শিক্ষার্থীদের উদ্যোক্তা হওয়াকে নিরুৎসাহিত করলেন জবি প্রক্টর

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৮ অক্টোবর ২০২২

শিক্ষার্থীদের উদ্যোক্তা হওয়াকে নিরুৎসাহিত করলেন জবি প্রক্টর

মোঃ আবুল বাশার, জবি প্রতিনিধিঃ বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনেই শিক্ষার্থীরা নিজের পায়ে দাঁড়াতে শিখে।পরিবারের দায়িত্ব কাঁধে নেওয়ার আগে নিজের দায়িত্ব নিয়ে প্রত্যেকটা শিক্ষার্থী চেষ্টা করে পরিবারের বোঝা কমাবার। এছাড়াও যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হল নেই, সেহেতু আবাসন ও খাবারের খরচটাও শিক্ষার্থীদের নিজেদেরই বহন করতে হয়। এজন্য জড়াতে হয় নানা পেশায়। কেউ টিউশনি করায়, কেউ বা পার্টটাইম চাকুরী খোঁজে। আবার কেউ কেউ উদ্যোক্তা হয়ে উঠে ছোট খাটো পুঁজি হাতে নিয়ে। তবে এর অধিকাংশই সাময়িক সময়ের জন্য।

কিন্তু অনেক শিক্ষার্থীরই এই ছোট্ট উদ্যোক্তা থেকে এখন বড় ব্যবসায়ী হয়ে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে থাকার গল্পও আছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালনকে কেন্দ্র করে কিছু শিক্ষার্থীর উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছবি আঁকা টি-শার্ট বিক্রিকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া ঘটনায় মনঃক্ষুণ্ন অনেক শিক্ষার্থী। এর সাথে সাথে আশাহত উদ্যোক্তা শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১৭ অক্টোবর) অপ্রতিম নামে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি উদ্যোক্তা সংগঠনের বিক্রির জন্য আনা টি শার্ট গুলোকে গ্রাহকদের হাতে পৌঁছাতে পোহাতে হয় এক বিরাট বাঁধা। যদিও শেষ পর্যন্ত বিক্রি করা সম্ভব হয় নি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক ক্ষোভ প্রকাশ করে স্ট্যাটাস দিয়ে নিন্দা জানাচ্ছে।
১৪ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী আসিফ আদনান জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্রি করা যাবে না এ বিষয়ে তারা অবগত ছিল না। তাই প্রক্টর বরাবর মাফিনামা দিয়ে তারা বিক্রি না করেই চলে আসছে। বিকাল পর্যন্ত জব্দ করা হয়েছিল তাদের জিনিসপত্র।
ফেইসবুক স্ট্যাটাস এর মাধ্যমে ১২ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ইমদাদুল্লাহ রায়হান জানান যে,

"সবশেষে একটা কথা হচ্ছে আমরা এমন বিশ্ববিদ্যালয় এ পড়ি যেখানে কেউ চাইলেও উদ্যোক্তা হওয়ার অনুশীলন করতে পারবে না ।। কি করতে পারবে সেটা আর না ই বললাম ..."

এ বিষয়ে মুঠোফোনে কথা বলতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকে বাবা মা পাঠায় পড়াশোনা করার জন্য। শিক্ষার্থীরা এসে নানা কাজে জড়িয়ে তার মূল লক্ষ্য থেকে সরে যায়। ফলে দেখা যায় যে, অনেক শিক্ষার্থীই সুন্দর ভবিষ্যতের আশা ধরে আর এগোতে পারে না। তাই এ বিষয়ে আমরা নিরুৎসাহিত করি। তবে কেউ করতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে অনলাইনে করতে পারে। এতে বাঁধা দেওয়ার কিছু নেই।

প্রক্টরের এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তানজিমুল রিফাত নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, প্রথম কথাটি দ্বারা প্রক্টর স্যার আমাদের উদ্যোক্তা হওয়ার ক্ষেত্রে সরাসরি নিরুৎসাহিত করেছেন। যারা অনুচিত কাজে জড়ায় তাদের ক্ষেত্রে সেটা বলা যায়, কিন্তু ঢালাওভাবে সবার কাজকেই নেতিবাচক বলার সুযোগ নেই।