নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৪ আগস্ট ২০২২
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম বলেছেন বিএনপি'র প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বাংলাদেশে 'রাজনৈতিক হত্যা' শুরু করেছে। তিনি বলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তার পরিবারসহ নির্মমভাবে হত্যার মধ্য দিয়ে এদেশে রাজনৈতিক হত্যা শুরু হয়।
তিনি বলেন, জিয়া'র পরিবার খুনি পরিবার। তারই ধারাবাহিকতায় তার স্ত্রী এবং তার ছেলে ২০০৪ সালে গ্রেনেড হামলা করে বঙ্গবন্ধু কন্যা তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল। আল্লাহর রহমতে তিনি বেঁচে গেলেও, প্রাণ দিতে হয়েছিল আওয়ামী লীগের ২৪ জন নেতাকে এবং আহত হয়েছিলেন শত শত নেতাকর্মী।
রবিবার (১৪ আগস্ট) আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটি আয়োজিত '১৫-ই আগস্ট জাতির পিতা হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের ষড়যন্ত্র ও সহায়তাকারী জিয়াসহ অন্যান্যদের খুঁজতে তদন্ত কমিশন চাই' শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের এই নেতা অভিযোগ করেন ১৫-ই আগস্টে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের সদস্যদের খুনের পেছনে ছিল জিয়াউর রহমান এবং সামনে ছিল খন্দকার মোশতাক।
বাংলাদেশের মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তৎকালীন ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ইতিহাসের জঘন্যতম এই হত্যার পরে কোথায় ছিল আপনাদের মানবাধিকার বিষয়ক স্টেটমেন্ট। কোন আইনে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল?
বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, বিএনপি সর্বপ্রথম এদেশে নির্বাচনী ব্যবস্থা কে ধ্বংস করেছিল '১৫-ই ফেব্রুয়ারি' নির্বাচনের মধ্য দিয়ে। যে নির্বাচনের এক কোটি ২৭ লাখ ভূয়া ভোটারের তালিকা করা হয়েছিল সুতরাং সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বিএনপি'র মুখে মানায় না।
তিনি বলেন বিএনপি কোনোভাবেই এ দেশকে ভালবাসতে পারে না কারণ ওরা মনেপ্রাণে পাকিস্তানকে ভালোবাসে, ওরা এদেশের স্বাধীনতাকে আজও মেনে মেনে নিতে পারেনি।
১৫-ই আগস্ট জাতির পিতা হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করার জন্য তদন্ত কমিশন গঠন করার দাবিও জানান তিনি।
সারাদেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি নামক দলটি আবারো ষড়যন্ত্র শুরু করেছে, সুতরাং তাদের সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।