নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৮ এপ্রিল ২০২৪
ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও আনন্দময় পরিবেশে উজবেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্দে বাংলাদেশ দূতাবাস উদযাপিত হয়ে গেলো বাংলা নববর্ষ ১৪৩১। ১৬ এপ্রিল মঙ্গলবার দূতাবাস প্রাঙ্গনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করা হয়। উজবেকিস্তানে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকসহ উজবেকিস্তানের রাজনৈতিক, একাডেমিক, ব্যবসায়িক, সাংস্কৃতিক, পর্যটন ও মিডিয়া অঙ্গনের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ব্যক্তিবর্গ ও প্রবাসী বাংলাদেশীবৃন্দ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
উপস্থিত অতিথিবৃন্দের অংশগ্রহণে মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের কর্মসূচি শুরু হয়। রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম তাঁর স্বাগত বক্তব্যে পহেলা বৈশাখকে বাঙালি সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ বর্ণনা করে এর তাৎপর্য তুলে ধরেন। ‘মঙ্গল শোভাযাত্রাকে’ ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসাবে স্বীকৃতি ঘোষণা পহেলা বৈশাখের অর্থ ও তাৎপর্যকে বিশ্বজনীন করেছে বলে রাষ্ট্রদূত যোগ করেন। যুদ্ধ-বিগ্রহ,অত্যাচার, নিপীড়নসহ বিশ্ব এখন নানামুখী চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন, এ সময় পহেলা বৈশাখের চেতনা ও অন্তর্নিহিত অর্থ যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি প্রাসঙ্গিক ও গুরুত্বপূর্ণ বলে রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন। পহেলা বৈশাখের চেতনাকে ধারণ ও লালন করে একটি শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধশালী পৃথিবী গঠনে অবদান রাখতে সকলকে রাষ্ট্রদূত আহবান করেন। তিনি আশা করেন আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশ-উজবেকিস্তান সম্পর্ক আরো গভীর ও ফলপ্রসূ হবে।
আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির চেয়ারম্যান ও চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ। আয়োজনে উপস্থিত হবার জন্য ডব্লিউইউএসটির চ্যান্সেলরকে ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম।
আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ নিজেদের মধ্যে আনন্দ ও অনুভূতি ভাগাভাগি করেন এবং অনুষ্ঠান আয়োজনে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন যে, এর মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তানের জনগণের মধ্যকার বন্ধুত্ব, সম্প্রীতি ও বোঝাপোড়া আরো সুসংহত ও শক্তিশালী হবে। অতিথিগণ বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে দেশ-বিদেশে তুলে ধরতে কাজ করে যাওয়ার জন্য একে অপরের প্রতি আহ্বান জানান।
উৎসব উপলক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাস প্রাঙ্গণ বিভিন্ন ধরনের রঙিন আলপনা, ব্যানার, ফুল, বেলুন প্রভৃতি দিয়ে সাজানো হয়।
পরে দূতাবাস প্রাঙ্গনে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যেখানে বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তানের শিল্পীরা বাংলাদেশের দেশত্ববোধক, লোকজ ও জনপ্রিয় সংগীত ও নৃত্য পরিবেশনা দর্শকদের মুগ্ধ করে।
বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার দ্বারা অতিথিদের কে আপ্যায়ন করা হয়, যা অনুষ্ঠানের আনন্দে এক নতুন মাত্রা যোগ করে।