নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ জুলাই ২০২২
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন,বিদ্যুৎ সহ বিভিন্ন খাতের সমস্যাই সরকারের পতন ত্বরান্বিত করবে । শুরু হয়ে গেছে আসল খেলা।
তিনি বলেন, ‘আমি না, অর্থনীতিবিদেরা বলছেন প্রতিটি ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। জনগণ ফুঁসে উঠছে, ফুঁসে উঠবে এবং সমস্যাই তাদের পতন ত্বরান্বিত করবে।’
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে এক সংবাদ সম্মেলনে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম এ কথা বলেন।
বিদ্যুৎ সমস্যার জন্য সরকারের দুর্নীতি দায়ী—এমন মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘এ সমস্যা যে সৃষ্টি হবে, তা আমরা বহু আগেই। দুর্নীতি চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। একটা জায়গা না, সব জায়গাতেই তাদের লক্ষ্য হচ্ছে দুর্নীতি করা। এই দুর্নীতি পয়েন্ট অব নো রিটার্নে চলে গেছে। একইভাবে শ্রীলঙ্কায় যে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, এরা এভাবে টাকা চুরি করেছে। এক দিন তাদের হিসাব দিতেই হবে। এই হিসাব না দিয়ে তারা যেতে পারবে না। তাদের জনগণের আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে এবং বিচার হবে।
তিনি আরও বলেন, পত্রিকায় দেখেছি ১৭৬০ কোটি টাকা বছরে তাদের জন্য গুনতে হবে। এতে প্রমাণিত শুধুমাত্র দুর্নীতি করার জন্য, বিশেষ কোম্পানিকে অর্থ বানানোর সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে, এতে নিজে উপকৃত হওয়ার কারণে এই কাজটা করেছে সরকার।
বিএনপির এ নেতা বলেন, এমন কোনো পরিকল্পনা, এমন কোনো প্রজেক্ট হাতে নেওয়া উচিত নয় যেটা আমরা চালাতে পারব না। সে ধরনের জুতা কেনা উচিত যেটা আমরা পরতে পারব। পায়ের মাপের বাইরে জুতা কিনলে তা পরা সম্ভব হবে না। আজ তাই ঘটছে। এটার মূল্য দিতে হচ্ছে জনগণকে। আমরা অবিলম্বে এই দুর্নীতির কারণে সরকারের পদত্যাগ দাবি করছি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল এখন হাস্যকর ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছেন বলে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ ও নির্বাচন কমিশন তারা মনে করে যে, দেশের সব মানুষ আহাম্মক। গত ১০ বছর ধরে প্রমাণিত হয়েছে, আওয়ামী লীগের অধীনে, কোনো দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয়। এ কথা শামসুল হুদা (সাবেক সিইসি) বলেছেন। শেষ মুহূর্তে একেএম নুরুল হুদা তার চাকরি যাওয়ার পরে এই কথা বলেছেন। আর বর্তমান সিইসি এখনই বলে দিচ্ছেন, যে এটা সম্ভব নয়, ইটস নট পসিবল। গতকাল তিনি বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনে না আসলে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না।