নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৬ নভেম্বর ২০২৩
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপকে ঘিরে প্রথম আলোর প্রথম পাতার খবর, ‘বিএনপির মতে দায়িত্ব সরকারের, আওয়ামী লীগ বলেছে সময় নেই’
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সময় নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বিরোধপূর্ণ রাজনৈতিক দলগুলোকে সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি জানান, ‘পারস্পরিক প্রতিহিংসা, অবিশ্বাস ও অনাস্থা পরিহার করে সংলাপের মাধ্যমে সমঝোতা ও সমাধান অসাধ্য নয়।’
এখন পর্যন্ত বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সংলাপের ব্যাপারে আগ্রহ দেখালেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এ ব্যাপারে আগ্রহী নয়। দলটি বলছে, তফসিল ঘোষণার পর সংলাপ করার মতো আসলে সময় নেই।
সংলাপের প্রশ্নে বিএনপি অবশ্য বলেছে, পরিবেশ সৃষ্টির দায়িত্ব সরকারের। আর সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন দল সংলাপের ওপর গুরুত্ব দিয়েছে।
এমনকি কোনো কোনো দল তফসিল ঘোষণার আগে রাজনৈতিক সমঝোতার কথা বলছে।
তফসিল ঘোষণার পরপরই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সংলাপ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘নির্বাচন সামনে, তফসিল ঘোষণা হয়ে গেছে। .. এখন আর সংলাপের কোনো সুযোগ নেই।’
এরিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রও শর্তহীন সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছে। এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিকে চিঠি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু।
অবরোধকে কেন্দ্র করে নিউ এইজের প্রথম পাতার খবর, ‘Blockade on amid clashes, intensified police raids’ অর্থাৎ ‘সংঘর্ষ , পুলিশি অভিযান জোরদারের মধ্যেই অবরোধ পালন’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, দেশব্যাপী বিএনপির ডাকা পঞ্চম দফার অবরোধের প্রথম দিন বুধবার দলটির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে তীব্র পুলিশি অভিযান ও গ্রেফতারের অভিযোগ উঠেছে।
ঢাকাসহ সারাদেশে মিছিল, মহাসড়কে ভাঙচুর, দূরপাল্লার বাস বন্ধ রাখা, সড়ক অবরোধ এবং যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
সেইসাথে বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সাথে সংঘাত সংঘর্ষের খবর পাওয়া গিয়েছে।
বুধবার বগুড়ার শেরপুর উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের সংঘর্ষে প্রায় ৪০ জন আহত হয়েছেন।
সিলেটে সন্ধ্যায় বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ বেধে যায়।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, পুলিশ গত তিন সপ্তাহে সারাদেশে ১২ হাজারের বেশি বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে এবং তাদের অভিযান বাড়িয়েছে।
তফশিল ঘিরে নানা উদ্বেগ নিয়ে যুগান্তরের প্রথম পাতার খবর, ‘২৩ স্থানে নাশকতার শঙ্কা’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল পরবর্তী সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে নাশকতা হতে পারে।
এর মধ্যে ২৩টি স্থান নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এসব স্থানে পিকেটিংসহ পুলিশের ওপর হামলা, পুলিশের অস্ত্র ছিনতাই, নির্বাচনি ও রাজনৈতিক কার্যালয় ভাঙচুর, রাস্তা অবরোধ, যানবাহনে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটতে পারে।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, অন্দোলনকারীরা বেইলি ব্রিজ ও কালভার্ট ধ্বংসের পাশাপাশি লঞ্চ-স্টিমার-ফেরিতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করতে পারে।
কমলাপুর ও বিমানবন্দর রেল স্টেশন, গাবতলী-সায়েদাবাদ-মহাখালী বাস টার্মিনাল এবং সদরঘাট লঞ্চঘাটসহ বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট ও রেলস্টেশনে নাশকতার শঙ্কা আছে।
বঙ্গভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, গণভবন, জাতীয় সংসদ ভবন, সচিবালয়, সুধাসদন, বিমানবন্দর, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মন্ত্রী-এমপিদের বাসভবন, বিদেশি দূতাবাস ইত্যাদিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বিএনপি ও জামায়াত শিবির অধ্যুষিত এলাকায় বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি। জামায়াত শিবিরসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ছাত্রাবাস, হল ও মেসে জোরদার করা হয়েছে তল্লাশি কার্যক্রম।
কেউ যেন ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের বাসা-বাড়ি ও উপাসনালয়ে হামলা করতে না পারে সেদিকেও সতর্ক দৃষ্টি রাখতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া আছে।
এসব বিষয় সামনে রেখে সারা দেশে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।