সভাকক্ষে একঘন্টা বসে রেখে সাংবাদিকদের এড়িয়ে গেলেন রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৪ জানুয়ারি ২০২৪

সভাকক্ষে একঘন্টা বসে রেখে সাংবাদিকদের এড়িয়ে গেলেন রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম

নতুন মন্ত্রি সভার শপথের পর রবিবার সকাল থেকেই দেশের প্রশাসনিক সদর দপ্তর সচিবালয়ে মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রীদের দপ্তরে অফিস করছেন মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রিরা।

প্রত্যেক মন্ত্রি প্রতিমন্ত্রীরা প্রথম দিনের অফিসে এসেই সাংবাদিকদের সাথে কুশল বিনিময় করেন এবং সাংবাদিকদের সাথে পরিচিত সভা করেন। তবে রেলমন্ত্রী প্রথমদিন অফিসে এসেই সাংবাদিকদের এড়িয়ে গেলেন।

সাংবাদিকেরা রেলমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথম অফিসে আসার পর তার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলেও তাদের এড়িয়ে নিজের কার্যক্রম শুরু করেন মন্ত্রী।

রবিবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ১২ টা ১০ মিনিটে রেল ভবনে আসেন জিল্লুল হাকিম। এ সময় সাংবাদিকেরা তার কাছে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে কোনো কথা বলেননি তিনি। পরবর্তীতে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা সিরাজ উদ দৌলা খান সাংবাদিকদের কে সভাকক্ষে বসতে বললেও দীর্ঘ সময় পরেও মন্ত্রী আর সাংবাদিকদের সঙ্গে দেখা করেন নি।

প্রায় এক ঘন্টা রেল ভবনের দ্বিতীয় তলার কনফারেন্স রুমে বিভিন্ন গননাধ্যমকর্মীরা বসে থাকলেও রেলমন্ত্রী আসবেন বলেও আর আসেননি। দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে সাংবাদিকরা রেল ভবন থেকে চলে যান।

প্রথমদিন অফিসে এসেই রেলমন্ত্রীর এমন কার্যকলাপে হতাস হয়েছে গনমাধ্যমকর্মীরা। সবার মাঝেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

এ বিষয়ে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

তবে রেলমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী শাকের জামানের মোবাইলে কল দিয়ে সাংবাদিকদের অপেক্ষা করার কথা জানালে তিনিও উত্তেজিত হন। বলেন মিটিংয়ে আছেন তারা।

এর আগে দাদ্বশ সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান জিল্লুল হাকিম।

জিল্লুল হাকিম রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। মোট ৬ বার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তিনি ৫ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালের প্রথম নির্বাচনে তিনি জাতীয় পার্টির প্রার্থীকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরেরবার ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী নাসিরুল হক সাবুর কাছে হেরে যান তিনি। পরে ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির নাসিরুল হক সাবুকে পরাজিত করে ফের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

এ ছাড়া ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সর্বশেষ তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৮৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।