নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৪ আগস্ট ২০২২
অনুপ্রবেশকারীরা সত্যিকারের আওয়ামী পরিবারের লোকদের ‘কোনঠাসা’ করে রেখেছে বলে জনিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডরীর সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন।
তিনি বলেছেন, “এই অবস্থা চলতে দেয়া যাবে না।”
রবিবার দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব মিলনায়তনে আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ উপ কমিটির আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
লিটন বলেন, “আমার সামনে যারা আছেন তরুণ প্রজন্ম, অনেক কাজ সামনে। পনের বছর সরকার একটানা ক্ষমতায়, দলের মধ্যে অনুপ্রবেশ ঘটেছে। আমার আগেও আমাদের প্রয়াত আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম আমার শ্রদ্ধাভাজন বড় ভাই তিনি তখনই বলেছেন দলে অনুপ্রবেশকারী ঢুকেছে। সত্যই অনেক জায়গায় ঢুকেছে। তাদেরকে আমরাই ঢুকিয়েছি, পদ পদবি দিয়েছি, আসন দিয়েছি।
“তারা আজকে ঐখানে যারা অরজিনাল আওয়ামী লীগার, বংশগত ভাবে আওয়ামী লীগ করে তাদেরকে একদম গোল করে ঘিরে রেখেছে। তাদের আলাদা করে রেখেছে, যে তারা আওয়ামী লীগ নয়। যারা অনুপ্রবেশ করেছে তারাই বলছে আমরা আওয়ামী লীগার, আর যারা আসল আওয়ামী লীগের তাদের বাইরে রেখেছে। এই অবস্থা চলতে দেয়া যাবে না। আমি জানি আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা সমস্ত খবর রাখেন তিনিও এবার এই সমস্ত বিষয়ে অনেক বেশি নজরদারি করছেন এবং করবেন।”
মুক্তিযোদ্ধের পক্ষের শক্তিই লড়াই সংগ্রামে আগে আসে জানিয়ে লিটন বলেন, “সামনের লড়াইলে লড়তে হলে আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি এবং সন্তান আমরাই রাজপথে লাঠি নিয়ে যাবে। ঐ হাইব্রিডরা যাবে না। আমাদেরকেই যেতে হবে। এই দেশের স্বাধীনতা আমাদের বাবার, আমাদের জাতির পিতা, আমাদের প্রত্যেকের বাবা চাচা, তারা নিয়ে এসেছেন।
“আমাদের দরদ বেশি আমরা এই বাংলাদেশকে ওউন করি। এই বাংলাদেশে উন্নয়ন হচ্ছে এতে আমরা খুশি হচ্ছি। আমরা দেখতে চাই বাংলাদেশ আরও উন্নত হবে। কোন চোরার দলকে ক্ষমতায় গিয়ে বোমাবাজি আতঙ্ক লুটপাট, হাওয়া ভবন বানানো, এটা করতে দিতে চাই না। আপনারা তরুন প্রজন্ম সেই ভাবে প্রস্তুতি রাখবেন।”
এ সময় বিএনপি মহাসচিবের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, “বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল বলছেন, সুনামিতে আওয়ামী লীগ পালিয়ে যাবে। কে পালায় সেটা দেখা যাবে।
“তবে আপনাদের নেত্রী আজ থেকে ছয়-সাত বছর আগে, ঐ যে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়েছিলেন, সেই আন্দোলন কিন্তু বাতিল করেন নি বা স্থগিত করেন নি। সেই কর্মসূচি চলছে, এর মধ্য দিয়ে সরকার গঠন হলো, নির্বাচন হলো, উন্নয়ন হচ্ছে, পদ্মা সেতু হলো, কর্ণফুলী টানেল হচ্ছে, সেই রকম আন্দোলন যদি করেন করতে পারেন। কোন সমস্যা নেই। আমরা এটা মোকাবেলার জন্য তৈরি আছি।”
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বন ও পরিবেশ উপ কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য সৈয়দ আবদুল আওয়াল শামীম, রবিন্দ্র ভারতী বিশ্বদ্যিালয়ের সাবেক উপ উপাচার্য শ্রী পবিত্র সরকার, ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের সাবেক উপ উপাচার্য নাসরীন আহমেদ, কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, সাংবাদিক আবেদ খান।
আলোচনা সভার সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ সম্পাদক এবং বন ও পরিবেশ উপ কমিটির সদস্য সচিব দেলোয়ার হোসেন।