নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৬ জানুয়ারি ২০২৩
বগুড়ায় সারিয়াকান্দি উপজেলার ছাইহাটা গ্রামের ছাইহাটা কলেজ মাঠে তিন দিন ব্যাপী শুরু হয়েছে ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা। দূর দুরান্তের অনেক প্রতিযোগী এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছে এলাকার মানুষের আনন্দ দেওয়ার জন্য। কিন্তু আনন্দ উৎসব বিন্দুমাত্র লেস নেই এলাকার জনসাধারণের মাঝে। এর মূল কারন হলো ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতার অন্তরালে চলছে জমজমাট জুয়া। ছাইহাটা ও
ভেলাবাড়ি এলাকার কতিপয় সরকার দলীয় প্রভাবশালী নেতাদের ছত্রছায়ায় পরিচালনা হচ্ছে জুয়া খেলার এই জমজমাট আসর।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক ভেলাবাড়ি এলাকার এক শিক্ষক জানান, ছাইহাটা কলেজ মাঠে প্রতিবছর ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় । কিন্তু প্রতিবার এলাকার কতিপয় অসাধু সরকার দলীয় নেতা কর্মী প্রভাব খাটিয়ে জুয়া আসর পরিচালনা করে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতার মেলার পর সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলা নদীর তীরে ও নদীর চরের মাঝ তাঁবু খাটিয়ে জুয়া খেলার আসর বসে। জুয়ার নেশায় আসক্ত হয়ে উঠতি বয়সের যুবক ও বিভিন্ন বয়সের মানুষ জুয়া খেলে। জুয়ার প্রভাবে এলাকায় চুরির ঘটনাও ঘটছে।
জুয়া খেলার বিষয়ে নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক ভেলাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জানান, এই এলাকার পাশ দিয়ে বয়ে গেছে নদী, জুয়াড়ীরা নদী পাড়ি দিয়ে জুয়া খেলা পরিচালনা করছেন এলাকার চরের ভিতরে খেলার কারনে পুলিশ তাদের খুঁজে বের করতে পারবেনা এই কারণে চর এলাকা তাদের জন্য অভয়ারণ্য পরিণত হয়েছে। তিনি আরও জানান, আমি এলাকার মানুষের কথা চিন্তা করে পুলিশকে জানিয়ে কোন প্রতিকার পায়নি।
এই বিষয়ে ভেলাবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম শিপন জানান, ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা অন্তরালে জুয়া খেলা চলছে এমন ঘটনা আমার জানা নাই তবে এই রকম কোন ঘটনা ঘটলে ইউনিয়নের সচেতন মানুষদের সাথে নিয়ে আমি কঠোর হস্তে উৎখাত করব।
সারিয়াকান্দি থানার অফিসার ইনচার্জ রাজেশ কুমার চক্রবর্তী জানান, মাননীয় পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী (বিপিএম পিপিএম) এর নির্দেশনায় সারিয়াকান্দি থানা পুলিশ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি মাদক ও জুয়ার বিষয়ে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে। যদি থানা এলাকায় জুয়া খেলার ঘটনা ঘটে পুলিশ তা কঠোরভাবে ব্যবস্থা নিবে।