে মো. শাহীন আলী। শীত মৌসুম এলেই ফসলি জমির মাটিকে প্রধান টার্গেট করে বছর শুরু করে চলে তার মাটি বিক্রির রমরমা ব্যবসা। এতে হারিয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি। প্রশাসনের পক্ষ হতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করা হলেও কিছু দিন বন্ধ থাকার পর আবার শুরু হয় কাজ। তারা আরও জানান, রাস্তার সাথে বাড়ি হওয়ায় ছোট শিশুদের নিয়ে তারা সবসময় ভয়ের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। এছাড়া পাশেই রয়েছে একটি বিদ্যালয়। কখন বুঝি একটা দুর্ঘটনা ঘটে যায়। সেইসাথে মাটি বহনে অপরিচ্ছন্ন হয়ে যাচ্ছে তাদের বাড়িঘর।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাশের জমির এক কৃষক বলেন, এ পুকুর খননের জন্য তাদের ফসলসহ জমিও নষ্ট হচ্ছে। জলাবদ্ধতাও সৃষ্টি হবে। আমরা বাধা দিয়ে বিভিন্ন হুমকির সম্মুখীন হয়েছি। তাই প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।
এবিষয়ে শাহীন আলী বলেন, সুবকিছু ম্যানেজ করেই পুকুর খননের কাজ শুরু করেছেন তিনি। আর ট্রলিতে করে ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে নির্মাণ বা ডোবা, পুকুর ভরাটসহ বিভিন্ন কাজে এই মাটি বিক্রি করা হচ্ছে।
নাজিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব আলী বলেন, এমন কাজ কেউ করে থাকলে তা দ্রুত বন্ধ করে দেওয়ার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।
গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রাবণী রায় বলেন, সরকারি সম্পদ বা জনগনের ক্ষতি হয় এমন কোন কাজ বরদাস্ত করা হবে না। সরেজমিনে গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।