নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৭ জানুয়ারি ২০২৩
চলতি বছরের শুরুর কয়েকটি দিন কনকনে ঠাণ্ডা ছিল। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ঘন কুয়াশা ছিল দিন কয়েক। এর সঙ্গে বাড়ছিল শৈত্যবাহও। প্রায় চার দিন ধরে তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। তবে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এখন আবার শীত বাড়তে পারে। ইতিমধ্যে দেশের বেশির ভাগ এলাকায় রাতের তাপমাত্রা কমেছে। এ ধারা আরও কয়েক দিন থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আজ সোমবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম অধিদপ্তরের ৬০টির বেশি স্টেশন থেকে পাওয়া তাপমাত্রার তথ্য তুলে ধরেন। তিনি জানান, ৬০টির বেশি স্টেশনের মধ্যে ৬টি স্টেশনে ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বেড়েছে। অপরিবর্তিত রয়েছে আটটি স্টেশনে। বাকি স্টেশনগুলোয় তাপমাত্রা কমেছে।
মো. শাহীনুল ইসলাম বলেন, দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বেড়েছে। আবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও বেড়েছে। তবে গড়ে বেশির ভাগ স্টেশনে তাপমাত্রা কমে গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় গড়ে ১ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমেছে। তাই ধীরে ধীরে শীত আরও বাড়বে। আবার সেই সঙ্গে শৈত্যপ্রবাহের এলাকারও বিস্তৃতি ঘটবে।
আজ সকাল ৯টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তুলে ধরা হয়েছে। সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল কক্সবাজারের টেকনাফে ২৯ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রাজধানীতে সবশেষ ২৪ ঘণ্টার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমে হয়েছে ১৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের ২৪ ঘণ্টায় এটি ছিল ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকর্ডে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকা ও এর কাছাকাছি এলাকায় মাঝারী থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারী ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। দিনাজপুর, সৈয়দপুর, পঞ্চগড় নীলফামারী ও মৌলভীবাজার জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা বিস্তার লাভ করতে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।