জগা খিচুড়ির ঐক্য করে কোন লাভ নেই, বিএনপিকে ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

জগা খিচুড়ির ঐক্য করে কোন লাভ নেই, বিএনপিকে ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জগা খিচুড়ির ঐক্য করে কোন লাভ নেই, বিএনপির গতবার ঐক্যের যে পরিনতি হয়েছে এবারও সেই পরিনতি অপেক্ষা করছে।

তিনি আজ নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। ওবায়দুল কাদের তাঁর বাসভবন থেকে সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

যারা ইতিহাসের অবাঞ্ছিত সত্যের পুনরাবৃত্তি ঘটিয়েছে তাদের স্বরুপ উন্মোচিত করতে হবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন আজকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যখন বলে পাকিস্তান আমলে ভালো ছিলাম - তখন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান যে বঙ্গবন্ধু হত্যার মাস্টার মাইন্ড ছিলেন সেটাও আজ তাহলে সত্য?
বিএনপি মহাসচিবের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন আজ প্রমাণিত হয়েছে বিএনপির রাজনীতি পাকিস্তান ধারার রাজনীতি, বিএনপির রাজনীতি দ্বিজাতিতত্ত্বের রাজনীতি। তিনি বলেন বিএনপির রাজনীতি সাম্প্রদায়িকতা ও সন্ত্রাসের রাজনীতি।

বিএনপি যদি কখনো ক্ষমতায় যেতে পারে তাহলে এদেশকে আবার পাকিস্তানি ধারায় নিয়ে যাবে এমন দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন সেটাই এখন বিএনপির টার্গেট, সেজন্যই আজকে বিএনপি ঐক্যের নামে টালবাহানা করছে, সাম্প্রদায়িক শক্তির সাথে জোট করে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার এখন উচ্চ আদালতের নির্দেশে মিউজিয়ামে।আপনাদের নেত্রীই একসময়ে বলেছিলেন নিরপেক্ষ বলে কিছু নেই, নিরপেক্ষ হচ্ছে পাগল ও শিশু।

নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জি এম তালেব হোসেনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ডক্টর আবদুর রাজ্জাক , এডভোকেট কামরুল ইসলাম, আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট নজীবুল্লাহ হিরু, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপা, শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন অপু, এমপি এবং নরসিংদী জেলা আওয়ামী ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক পীরজাদা কাজী মোহাম্মদ আলীসহ সংসদ সদস্যসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।