লক্ষ্মীপুরে বিএনপি পুলিশ আওয়ামী লীগের ত্রিমুখী সংঘর্ষে একজন নিহত, আহত অর্ধশতাধিক

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৮ জুলাই ২০২৩

লক্ষ্মীপুরে বিএনপি পুলিশ আওয়ামী লীগের ত্রিমুখী সংঘর্ষে একজন নিহত, আহত অর্ধশতাধিক

লক্ষ্মীপুরে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। তিনি যুবদলের কর্মী বলে দাবি করেছে বিএনপি। তবে তার নাম-পরিচয় জানা যায়নি। সংঘর্ষে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাসান মাহমুদ ইব্রাহিমসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে লক্ষ্মীপুরে মদিন উল্যাহ হাউজিংয়ের একটি বাসার দোতলার সিঁড়ির পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। এর আগে বিকেলে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

জেলা কৃষক দলের সভাপতি মাহবুব আলম মামুন ও সদর (পূর্ব) উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া বাবু জানান, তাদের শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা কর্মসূচিতে প্রথমে কলেজ রোড এলাকায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছে। এরপর রামগতি-লক্ষ্মীপুর সড়কের আধুনিক হাসপাতালের সামনে পুলিশ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বিএনপির মিছিলে হামলা চালায়। এ সময় পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর গুলি ছুড়তে থাকে। এতে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ইব্রাহিম গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হন।

সদর হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক জয়নাল আবেদীন বলেন, হাসপাতালে আহত অবস্থায় অনেক রোগী এসেছে। এর মধ্যে গুলিবিদ্ধও রয়েছেন কয়েকজন।

জেলা পুলিশের ডিআইওয়ান একেএম আজিজুর রহমান মিয়া বলেন, আমরা শহরের ব্রিজ এলাকায় ছিলাম। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মাঠে রয়েছি। আধুনিক হাসপাতালের সামনে কী হয়েছে তা জানি না।

জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাছিবুর রহমান বলেন, পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আমাদের লোকজনের ওপর বিভিন্ন পয়েন্টে হামলা করেছে। পুলিশের গুলিতে ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হামলায় বহু নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় যুবদলের এক কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে আওয়ামী লীগের লোকজন।

লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ বলেন, বিএনপির উত্তেজিত নেতাকর্মীরা প্রথমে লাঠিসোঁঠা নিয়ে হামলা চালিয়েছে। তারা অতর্কিতভাবে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে হামলা, ভাঙচুর চালিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আমরা লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করি। বিএনপির নেতাকর্মীদের হামলায় আমাদের পুলিশ সদস্যরা আহত হন। একজন কীভাবে মারা গেছে তা এখনো নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না।

প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা বিএনপির আয়োজনে পদযাত্রা কর্মসূচিতে অংশ নেয় বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী। কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন।