নিজস্ব প্রতিবেদক । ২০ আগস্ট ২০২২
বিএনপি নেতাদের অহংকার না করার পরামর্শ দিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, “আপনাদের জেলা উপজেলা থেকে যোগাযোগ করছে, দরজাটা খোলে দিলে দেখবেন আওয়ামী লীগে যোগদানের লাইন কত বড়।”
শনিবার বিকালে রাজধারি বিএনমএ অডিটরিয়ামে বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশনের শোক দিবসের আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “আমাদের দুর্ভাগ্য আমরা যাদের প্রতিপক্ষ ভাবি তারা আমাদের শত্রু ভাবে। পচাত্তরের হত্যা কান্ডে তাদের দোষররা, এর পর তেশরা নভেম্বর। এটা কি প্রতিপক্ষের? না শত্রুর? শত্রুর মত ব্যবহার তারা আমাদের সঙ্গে করে। কোকোর মৃত্যুর পর প্রধানমন্ত্রী শোকার্ত মাকে শান্তনা দিতে ছুটে গেছে, মুখের উপর ঘরে দরজা বন্ধ করে দিয়েছে, মূল ফটক বন্ধ করে দিয়েছে। এই দুর্ব্যবহারও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পেয়েছেন।
“২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে টেলিফোন করেছেন, আসুন গণভববনে ডিনার করুন, আমরা কথাবার্তা বলি। কি দুর্ব্যবহারটা করেছে। বারে বারে দেয়াল তুলছেন আপনারা, সম্পর্কের সেতুটা আপনারাই ধ্বংশ করে দিয়েছেন এদেশের রাজনীতিতে।”
বিদেশে আওয়ামী লীগের কোন প্রভু নেই দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “আমরা বঙ্গবন্ধু, জননেত্রী শেখ হাসিনা, তাদের আদর্শ ধারণ করি এবং সেটাই আমাদের বড় অস্ত্র। আমাদের ক্ষশমতার উৎস বাংলাদেশের জনগণ, অন্য কেউ না। বিদেশে আমাদের বন্ধু আছে প্রভু নেই। আপনাদের মত আমাদের প্রভু নেই। আমরা বন্ধুত্ব করি আমাদের সার্থে, আমরা বন্ধুত্ব করি আমাদের অতীতে, খারাপ সময়ে কে আমাদের সঙ্গে ছিল। এটা আমরা স্বরণ করি।
“কিন্তু আমি কারও দয়ায় তো ক্ষমতায় আসি নি। আমার দেশের জন্যগণ আমাদের সমর্থন করেছে। আল্লাপাকের অশেষ রহমত আছে সেজন্যই আমরা ক্ষমতায় আছি। ইনশাআল্লাহ ফখরুল সাহেব তাদের সহকর্মীরা জনমতে তলানীতে।”
বিএনপি নেতাদের অহংকার না করার পরামর্শ দিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “সারা দুনিয়া এখনও বলে, শেখ হাসিনা জনপ্রিয় নেত্রী। জনপ্রিয়তার প্রমান আপনারা বার বার ডাক দিয়েও মাঠে নামাতে পারেন নি, ইনশাল্লাহ পারবেন না। নির্বাচনটা আসুক তখন প্রমান পাবেন শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা অপ্রতিরোদ্ধ, তুঙ্গে। কত উচুতে নির্বাচনে টের পাবেন। আমাদের প্রমান করতে হবে না।
“বড় বড় কথা বলবেন না, বড় বড় কথা বললে আসল কথা বেড়িয়ে আসবে। একটা মিছিল হলে খোলা মাঠে মারা মারি, সেই দল কলহ কোন্দলে ভরা কেউ কাউকে মানে না। কারও প্রতি কারও কোন আস্থা নেই। প্রস্তাব তো আমাদের কাছেও আসে জেলা পর্যায়ের, কেন্দ্রীয় পর্যায়ের। অনেকে যোগ দিতে চায়। দরজাটা খুলে দিলে টের পাবেন লাইন কতটুকু, আওয়ামী লীগে যুগদানের লাইন। আপনারা আপনাদের দোষত্বের পক্ষ থেকে। কাজেই এক অহংকার ভালো নয়। আমরা মানুষের সঙ্গে আছি মানুষের সঙ্গে থাকবো।”
বিএমএ এর সভাপতি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে বিএমএ এর নেতারা উপস্থিত ছিলেন।