যুব মহিলা লীগের সম্মেলন আজ / নাজমা-অপুকে আর দেখতে চায়না নেতাকর্মীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৫ ডিসেম্বর ২০২২

যুব মহিলা লীগের সম্মেলন আজ / নাজমা-অপুকে আর দেখতে চায়না নেতাকর্মীরা

আজ ১৫ ডিসেম্বর যুব মহিলা লীগের ২০ তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ।এবারের সম্মেলনে সংগঠনটির নেতৃত্বে ব্যাপক পরিবর্তন আসতে পারে বলে ধারণা করছেন সংগঠন সংশ্লিষ্টরা। ২০০৪ সালের ৫ মার্চ নাজমা আক্তার ও অপু উকিল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হবার পর থেকে দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে তাদের নেতৃত্বই চলছে সংগঠনটি।

দলীয় সুত্র বলছে, এবার আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সহযোগী সংগঠনের জন্য নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন। দীর্ঘদিন একই নেতৃত্ব থাকায় যুব মহিলা লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। নেতাকর্মীরা বিভিন্ন সংগঠন বিরোধী কাজে জড়িয়ে পড়ছেন।

দলীয় সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রায় অর্ধেক পদেই পরিবর্তন আসতে পারে। এছাড়া পাপিয়া কান্ডে সংগঠনটি আরও বিতর্কিত হয়ে পড়ে। সেজন্য মার্জিত ও সুসংগঠিত নেতৃত্ব আসবে বলে অনেকেই ধারণা করছেন।

সংগঠনের কয়েকজন শীর্ষ স্থানীয় নেত্রী  জানিয়েছেন, এবারের সম্মেলনের মধ্য দিয়ে নতুন-পুরনো মিলিয়ে ভালো একটি কমিটি আসবে। এটাই তাদের প্রত্যাশা। আর যারা মাঠের রাজনীতি করেন, সক্রিয় ও ত্যাগী তাদের মূল্যায়ন হবে বলেও আশা করেন তারা। আবার কমিটিতে জায়গা পেতে অনেকে তদবিরে ব্যস্ত বলেও অভিযোগ করেছেন কেউ কেউ।

সংগঠনটির বর্তমান সহ-সভাপতি কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি বলেন, ‘আমি সভাপতি পদপ্রার্থী, কমিটিতে কোন পরিবর্তন আসবে কিনা বলতে পারিনা এটা একমাত্র শেখ হাসিনা জানেন। তবে আশা করি নতুন নেতৃত্ব আসবে।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় এক নেত্রী বলেন, ‘যুব মহিলা লীগ মাঠের রাজনীতি করে। এটাকে শক্তিশালী হিসেবে দেখতেই পছন্দ করেন শেখ হাসিনা। কমিটিতে নতুন নেতৃত্ব আসবে এটাই প্রত্যাশা করি।’

বর্তমানে সংগঠনটির সভাপতির বয়স ৫৫ বছর, সাধারণ সম্পাদকের বয়স ৫০ বছর। এছাড়া অন্যান্য পদেও পঞ্চাশোর্ধ ও পঞ্চাশ বছর বয়সের কাছাকাছি অনেক নেত্রীরা রয়েছেন। যুব মহিলা লীগের গঠনতন্ত্রে কোনো বয়সসীমা উল্লেখ না থাকার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন কেউ কেউ। অনেকের আক্ষেপও রয়েছে। আবার দীর্ঘদিন রাজপথে যারা আন্দোলন-সংগ্রাম, লড়াই করেছেন তারা বঞ্চিত হয়েছেন বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন কেউ কেউ। তাই এবার শীর্ষ পদে পরিবর্তনের প্রত্যাশা করেন যুবনেত্রীরা।

মাস ছয়েক আগেও অনেকে এ পদের জন্য হাক ডাক দিলেও শেষ পর্যন্ত তারা তেমন আলোচনায় উঠে আসতে পারেনি। জানা গেছে, সংগঠনের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল সভাপতি পদের জন্য জোর চেষ্টা ও তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া সংগঠনের কয়েকজন সভাপতির ও সহ-সভাপতি পদ পাওয়ার জোর দাবি নিয়ে এগোচ্ছেন।

এদিকে সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে অপু উকিল সভাপতি হলে তার স্থলাভিষিক্ত হতে চান বর্তমান কমিটির কয়েকজন সহ-সভাপতি ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। সাধারণ সম্পাদকের পদের জন্য আলোচনায় আছেন দুইজন। তারা হলেন— সংগঠনটির সহ-সভাপতি আলেয়া সারোয়ার ডেইজি ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফের ছোট বোন আফরোজা মনসুর লিপি।

এছাড়া বর্তমান কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকদের মধ্যে শাহনাজ পারভীন ডলি, শারমীন আক্তার নিপা এবং সাংগঠনিক সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি ও মাহফুজা রিনাও সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশী।