নিজস্ব প্রতিবেদক । ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২
খেলার জন্য বায়না ধরেছিল ছেলে। ঠিক সে সময়ই তার স্কুলের হোমওয়ার্ক দেখতে চায় বাবা। কিন্তু ছেলের খাতায় হোমওয়ার্ক দেখতে না পেরে রেগে যান তিনি। এর পরেই ছেলের গায়ে কেরোসিন ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন বাবা। পরে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ছেলেটি।
পাকিস্তানের করাচির ওরাঙ্গি শহরে মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার দেশটির সংবাদমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১৪ সেপ্টেম্বর করাচির ওরাঙ্গি শহরের রইস আমরোহভি কলোনিতে ঘটনাটি ঘটেছে। স্কুলের হোমওয়ার্ক না করার কারণে ওইদিন নাজির নামের এক ব্যক্তি তার ১২ বছর বয়সী ছেলে শাহিরের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে শিশুটি গুরুতর দগ্ধ হয়।
পরে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে প্রথমে নিকটবর্তী সিন্ধু গর্ভমেন্ট কাতার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে করাচির সিভিল হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে স্থানান্তরিত করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয়।
এ ঘটনার পর স্বামীর বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন শাহিরের মা। এরপরই অভিযুক্ত বাবা নাজিরকে গ্রেপ্তার করেছে করাচি পুলিশ।
ডন জানিয়েছে, গ্রেপ্তারের পর বাবা নাজিরকে গতকাল সোমবার বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করা হলে আদালত তাকে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ইচ্ছাকৃতভাবে নিজের ছেলেকে হত্যা করতে চাননি বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন ওই বাবা।
নাজিরের ভাষ্য অনুযায়ী, কিছুদিন ধরে পড়াশোনায় অমনোযোগী ছিল শাহির। যাতে সে পড়াশোনা করে তাই তাকে ভয় দেখাতে শরীরে কেরোসিন ছিটিয়ে দেন তিনি। পরে ম্যাচের কাঠি ঠোকাতেই দুর্ঘটনাবশত ছেলে শাহিরের শরীরে আগুন লেগে যায়। এরপর ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালে ছুটে যান তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, তারা মামলাটি তদন্ত করছে।