বিএনপি পুঁটি মাছের মতো লাফালাফি করছে : তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২০ জুন ২০২৩

বিএনপি পুঁটি মাছের মতো লাফালাফি করছে : তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বর্ষায় বৃষ্টির পর পুঁটি মাছ যেভাবে লাফালাফি করে বিএনপি সে রকম লাফালাফি করছে। আর দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল লাফাচ্ছেন কোলা ব্যাঙের মতো।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে রাজপথের বিরোধী দল বিএনপি, তারা কয়েকদিন আগেও সংসদে ছিল। গ্রামে যখন বর্ষাকালে বৃষ্টি হয়, পুকুরের মধ্যে পুঁটি মাছ খুব লাফালাফি করে। আজকে বিএনপির লাফালাফি হচ্ছে বর্ষাকালে পুঁটি মাছের প্রথম লাফালাফির মতো। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গলা দেখি আগের চেয়েও চড়া হয়ে গেছে। তার আওয়াজটা কোলাব্যাঙের আওয়াজ মনে হচ্ছে। মাননীয় স্পিকার আমাকে ক্ষমা করবেন এ তুলনা দেওয়ার জন্য।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পাঁচ সংসদ সদস্য চিঠি লিখল। বাংলাদেশের কাছে নয়, তাদের আন্তর্জাতিক কমিটির চেয়ারের কাছে। সেখানে ৭০৫ জন সদস্য। তার মধ্যে ৫ জন সদস্য চিঠি লিখল। এটা নিয়ে তাদের (বিএনপি) মধ্যে পুলকিত ভাব। কেউ কেউ পুলকিত ভাব প্রকাশ করছে। এই চিঠির কোনো অর্থ নেই, মূল্য নেই। অন্য কোনো দেশ হলে পত্রিকায় এ চিঠি ছাপাত না। আমাদের দেশে সেটি ছাপিয়েছে।’

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘৪৩৫ জন কংগ্রেসম্যানের মধ্যে ৫ জন চিঠি লিখেছে জো বাইডেনের কাছে যে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন হচ্ছে। বাংলাদেশের সব সংখ্যালঘু সংগঠন এটার বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়েছে। খ্রিষ্ট সম্প্রদায়ের আর্য বিশপ বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, এ চিঠি বাস্তবতাবিবর্জিত। বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকারের সময় আমরা সংখ্যালঘুরা ভালো আছি। আমরা বরং আতঙ্কিত- মৌলবাদী শক্তি আবার যদি ক্ষমতায় নেয় তখন আমাদের কী হবে। তাদের বিবৃতি নিয়ে পত্রপত্রিকায় সংবাদ। যখন হোয়াইট হাউসের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ চিঠি নিয়ে প্রশ্ন করা হলো- তারা বলে চিঠি সম্পর্কে আমরা কিছু জানি না। এ চিঠি সম্পর্কে জো বাইডেনের দপ্তর হোয়াইট হাউস কিছু জানে না। বাংলাদেশের কয়েকটি পত্রিকা জানে আর জানে বিএনপির মহাসচিব, আর বিএনপির নেতারা। লবিস্ট নিয়োগ করে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একটা একটা চিঠি আনায়। আমাদের কাছেও দেয় না। সে চিঠি তাদের ইন্টারনাল চিঠি, তা এনে পুলকিত ভাব করে।’

প্রতিবছর বাজেট পেশ করার পর ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ও বিএনপি একই রকম বক্তব্য দেয় বলে সংসদে দাবি করেন তথ্য মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘একটা সংস্থা আছে সিপিডি। তারা বাজেটের নানা ভুল ধরে। পাণ্ডিত্য দেখাতে ভুল ধরতে হয়। এটা তাদের পেশা। এটা করেই তারা বিদেশ থেকে টাকা পায়। তা দিয়ে প্রতিষ্ঠান চালায়। টিআইবি তাদের প্রতিষ্ঠান চালায়।’