'বিএনপি গত নির্বাচনে জগাখিচুড়ি করে ধরা খেয়েছে, এবারও খাবে'

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৭ আগস্ট ২০২২

'বিএনপি গত নির্বাচনে জগাখিচুড়ি করে ধরা খেয়েছে, এবারও খাবে'

সরকার পতনে বিএনপির আন্দোলন রাজপথে মোকাবিলার ঘোষণা দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। নেতারা বলছে, হুমকি-ধামকি এবং বিদেশিদের কাছে নালিশ দিয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে নামাতে পারবে না বিএনপি। ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় আসবে।

বুধবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন সংলগ্ন গেটে ১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলা এবং বিএনপি-জামায়াত জোট গুজব ছড়িয়ে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে দাবি করে তার প্রতিবাদে আয়োজিত মিছিল বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে এসব কথা বলেন দলটির নেতারা।

বিএনপিকে রুখতে হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, "আজকে বোমাবাজির দিন শেষ, গ্রেনেডবাজির দিন শেষ। আগুন সন্ত্রাস করে ক্ষমতায় আসার দিন শেষ। আপনারা অনেক দেশ প্রেমিক বীরের রক্তে হাত রঞ্জিত করেছেন।"

বাংলাদেশের জঙ্গিবাদের ঠিকানা পৃষ্ঠপোষক বিএনপি উল্লেখ করে তিনি বলেন, "এদের রুখতে হবে। মোকাবিলা করতে হবে এবং আগামী নির্বাচনে প্রমাণ করে দিতে হবে, এই দেশ বঙ্গবন্ধুর দেশ। এই দেশ মুক্তিযোদ্ধার দেশ। শেখ হাসিনার বাংলাদেশ।"

আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য আবদুর রাজ্জাক বলেন, "এই সরকারের অধীনে বিএনপিকে নির্বাচন আসতে হবে। শেখ হাসিনার সরকারের অধীনে বাংলাদেশে সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ২০১৫ সালে যেভাবে লেজগুটিয়ে খালেদা জিয়া বাড়ি ফিরে গিয়েছিল, আজকের সমাবেশ প্রমাণ করে আরেকবার বিএনপিকে আমরা ঘরে তুলে দেব। দেশের জনগণ আবারও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে।"

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, "বিএনপির কিচ্ছু করার ক্ষমতা নেই। আওয়ামী লীগকে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। আমরা রাজপথের দল।"

তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর কখনো আসবে না, আসতে দেওয়া হবে না জানিয়ে আবদুর রহমান বলেন, "ওরা বলে নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাবে না। শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে আসবে না। আগামী নির্বাচন এই নির্বাচন কমিশনের অধীনেই হবে। সেই সরকারের প্রধান হবেন শেখ হাসিনা। নিরপেক্ষ সরকারের কথা বলে যারা দেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করতে চায় তাদের মোকাবিলায় নেতা কর্মীদের প্রস্তুত থাকতে হবে।"

বিএনপিকে রাজপথে মোকাবিলার করার নেতা কর্মীদের শপথ নেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, "আগস্ট মাসের পরে সেপ্টেম্বরে মাস থেকে সারা বাংলাদেশ থেকে জামায়াত, শিবির ও বিএনপিকে বঙ্গোপসাগরে ফেলব।"

বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকতে হাওয়া ভবন বানিয়ে দেশের সম্পদ লুট করেছে উল্লেখ করে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, "আজকে আওয়ামী লীগের লাখ লাখ নেতা-কর্মী মাঠে নেমেছে। আমাদের লক্ষ্য একটাই, যেকোনো মূল্য সকল চক্রান্ত প্রতিরোধ করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে উন্নয়ন অগ্রগতিতে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।"
আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা মাঠে নেমেছে জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, "পেট্রল বোমা বাহিনীকে (বিএনপি) আমরা জনগণকে সঙ্গে এ রাজপথ থেকে তাড়িয়ে দেব। । আমাদের নেতা কর্মীরা বেঁচে থাকতে জনগণকে আবারও পেট্রল বোমা কেউ মারতে পারবে না।"

বিএনপির বর্ষাকালের প্রথম বৃষ্টির পানির পুঁটি ও মলা মাছের মতো লাফাচ্ছে বলে দাবি করে তিনি বলেন, "তাদের হাঁকডাক ওই বর্ষাকালের ব্যাঙের ডাকের মত। তাদের জনগণের সহায় সম্পত্তি নষ্ট করার সুযোগ দেব না।"

ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য শেষে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের নেতৃত্বে প্রতিবাদ মিছিলে অংশগ্রহণ করে দলটির নেতা কর্মীরা। মিছিলটি মৎস্য ভবন, প্রেসক্লাব, পল্টন, গুলিস্তান হয়ে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।