বঙ্গবন্ধু আজ বিশ্ব সম্পদে পরিণত হয়েছে : স্বপন

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৮ মার্চ ২০২৩

বঙ্গবন্ধু আজ বিশ্ব সম্পদে পরিণত হয়েছে : স্বপন

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপন বলেন, বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের শোষণ, নির্যাতন, অবহেলা, বঞ্চনা ও বাঙালিকে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকে পরিণত করার বিরুদ্ধে বাংলার জনগণকে সচেতন করে সংগঠিত করেন। তিনি পরিকল্পিতভাবে বাঙালিকে স্বাধীনতার স্বপ্নে দীক্ষিত করে তোলেন। তাঁর ঐতিহাসিক নেতৃত্বে বাংলার দামাল সন্তানরা নিজের জীবন তুচ্ছ করে দেশ মাতৃকার মুক্তির জন্য সশস্ত্র যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং স্বাধীনতার লাল সূর্য ছিনিয়ে আনেন।

শুক্রবার (১৭ মার্চ) বেলা এগারটায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বেলুন উড়ানো ও পায়রা অবমুক্ত করণের মাধ্যমে ক্যাম্পের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনের পর জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ ও এক মিনিট নীরবতা পালনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। দুপুরে রাজনৈতিক ক্যাম্পে জামাতের সঙ্গে জুম্মার নামাজ আদায় করে। নামাজ শেষে এসব মন্তব্য করেন তিনি।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে জয়পুরহাট জেলার কালাই, ক্ষেতলাল ও আক্কেলপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠণসমূহের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি বিষয়ক শিরোনামে এক ব্যতিক্রমী রাজনৈতিক ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়। এই রাজনৈতিক ক্যাম্পে তিন উপজেলার তৃণমূলের বিভিন্ন বয়সী প্রায় ২০ হাজার নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।

উক্ত অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি, কর্ম, জীবন ও আদর্শের ওপর আলোচনা করেন।

স্বপন বলেন, বঙ্গবন্ধুর অবিসংবাদিত নেতৃত্বে সৃষ্ট বাংলাদেশে পাকিস্তানের প্রেতাত্মারা বঙ্গবন্ধুকেই নিষিদ্ধ করে রেখেছিল। মৃত বঙ্গবন্ধুকে নানাভাবে অপমান করার হীন প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে। কিন্তু ইতিহাস বঙ্গবন্ধুকে নির্দিষ্ট মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেছে। জাতিসংঘের ইউনেস্কো তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণকে বিশ্ব ঐতিহ্যের মর্যাদা প্রদান করেছে। বঙ্গবন্ধু আজ দেশের সীমানা পেরিয়ে বিশ্ব পরিমন্ডলে ছড়িয়ে পড়েছেন। আমাদের বঙ্গবন্ধু আজ বিশ্ব সম্পদে উন্নীত হয়েছেন।

কালাই সরকারী ময়েন উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় ময়দানে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আরিফুর রহমান রকেটের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত রাজনৈতিক ক্যাম্পে তৃণমূলের সিনিয়র আওয়ামী লীগ সদস্যবৃন্দ এবং জেলা, উপজেলা নেতৃবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি, জীবন ও কর্মের ওপর আলোচনা করেন।

তিনি আরও বলেন, আজকের যে বাংলাদেশ এরচেয়েও সুন্দর, সমৃদ্ধ, উন্নত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকেই স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে পর্যায়ক্রমে এদেশের জনগণকে সংগঠিত করার যাত্রা শুরু করেন। তৎকালিন পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে গণতান্ত্রিক রাজনীতির ধারায় তিনি গোপনে স্বাধীনতার লক্ষ্যে পরিকল্পিতভাবে এদেশের ছাত্রসমাজকে সংগঠিত করার মহৎ কর্মে আত্মনিয়োগ করেন।

এই রাজনৈতিক ক্যাম্পে আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা এডভোকেট মোমিন আহমেদ চৌধুরী, মোকছেদ আলী মাস্টার, জাকির হোসেন, আব্দুস সালাম আকন্দ, মোস্তাকিম মন্ডল, মিনফুজুর রহমান মিলন, অধ্যক্ষ মোকছেদ আলী, সিরাজুল ইসলাম সর্দার, ফজলুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিশ চৌধুরী, আলম চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা নবিবুর রহমান সহ তৃণমূলের নেতাকর্মীবৃন্দ।