বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিকেলের টেকনোলজিষ্ট শাহিনের যত অপকর্ম

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৪ অক্টোবর ২০২৩

বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিকেলের টেকনোলজিষ্ট শাহিনের যত অপকর্ম

বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমানের মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট পরিচয় দেওয়া শাহিনুর রহমান শাহিন।

ঘরে এক স্ত্রী ও সন্তান থাকা স্বত্তেও হাসপাতালে চাকরি করা নার্স ও ডিপ্লোমা শেষ করে ইন্টার্ন নার্সদের উপর কুনজরের অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়াও নার্স বদলী বিষয়ে অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ঘুষ লেনদেন করেন এমন বিষয় তুলে ধরে অর্থ লেনদেন করেন এই শাহিন।

সম্প্রতি দেশের সরকারি একটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিনিয়র স্টাফ নার্স হিসাবে ২ বছর যাবত কর্মরত রয়েছেন সানজিদা আক্তার (ছদ্মনাম) । ফেসবুক পরিচয়ে শাহিন ও সানজিদার মাধ্যমে পরিচয় হওয়ার পর লম্পট শাহিন তার ইনবক্সে অনবরত খুদে বার্তা পাঠাতে থাকে এবং তিনি একজন মেডিক্যাল টেকনোলিষ্ট হওয়ার নিজেকে গর্বের সাথে উপস্থাপন করেন।

এক পর্যায়ে সানজিদা (ছদ্মনাম) সরকারি হাসপাতাল থেকে বদলী হওয়ার ইচ্ছার কথা তার সাথে শেয়ার করেন এবং তার কথামত তাকে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস গুলো পাঠিয়ে দেয়। এভাবে তাদের মধ্যে কথোপকথনে সে বলেন নার্সিং অধিদপ্তরের বড় বাবুরা টাকা খেয়ে বদলী করেন তার পরিচিত ব্যক্তিরা সেখানে কর্মরত আছেন।

বদলী বিষয়ক কথোপকথনের এক পর্যায়ে লম্পট শাহিন ঘরে এক স্ত্রী ও ২ কন্যা সন্তান থাকা স্বত্তেও সানজিদা কে হঠাৎ বিয়ে করার প্রস্তাব দেন এবং নিজের পরিবারের কথা গোপন রাখেন।

ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন, উনি আমাকে বদলী বিষয়ে প্রথমে কথা বলেন তারপর মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপে অনবরত এসএমএস পাঠাতে থাকে এবং কুপ্রস্তাব দিয়ে আমার বিকাশ নাম্বারে টাকা পাঠান।

পরবর্তীতে আমি তাকে টাকা ফেরত দিয়ে দেই তারপর তাকে ব্লোক করি। কিন্তু সে আমাকে তখনও আমার ফোন নাম্বারে খুদে বার্তা পাঠাতে থাকেন।

এবিষয়ে জানতে চাইলে লম্পট শাহিন বলেন আমি তাকে বদলীর বিষয়ে সাহায্য করতে চেয়েছিলাম। ইতিমধ্যে তার কিছু অশ্লীল আলাপ এই প্রতিবেদকের কাছে এসে পৌছেছে।



সানজিদার পাঠানো খুদে বার্তা থেকে দেখা যায় শাহিন তাকে মার্কেটে যাওয়ার জন্য এবং থ্রি পিচ কেনার পরামর্শ দেন। এসব বিষয়ে বিব্রত হয়ে পড়ে সানজিদা।

নিজের মান সম্মানের কথা চিন্তা করে তিনি বিষয়টি কাউকে জানাতে না চাইলেও এখন তিনি শাহিনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।