নিজস্ব প্রতিবেদক । ২০ ডিসেম্বর ২০২২
গুরুদাসপুর(নাটোর) প্রতিনিধি..
নাটোরের গুরুদাসপুরে দুই সাংবাদিকের দায়িত্ব পালনে বাধা ও ভিডিও ক্যামেরা ছিনিয়ে নেবার অভিযোগ উঠেছে কৃষক হাবিবুর রহমানসহ তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে । এবিষয়ে ভুক্তভোগী সাংবাদিক গুরুদাসপুর থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ বলছে আসামী গ্রেপ্তার চেষ্টা চলছে।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক ও মামলার নথিসুত্রে জানা গেছে,গত শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) গুরুদাসপুর উপজেলায় কর্মরত দৈনিক ঢাকা প্রতিদিনের উপজেলা প্রতিনিধি জনি পারভেজ ও এশিয়ান টেলিভিশনের প্রতিনিধি মেহেদী হাসান তানিম সরিষা আবাদের ওপর একটি প্রতিবেদন তৈরীর জন্য উপজেলার খুবজীপুর ইউনিয়নের বিলশায় সরেজমিনে কৃষি জমিতে যান। সে সময় তারা কিছু স্থিরচিত্র ও ভিডিও ধারন করেন।
এরইমধ্যে সরিষা জমির মালিক বিলশা গ্রামের মৃত সুফিদ সরদারের ছেলে হাবিবুর রহমান (৩৫) ও আরও ৪/৫ জন সহযোগী সাংবাদিকদের ছবি ও তথ্যচিত্র মুছে ফেলতে বলে। সাংবাদিকরা তা অস্বিকার করলে দুপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে হাবিবুর ও তার সহযোগীরা ধস্তাধস্তি করে এশিয়ান টেলিভিশনের ক্যামেরা ও মাইক্রোফোন ছিনিয়ে নেন। তারা সাংবাদিকদের দেখে নেবার হুমকিও দেন।
এবিষয়ে দৈনিক ঢাকা প্রতিদিনের উপজেলা প্রতিনিধি জনি পারভেজ বাদী হয়ে হাবিবুর রহমানের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামী করে গুরুদাসপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন (মামলা নম্বর ২০- ১৭/১২ ২২)।
ভুক্তভোগী ওই সাংবাদিক জানান,তাদের দায়িত্ব পালনে বাধাসৃষ্টি করে গালাগালি করে ভিডিও ক্যামেরা ও মাইক্রোফোন ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতার ও ছিনিয়ে নেয়া সামগ্রী ফিরে পেতে পুলিশ প্রশাসনের সহযোগীতা চান তিনি।
অভিযুক্ত হাবিবুর রহমানের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার বড়ভাই ইউপি সদস্য হাসান আলী জানান, বিষয়টি তিনি জেনেছেন। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ফসল নষ্টের অভিযোগ করে তিনি দাবী করেন, ক্যামেরা ছিনতায়ের বিষয়টি সত্য নয়,তবে স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের ও সাংবাদিক সংগঠনের মাধ্যমে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা চলছে।
খুবজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম দোলন জানান,বিষয়টি তিনি শুনছেন। স্থানীয়ভাবে মিমাংসার চেষ্টা চলছে।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)আব্দুল মতিন জানান,এ বিষয়ে একটি নিয়মিত মামলা হয়েছে। আসামী গ্রেফতার ও তাদের ব্যবহৃত ক্যামেরা ও অন্যান্য সামগ্রী উদ্ধার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।১৯/১২/২২
শরিফুল ইসলাম