নেতানিয়াহুকে আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন সরকার গঠনের দায়িত্ব দিলো, ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজাক হারজোক

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৪ নভেম্বর ২০২২

নেতানিয়াহুকে আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন সরকার গঠনের দায়িত্ব দিলো, ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজাক হারজোক

ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন সরকার গঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সাম্প্রতিক নির্বাচনে জয়লাভের পর রোববার (১৩ নভেম্বর) নেতানিয়াহুকে এই দায়িত্ব দেন ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজাক হারজোগ।

রোববার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সর্বশেষ নির্বাচনে জয় পাওয়া জোটটি ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে ডানপন্থি জোট বলে ব্যাপকভাবে মনে করা হচ্ছে। আর সম্ভাব্য সেই ডানপন্থি জোটেরই প্রধান হিসেবে ফের মসনদে ফিরতে চলেছেন নেতানিয়াহু।

অবশ্য কট্টর ডানপন্থি জোট হলেও ৭৩ বছর বয়সী প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ সকল ইসরায়েলিকে সেবা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘যারা আমাদের ভোট দিয়েছেন এবং যারা দেননি - এটি (সবার সেবা করা) আমার দায়িত্ব।’

সংবাদমাধ্যম বলছে, ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট রোববার নেতানিয়াহুকে পরবর্তী সরকার গঠনের অনুমতি দিয়েছেন। গত ১ নভেম্বরের নির্বাচনের পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু একটি স্থিতিশীল ডানপন্থি কোয়ালিশন গঠনের সুযোগ পান।

রোববার ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট আইজাক হারজোগ জেরুজালেমে এক অনুষ্ঠানে বলেন, তিনি নেতানিয়াহুকে সরকার গঠনের দায়িত্ব দিয়েছেন। নেতানিয়াহু গত বছর ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগ পর্যন্ত ইসরায়েলের সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে দায়িত্বপালন করা প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।

হারজোগ বলেন, ‘(নির্বাচনের) ফলাফল স্পষ্ট, সরকার গঠনের দায়িত্ব অবশ্যই বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে অর্পণ করতে হবে।’

এদিন অবশ্য দুর্নীতির অভিযোগে নেতানিয়াহুর চলমান বিচারের কথাও উল্লেখ করেন হারজোগ। যদিও ডানপন্থি এই ইসরায়েলি সেসব অভিযোগ অস্বীকার করে থাকেন।

আইজাক হারজোগ উল্লেখ করেন, নেতানিয়াহু অভিযোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে করতেও দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে কাজ করতে পারেন।

উল্লেখ্য, গত চার বছরেরও কম সময়ের মধ্যে সম্প্রতি পঞ্চমবারের মতো সাধারণ নির্বাচনে ভোট দেন ইসরায়েলিরা। আর এই নির্বাচনের মাধ্যমেই ফের ক্ষমতায় ফিরছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

অবশ্য ইসরায়েলের সবচেয়ে বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী এখন দুর্নীতির অভিযোগে বিচারের অধীনে আছেন। যদিও নিজের বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নেতানিয়াহু।