নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ জানুয়ারি ২০২৩
মোকছেদুল মুমীন ,নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিঃ গুচ্ছভুক্ত নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ম ধাপের শূন্য আসনে ভর্তির জন্য প্রকাশিত ফলাফলে নানা অনিয়ম ও অসঙ্গতির অভিযোগ এনে আন্দোলনে বসেছে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি মেধাতালিকায় সামনে থেকে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিত অনুযায়ী নির্ধারিত তারিখেই রিপোর্টিংয়ের সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হলেও তারা ভর্তির জন্য মনোনিত হননি। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে যারা মেধাতালিকায় সামনে থেকেও ভর্তির জন্য মনোনিত হননি তারা হয়তো তাড়াহুড়ো করে রিপোর্টিংয়ের সময় স্বাক্ষর করেননি অথবা প্রবেশপত্র জমা দেননি।
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে আন্দোলনে বসেন ভর্তিচ্ছু ৪ শিক্ষার্থী। এসময় তারা প্রকাশিত ৭ম মেধাতালিকা বাতিল করে পুনরায় ফলাফল প্রকাশের দাবি জানান অথবা তারা যে রিপর্টিংয়ের সময় স্বাক্ষর করেনি বলে বলা হচ্ছে সেই কাগজ দেখোনোর দাবি করেন।
আন্দোলনরত ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী রায়হান রাসেল বলেন, “গুচ্ছ মেধাতালিকায় বি ইউনিটে আমার পজিশন ছিল ১১৮১। আমার সাজেক্ট পছন্দের তালিকায় ফোকলোর বিভাগ ছিল,অথচ মেধাতালিকায় আমার পেছনে ১২৯২ মেধাক্রমে থেকে ফোকলোর বিভাগ পেলেও আমাকে কোনো বিভাগে মনোনিত করা হয়নি। আমি রিপোর্টিংয়ের সময় সকল ধরনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি। আমি ভর্তি প্রক্রিয়া স্থগিত রেখে নতুন করে ফলাফল প্রকাশের দাবি জানাচ্ছি। অথবা আমাকে রিপোর্টিংয়ের নথি দেখানো হোক ।”
সি ইউনিটের মেধাতালিকায় ৬৬১ তম অবস্থানে থাকা উদয় হাসান রাজ বলেন,“আমার সাথে অবিচার করা হয়েছে।সকল শর্ত পূরণ করা সত্ত্বেও আমাকে ভর্তির সুযোগ না দিয়ে আমার পরে মেরিটে থাকা অনেককেই ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়েছে।আমি পুনরায় ফলাফল প্রকাশের দাবি জানাচ্ছি।”
এসময় আন্দোলনস্থলে উপস্থিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর(ভারপ্রাপ্ত) ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান। তিনি আন্দোলনরত ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের গুচ্ছের নিয়ম মেনে ফলাফল পুনঃবিবেচনা করতে বলেন।
পরে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড.হুমায়ুন কবীরের কাছে গেলে তিনি বলেন, “ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে কোনো ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীর সংশয় বা অভিযোগ থাকলে গুচ্ছের নিয়ম অনুযায়ী ২০০০ টাকা ব্যাংকে জমা দিয়ে ব্যাংক রশিদসহ আবেদন করতে হবে।কেউ যোগ্য হলে অবশ্যই তাকে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হবে।”
এর আগে সোমবার(১৬ জানুয়ারি)রাতে ৭ম মেধাতালিকা প্রকাশের সাথে সাথে প্রকাশিত ফলাফলে অনিয়মের অভিযোগ এনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা ধরনের মন্তব্য করতে থাকে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা।